পাকিস্তান টি-২০ দলের নতুন অধিনায়ক সালমান আগা
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্ব থেকেই মিশন শেষ করেছে পাকিস্তান। টুর্নামেন্টে বাজে পারফরমেন্সে দুঃস্মৃতি নিয়েই এবার নিউজিল্যান্ডের মাটিতে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করতে যাচ্ছে পাকিস্তান।
ক্রাইস্টচার্চে আগামীকাল সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) শুরু হবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি।
ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফেভারিট হিসেবেই খেলতে নেমেছিল পাকিস্তান। কিন্তু নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড ও ভারতের কাছে হেরে যাওয়ায় গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিশ্চিত হয় পাকিস্তানের। বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে বৃষ্টির কারণে ১ পয়েন্ট পায় তারা।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ব্যর্থতার পর টি-টোয়েন্টি দলে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে পাকিস্তান। দলে জায়গা হয়নি বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও নাসিম শাহর।
প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পেয়েছেন হাসান নেওয়াজ ও আবদুল সামাদ।
নিউজিল্যান্ড বিপক্ষে সিরিজ জয়ের লক্ষ্য পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আগার, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এখন অতীত। আমাদের সামনের দিকে তাকাতে হবে। সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়েই আমরা মাঠে নামব।’
এদিকে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল খেলেছে নিউজিল্যান্ড। ভারতের কাছে হেরে রানার্সআপ হতে হয় তাদের। কিন্তু পাকিস্তান সিরিজে প্রথম সারির খেলোয়াড়দের পাচ্ছে না নিউজিল্যান্ড।
আগামী ২২ মার্চ থেকে শুরু হওয়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (আইপিএল) খেলার কারণে পাকিস্তান সিরিজে নেই মিচেল স্যান্টনার, লুকি ফার্গুসন, রাচিন রবীন্দ্র, ডেভন কনওয়ে, গ্লেন ফিলিপসরা।
দলকে নেতৃত্ব দেবেন গত বছর এপ্রিলে পাকিস্তান সফরে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে দায়িত্ব পালন করা মাইকেল ব্রেসওয়েল। সিরিজটি ২-২ সমতায় শেষ হয়েছিল।
এবার সিরিজ জয়ের স্বাদ নিতে চান ব্রেসওয়েল, ‘সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে পাকিস্তান সব সময়ই বিপজ্জনক দল। তাদের দলে শক্তিশালী ব্যাটার ও দ্রুত গতি সম্পন্ন বোলার আছে। তারপরও আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে সিরিজ জয়ের জন্যই মাঠে নামবো।’
এখন পর্যন্ত ৪৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানের জয় ২৩টিতে ও নিউজিল্যান্ড জিতেছে ১৯টিতে।
২টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। ২০১৮ সালে সর্বশেষ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিল পাকিস্তান।
পাক ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বৃদ্ধি
টানা ব্যর্থতায় ক্ষুব্ধ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কর্তারা জাতীয় টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ ফি কমিয়ে দিয়েছিলেন। এই সিদ্ধান্তের ব্যাপক সমালোচনা হয় পাকিস্তানের ক্রিকেট মহলে। সাবেক, বর্তমান বেশ কিছু ক্রিকেটার অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বিরূপ প্রতিক্রিয়ার চাপে আবার ম্যাচ ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিলেন মহসিন নকভিরা।
এক ধাক্কায় ৭৫ শতাংশ ম্যাচ ফি কমিয়ে দিয়েছিল পিসিবি। গত বছর পাকিস্তানের জাতীয় টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের প্রতিটি ম্যাচ খেলার জন্য ৪০ হাজার পাকিস্তানি টাকা করে পেতেন ক্রিকেটারেরা। প্রথম একাদশের বাইরের ক্রিকেটারেরা পেতেন ২০ হাজার পাকিস্তানি টাকা করে। এক ধাক্কায় ম্যাচ ফি কমিয়ে যথাক্রমে ১০ হাজার পাকিস্তানি টাকা এবং ৫ হাজার পাকিস্তানি টাকা করা হয়।
পিসিবির এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা হয় পাকিস্তানের ক্রিকেট মহলে। বাবর আজমসহ বেশ কিছু ক্রিকেটার প্রতিযোগিতায় খেলবেন না বলে জানান। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, চাপের মুখে এর পর নড়েচড়ে বসেন পিসিবি কর্তারা। শেষ পর্যন্ত জাতীয় টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ ফি অপরিবর্তীত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর ফলে গত বছরের মতো এবারও প্রথম একাদশে থাকা ক্রিকেটারেরা প্রতিটি ম্যাচ খেলার জন্য ৪০ হাজার পাকিস্তানি টাকা করে পাবেন। প্রথম একাদশের বাইরের ক্রিকেটারেরা পাবেন ২০ হাজার পাকিস্তানি টাকা করে।
