দুবাই স্টেডিয়ামের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা
২০১৭ সালে পাকিস্তানের কাছে ফাইনালে হেরে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অষ্টম আসরের শিরোপা জিততে পারেনি ভারত। তবে নবম আসরেই শিরোপা ঘরে তুলল টিম ইন্ডিয়া। নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। পুরো আসরে ৫ ম্যাচ খেলে সবগুলোতে জিতে শিরোপার স্বাদ নেয় রোহিত শর্মার দল। তাই ম্যাচ শেষে সতীর্থদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
গত রোববার দুবাইয়ে ম্যাচ শেষে রোহিত বলেন, ‘দারুণ লাগছে শিরোপা জিততে পেরে। পুরো আসরেই আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। ফাইনাল জয়ের অনুভূতি বাকিগুলোর থেকে আলাদা। যেভাবে খেলেছি সেটা বাড়তি তৃপ্তি দিচ্ছে।’
২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল হারের পর গেল বছর অপরাজিত থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলে ভারত। এবার আইসিসির চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও জিতল তারা। রোহিত বলেন, ‘টানা দু’টি আইসিসি ট্রফি জয় দলের জন্য দারুণ অর্জন। অপরাজিত থেকে জিততে পারাটা আরও বড় ব্যাপার। দুই টুর্নামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হতে খুব কম দলকেই দেখেছি। গত তিনটি আইসিসি টুর্নামেন্টে আমরা মাত্র একটি ম্যাচ হেরেছি। সত্যি বলতে, এটা অসাধারণ ও দারুণ মাইলফলক।’ এবার গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচের সবগুলোতেই জয়ের পর সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে ভারত। শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৫১ রান করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে অধিনায়কের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দারুণ শুরু পায় ভারত।
সতীর্থ শুভমান গিলকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ১১২ বলে ১০৫ রান যোগ করেন রোহিত। এর মধ্যে রোহিতের অবদান ছিল ৬২ বলে ৬৯ রান। শেষ পর্যন্ত ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৮৩ বলে ৭৬ রান করে ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় হন রোহিত। নিজের ইনিংস নিয়ে রোহিত বলেন, ‘অনেকেই জানেন, এটা আমার স্বাভাবিক খেলা নয়। কিন্তু এভাবেই খেলতে চেয়েছিলাম। যখন আলাদা কিছু করা দরকার পড়ে তখন দল এবং কোচেদের সমর্থন প্রয়োজন হয়। রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছিলাম। এখন গৌতম গাম্ভীরের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা দু’জনই আমাকে সমর্থন করেছে। তাই আগ্রাসী খেলা চালিয়ে গিয়েছি। গত কয়েক বছর অন্য ভাবে খেলেছি। এখন অন্য ভাবে খেলে ফলাফল পাচ্ছি।’
রোহিত বিদায়ের পর ভারতের জয়ে অবদান রাখেন শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুলরা। ছোট-ছোট ইনিংসে অবদান রাখেন হার্দিক পান্ডিয়া ও অক্ষর প্যাটেলও। সতীর্থদের প্রশংসা করতে গিয়ে রোহিত বলেন, ‘কেএলের মানসিকতা নিয়ে কি আর বলব। চাপে পড়লে তার সেরাটা সবসময়ই বের হয়ে আসে। আজ ম্যাচ জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়ল। চাপের মুখে যে শর্টটা খেলতে হবে সেটাই খেলে। বাকিদের স্বাধীন ভাবে খেলার সুযোগ করে দেয়। আজ যে রকম হার্দিককে খোলা মনে খেলতে দিল।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শুরুর আগ মুহূর্তে ভারত দল থেকে ছিটকে যান সহ-অধিনায়ক ও পেসার জসপ্রিত বুমরাহ। তার বদলি হিসেবে দলে নেয়া হয় স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীকে। ৩ ম্যাচ খেলে টুর্নামেন্টে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ উইকেট শিকার করেছেন বরুণ।
তাই আলাদাভাবে বরুণের প্রশংসা করেন রোহিত, ‘আগেই বলেছি, বরুণের মধ্যে আলাদা একটা ব্যাপার আছে। এ ধরনের উইকেটে খেলতে গেলে তার মতো বোলারদেরই দরকার। শুরুর দিকে খেলেনি। দলে সুযোগ পেয়েই নিজের জাত চিনিয়েছে সে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে পাঁচ উইকেট পায় বরুণ। তার পারফরমেন্স আমাদের অনেক সাহায্য করেছে।’
গুঞ্জন ছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল শেষে ওয়ানডে থেকে অবসর নিবেন রোহিত ও ভিরাট কোহলি। যেমনটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর নিয়েছিলেন তারা। কিন্তু সব গুঞ্জনকে উড়িয়ে দিয়ে ৩৭ বছর বয়সী রোহিত বলেন, ‘আমি ওয়ানডে থেকে অবসর নিচ্ছি না। এ বিষয়ে যেন কোনো গুজব না ছড়ায় তা নিশ্চিত করতেই কথাটা বললাম।’
