নৌবাহিনীর চার অ্যাথলেট শিরিন আক্তার, নুসরাত জাহান, নাদেরা খাতুন ও সাবিয়া আল সোহা ৩ মিনিট ৫১ দশমিক ৬২ সেকেন্ড সময় নিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েন
জাতীয় অ্যাথলেটিকসের শেষ দিনে হয়ে জোড়া রেকর্ড। পোল ভল্টে তৃতীয় চেষ্টায় প্রথম স্বর্ণপদকেই রেকর্ড গড়েছেন সেনবাহিনীর সৌরভ মিয়া। পোলে লাফিয়ে উচ্চতা অতিক্রম করেছেন ৪ দশমিক ৫০ মিটার। আগের রেকর্ডটি ছিল হুমায়ুন কবিরের। ২০০৬ সালে জাতীয় অ্যাথলেটিকসে নৌবাহিনীর অ্যাথলেট জাম্প করেছিলেন ৪ দশমিক ৩৫ মিটার।
বুধবার শেষ দিনে রেকর্ড হয়েছে আরও একটি। ৪ গুনিতক ৪০০ মিটার রীলের দলীয় ইভেন্টে স্বর্ণপদকসহ রেকর্ড গড়েছেন নৌবাহিনীর সাবিয়া আল সোহা, নাথিরা খাতুন, নুসরাত জাহান ও শিরিন আক্তার মিলে। রীলে দৌড়ানোর আগে অবশ্য ২০০ মিটারে দৌড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন আগের দিন ১০০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণপদক জেতা শিরিন। বিশ্রাম নিয়ে ফিরেই আবার জেতেন দলীয় ইভেন্টে স্বর্ণ। ১৬টি ১০০ মিটারে স্বর্ণপদক জেতা শিরিন ২০০ মিটারেও এ নিয়ে ১৪ বার জিতেছেন স্বর্ণপদক।
৪ গুনিতক ৪০০ মিটার রীলে এদিন শিরিনরা সময় নিয়েছেন ৩:৫১.৬২ সেকেন্ড। এই বিভাগে আগের রেকর্ডটি ছিল ৩২ বছরের পুরনো, তথা ১৯৯৩ সালের। সেবার নাছিমা, সুবনা, মনিয়া ও সুমিতা মিলে রেকর্ডটি গড়েছিলেন ৩:৫৫.৫৫ সেকেন্ড।
নৌবাহিনী এই স্বর্ণপদকটি জেতার মাধ্যমেই এদিন তারা ছাড়িয়ে যায় সেনাবাহিনীকে। এর আগে দুই বাহিনীর ঝুলিতে ছিল সম্মিলিত ১৯টি করে পদক। পরে আরও একটি পদক জিতে নৌবাহিনী মোট স্বর্ণপদক জেতে ২১টি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯টিতেই থাকে সেনাবাহিনী।
এদিকে, প্রথমবারের মতো স্বর্ণপদক জিতে বেশ খুশি সৌরভ। সেই সঙ্গে আক্ষেপও আছে। পোল ভল্টে মানুষের আগ্রহ কম, ফেডারেশন থেকেও নেই তেমন একটা সহায়তা, তারপরও প্রথমবারের মতো স্বর্ণপদকের সঙ্গে রেকর্ড হওয়ায় উচ্ছ্বসিত সৌরভ। যদিও দেশের বাইরে গত বছর মালয়েশিয়াতে অনুষ্ঠেয় ওপেন অ্যাথলেটিকসে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন সৌরভ। তবে সেবার জাম্প করেছিরেন ৪ দশমিক ৩৭ মিটার। যা দেশের অ্যাথলেটদের হিসেবে রেকর্ড। যদিও তা গননায় রাখেনি বাংলাদেশের অ্যাথলেটিক ফেডারেশন।
তিনবারের চেষ্টায় এবারই প্রথম গোল্ডমেডেল জেতেন সৌরভ। আর প্রথম গোল্ডমেডেলেই রেকর্ড গড়েছেন নরসিংদীর এই অ্যাথলেট।
পুরুষদের ২০০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণ পদক জেতেন নৌবাহিনীর রাকিবুল হাসান। সময় নেন ২১ দশমিক ৩৯ সেকেন্ড। তবে ১০০ মিটারে আগের দিন হয়েছেন দ্বিতীয়।
