রেকর্ড সংখ্যক নারীর অংশগ্রহণে ‘আসুন দেশ বদলাই, আসুন পৃথিবী বদলাই’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মাসব্যাপী বাংলাদেশের যুব উৎসব বুধবার শেষ হয়েছে।
দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিভিন্ন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তরুণীদের এই বিশেষ পরিবর্তন ছিল চোখে পড়ার মতো। এই উৎসবে ফুটবল, ক্রিকেট, কাবাডি, ব্যাডমিন্টন, ভলিবল এবং বাস্কেটবলসহ বিভিন্ন ধরণের খেলায় নারীরা অংশগ্রহণ করেছেন।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশজুড়ে কমপক্ষে ২ লাখ ৭৪ হাজার নারী ও তরুণী ২ হাজার ৯৩১টি ক্রীড়া ইভেন্ট এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
বিভিন্ন ইভেন্টে সর্বমোট ম্যাচের মধ্যে কমপক্ষে ৮৫৫টি ছিল ফুটবল ম্যাচ এবং এগুলোর মধ্যে কিছু অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এ পর্যন্ত এত বেশি নারী এর আগে কখনও এত বিপুলসংখ্যক ক্রীড়া ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেননি।
অন্তর্বর্তী সরকার এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ দেশের ৫শর বেশি গ্রামীণ উপজেলা শহরে নারীদের ক্রীড়া ইভেন্টগুলো ব্যাপক উদ্দীপনার সাথে আয়োজন করে, যেখানে হাজার হাজার দর্শক উৎসবমুখর পরিবেশে এই ম্যাচগুলো দেখেছেন।
এই ইতিবাচক বাস্তবতা সত্ত্বেও কিছু কিছু সংবাদমাধ্যম এমন খবর প্রচার করে, দেশে নারী ফুটবল আক্রমণের শিকার হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে দেশজুড়ে অনুষ্ঠিত শত শত নারী ফুটবল ম্যাচের মধ্যে স্থানীয়ভাবে আয়োজিত মাত্র তিনটি মাদরাসা শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় জনগণের কারণে ব্যাহত হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার পুলিশকে এই ঘটনা তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আয়োজকরা দর্শকদের ম্যাচ দেখতে বাধা দেয়ার জন্য অস্থায়ী ব্যারিকেড তৈরি এবং টিকেটের জন্য টাকা আদায় করার জন্য দুটি ম্যাচ বন্ধ করা হয়।
বন্ধ হয়ে যাওয়া ম্যাচগুলোর মধ্যে পরবর্তী সময়ে শত শত দর্শকের উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ম্যাচ বন্ধ হয়ে যাওয়া অন্য দুটি শহরের স্থানীয়দের সাথে প্রশাসনের আলোচনার পর নারীদের ফুটবল খেলার ব্যাপারে কোনও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। বন্ধ হওয়া ম্যাচগুলো পুনরায় আয়োজন করা যেতে পারে।
তিনটি ম্যাচ স্থগিত করা দুর্ভাগ্যজনক হলেও বাংলাদেশের নারী অধিকার যে হুমকির মুখে তা বাস্তব নয়। অর্ন্তবর্তী সরকার নিজেই বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার সমুন্নত রাখতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
কিন্তু অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ বিষয হচ্ছে নারী ক্রীড়াবিদদের রেকর্ড অংশগ্রহণ এবং তাদের উৎসাহিত করতে হাজার হাজার দর্শকের উপস্থিতি ২০২৫ সালে বাংলাদেশের সমাজে নারীর অধিকারের প্রতি সমর্থেনেরই সাক্ষ্য বহন করে।
বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
রেকর্ড সংখ্যক নারীর অংশগ্রহণে ‘আসুন দেশ বদলাই, আসুন পৃথিবী বদলাই’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মাসব্যাপী বাংলাদেশের যুব উৎসব বুধবার শেষ হয়েছে।
দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিভিন্ন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তরুণীদের এই বিশেষ পরিবর্তন ছিল চোখে পড়ার মতো। এই উৎসবে ফুটবল, ক্রিকেট, কাবাডি, ব্যাডমিন্টন, ভলিবল এবং বাস্কেটবলসহ বিভিন্ন ধরণের খেলায় নারীরা অংশগ্রহণ করেছেন।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশজুড়ে কমপক্ষে ২ লাখ ৭৪ হাজার নারী ও তরুণী ২ হাজার ৯৩১টি ক্রীড়া ইভেন্ট এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
বিভিন্ন ইভেন্টে সর্বমোট ম্যাচের মধ্যে কমপক্ষে ৮৫৫টি ছিল ফুটবল ম্যাচ এবং এগুলোর মধ্যে কিছু অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এ পর্যন্ত এত বেশি নারী এর আগে কখনও এত বিপুলসংখ্যক ক্রীড়া ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেননি।
অন্তর্বর্তী সরকার এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ দেশের ৫শর বেশি গ্রামীণ উপজেলা শহরে নারীদের ক্রীড়া ইভেন্টগুলো ব্যাপক উদ্দীপনার সাথে আয়োজন করে, যেখানে হাজার হাজার দর্শক উৎসবমুখর পরিবেশে এই ম্যাচগুলো দেখেছেন।
এই ইতিবাচক বাস্তবতা সত্ত্বেও কিছু কিছু সংবাদমাধ্যম এমন খবর প্রচার করে, দেশে নারী ফুটবল আক্রমণের শিকার হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে দেশজুড়ে অনুষ্ঠিত শত শত নারী ফুটবল ম্যাচের মধ্যে স্থানীয়ভাবে আয়োজিত মাত্র তিনটি মাদরাসা শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় জনগণের কারণে ব্যাহত হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার পুলিশকে এই ঘটনা তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আয়োজকরা দর্শকদের ম্যাচ দেখতে বাধা দেয়ার জন্য অস্থায়ী ব্যারিকেড তৈরি এবং টিকেটের জন্য টাকা আদায় করার জন্য দুটি ম্যাচ বন্ধ করা হয়।
বন্ধ হয়ে যাওয়া ম্যাচগুলোর মধ্যে পরবর্তী সময়ে শত শত দর্শকের উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ম্যাচ বন্ধ হয়ে যাওয়া অন্য দুটি শহরের স্থানীয়দের সাথে প্রশাসনের আলোচনার পর নারীদের ফুটবল খেলার ব্যাপারে কোনও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। বন্ধ হওয়া ম্যাচগুলো পুনরায় আয়োজন করা যেতে পারে।
তিনটি ম্যাচ স্থগিত করা দুর্ভাগ্যজনক হলেও বাংলাদেশের নারী অধিকার যে হুমকির মুখে তা বাস্তব নয়। অর্ন্তবর্তী সরকার নিজেই বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার সমুন্নত রাখতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
কিন্তু অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ বিষয হচ্ছে নারী ক্রীড়াবিদদের রেকর্ড অংশগ্রহণ এবং তাদের উৎসাহিত করতে হাজার হাজার দর্শকের উপস্থিতি ২০২৫ সালে বাংলাদেশের সমাজে নারীর অধিকারের প্রতি সমর্থেনেরই সাক্ষ্য বহন করে।