পাকিস্তান টি-২০ দলের নতুন অধিনায়ক সালমান আগা
শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্ব থেকেই মিশন শেষ করেছে পাকিস্তান। টুর্নামেন্টে বাজে পারফরমেন্সে দুঃস্মৃতি নিয়েই এবার নিউজিল্যান্ডের মাটিতে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করতে যাচ্ছে পাকিস্তান।
ক্রাইস্টচার্চে আগামীকাল সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) শুরু হবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি।
ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফেভারিট হিসেবেই খেলতে নেমেছিল পাকিস্তান। কিন্তু নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড ও ভারতের কাছে হেরে যাওয়ায় গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিশ্চিত হয় পাকিস্তানের। বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে বৃষ্টির কারণে ১ পয়েন্ট পায় তারা।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ব্যর্থতার পর টি-টোয়েন্টি দলে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে পাকিস্তান। দলে জায়গা হয়নি বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও নাসিম শাহর।
প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পেয়েছেন হাসান নেওয়াজ ও আবদুল সামাদ।
নিউজিল্যান্ড বিপক্ষে সিরিজ জয়ের লক্ষ্য পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আগার, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এখন অতীত। আমাদের সামনের দিকে তাকাতে হবে। সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়েই আমরা মাঠে নামব।’
এদিকে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল খেলেছে নিউজিল্যান্ড। ভারতের কাছে হেরে রানার্সআপ হতে হয় তাদের। কিন্তু পাকিস্তান সিরিজে প্রথম সারির খেলোয়াড়দের পাচ্ছে না নিউজিল্যান্ড।
আগামী ২২ মার্চ থেকে শুরু হওয়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (আইপিএল) খেলার কারণে পাকিস্তান সিরিজে নেই মিচেল স্যান্টনার, লুকি ফার্গুসন, রাচিন রবীন্দ্র, ডেভন কনওয়ে, গ্লেন ফিলিপসরা।
দলকে নেতৃত্ব দেবেন গত বছর এপ্রিলে পাকিস্তান সফরে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে দায়িত্ব পালন করা মাইকেল ব্রেসওয়েল। সিরিজটি ২-২ সমতায় শেষ হয়েছিল।
এবার সিরিজ জয়ের স্বাদ নিতে চান ব্রেসওয়েল, ‘সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে পাকিস্তান সব সময়ই বিপজ্জনক দল। তাদের দলে শক্তিশালী ব্যাটার ও দ্রুত গতি সম্পন্ন বোলার আছে। তারপরও আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে সিরিজ জয়ের জন্যই মাঠে নামবো।’
এখন পর্যন্ত ৪৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানের জয় ২৩টিতে ও নিউজিল্যান্ড জিতেছে ১৯টিতে।
২টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। ২০১৮ সালে সর্বশেষ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিল পাকিস্তান।
পাক ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বৃদ্ধি
টানা ব্যর্থতায় ক্ষুব্ধ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কর্তারা জাতীয় টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ ফি কমিয়ে দিয়েছিলেন। এই সিদ্ধান্তের ব্যাপক সমালোচনা হয় পাকিস্তানের ক্রিকেট মহলে। সাবেক, বর্তমান বেশ কিছু ক্রিকেটার অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বিরূপ প্রতিক্রিয়ার চাপে আবার ম্যাচ ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিলেন মহসিন নকভিরা।
এক ধাক্কায় ৭৫ শতাংশ ম্যাচ ফি কমিয়ে দিয়েছিল পিসিবি। গত বছর পাকিস্তানের জাতীয় টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের প্রতিটি ম্যাচ খেলার জন্য ৪০ হাজার পাকিস্তানি টাকা করে পেতেন ক্রিকেটারেরা। প্রথম একাদশের বাইরের ক্রিকেটারেরা পেতেন ২০ হাজার পাকিস্তানি টাকা করে। এক ধাক্কায় ম্যাচ ফি কমিয়ে যথাক্রমে ১০ হাজার পাকিস্তানি টাকা এবং ৫ হাজার পাকিস্তানি টাকা করা হয়।
পিসিবির এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা হয় পাকিস্তানের ক্রিকেট মহলে। বাবর আজমসহ বেশ কিছু ক্রিকেটার প্রতিযোগিতায় খেলবেন না বলে জানান। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, চাপের মুখে এর পর নড়েচড়ে বসেন পিসিবি কর্তারা। শেষ পর্যন্ত জাতীয় টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ ফি অপরিবর্তীত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর ফলে গত বছরের মতো এবারও প্রথম একাদশে থাকা ক্রিকেটারেরা প্রতিটি ম্যাচ খেলার জন্য ৪০ হাজার পাকিস্তানি টাকা করে পাবেন। প্রথম একাদশের বাইরের ক্রিকেটারেরা পাবেন ২০ হাজার পাকিস্তানি টাকা করে।