ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগ (ডিপিএল) শুরু হবে আগামী ৩ মার্চ। তার আগে দুই দিনের দলবদল শেষ হয়েছে রোববার। দলবদলে ১৬৫ জন ক্রিকেটার নিজেদের ঠিকানা খুঁজে নিলেও জাতীয় দলের দুই তারকা ক্রিকেটারের কপাল মন্দ। প্রথম দিনই সিসিডিএম কার্যালয়ে এসে টোকেন তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন লিটন দাস। কিন্তু গত আসরে আবাহনীর জার্সিতে খেলা উইকেটকিপার ব্যাটার কোনো দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে পারেননি। তার মতো একই অবস্থা মোস্তাফিজুর রহমানেরও। দুই দিনে দলবদল করা তালিকায় লিটন-মোস্তাফিজ কারো নাম নেই। তারকা দুই ক্রিকেটারের এমন অবস্থার মূল কারণ পারিশ্রমিক কমে যাওয়া। বেশ কয়েকটি ক্লাবের সঙ্গে লিটনের কথাবার্তা হলেও পারিশ্রমিকের কারণেই আটকে গেছেন। একটি ক্লাব সূত্রে জানা গেছে, লিটন পারিশ্রমিক হিসেবে ৫০ লাখ টাকা চাচ্ছেন। কিন্তু ওই ক্লাব তাকে দিতে চায় ১৫ লাখ টাকা। এত কমে লিটন যেতে আগ্রহী না বলে চুক্তি করেননি। জানা গেছে, বেশ কয়েকটি ক্লাবের সঙ্গে লিটন কথা বলছেন। তবে সবখানেই পারিশ্রমিক ইস্যুতে থমকে আছে তার চুক্তি। শেষ পর্যন্ত কোনো ক্লাবে খেললে লিটন ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার বেশি পাবেন না, সেটি নিশ্চিত করেই বলা যায়।
মোস্তাফিজের ক্ষেত্রে অবশ্য টোকেন তুলে নেয়ার সুযোগ ছিল না। কেননা তিনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে অবস্থান করছেন। ১৬৫ জনের তালিকাতেও তার নাম দেখা যায়নি। লিটন-মোস্তাফিজরা যেমন তাদের প্রত্যাশিত টাকা পাচ্ছেন না, অন্য অনেক খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রেই তা হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এবারের প্রিমিয়ার লীগে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক গতবারের চেয়ে অর্ধেক বা তারও বেশি কমে গেছে। তারপরও কঠিন বাস্তবতা মেনে নিয়ে অনেক ক্রিকেটারই নিরুপায় হয়ে কম পারিশ্রমিকে দলবদল করছেন।
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবে নাম লেখানো মোহাম্মদ মিঠুন তো আক্ষেপ ভরা কণ্ঠে বলেছেন, ‘যতই দেশের প্রেক্ষাপট বলেন বা অজুহাত দেয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু দিন শেষে যখন চাকরি করবেন, আপনি কিন্তু যথাযথ পারিশ্রমিকই আশা করবেন। আমাদের পেশা কিন্তু ক্রিকেট। আশা করি, গত বছর যেখানে শেষ হয়েছে, সেখান থেকে উন্নতি করার। কিন্তু এখন সব ক্রিকেটারের পারিশ্রমিক কমেছে এবং সেটা বড় অঙ্কে কমেছে। যেটা পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমরা আশা করি না।’
সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগ (ডিপিএল) শুরু হবে আগামী ৩ মার্চ। তার আগে দুই দিনের দলবদল শেষ হয়েছে রোববার। দলবদলে ১৬৫ জন ক্রিকেটার নিজেদের ঠিকানা খুঁজে নিলেও জাতীয় দলের দুই তারকা ক্রিকেটারের কপাল মন্দ। প্রথম দিনই সিসিডিএম কার্যালয়ে এসে টোকেন তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন লিটন দাস। কিন্তু গত আসরে আবাহনীর জার্সিতে খেলা উইকেটকিপার ব্যাটার কোনো দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে পারেননি। তার মতো একই অবস্থা মোস্তাফিজুর রহমানেরও। দুই দিনে দলবদল করা তালিকায় লিটন-মোস্তাফিজ কারো নাম নেই। তারকা দুই ক্রিকেটারের এমন অবস্থার মূল কারণ পারিশ্রমিক কমে যাওয়া। বেশ কয়েকটি ক্লাবের সঙ্গে লিটনের কথাবার্তা হলেও পারিশ্রমিকের কারণেই আটকে গেছেন। একটি ক্লাব সূত্রে জানা গেছে, লিটন পারিশ্রমিক হিসেবে ৫০ লাখ টাকা চাচ্ছেন। কিন্তু ওই ক্লাব তাকে দিতে চায় ১৫ লাখ টাকা। এত কমে লিটন যেতে আগ্রহী না বলে চুক্তি করেননি। জানা গেছে, বেশ কয়েকটি ক্লাবের সঙ্গে লিটন কথা বলছেন। তবে সবখানেই পারিশ্রমিক ইস্যুতে থমকে আছে তার চুক্তি। শেষ পর্যন্ত কোনো ক্লাবে খেললে লিটন ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার বেশি পাবেন না, সেটি নিশ্চিত করেই বলা যায়।
মোস্তাফিজের ক্ষেত্রে অবশ্য টোকেন তুলে নেয়ার সুযোগ ছিল না। কেননা তিনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে অবস্থান করছেন। ১৬৫ জনের তালিকাতেও তার নাম দেখা যায়নি। লিটন-মোস্তাফিজরা যেমন তাদের প্রত্যাশিত টাকা পাচ্ছেন না, অন্য অনেক খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রেই তা হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এবারের প্রিমিয়ার লীগে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক গতবারের চেয়ে অর্ধেক বা তারও বেশি কমে গেছে। তারপরও কঠিন বাস্তবতা মেনে নিয়ে অনেক ক্রিকেটারই নিরুপায় হয়ে কম পারিশ্রমিকে দলবদল করছেন।
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবে নাম লেখানো মোহাম্মদ মিঠুন তো আক্ষেপ ভরা কণ্ঠে বলেছেন, ‘যতই দেশের প্রেক্ষাপট বলেন বা অজুহাত দেয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু দিন শেষে যখন চাকরি করবেন, আপনি কিন্তু যথাযথ পারিশ্রমিকই আশা করবেন। আমাদের পেশা কিন্তু ক্রিকেট। আশা করি, গত বছর যেখানে শেষ হয়েছে, সেখান থেকে উন্নতি করার। কিন্তু এখন সব ক্রিকেটারের পারিশ্রমিক কমেছে এবং সেটা বড় অঙ্কে কমেছে। যেটা পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমরা আশা করি না।’