চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচটি জিততে পাকিস্তানের লক্ষ্য ছিল ৩২১ রান। পাওয়ার প্লেতে ঝড় তোলার কাজটি মূলত ফখর জামানই করেন। আগ্রাসী এই ওপেনারের বদলে ইনিংস শুরু করেন সাউদ শাকিল। অনভ্যস্ত পজিশনের অস্বস্তি তার ব্যাটিংয়ে মিশে ছিল পুরোপুরি। কিন্তু দলের সফলতম ব্যাটার এগালেন কচ্ছপের গতিতে। শাকিল (১৯ বলে ৬), অধিনায়ক রিজওয়ানের (১৪ বলে ৩) ব্যর্থতায় প্রথম ১০ ওভারে পাকিস্তান তোলে স্রেফ ২২ রান। ঘরের মাঠে ওয়ানডেতে তাদের যা পাওয়ার প্লেতে সর্বনিম্ন রান।
অভিজ্ঞ ব্যাটার ইনিংসকে গতি দিতে পারেননি তিনি পরেও। পঞ্চাশে পা রাখেন ৩১তম ওভারে, ততক্ষণে তিনি রান নিতে পারেনি ৪৯টি বল থেকে!
পাকিস্তানের ইনিংস সত্যিকারের গতি পায় সালমান আলি আগা নামার পর। পাঁচে নেমে ২৮ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলে রানের গতিতে কিছুটা প্রাণের ছোঁয়া আনেন তিনি। কিন্তু বাবরের ব্যাট তখনও ছিল ঝিমিয়ে। ৫৯ বলে ৫৮ রানের সেই জুটিতে বাবরের অবদান ছিল ৩১ বলে ১৬!
এমন ব্যাটিংয়ের পরও আশা কিছু ছিল, যদি তিনি পুষিয়ে দিতে পারতেন পরে। অতীতে নানা সময়ে তা করেছেনও। ফিফটির পর দ্রুত রান তুলে যদি সেঞ্চুরি বা বড় ইনিংস খেলতে পারতেন, দলের সম্ভাবনাও জিইয়ে থাকত। কিন্তু সেটিও পারেননি এই ম্যাচে। ইনিংসের প্রথম ছক্কাটি মেরেছেন বটে ফিফটির পর। তবে আউট হয়ে গেছেন ৯০ বলে ৬৪ করে।
দ্রুত রান তোলা তাড়ায় সালমান আগা ও পরে তাইয়াব তাহিরের বিদায়ের রেশ থাকতে থাকতেই বাবরের আউটে শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের সবটুকু সম্ভাবনা।
৩২১ রান তাড়ায় বাবরের ৭১.১১ স্ট্রাইক রেটের ইনিংস নিয়ে পাকিস্তানে সমালোচনা, ট্রলের ঝড় বয়ে যায় সামাজিক মাধ্যমে। ধারাভাষ্যকাররাও বুঝে উঠতে পারছিলেন না এমন ইনিংসের কারণ। পাকিস্তানের সাবেকরা তো বাবরকে স্রেফ ধুয়ে দেন। টিভি বিশ্লেষণে কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘আমি ইনিংস শুরুর আগে আলোচনায় বলেছিলাম, বাবর যেন স্ট্রাইক রেটের কথা না ভেবে সময় নিয়ে খেলে এবং দলের ইনিংস তাকে কেন্দ্র করে যেন এগোয়। কিন্তু তাই বলে এত ডট বল তো দিতে বলিনি!’
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রতিনিধি হয়ে আসা সালমান আগার কাছেও বাবরের ইনিংস নিয়ে প্রশ্ন ছুটে গেল। স্বাভাবিকভাবেই সরাসরি কিছু বলেননি তিনি, বরং তুলে ধরলেন সামগ্রিক ব্যর্থতার কথা।
পুরো ইনিংসই যদি দেখেন, আমরা মোমেন্টামই পাইনি। ৩২০ রান তাড়া করতে হলে বড় জুটি প্রয়োজন এবং সেখানে মোমেন্টামও লাগবে।
সেরকম কিছু আজকে হয়নি। উইকেট পড়েছে নিয়মিত। যেভাবে খেলা উচিত ছিল, আমরা পারিনি সেভাবে। এজন্য আমরা জিততে পারিনি।’
পরে আরেকটি প্রশ্নে অবশ্য ঠিকই তার কথায় ফুটে উঠল, রান তাড়ায় সর্বনাশ হয়ে গেছে পাওয়ার প্লেতেই।
‘৩২০ রান পেরিয়ে জিততে হলে, পাওয়ার প্লে কাজে লাগানো গুরুত্বপূর্ণ। গত পাঁচ-ছয় বছরে ফখর এই কাজটি করে আসছে আমাদের জন্য। আজকে মাঠের ঘটনার কারণে সে পাওয়ার প্লেতে ব্যাটিং করতে পারেনি। এটাকে একটা কারণ বলা যেতে পারে।’
প্রথম ম্যাচের বড় পরাজয়ে পাকিস্তানের রানরেটও বড় ধাক্কা খেয়েছে। পরের ম্যাচটি এখন কার্যত তাদের জন্য হয়ে উঠেছে অস্তিত্বের লড়াই। সেই ম্যাচে রোববার দুবাইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত।
বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচটি জিততে পাকিস্তানের লক্ষ্য ছিল ৩২১ রান। পাওয়ার প্লেতে ঝড় তোলার কাজটি মূলত ফখর জামানই করেন। আগ্রাসী এই ওপেনারের বদলে ইনিংস শুরু করেন সাউদ শাকিল। অনভ্যস্ত পজিশনের অস্বস্তি তার ব্যাটিংয়ে মিশে ছিল পুরোপুরি। কিন্তু দলের সফলতম ব্যাটার এগালেন কচ্ছপের গতিতে। শাকিল (১৯ বলে ৬), অধিনায়ক রিজওয়ানের (১৪ বলে ৩) ব্যর্থতায় প্রথম ১০ ওভারে পাকিস্তান তোলে স্রেফ ২২ রান। ঘরের মাঠে ওয়ানডেতে তাদের যা পাওয়ার প্লেতে সর্বনিম্ন রান।
অভিজ্ঞ ব্যাটার ইনিংসকে গতি দিতে পারেননি তিনি পরেও। পঞ্চাশে পা রাখেন ৩১তম ওভারে, ততক্ষণে তিনি রান নিতে পারেনি ৪৯টি বল থেকে!
