alt

খেলা

অগ্রণীর পঞ্চম জয়, মজিদ-রাফসানের সেঞ্চুরি

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক : বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

সোহাগ গাজীর চার উইকেটে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল ব্রাদার্স, তবে শেষ পর্যন্ত পারেনি

ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে বুধবার রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব পেয়েছে শ্বাসরুদ্ধকর জয়। আরেক ম্যাচে শতরান করেন রায়ান রাফসান রহমান। তবে দলকে জেতাতে পারেননি শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব অধিনায়ক। দুর্দান্ত পথচলায় আরেকটি ম্যাচ জিতে নেয় ইমরুল কায়েসের অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। দারুণ ইনিংস খেলে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক।

দিনের অন্য ম্যাচে দারুণ জয় পায় গুলশান ক্রিকেট ক্লাব।

গুলশানের রোমাঞ্চকর জয়

শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ২ উইকেটে হারায় গুলশান। ২৯১ রানের লক্ষ্য ৯ বল বাকি থাকতে ছুঁয়ে ফেলে নবাগত ক্লাবটি।

ব্রাদার্সকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে শুরুতেই মাহফিজুল ইসলামের উইকেট নেয় গুলশান। তবে চাপ বাড়তে দেননি বিশাল চৌধুরি ও মিজানুর রহমান। দ্বিতীয় উইকেটে ১২৬ রানের জুটি গড়ে তোলেন তারা।

একই ওভারে দু’জনকে আউট করেন নিহাদউজ্জামান। ফিফটি করেই ফেরেন মিজানুর। ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ৭৫ বলে ৮৩ রানের ইনিংস খেলেন বিশাল।

পরে দায়িত্ব নেন আইচ মোল্লা। অলক কাপালির সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে ৬৬ রানের জুটি গড়েন তরুণ ব্যাটসম্যান।

আইচের ৬১ বলে ৬৫ ও কাপালির ২৯ বলে ৩১ রানের ইনিংসে তিনশ’র কাছাকাছি পৌঁছায় ব্রাদার্স।

নিহাদ ও আসাদুজ্জামান পায়েল নেন ৩টি করে উইকেট। ছয় রাউন্ড শেষে ১৩ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে পায়েল। চ্যালেঞ্জিং রান তাড়ায় ঝড়ো শুরু করেন জাওয়াদ আবরার। কিন্তু বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ১৭ বলে ৩০ রান করেন তরুণ ওপেনার। ব্যর্থতার ধারা থেকে বের হতে পারেননি আরক তরুণ আজিজুল হাকিম।

তিন নম্বরে ধীরেসুস্থে খেলতে থাকেন লিটন কুমার দাস। কিন্তু ইনিংম বড় করতে পারেননি। শর্ট মিড উইকেটে দুর্দান্ত ক্যাচে তার বিদায়ঘন্টা বাজান বিশাল। ৪০ বলে ৩৩ রান করেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যন। এখন পর্যন্ত ৪ ইনিংসে তার সংগ্রহ ১২৯ রান।

১০০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে গুলশান। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন নাঈম ইসলাম ও ইলিয়াস সানি। ১০০ বলে ৯৯ রানের জুটি গড়েন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। ৬০ বলে ৫০ রান করে আউট হন নাঈম।

ফরহাদের সঙ্গে মিলে দলকে আরও কিছুটা এগিয়ে নেন সানি। ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৬২ বলে ৫৩ রান করে ফেরেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। নিহাদও তাকে অনুসরণ করেন দ্রুতই।

এরপর সেই নবম উইকেট জুটি। স্নায়ুর চাপকে হারিয়ে দুর্দান্ত সব শর্ট খেলে ৩৬ বলে ৫৪ রানের জুটিতে দলকে জিতিয়ে দেন ফরহাদ ও মেহেদি। বাঁধনহারা উদযাপনে মেতে ওঠেন গুলশানের ক্রিকেটাররা।

৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৬ বলে ৪৭ রান করেন ফরহাদ। মেহেদির ব্যাট থেকে ৪ চার ও ২ ছক্কায় আসে ১৮ বলে ৩২ রান। ব্রাদার্সের পক্ষে ৪৪ রানে ৪ উইকেট নেন সোহাগ গাজী।

সংক্ষিপ্ত স্কোর : ব্রাদার্স ইউনিয়ন ২৯০/৯ (বিশাল ৮৩, মিজানুর ৫০, আইচ ৬৫, কাপালি ৩১ ; নিহাদ ৩/৪০, পায়েল ৩/৬২)। গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ৪৮.৩ ওভারে ২৯৪/৮ (জাওয়াদ ৩০, লিটন, ৩৩, নাঈম ৫০, ইলিয়াস ৫৩, ফরহাদ ৪৭*, মেহেদি ৩২*; শফিউল ২/৬৬, সোহাগ ৪/৪৪)।

ম্যাচসেরা : ফরহাদ রেজা।

অগ্রণী ব্যাংকের ছয়ে পাঁচ

প্রিমিয়ার লীগে ফিরে একের পর এক চমক উপহার দিয়ে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে।

বুধবার শাইনপুকুরকে ৪৬ রানে হারায় ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বাধীন দলটি। বিকেএসপির মাঠে ২৯৫ রানের লক্ষ্যে ৫ উইকেটে ২৪৮ রানের বেশি করতে পারেনি শাইনপুকুর।

৬০ রানের উদ্বোধনী জুটিতে অগ্রণী ব্যাংককে ভালো শুরু এনে দেন ইমরানউজ্জামান ও সাদমান ইসলাম। ইমরান ৩৫ বলে ৩২ রান করে আউট হন। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা সাদমানের ব্যাট থেকে আসে ৬৬ বলে ৫৩ রান।

তৃতীয় উইকেটে ৮৩ রানের জুটি গড়েন ইমরুল ও অমিত হাসান। দলকে দুইশ’ পার করিয়ে ফেরেন ৪১ রান করা অমিত।

৫২ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে তিন অঙ্কের দিকে এগোতে থাকেন ইমরুল। তবে লীগের প্রথম ম্যাচের মতো আবারও ৮০ পেরিয়ে সেঞ্চুরির আগেই থামতে হয় ইমরুলকে। রায়ান রাফসান রহমানের শর্ট বলে পুল খেলার চেষ্টায় ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে বসেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। ৮৫ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় তিনি করেন ৮৬ রান।

লীগের ছয় ম্যাচে ইমরুলের এটি চতুর্থ পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংস। সব মিলিয়ে ৪৯.১৭ গড়ে তার সংগ্রহ ২৯৫ রান।

বড় লক্ষ্যে প্রত্যাশিত শুরু পায়নি শাইনপুকুর। নিয়মিত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তারা। ১০৩ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর জয়ের জন্য আর কোনও চেষ্টাই দেখা যায়নি তাদের ব্যাটিংয়ে।

ষষ্ঠ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১৫৩ বলে ১৪৮ রান যোগ করেন রায়ান রাফসান রহমান ও মিনহাজুল আবেদিন। দুজনের ব্যাটিংয়ে জয়ের তাড়না দেখা যায়নি একদমই।

ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে ১৩০ বলে ১০৬ রান করেন রাফসান। মিনহাজুলের ব্যাট থেকে আসে ৬১ বলে ৫১ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর : অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ২৯৪/৭ (ইমরানউজ্জামান ৩২, সাদমান ৫৩, ইমরুল ৮৬, অমিত ৪১, মার্শাল ২০, তাইবুর ২০ ; আলি ২/৬২, রাফসান ২/৪৯)।

শাইনপুকুর ক্লাব ২৪৮/৫ (নিওন ২০, মইনুল ৩৪, রাফসান ১০৬*, মিনহাজুল ৫১*; আরিফ ২/৪১, নাঈম ২/৩৪)। ম্যাচসেরা : ইমরুল কায়েস।

