তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলির ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে ২০৬ রান তুলে বাংলাদেশকে ভাল অবস্থায় নিয়ে যান
তাওহিদ হৃদয়ের সেঞ্চুরি ও জাকের আলির হাফসেঞ্চুরিতে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ ২২৮ রানে অলআউট হয়েছে ইনিংসের শেষ ওভারে।
৩৫ রানের মধ্যে সৌম্য, শান্ত, মিরাজ, তানজিদ ও মুশফিকের উইকেট পতনের পর ষষ্ঠ উইকেটে ২০৬ বলে ১৫৪ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন হৃদয়-জাকের। ৬ চার, ২ ছক্কায় ১১৮ বলে ১০০ পূর্ণ করার পর হৃদয় দলের শেষ ব্যাটার হিসেবে ক্যাচ আউট হন। জাকের আউট হন ৬৮ রানে।
বৃহস্পতিবারকাল দুবাই স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২ রান তোলে টাইগাররা। প্রথম ওভারের শেষ বলে ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ সামির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ওপেনার সৌম্য সরকার। পরের ওভারের চতুর্থ বলে পেসার হার্ষিত রানার বলে শর্ট কাভারে ভিরাট কোহলিকে ক্যাচ দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সৌম্য ৫ বল এবং শান্ত ২ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি।
চার নম্বরে ব্যাট হাতে নামা মেহেদী মিরাজকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন ওপেনার তানজিদ হাসান। জুটিতে ২৮ বলে ২৪ রান যোগ হওয়ার পর সাজঘরে ফিরেন মিরাজ। সামির বলে স্লিপে শুভমান গিলকে ক্যাচ দেন ১টি চারে ৫ রান করা মিরাজ।
এরপর চাপ বেড়ে যায় বাংলাদেশের। সেই চাপ আরও বড় আকার ধারণ করে নবম ওভারে। ওভারের দ্বিতীয় বলে তানজিদ হাসানকে এবং অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমকে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরিয়ে দেন স্পিনার অক্ষর প্যাটেল। ৪টি চারে ২৫ বলে ২৫ রান করেন তানজিদ। দলীয় ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন হৃদয় ও জাকের। উইকেট পতন ঠেকাতে সাবধানে খেলতে শুরু করেন দুজনে। এতে ২৯তম ওভারে বাংলাদেশের রান ১শতে পা রাখে।
৩৬তম ওভারের প্রথম ডেলিভারিতে ওয়ানডেতে দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি করেন ৮৭ বল খেলা জাকের। পরের ওভারে অষ্টম ওয়ানডে হাফসেঞ্চুরি করেন হৃদয়। তিনি খেলেন ৮৫ বল।
হাফসেঞ্চুরির পর রানের গতি বাড়িয়েছেন হৃদয় ও জাকের। দলের লড়াকু সংগ্রহের পথ তৈরি করেন তারা। ৪৩তম ওভারে জাকেরকে শিকার করে ভারতকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন সামি। ষষ্ঠ উইকেটে ২০৬ বলে ১৫৪ রান যোগ করেন হৃদয় ও জাকের। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে ষষ্ঠ বা তার নিচের দিকে এবং ভারতের বিপক্ষে যেকোন উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি। ৪টি চারে ১১৪ বলে ৬৮ রান করেন জাকের।
দলীয় ১৮৯ রানে জাকের ফেরার পর বাংলাদেশের রানের চাকা সচল রাখেন আট নম্বরে নামা রিশাদ। প্যাটেলের বলে পরপর দুটি ছক্কা মেরে রানার শিকার হন তিনি। ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ১২ বলে ১৮ রান করেন রিশাদ। রিশাদ যখন ফিরেন, তখন ৯০ রানে দাঁড়িয়ে হৃদয়। এরপর তানজিম হাসান শূন্য ও তাসকিন আহমেদ ৩ রানে বিদায় নিলেও সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন হৃদয়। ৪৯তম ওভারের প্রথম বলে ৩৪ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান হৃদয়। ১১৪ বল খেলে শতক পূর্ণ করেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত শেষ ওভারের চতুর্থ বলে রানার বলে আউট হন হৃদয়। ইনিংসের ২ বল বাকি থাকতে ২২৮ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ১১৮ বলে ১০০ রান করেন হৃদয়। ভারতের সফল বোলার সামি ১০ ওভারে ৫৩ রানে ৫ উইকেট নেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ষষ্ঠ ও বাংলাদেশের বিপক্ষে এই প্রথমবার ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেন সামি। এছাড়া রানা ৩টি ও প্যাটেল ২টি উইকেট নেন।
হৃদয়-জাকেরের তিন রেকর্ড
