হাসান নাওয়াজের সেঞ্চুরিতেই পাকিস্তানের জয়
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাকিস্তানের ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম শতরান হাসান নাওয়াজ। শুক্রবার অকল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৪ বলে শতরান করেন। ভাঙেন বাবর আজমের ৪৯ বলে করা শতরানের রেকর্ড। ইডেন পার্কে স্বাগতিকেদের বিপক্ষে ৯ উইকেটে জিতেছে পাকিস্তান। ম্যাচেসেরা নাওয়াজ।
পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টির এই সিরিজেই পাকিস্তানের জার্সিতে অভিষেক হয় তরুণ ওপেনারের। প্রথম দু’টি ম্যাচে শূন্য করার পর তৃতীয় ম্যাচেই রেকর্ড গড়লেন তিনি। ১০৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২০৫ রান তাড়া করে ম্যাচও জেতালেন দলকে।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দুইশত বা তার চেয়ে বেশি রান দ্রুত তাড়া করে জয়ের নয়া রেকর্ড গড়লো পাকিস্তান। ৪৪ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকেন নাওয়াজ। টি-টোয়েন্টিতে যা পাকিস্তানের পক্ষে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড।
এ ম্যাচে নিউজিল্যান্ড জিতলেই সিরিজ জিতে যেত। কিন্তু তা হতে দিলেন না নাওয়াজ। প্রথমে ব্যাট করে স্বাগতিকরা ২০৪ রান করে। ৯৪ রান করেন মার্ক চ্যাপম্যান। ৪৪ বলে ১১টি চার ও ৪টি ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান চাপম্যান। ১৮ বলে ৩১ রান করেন অধিনায়ক মাইকেল ব্রেসওয়েল। তাদের দাপটেই ২০০ রানের গ-ি পার করে নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেন হারিস রউফ। ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নেন তিনি। দুর্দান্ত একটি ক্যাচও ধরেন রউফ। স্পিনার আবরার আহমেদ ৩ ওভারে ৪৩ রান দেন। তিনি দু’উইকেট নিয়েছেন। দু’টি করে উইকেট নিয়েছেন শাহিন আফ্রিদি এবং আব্বাস আফ্রিদি। খুশদিল শাহ (১৮) এবং সালমান আগা (১৩) এক ওভার করে বল করে প্রচুর রান দেন। তারা কোনও উইকেট পাননি।
জবাবে পাওয়ার প্লেতে ৭৪ রান তুলে বিচ্ছিন্ন হন মোহাম্মদ হারিস ও নাওয়াজ। জুটিতে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ২০ বলে ৪১ রানে থামেন হারিস।
সতীর্থকে হারানোর পর ২৬ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ম্যাচে রানের খাতা খুলতে না পারা নাওয়াজ।
দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক সালমান আগাকে নিয়ে পাকিস্তানের জয়ের পথ তৈরি করেন তিনি। ১৬তম ওভারের পঞ্চম ডেলিভারিতে চার মেরে ৪৪ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে বাবরের রেকর্ড ভাঙ্গেন নাওয়াজ। বাবর ৪৯ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন।
১৬তম ওভারের শেষ বলে চার মেরে পাকিস্তানকে স্মরণীয় জয় এনে দেন নাওয়াজ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দুইশ বা তার চেয়ে বেশি রান দ্রুত তাড়া করে জয়ের নয়া রেকর্ডের জন্ম দেয় পাকিস্তান। এর আগেরটি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০০৭ সালে জোহানেসবার্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০৬ রানের টার্গেট স্পর্শ করেছিল প্রোটিয়ারা।
১০টি চার ও ৭টি ছক্কায় ৪৫ বলে ১০৫ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা হন নাওয়াজ। ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৩১ বলে ৫১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন সালমান।
দুই দলের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি আগামীকাল।
ম্যাচ শেষে নাওয়াজ বলেন, ‘প্রথম দুই ম্যাচে যে ভাবে আউট হয়েছিলাম, তাতে হতাশ ছিলাম। কিন্তু অধিনায়ক এবং শাদাব (খান) আমার ওপর ভরসা রেখেছিল। ওরা আমাকে বার বার বলেছিলেন, নিজের মতো খেলতে।
শুক্রবার আমার লক্ষ্য ছিল এক রান নেয়া। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম রানটা করার পর অনেকটা চাপমুক্ত হয়ে গিয়েছিলাম।’