বুধবার দিনের শেষ ইভেন্ট মেয়েদের চার গুনিতক চারশ’ মিটার। জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ইভেন্টের শেষ লেপে দৌঁড়ে রেকর্ড গড়ে নৌবাহিনীকে স্বর্ণপদক এনে দেন দেশের দ্রুততম মানবী শিরিন আক্তার। এতেই স্টেডিয়ামজুড়ে আনন্দ-উৎসবের রোল পড়ে যায় এই বাহিনীর ক্রীড়াবিদদের মধ্য। সবাই যখন উৎসবে মাতোয়ারা, তখন স্ট্রেচারে করে শিরিনকে নিয়ে যাওয়া হয় অ্যাম্বুলেন্সে। মাসল পুল করায় অ্যাম্বুলেন্সেই চলল পরিচর্যা। না, বড় কোন আঘাত পাননি তিনি। কিছুক্ষণ পড়ে সতীর্থদের সঙ্গে তার উৎসবে যোগ দেয়া সেটাই প্রমান করে।
নৌবাহনীর উৎসবের কারণ ভিন্ন। একটি স্বর্ণপদক পেয়ে সেনাবাহিনীর (১৯) চেয়ে এগিয়েছিল। শেষ ইভেন্টে স্বর্ণ হাতছাড়া হলে সমান হবে। তাই ২১টি স্বর্ণপদক নিশ্চিত হওয়ায় বাধভাঙ্গা আনন্দে মেতে উঠেন নৌবাহিনীর ক্রীড়াবিদরা।
শিরিনময় এমন মিট অনেক দেখেছেন সমর্থকরা। ১০০ মিটার স্প্রিন্টে দেশের ১৬ বারের দ্রুততম মানবী তিনি। এর বাইরেও তিনি ২০০ মিটার স্প্রিন্ট এবং চার গুনিতক একশ’ ও চার গুনিতক চারশ’ মিটার রিলেতে দলকে স্বর্ণপদক এনে দেন। ১০০ মিটার স্প্রিন্ট এবং চার গুনিতক একশ’ মিটার রিলেতে স্বর্ণ জেতেন আগের দিন। কাল ২০০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণ জেতার (২৪.৭৪ সেকেন্ড) ঠিক ৫০ মিনিট পরই চার গুনিতক চারশ’ মিটার রিলেতে নামতে হল। শেষ ইভেন্টে নামার আগে একবার অ্যাম্বুলেন্সে গিয়ে পরিচর্যা করান। কিন্তু রিলে শেষ করার পর আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলেন না।
নৌবাহিনীর চার অ্যাথলেট শিরিন আক্তার, নুসরাত জাহান, নাদেরা খাতুন ও সাবিয়া আল সোহা ৩ মিনিট ৫১ দশমিক ৬২ সেকেন্ড সময় নিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েন
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
জাতীয় অ্যাথলেটিকসের শেষ দিনে হয়ে জোড়া রেকর্ড। পোল ভল্টে তৃতীয় চেষ্টায় প্রথম স্বর্ণপদকেই রেকর্ড গড়েছেন সেনবাহিনীর সৌরভ মিয়া। পোলে লাফিয়ে উচ্চতা অতিক্রম করেছেন ৪ দশমিক ৫০ মিটার। আগের রেকর্ডটি ছিল হুমায়ুন কবিরের। ২০০৬ সালে জাতীয় অ্যাথলেটিকসে নৌবাহিনীর অ্যাথলেট জাম্প করেছিলেন ৪ দশমিক ৩৫ মিটার।
বুধবার শেষ দিনে রেকর্ড হয়েছে আরও একটি। ৪ গুনিতক ৪০০ মিটার রীলের দলীয় ইভেন্টে স্বর্ণপদকসহ রেকর্ড গড়েছেন নৌবাহিনীর সাবিয়া আল সোহা, নাথিরা খাতুন, নুসরাত জাহান ও শিরিন আক্তার মিলে। রীলে দৌড়ানোর আগে অবশ্য ২০০ মিটারে দৌড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন আগের দিন ১০০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণপদক জেতা শিরিন। বিশ্রাম নিয়ে ফিরেই আবার জেতেন দলীয় ইভেন্টে স্বর্ণ। ১৬টি ১০০ মিটারে স্বর্ণপদক জেতা শিরিন ২০০ মিটারেও এ নিয়ে ১৪ বার জিতেছেন স্বর্ণপদক।
৪ গুনিতক ৪০০ মিটার রীলে এদিন শিরিনরা সময় নিয়েছেন ৩:৫১.৬২ সেকেন্ড। এই বিভাগে আগের রেকর্ডটি ছিল ৩২ বছরের পুরনো, তথা ১৯৯৩ সালের। সেবার নাছিমা, সুবনা, মনিয়া ও সুমিতা মিলে রেকর্ডটি গড়েছিলেন ৩:৫৫.৫৫ সেকেন্ড।