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ মানেই বাংলাদেশি দর্শকদের মনে বাড়তি উত্তেজনা। ৩৫ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়া সব আগ্রহে জল ঢেলে দিয়েছিল। উদ্ধারকাজে নেমে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ১৫৪ রান এনেছেন তাওহিদ হৃদয় এবং জাকের আলি অনিক। সেটি স্বস্তি এনে দিয়েছে কিছুটা। সঙ্গে কয়েকটি রেকর্ডের মালিক বনে গেছেন বাংলাদেশি ব্যাটার দুজন। দুবাই স্টেডিয়ামে হৃদয় ও জাকেরের ১৫৪ রানের জুটি টিকেছে ৩৪.১ ওভার। ওয়ানডে ক্রিকেটে ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে এর আগে বাংলাদেশ এত রান পায়নি কখনোই। এই উইকেটে আগের সর্বোচ্চ জুটিতেও অংশ ছিলেন জাকের। গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ১৫০ রানের জুটি বেঁধেছিলেন তিনি।
ভারতের বিপক্ষে চলমান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে শূন্য রানেই জীবন পান জাকের। নবম ওভারে ব্যাটিংয়ে নেমে সুযোগ কাজে লাগিয়ে ১১৪ বলে করেছেন ৬৮ রান। ৪৩তম ওভারে তিনি মোহাম্মদ সামির বলে আউট হলে ভেঙে যায় ১৫৪ রানের জুটি। যেকোন উইকেটে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড এটি। এর আগে ওয়ানডে সংস্করণে ভারতের বিপক্ষে কোন জুটি থেকে সবচেয়ে বেশি ১৪৮ রান পেয়েছিল বাংলাদেশ। ২০২২ সালে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে সে জুটির অংশীদার ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
এদিকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও রেকর্ড গড়েছে জাকের-হৃদয় জুটি। আইসিসির এই টুর্নামেন্টটিতে ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে প্রথমবার দেড়শর বেশি রান এসেছে। এর আগে ৫ উইকেট হারিয়ে পরবর্তী জুটিতে সর্বোচ্চ ১৩১ রান এসেছিল। ২০০৬ সালে মোহালিতে দক্ষিণ আফ্রিকার মার্ক বাউচার ও জাস্টিন কেম্প মিলে তা করেছিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে।
হৃদয় এবং জাকের দুজনেই অবশ্য পার্টনারশিপটিতে ভারতের ফিল্ডারদের সহায়তা পেয়েছেন। রানের খাতা খোলার আগে একবার, আরেকবার ২৪ রানে জীবন পেয়েছেন জাকের।
জাদেজার বলে স্টাম্পিং মিস করেন রাহুল। ২৩ রানে দ্বিতীয় সুযোগ পান হৃদয়। কুলদীপের বলে মিডঅফে থাকা হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন এই ডানহাতি। শেষমেশ হৃদয় ১১৮ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ১০০ রান করে থেমেছেন।
তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলির ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে ২০৬ রান তুলে বাংলাদেশকে ভাল অবস্থায় নিয়ে যান
বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
তাওহিদ হৃদয়ের সেঞ্চুরি ও জাকের আলির হাফসেঞ্চুরিতে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ ২২৮ রানে অলআউট হয়েছে ইনিংসের শেষ ওভারে।
৩৫ রানের মধ্যে সৌম্য, শান্ত, মিরাজ, তানজিদ ও মুশফিকের উইকেট পতনের পর ষষ্ঠ উইকেটে ২০৬ বলে ১৫৪ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন হৃদয়-জাকের। ৬ চার, ২ ছক্কায় ১১৮ বলে ১০০ পূর্ণ করার পর হৃদয় দলের শেষ ব্যাটার হিসেবে ক্যাচ আউট হন। জাকের আউট হন ৬৮ রানে।
বৃহস্পতিবারকাল দুবাই স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২ রান তোলে টাইগাররা। প্রথম ওভারের শেষ বলে ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ সামির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ওপেনার সৌম্য সরকার। পরের ওভারের চতুর্থ বলে পেসার হার্ষিত রানার বলে শর্ট কাভারে ভিরাট কোহলিকে ক্যাচ দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সৌম্য ৫ বল এবং শান্ত ২ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি।
চার নম্বরে ব্যাট হাতে নামা মেহেদী মিরাজকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন ওপেনার তানজিদ হাসান। জুটিতে ২৮ বলে ২৪ রান যোগ হওয়ার পর সাজঘরে ফিরেন মিরাজ। সামির বলে স্লিপে শুভমান গিলকে ক্যাচ দেন ১টি চারে ৫ রান করা মিরাজ।
এরপর চাপ বেড়ে যায় বাংলাদেশের। সেই চাপ আরও বড় আকার ধারণ করে নবম ওভারে। ওভারের দ্বিতীয় বলে তানজিদ হাসানকে এবং অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমকে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরিয়ে দেন স্পিনার অক্ষর প্যাটেল। ৪টি চারে ২৫ বলে ২৫ রান করেন তানজিদ। দলীয় ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন হৃদয় ও জাকের। উইকেট পতন ঠেকাতে সাবধানে খেলতে শুরু করেন দুজনে। এতে ২৯তম ওভারে বাংলাদেশের রান ১শতে পা রাখে।