রূপগঞ্জের জয়

বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে লড়াই জমিয়ে তোলে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। ২২৪ রানের লক্ষ্যে শেষ বলে নিষ্পত্তি হওয়া ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটে জেতে রূপগঞ্জ টাইগার্স।

ষষ্ঠ ম্যাচে প্রথম জয় পেল রূপগঞ্জ টাইগার্স। সমান ম্যাচে পারটেক্সের জয়ও একটি।

অপরাজিত শতরানে দলের প্রথম জয়ের নায়ক মজিদ। ওপেন করতে নেমে শেষ পর্যন্ত খেলে ক্যারিয়ারে নবম সেঞ্চুরি করেন ৩৪ বছর বয়সী ওপেনার।

৭ চারে ৭১ বলে ৫৪ রান করে আউট হন জয়রাজ। রুবেলের ব্যাট থেকে আসে ৮৯ বলে ৫২ রান। শেষ উইকেটে ২৬ রানের জুটিতে ২২৩ রান পর্যন্ত যেতে পারে পারটেক্স। টাইগার্সের দুই স্পিনার মাহমুদুল ও আল আমিন জুনিয়র নেন ৩টি করে উইকেট।

মাঝারি লক্ষ্যে অল্প রানেই ফেরেন অমিত মজুমদার। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১০৭ রান যোগ করে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন আব্দুল মজিদ ও আসাদুল্লাহ আল গালিব। পঞ্চাশছুঁয়ে আউট হয়ে যান গালিব। এক প্রান্তে অবিচল থেকে জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখেন মজিদ। শেষ দশ ওভারে মাত্র একটি বাউন্ডারি মারতে পারেন মজিদ। সেটিই দলকে এনে দেয় প্রথম জয়।

সংক্ষিপ্ত স্কোর : পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব ৪৯.৫ ওভারে ২২৩ (জয়রাজ ৫৪, রুবেল ৫২, জাওয়াদ ২৩, রাকিব ২৬ ; মাহমুদুল ৩/৪৬, আলআমিন ৩/১৭)।

রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্লাব ২২৫/৬ (মজিদ ১০০*, গালিব ৫০, আরিফুল ৩৪ ; আহরার ২/৩২)। ম্যাচসেরা : আব্দুল মজিদ

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

চার ম্যাচ হাতে রেখেই প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল

ছবি

কোপা দেল রে: রোমাঞ্চকর ফাইনালে রেয়ালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা

ছবি

শান্তদের প্রতিপক্ষ চট্টগ্রামের ভেন্যুও

ছবি

ফুটবল প্রশিক্ষণ শিবির উদ্বোধন

হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা বেড়ে পাঁচ ম্যাচ

পাঁচ বোলার নিয়ে বাংলাদেশ একাদশের ছক

এএইচএফ কাপে বাংলাদেশ তৃতীয়

দক্ষিণ এশিয়ান যুব টিটিতে বাংলাদেশের ৭ ব্রোঞ্জ

ছবি

টেস্ট জয়ের জন্য ধৈর্য ধরার আহ্বান সিমন্সের

ছবি

‘সিরিজ জয়ের বাড়তি চাপ নেয়ার কোনো দরকার নেই জিম্বাবুয়ের’

ছবি

চট্টগ্রাম টেস্টে জয়ের আশা নিয়ে সোমবার জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি বাংলাদেশ

ছবি

চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় পড়লেন তাওহিদ হৃদয়, নাটকীয়তা চলছেই

ছবি

কোপা দেল রে: রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

কাতার সফরকে স্বপ্নের মতো বললেন চার ক্রীড়াবিদ

ছবি

আশা বাঁচিয়ে রাখলো মোহামেডান

ছবি

‘ব্যাটাররা কিছু করে দিতে পারলে চট্টগ্রাম টেস্টে জিততে পারি’

ছবি

শহীদ মামুন মাহমুদ পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ হকি দল চ্যাম্পিয়ন

ছবি

ঢাকা ক্লাবে প্রেসিডেন্ট কাপ স্নুকার শুরু

ছবি

লিজেন্ডসকে উড়িয়ে দিলো আবাহনী

ছবি

আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ বিষয়ে বিসিবির ব্যাখ্যা

ছবি

ঘটনাবহুল ম্যাচে আবাহনী-মোহামেডান গোলশূন্য

ছবি

বিসিবির এফডিআর স্থানান্তর নিয়ে ব্যাখ্যা, বাড়ছে মুনাফা

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

শনিবার কোপা দেল রে-র ফাইনালে মুখোমুখি রেয়াল-বার্সা

ছবি

সেমিফাইনাল থেকে বিদায় বাংলাদেশের

ছবি

মেসির বিবর্ণ দিনে মায়ামির হার

ছবি

মালয়েশিয়ার সাঁতারে রাফির স্বর্ণ

ছবি

হৃদয় ইস্যু: শাস্তির প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তামিমের

ছবি

জয়ে শেষ করলো বাংলাদেশের মেয়েরা

ছবি

ফুটবলের ‘জোয়ার’ দেখছেন বাফুফে সভাপতি

ছবি

দাপুটে জয় পেতে হবে বাংলাদেশকে’

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

সুযোগ পেলে আইপিএলে খেলতে চান আমির

ছবি

ডিপিএলে টিকে গেল ব্রাদার্স

tab

খেলা

অগ্রণীর পঞ্চম জয়, মজিদ-রাফসানের সেঞ্চুরি

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক

সোহাগ গাজীর চার উইকেটে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল ব্রাদার্স, তবে শেষ পর্যন্ত পারেনি

বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে বুধবার রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব পেয়েছে শ্বাসরুদ্ধকর জয়। আরেক ম্যাচে শতরান করেন রায়ান রাফসান রহমান। তবে দলকে জেতাতে পারেননি শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব অধিনায়ক। দুর্দান্ত পথচলায় আরেকটি ম্যাচ জিতে নেয় ইমরুল কায়েসের অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। দারুণ ইনিংস খেলে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক।

দিনের অন্য ম্যাচে দারুণ জয় পায় গুলশান ক্রিকেট ক্লাব।

গুলশানের রোমাঞ্চকর জয়

শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ২ উইকেটে হারায় গুলশান। ২৯১ রানের লক্ষ্য ৯ বল বাকি থাকতে ছুঁয়ে ফেলে নবাগত ক্লাবটি।

ব্রাদার্সকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে শুরুতেই মাহফিজুল ইসলামের উইকেট নেয় গুলশান। তবে চাপ বাড়তে দেননি বিশাল চৌধুরি ও মিজানুর রহমান। দ্বিতীয় উইকেটে ১২৬ রানের জুটি গড়ে তোলেন তারা।

একই ওভারে দু’জনকে আউট করেন নিহাদউজ্জামান। ফিফটি করেই ফেরেন মিজানুর। ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ৭৫ বলে ৮৩ রানের ইনিংস খেলেন বিশাল।

পরে দায়িত্ব নেন আইচ মোল্লা। অলক কাপালির সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে ৬৬ রানের জুটি গড়েন তরুণ ব্যাটসম্যান।

আইচের ৬১ বলে ৬৫ ও কাপালির ২৯ বলে ৩১ রানের ইনিংসে তিনশ’র কাছাকাছি পৌঁছায় ব্রাদার্স।

নিহাদ ও আসাদুজ্জামান পায়েল নেন ৩টি করে উইকেট। ছয় রাউন্ড শেষে ১৩ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে পায়েল। চ্যালেঞ্জিং রান তাড়ায় ঝড়ো শুরু করেন জাওয়াদ আবরার। কিন্তু বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ১৭ বলে ৩০ রান করেন তরুণ ওপেনার। ব্যর্থতার ধারা থেকে বের হতে পারেননি আরক তরুণ আজিজুল হাকিম।

তিন নম্বরে ধীরেসুস্থে খেলতে থাকেন লিটন কুমার দাস। কিন্তু ইনিংম বড় করতে পারেননি। শর্ট মিড উইকেটে দুর্দান্ত ক্যাচে তার বিদায়ঘন্টা বাজান বিশাল। ৪০ বলে ৩৩ রান করেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যন। এখন পর্যন্ত ৪ ইনিংসে তার সংগ্রহ ১২৯ রান।

১০০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে গুলশান। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন নাঈম ইসলাম ও ইলিয়াস সানি। ১০০ বলে ৯৯ রানের জুটি গড়েন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। ৬০ বলে ৫০ রান করে আউট হন নাঈম।

ফরহাদের সঙ্গে মিলে দলকে আরও কিছুটা এগিয়ে নেন সানি। ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৬২ বলে ৫৩ রান করে ফেরেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। নিহাদও তাকে অনুসরণ করেন দ্রুতই।

এরপর সেই নবম উইকেট জুটি। স্নায়ুর চাপকে হারিয়ে দুর্দান্ত সব শর্ট খেলে ৩৬ বলে ৫৪ রানের জুটিতে দলকে জিতিয়ে দেন ফরহাদ ও মেহেদি। বাঁধনহারা উদযাপনে মেতে ওঠেন গুলশানের ক্রিকেটাররা।

৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৬ বলে ৪৭ রান করেন ফরহাদ। মেহেদির ব্যাট থেকে ৪ চার ও ২ ছক্কায় আসে ১৮ বলে ৩২ রান। ব্রাদার্সের পক্ষে ৪৪ রানে ৪ উইকেট নেন সোহাগ গাজী।

সংক্ষিপ্ত স্কোর : ব্রাদার্স ইউনিয়ন ২৯০/৯ (বিশাল ৮৩, মিজানুর ৫০, আইচ ৬৫, কাপালি ৩১ ; নিহাদ ৩/৪০, পায়েল ৩/৬২)। গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ৪৮.৩ ওভারে ২৯৪/৮ (জাওয়াদ ৩০, লিটন, ৩৩, নাঈম ৫০, ইলিয়াস ৫৩, ফরহাদ ৪৭*, মেহেদি ৩২*; শফিউল ২/৬৬, সোহাগ ৪/৪৪)।

ম্যাচসেরা : ফরহাদ রেজা।

অগ্রণী ব্যাংকের ছয়ে পাঁচ

প্রিমিয়ার লীগে ফিরে একের পর এক চমক উপহার দিয়ে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে।

বুধবার শাইনপুকুরকে ৪৬ রানে হারায় ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বাধীন দলটি। বিকেএসপির মাঠে ২৯৫ রানের লক্ষ্যে ৫ উইকেটে ২৪৮ রানের বেশি করতে পারেনি শাইনপুকুর।

৬০ রানের উদ্বোধনী জুটিতে অগ্রণী ব্যাংককে ভালো শুরু এনে দেন ইমরানউজ্জামান ও সাদমান ইসলাম। ইমরান ৩৫ বলে ৩২ রান করে আউট হন। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা সাদমানের ব্যাট থেকে আসে ৬৬ বলে ৫৩ রান।

তৃতীয় উইকেটে ৮৩ রানের জুটি গড়েন ইমরুল ও অমিত হাসান। দলকে দুইশ’ পার করিয়ে ফেরেন ৪১ রান করা অমিত।

৫২ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে তিন অঙ্কের দিকে এগোতে থাকেন ইমরুল। তবে লীগের প্রথম ম্যাচের মতো আবারও ৮০ পেরিয়ে সেঞ্চুরির আগেই থামতে হয় ইমরুলকে। রায়ান রাফসান রহমানের শর্ট বলে পুল খেলার চেষ্টায় ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে বসেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। ৮৫ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় তিনি করেন ৮৬ রান।

লীগের ছয় ম্যাচে ইমরুলের এটি চতুর্থ পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংস। সব মিলিয়ে ৪৯.১৭ গড়ে তার সংগ্রহ ২৯৫ রান।

বড় লক্ষ্যে প্রত্যাশিত শুরু পায়নি শাইনপুকুর। নিয়মিত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তারা। ১০৩ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর জয়ের জন্য আর কোনও চেষ্টাই দেখা যায়নি তাদের ব্যাটিংয়ে।

ষষ্ঠ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১৫৩ বলে ১৪৮ রান যোগ করেন রায়ান রাফসান রহমান ও মিনহাজুল আবেদিন। দুজনের ব্যাটিংয়ে জয়ের তাড়না দেখা যায়নি একদমই।

ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে ১৩০ বলে ১০৬ রান করেন রাফসান। মিনহাজুলের ব্যাট থেকে আসে ৬১ বলে ৫১ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর : অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ২৯৪/৭ (ইমরানউজ্জামান ৩২, সাদমান ৫৩, ইমরুল ৮৬, অমিত ৪১, মার্শাল ২০, তাইবুর ২০ ; আলি ২/৬২, রাফসান ২/৪৯)।

শাইনপুকুর ক্লাব ২৪৮/৫ (নিওন ২০, মইনুল ৩৪, রাফসান ১০৬*, মিনহাজুল ৫১*; আরিফ ২/৪১, নাঈম ২/৩৪)। ম্যাচসেরা : ইমরুল কায়েস।

রূপগঞ্জের জয়

বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে লড়াই জমিয়ে তোলে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। ২২৪ রানের লক্ষ্যে শেষ বলে নিষ্পত্তি হওয়া ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটে জেতে রূপগঞ্জ টাইগার্স।

ষষ্ঠ ম্যাচে প্রথম জয় পেল রূপগঞ্জ টাইগার্স। সমান ম্যাচে পারটেক্সের জয়ও একটি।

অপরাজিত শতরানে দলের প্রথম জয়ের নায়ক মজিদ। ওপেন করতে নেমে শেষ পর্যন্ত খেলে ক্যারিয়ারে নবম সেঞ্চুরি করেন ৩৪ বছর বয়সী ওপেনার।

৭ চারে ৭১ বলে ৫৪ রান করে আউট হন জয়রাজ। রুবেলের ব্যাট থেকে আসে ৮৯ বলে ৫২ রান। শেষ উইকেটে ২৬ রানের জুটিতে ২২৩ রান পর্যন্ত যেতে পারে পারটেক্স। টাইগার্সের দুই স্পিনার মাহমুদুল ও আল আমিন জুনিয়র নেন ৩টি করে উইকেট।

মাঝারি লক্ষ্যে অল্প রানেই ফেরেন অমিত মজুমদার। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১০৭ রান যোগ করে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন আব্দুল মজিদ ও আসাদুল্লাহ আল গালিব। পঞ্চাশছুঁয়ে আউট হয়ে যান গালিব। এক প্রান্তে অবিচল থেকে জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখেন মজিদ। শেষ দশ ওভারে মাত্র একটি বাউন্ডারি মারতে পারেন মজিদ। সেটিই দলকে এনে দেয় প্রথম জয়।

সংক্ষিপ্ত স্কোর : পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব ৪৯.৫ ওভারে ২২৩ (জয়রাজ ৫৪, রুবেল ৫২, জাওয়াদ ২৩, রাকিব ২৬ ; মাহমুদুল ৩/৪৬, আলআমিন ৩/১৭)।

রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্লাব ২২৫/৬ (মজিদ ১০০*, গালিব ৫০, আরিফুল ৩৪ ; আহরার ২/৩২)। ম্যাচসেরা : আব্দুল মজিদ

back to top