নৌবাহিনী এই স্বর্ণপদকটি জেতার মাধ্যমেই এদিন তারা ছাড়িয়ে যায় সেনাবাহিনীকে। এর আগে দুই বাহিনীর ঝুলিতে ছিল সম্মিলিত ১৯টি করে পদক। পরে আরও একটি পদক জিতে নৌবাহিনী মোট স্বর্ণপদক জেতে ২১টি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯টিতেই থাকে সেনাবাহিনী।
এদিকে, প্রথমবারের মতো স্বর্ণপদক জিতে বেশ খুশি সৌরভ। সেই সঙ্গে আক্ষেপও আছে। পোল ভল্টে মানুষের আগ্রহ কম, ফেডারেশন থেকেও নেই তেমন একটা সহায়তা, তারপরও প্রথমবারের মতো স্বর্ণপদকের সঙ্গে রেকর্ড হওয়ায় উচ্ছ্বসিত সৌরভ। যদিও দেশের বাইরে গত বছর মালয়েশিয়াতে অনুষ্ঠেয় ওপেন অ্যাথলেটিকসে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন সৌরভ। তবে সেবার জাম্প করেছিরেন ৪ দশমিক ৩৭ মিটার। যা দেশের অ্যাথলেটদের হিসেবে রেকর্ড। যদিও তা গননায় রাখেনি বাংলাদেশের অ্যাথলেটিক ফেডারেশন।
তিনবারের চেষ্টায় এবারই প্রথম গোল্ডমেডেল জেতেন সৌরভ। আর প্রথম গোল্ডমেডেলেই রেকর্ড গড়েছেন নরসিংদীর এই অ্যাথলেট।
পুরুষদের ২০০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণ পদক জেতেন নৌবাহিনীর রাকিবুল হাসান। সময় নেন ২১ দশমিক ৩৯ সেকেন্ড। তবে ১০০ মিটারে আগের দিন হয়েছেন দ্বিতীয়।
বুধবার দিনের শেষ ইভেন্ট মেয়েদের চার গুনিতক চারশ’ মিটার। জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ইভেন্টের শেষ লেপে দৌঁড়ে রেকর্ড গড়ে নৌবাহিনীকে স্বর্ণপদক এনে দেন দেশের দ্রুততম মানবী শিরিন আক্তার। এতেই স্টেডিয়ামজুড়ে আনন্দ-উৎসবের রোল পড়ে যায় এই বাহিনীর ক্রীড়াবিদদের মধ্য। সবাই যখন উৎসবে মাতোয়ারা, তখন স্ট্রেচারে করে শিরিনকে নিয়ে যাওয়া হয় অ্যাম্বুলেন্সে। মাসল পুল করায় অ্যাম্বুলেন্সেই চলল পরিচর্যা। না, বড় কোন আঘাত পাননি তিনি। কিছুক্ষণ পড়ে সতীর্থদের সঙ্গে তার উৎসবে যোগ দেয়া সেটাই প্রমান করে।
নৌবাহনীর উৎসবের কারণ ভিন্ন। একটি স্বর্ণপদক পেয়ে সেনাবাহিনীর (১৯) চেয়ে এগিয়েছিল। শেষ ইভেন্টে স্বর্ণ হাতছাড়া হলে সমান হবে। তাই ২১টি স্বর্ণপদক নিশ্চিত হওয়ায় বাধভাঙ্গা আনন্দে মেতে উঠেন নৌবাহিনীর ক্রীড়াবিদরা।
শিরিনময় এমন মিট অনেক দেখেছেন সমর্থকরা। ১০০ মিটার স্প্রিন্টে দেশের ১৬ বারের দ্রুততম মানবী তিনি। এর বাইরেও তিনি ২০০ মিটার স্প্রিন্ট এবং চার গুনিতক একশ’ ও চার গুনিতক চারশ’ মিটার রিলেতে দলকে স্বর্ণপদক এনে দেন। ১০০ মিটার স্প্রিন্ট এবং চার গুনিতক একশ’ মিটার রিলেতে স্বর্ণ জেতেন আগের দিন। কাল ২০০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণ জেতার (২৪.৭৪ সেকেন্ড) ঠিক ৫০ মিনিট পরই চার গুনিতক চারশ’ মিটার রিলেতে নামতে হল। শেষ ইভেন্টে নামার আগে একবার অ্যাম্বুলেন্সে গিয়ে পরিচর্যা করান। কিন্তু রিলে শেষ করার পর আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলেন না।