দুবাই স্টেডিয়ামের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা
সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
২০১৭ সালে পাকিস্তানের কাছে ফাইনালে হেরে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অষ্টম আসরের শিরোপা জিততে পারেনি ভারত। তবে নবম আসরেই শিরোপা ঘরে তুলল টিম ইন্ডিয়া। নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। পুরো আসরে ৫ ম্যাচ খেলে সবগুলোতে জিতে শিরোপার স্বাদ নেয় রোহিত শর্মার দল। তাই ম্যাচ শেষে সতীর্থদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
গত রোববার দুবাইয়ে ম্যাচ শেষে রোহিত বলেন, ‘দারুণ লাগছে শিরোপা জিততে পেরে। পুরো আসরেই আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। ফাইনাল জয়ের অনুভূতি বাকিগুলোর থেকে আলাদা। যেভাবে খেলেছি সেটা বাড়তি তৃপ্তি দিচ্ছে।’
২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল হারের পর গেল বছর অপরাজিত থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলে ভারত। এবার আইসিসির চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও জিতল তারা। রোহিত বলেন, ‘টানা দু’টি আইসিসি ট্রফি জয় দলের জন্য দারুণ অর্জন। অপরাজিত থেকে জিততে পারাটা আরও বড় ব্যাপার। দুই টুর্নামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হতে খুব কম দলকেই দেখেছি। গত তিনটি আইসিসি টুর্নামেন্টে আমরা মাত্র একটি ম্যাচ হেরেছি। সত্যি বলতে, এটা অসাধারণ ও দারুণ মাইলফলক।’ এবার গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচের সবগুলোতেই জয়ের পর সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে ভারত। শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৫১ রান করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে অধিনায়কের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দারুণ শুরু পায় ভারত।
সতীর্থ শুভমান গিলকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ১১২ বলে ১০৫ রান যোগ করেন রোহিত। এর মধ্যে রোহিতের অবদান ছিল ৬২ বলে ৬৯ রান। শেষ পর্যন্ত ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৮৩ বলে ৭৬ রান করে ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় হন রোহিত। নিজের ইনিংস নিয়ে রোহিত বলেন, ‘অনেকেই জানেন, এটা আমার স্বাভাবিক খেলা নয়। কিন্তু এভাবেই খেলতে চেয়েছিলাম। যখন আলাদা কিছু করা দরকার পড়ে তখন দল এবং কোচেদের সমর্থন প্রয়োজন হয়। রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছিলাম। এখন গৌতম গাম্ভীরের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা দু’জনই আমাকে সমর্থন করেছে। তাই আগ্রাসী খেলা চালিয়ে গিয়েছি। গত কয়েক বছর অন্য ভাবে খেলেছি। এখন অন্য ভাবে খেলে ফলাফল পাচ্ছি।’
রোহিত বিদায়ের পর ভারতের জয়ে অবদান রাখেন শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুলরা। ছোট-ছোট ইনিংসে অবদান রাখেন হার্দিক পান্ডিয়া ও অক্ষর প্যাটেলও। সতীর্থদের প্রশংসা করতে গিয়ে রোহিত বলেন, ‘কেএলের মানসিকতা নিয়ে কি আর বলব। চাপে পড়লে তার সেরাটা সবসময়ই বের হয়ে আসে। আজ ম্যাচ জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়ল। চাপের মুখে যে শর্টটা খেলতে হবে সেটাই খেলে। বাকিদের স্বাধীন ভাবে খেলার সুযোগ করে দেয়। আজ যে রকম হার্দিককে খোলা মনে খেলতে দিল।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শুরুর আগ মুহূর্তে ভারত দল থেকে ছিটকে যান সহ-অধিনায়ক ও পেসার জসপ্রিত বুমরাহ। তার বদলি হিসেবে দলে নেয়া হয় স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীকে। ৩ ম্যাচ খেলে টুর্নামেন্টে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ উইকেট শিকার করেছেন বরুণ।
তাই আলাদাভাবে বরুণের প্রশংসা করেন রোহিত, ‘আগেই বলেছি, বরুণের মধ্যে আলাদা একটা ব্যাপার আছে। এ ধরনের উইকেটে খেলতে গেলে তার মতো বোলারদেরই দরকার। শুরুর দিকে খেলেনি। দলে সুযোগ পেয়েই নিজের জাত চিনিয়েছে সে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে পাঁচ উইকেট পায় বরুণ। তার পারফরমেন্স আমাদের অনেক সাহায্য করেছে।’
গুঞ্জন ছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল শেষে ওয়ানডে থেকে অবসর নিবেন রোহিত ও ভিরাট কোহলি। যেমনটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর নিয়েছিলেন তারা। কিন্তু সব গুঞ্জনকে উড়িয়ে দিয়ে ৩৭ বছর বয়সী রোহিত বলেন, ‘আমি ওয়ানডে থেকে অবসর নিচ্ছি না। এ বিষয়ে যেন কোনো গুজব না ছড়ায় তা নিশ্চিত করতেই কথাটা বললাম।’