৩৬তম ওভারের প্রথম ডেলিভারিতে ওয়ানডেতে দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি করেন ৮৭ বল খেলা জাকের। পরের ওভারে অষ্টম ওয়ানডে হাফসেঞ্চুরি করেন হৃদয়। তিনি খেলেন ৮৫ বল।
হাফসেঞ্চুরির পর রানের গতি বাড়িয়েছেন হৃদয় ও জাকের। দলের লড়াকু সংগ্রহের পথ তৈরি করেন তারা। ৪৩তম ওভারে জাকেরকে শিকার করে ভারতকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন সামি। ষষ্ঠ উইকেটে ২০৬ বলে ১৫৪ রান যোগ করেন হৃদয় ও জাকের। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে ষষ্ঠ বা তার নিচের দিকে এবং ভারতের বিপক্ষে যেকোন উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি। ৪টি চারে ১১৪ বলে ৬৮ রান করেন জাকের।
দলীয় ১৮৯ রানে জাকের ফেরার পর বাংলাদেশের রানের চাকা সচল রাখেন আট নম্বরে নামা রিশাদ। প্যাটেলের বলে পরপর দুটি ছক্কা মেরে রানার শিকার হন তিনি। ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ১২ বলে ১৮ রান করেন রিশাদ। রিশাদ যখন ফিরেন, তখন ৯০ রানে দাঁড়িয়ে হৃদয়। এরপর তানজিম হাসান শূন্য ও তাসকিন আহমেদ ৩ রানে বিদায় নিলেও সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন হৃদয়। ৪৯তম ওভারের প্রথম বলে ৩৪ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান হৃদয়। ১১৪ বল খেলে শতক পূর্ণ করেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত শেষ ওভারের চতুর্থ বলে রানার বলে আউট হন হৃদয়। ইনিংসের ২ বল বাকি থাকতে ২২৮ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ১১৮ বলে ১০০ রান করেন হৃদয়। ভারতের সফল বোলার সামি ১০ ওভারে ৫৩ রানে ৫ উইকেট নেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ষষ্ঠ ও বাংলাদেশের বিপক্ষে এই প্রথমবার ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেন সামি। এছাড়া রানা ৩টি ও প্যাটেল ২টি উইকেট নেন।
হৃদয়-জাকেরের তিন রেকর্ড
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ মানেই বাংলাদেশি দর্শকদের মনে বাড়তি উত্তেজনা। ৩৫ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়া সব আগ্রহে জল ঢেলে দিয়েছিল। উদ্ধারকাজে নেমে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ১৫৪ রান এনেছেন তাওহিদ হৃদয় এবং জাকের আলি অনিক। সেটি স্বস্তি এনে দিয়েছে কিছুটা। সঙ্গে কয়েকটি রেকর্ডের মালিক বনে গেছেন বাংলাদেশি ব্যাটার দুজন। দুবাই স্টেডিয়ামে হৃদয় ও জাকেরের ১৫৪ রানের জুটি টিকেছে ৩৪.১ ওভার। ওয়ানডে ক্রিকেটে ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে এর আগে বাংলাদেশ এত রান পায়নি কখনোই। এই উইকেটে আগের সর্বোচ্চ জুটিতেও অংশ ছিলেন জাকের। গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ১৫০ রানের জুটি বেঁধেছিলেন তিনি।
ভারতের বিপক্ষে চলমান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে শূন্য রানেই জীবন পান জাকের। নবম ওভারে ব্যাটিংয়ে নেমে সুযোগ কাজে লাগিয়ে ১১৪ বলে করেছেন ৬৮ রান। ৪৩তম ওভারে তিনি মোহাম্মদ সামির বলে আউট হলে ভেঙে যায় ১৫৪ রানের জুটি। যেকোন উইকেটে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড এটি। এর আগে ওয়ানডে সংস্করণে ভারতের বিপক্ষে কোন জুটি থেকে সবচেয়ে বেশি ১৪৮ রান পেয়েছিল বাংলাদেশ। ২০২২ সালে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে সে জুটির অংশীদার ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
এদিকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও রেকর্ড গড়েছে জাকের-হৃদয় জুটি। আইসিসির এই টুর্নামেন্টটিতে ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে প্রথমবার দেড়শর বেশি রান এসেছে। এর আগে ৫ উইকেট হারিয়ে পরবর্তী জুটিতে সর্বোচ্চ ১৩১ রান এসেছিল। ২০০৬ সালে মোহালিতে দক্ষিণ আফ্রিকার মার্ক বাউচার ও জাস্টিন কেম্প মিলে তা করেছিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে।
হৃদয় এবং জাকের দুজনেই অবশ্য পার্টনারশিপটিতে ভারতের ফিল্ডারদের সহায়তা পেয়েছেন। রানের খাতা খোলার আগে একবার, আরেকবার ২৪ রানে জীবন পেয়েছেন জাকের।
জাদেজার বলে স্টাম্পিং মিস করেন রাহুল। ২৩ রানে দ্বিতীয় সুযোগ পান হৃদয়। কুলদীপের বলে মিডঅফে থাকা হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন এই ডানহাতি। শেষমেশ হৃদয় ১১৮ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ১০০ রান করে থেমেছেন।