পাকিস্তানের ইনিংস সত্যিকারের গতি পায় সালমান আলি আগা নামার পর। পাঁচে নেমে ২৮ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলে রানের গতিতে কিছুটা প্রাণের ছোঁয়া আনেন তিনি। কিন্তু বাবরের ব্যাট তখনও ছিল ঝিমিয়ে। ৫৯ বলে ৫৮ রানের সেই জুটিতে বাবরের অবদান ছিল ৩১ বলে ১৬!
এমন ব্যাটিংয়ের পরও আশা কিছু ছিল, যদি তিনি পুষিয়ে দিতে পারতেন পরে। অতীতে নানা সময়ে তা করেছেনও। ফিফটির পর দ্রুত রান তুলে যদি সেঞ্চুরি বা বড় ইনিংস খেলতে পারতেন, দলের সম্ভাবনাও জিইয়ে থাকত। কিন্তু সেটিও পারেননি এই ম্যাচে। ইনিংসের প্রথম ছক্কাটি মেরেছেন বটে ফিফটির পর। তবে আউট হয়ে গেছেন ৯০ বলে ৬৪ করে।
দ্রুত রান তোলা তাড়ায় সালমান আগা ও পরে তাইয়াব তাহিরের বিদায়ের রেশ থাকতে থাকতেই বাবরের আউটে শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের সবটুকু সম্ভাবনা।
৩২১ রান তাড়ায় বাবরের ৭১.১১ স্ট্রাইক রেটের ইনিংস নিয়ে পাকিস্তানে সমালোচনা, ট্রলের ঝড় বয়ে যায় সামাজিক মাধ্যমে। ধারাভাষ্যকাররাও বুঝে উঠতে পারছিলেন না এমন ইনিংসের কারণ। পাকিস্তানের সাবেকরা তো বাবরকে স্রেফ ধুয়ে দেন। টিভি বিশ্লেষণে কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘আমি ইনিংস শুরুর আগে আলোচনায় বলেছিলাম, বাবর যেন স্ট্রাইক রেটের কথা না ভেবে সময় নিয়ে খেলে এবং দলের ইনিংস তাকে কেন্দ্র করে যেন এগোয়। কিন্তু তাই বলে এত ডট বল তো দিতে বলিনি!’
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রতিনিধি হয়ে আসা সালমান আগার কাছেও বাবরের ইনিংস নিয়ে প্রশ্ন ছুটে গেল। স্বাভাবিকভাবেই সরাসরি কিছু বলেননি তিনি, বরং তুলে ধরলেন সামগ্রিক ব্যর্থতার কথা।
পুরো ইনিংসই যদি দেখেন, আমরা মোমেন্টামই পাইনি। ৩২০ রান তাড়া করতে হলে বড় জুটি প্রয়োজন এবং সেখানে মোমেন্টামও লাগবে।
সেরকম কিছু আজকে হয়নি। উইকেট পড়েছে নিয়মিত। যেভাবে খেলা উচিত ছিল, আমরা পারিনি সেভাবে। এজন্য আমরা জিততে পারিনি।’
পরে আরেকটি প্রশ্নে অবশ্য ঠিকই তার কথায় ফুটে উঠল, রান তাড়ায় সর্বনাশ হয়ে গেছে পাওয়ার প্লেতেই।
‘৩২০ রান পেরিয়ে জিততে হলে, পাওয়ার প্লে কাজে লাগানো গুরুত্বপূর্ণ। গত পাঁচ-ছয় বছরে ফখর এই কাজটি করে আসছে আমাদের জন্য। আজকে মাঠের ঘটনার কারণে সে পাওয়ার প্লেতে ব্যাটিং করতে পারেনি। এটাকে একটা কারণ বলা যেতে পারে।’
প্রথম ম্যাচের বড় পরাজয়ে পাকিস্তানের রানরেটও বড় ধাক্কা খেয়েছে। পরের ম্যাচটি এখন কার্যত তাদের জন্য হয়ে উঠেছে অস্তিত্বের লড়াই। সেই ম্যাচে রোববার দুবাইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত।