৪ ম্যাচের সেরাদের হাতে পুরস্কার
ঢাকা প্রিমিয়ার উইমেন’স ক্রিকেট লীগে সোমবার ফারজানার সেঞ্চুরি ছাড়াও পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলেন আরও ৮ ব্যাটার। বল হাতে অসাধারণ প্রদর্শনী মেলে ধরেন দুই অভিজ্ঞ রুমানা আহমেদ ও রিতু মনি।
সোমবার ইউল্যাব মাঠে আনসার ও ভিডিপির বিপক্ষে ১০১ রান করেন ফারজানা। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খেলে ১৩০ বলের অপরাজিত ইনিংসে ৭টি চার মারেন ওয়ানডেতে দেশের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান।
শেলটেক ক্রিকেট একাডেমির বিপক্ষে ৯০ রান করেছিলেন ৩১ বছর বয়সী ব্যাটার।
ফারজানার সেঞ্চুরির সঙ্গে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন দিলারা আক্তার ও স্বর্ণা আক্তার। ওপেনিংয়ে নেমে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ৩৫ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন দিলারা। ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৮ বলে ৮১ রানে অপরাজিত থাকেন স্বর্ণা। অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেট জুটিতে মাত্র ৯৪ বলে ১২৭ রানের জুটি গড়েন ফারজানা ও স্বর্ণা। ৩ উইকেটে ৩১১ রান করে আবাহনী লিমিটেড। পরে আনসার ও ভিডিপিকে মাত্র ১৫০ রানে গুটিয়ে ১৬১ রানের জয় পায় তারা। আনসার দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন তিথি রানী। আবাহনীর হয়ে ১০ ওভারে ৩ মেডেনসহ মাত্র ১১ রানে ৩ উইকেট নেন লাবণী। ঝড়ো ইনিংসের পর ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন স্বর্ণা।
বিকেএসপির মাঠে পুলিশ ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে স্পিনে চমক দেখান রুমানা। ১০ ওভার বোলিং করে ৮টি মেডেন নেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। তার বোলিং বিশ্লেষণ- ১০-৮-২-১। পুলিশকে মাত্র ৮৭ রানে গুঁড়িয়ে ৯ উইকেটে জিতেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। পুলিশের ৪৪ ওভারের মধ্যে ১৯ ওভারই মেডেন পান মোহামেডানের বোলাররা। ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড় তোলেন জেসিয়া আক্তার। ১০ চার ও ১ ছক্কায় ৩১ বলে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন ভারতীয় ব্যাটার।
বিকেএসপির আরেক মাঠে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রকে ৬ উইকেটে হারায় খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতি। ২১৯ রানের লক্ষ্য ৩৫ বল বাকি থাকতে ছুঁয়ে ফেলে খেলাঘর।
কলাবাগানকে দুইশ ছাড়ানো পুঁজি এনে ফারজানা আক্তার লিসা ও ফাতেমা তুজ জোহরা। দ্বিতীয় উইকেটে দুজন মিলে যোগ করেন ১৪৫ রান। ১১৩ বলে ৭২ রান করেন ফারজানা। তিনে নামা ফাতেমা শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ১৪১ বলে খেলেন ৯৪ রানের ইনিংস। ৬ চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা মারেন তিনি।
রান তাড়ায় নিপা আক্তারের ব্যাটে ভালো শুরু করে খেলাঘর। ৪৭ রান করে আউট হন এই ওপেনার। চার নম্বরে ম্যাচ জেতানো ৮০ রানের ইনিংস খেলেন সুলতানা খাতুন। ৮৮ বলের ইনিংসটি ৯ চারে সাজান তিনি।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে স্বাগতিক ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পরাজিত করে গুলশান ইয়ুথ ক্রিকেট ক্লাব। ১৭৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ২ উইকেটে জেতে গুলশান।
বিকেএসপির পক্ষে ২৫ ছুঁতে পারেন শুধু সুমাইয়া আক্তার সুবর্ণা। ১৩১ বলের ইনিংসে ৭ চারে ৬৬ রান করেন তরুণ কিপার-ব্যাটার। ১০ ওভারে ৩৫ রানে ৪ উইকেট নেন অভিজ্ঞ পেস অলরাউন্ডার রিতু মনি। রান তাড়ায় জুয়াইরিয়া ফেরদৌসের ৫৯ বলে ৫৩ রানের সঙ্গে বাকিদের ছোট ছোট অবদানে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় গুলশান।
এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচের সবকটি জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে তারা। এছাড়া তিন ম্যাচে দুটি করে জয় আছে আবাহনী, বিকেএসপি ও খেলাঘরের।
৪ ম্যাচের সেরাদের হাতে পুরস্কার
সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ঢাকা প্রিমিয়ার উইমেন’স ক্রিকেট লীগে সোমবার ফারজানার সেঞ্চুরি ছাড়াও পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলেন আরও ৮ ব্যাটার। বল হাতে অসাধারণ প্রদর্শনী মেলে ধরেন দুই অভিজ্ঞ রুমানা আহমেদ ও রিতু মনি।
সোমবার ইউল্যাব মাঠে আনসার ও ভিডিপির বিপক্ষে ১০১ রান করেন ফারজানা। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খেলে ১৩০ বলের অপরাজিত ইনিংসে ৭টি চার মারেন ওয়ানডেতে দেশের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান।
শেলটেক ক্রিকেট একাডেমির বিপক্ষে ৯০ রান করেছিলেন ৩১ বছর বয়সী ব্যাটার।
ফারজানার সেঞ্চুরির সঙ্গে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন দিলারা আক্তার ও স্বর্ণা আক্তার। ওপেনিংয়ে নেমে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ৩৫ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন দিলারা। ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৮ বলে ৮১ রানে অপরাজিত থাকেন স্বর্ণা। অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেট জুটিতে মাত্র ৯৪ বলে ১২৭ রানের জুটি গড়েন ফারজানা ও স্বর্ণা। ৩ উইকেটে ৩১১ রান করে আবাহনী লিমিটেড। পরে আনসার ও ভিডিপিকে মাত্র ১৫০ রানে গুটিয়ে ১৬১ রানের জয় পায় তারা। আনসার দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন তিথি রানী। আবাহনীর হয়ে ১০ ওভারে ৩ মেডেনসহ মাত্র ১১ রানে ৩ উইকেট নেন লাবণী। ঝড়ো ইনিংসের পর ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন স্বর্ণা।
বিকেএসপির মাঠে পুলিশ ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে স্পিনে চমক দেখান রুমানা। ১০ ওভার বোলিং করে ৮টি মেডেন নেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। তার বোলিং বিশ্লেষণ- ১০-৮-২-১। পুলিশকে মাত্র ৮৭ রানে গুঁড়িয়ে ৯ উইকেটে জিতেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। পুলিশের ৪৪ ওভারের মধ্যে ১৯ ওভারই মেডেন পান মোহামেডানের বোলাররা। ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড় তোলেন জেসিয়া আক্তার। ১০ চার ও ১ ছক্কায় ৩১ বলে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন ভারতীয় ব্যাটার।
বিকেএসপির আরেক মাঠে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রকে ৬ উইকেটে হারায় খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতি। ২১৯ রানের লক্ষ্য ৩৫ বল বাকি থাকতে ছুঁয়ে ফেলে খেলাঘর।
কলাবাগানকে দুইশ ছাড়ানো পুঁজি এনে ফারজানা আক্তার লিসা ও ফাতেমা তুজ জোহরা। দ্বিতীয় উইকেটে দুজন মিলে যোগ করেন ১৪৫ রান। ১১৩ বলে ৭২ রান করেন ফারজানা। তিনে নামা ফাতেমা শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ১৪১ বলে খেলেন ৯৪ রানের ইনিংস। ৬ চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা মারেন তিনি।
রান তাড়ায় নিপা আক্তারের ব্যাটে ভালো শুরু করে খেলাঘর। ৪৭ রান করে আউট হন এই ওপেনার। চার নম্বরে ম্যাচ জেতানো ৮০ রানের ইনিংস খেলেন সুলতানা খাতুন। ৮৮ বলের ইনিংসটি ৯ চারে সাজান তিনি।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে স্বাগতিক ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পরাজিত করে গুলশান ইয়ুথ ক্রিকেট ক্লাব। ১৭৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ২ উইকেটে জেতে গুলশান।
বিকেএসপির পক্ষে ২৫ ছুঁতে পারেন শুধু সুমাইয়া আক্তার সুবর্ণা। ১৩১ বলের ইনিংসে ৭ চারে ৬৬ রান করেন তরুণ কিপার-ব্যাটার। ১০ ওভারে ৩৫ রানে ৪ উইকেট নেন অভিজ্ঞ পেস অলরাউন্ডার রিতু মনি। রান তাড়ায় জুয়াইরিয়া ফেরদৌসের ৫৯ বলে ৫৩ রানের সঙ্গে বাকিদের ছোট ছোট অবদানে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় গুলশান।
এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচের সবকটি জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে তারা। এছাড়া তিন ম্যাচে দুটি করে জয় আছে আবাহনী, বিকেএসপি ও খেলাঘরের।