সংক্ষিপ্ত স্কোর : নিউজিল্যান্ড ১৯.৫ ওভারে ২০৪ (সাইফার্ট ১৯, চ্যাপম্যান ৯৪, মিচেল ১৭, ব্রেসওয়েল ৩১ ; আফ্রিদি ২/৩৬, আবরার ২/৪৩, রউফ ৩/২৯, আব্বাস ২/২৪)। পাকিস্তান ১৬ ওভারে ২০৭/১ (হারিস ৪১, নাওয়াজ ১০৫*, সালমান ৫১*; ডাফি ১/৩৭)
ম্যাচসেরা : হাসান নাওয়াজ।
হাসান নাওয়াজের সেঞ্চুরিতেই পাকিস্তানের জয়
শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাকিস্তানের ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম শতরান হাসান নাওয়াজ। শুক্রবার অকল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৪ বলে শতরান করেন। ভাঙেন বাবর আজমের ৪৯ বলে করা শতরানের রেকর্ড। ইডেন পার্কে স্বাগতিকেদের বিপক্ষে ৯ উইকেটে জিতেছে পাকিস্তান। ম্যাচেসেরা নাওয়াজ।
পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টির এই সিরিজেই পাকিস্তানের জার্সিতে অভিষেক হয় তরুণ ওপেনারের। প্রথম দু’টি ম্যাচে শূন্য করার পর তৃতীয় ম্যাচেই রেকর্ড গড়লেন তিনি। ১০৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২০৫ রান তাড়া করে ম্যাচও জেতালেন দলকে।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দুইশত বা তার চেয়ে বেশি রান দ্রুত তাড়া করে জয়ের নয়া রেকর্ড গড়লো পাকিস্তান। ৪৪ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকেন নাওয়াজ। টি-টোয়েন্টিতে যা পাকিস্তানের পক্ষে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড।
এ ম্যাচে নিউজিল্যান্ড জিতলেই সিরিজ জিতে যেত। কিন্তু তা হতে দিলেন না নাওয়াজ। প্রথমে ব্যাট করে স্বাগতিকরা ২০৪ রান করে। ৯৪ রান করেন মার্ক চ্যাপম্যান। ৪৪ বলে ১১টি চার ও ৪টি ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান চাপম্যান। ১৮ বলে ৩১ রান করেন অধিনায়ক মাইকেল ব্রেসওয়েল। তাদের দাপটেই ২০০ রানের গ-ি পার করে নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেন হারিস রউফ। ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নেন তিনি। দুর্দান্ত একটি ক্যাচও ধরেন রউফ। স্পিনার আবরার আহমেদ ৩ ওভারে ৪৩ রান দেন। তিনি দু’উইকেট নিয়েছেন। দু’টি করে উইকেট নিয়েছেন শাহিন আফ্রিদি এবং আব্বাস আফ্রিদি। খুশদিল শাহ (১৮) এবং সালমান আগা (১৩) এক ওভার করে বল করে প্রচুর রান দেন। তারা কোনও উইকেট পাননি।
জবাবে পাওয়ার প্লেতে ৭৪ রান তুলে বিচ্ছিন্ন হন মোহাম্মদ হারিস ও নাওয়াজ। জুটিতে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ২০ বলে ৪১ রানে থামেন হারিস।
সতীর্থকে হারানোর পর ২৬ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ম্যাচে রানের খাতা খুলতে না পারা নাওয়াজ।
দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক সালমান আগাকে নিয়ে পাকিস্তানের জয়ের পথ তৈরি করেন তিনি। ১৬তম ওভারের পঞ্চম ডেলিভারিতে চার মেরে ৪৪ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে বাবরের রেকর্ড ভাঙ্গেন নাওয়াজ। বাবর ৪৯ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন।
১৬তম ওভারের শেষ বলে চার মেরে পাকিস্তানকে স্মরণীয় জয় এনে দেন নাওয়াজ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দুইশ বা তার চেয়ে বেশি রান দ্রুত তাড়া করে জয়ের নয়া রেকর্ডের জন্ম দেয় পাকিস্তান। এর আগেরটি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০০৭ সালে জোহানেসবার্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০৬ রানের টার্গেট স্পর্শ করেছিল প্রোটিয়ারা।
১০টি চার ও ৭টি ছক্কায় ৪৫ বলে ১০৫ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা হন নাওয়াজ। ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৩১ বলে ৫১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন সালমান।
দুই দলের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি আগামীকাল।
ম্যাচ শেষে নাওয়াজ বলেন, ‘প্রথম দুই ম্যাচে যে ভাবে আউট হয়েছিলাম, তাতে হতাশ ছিলাম। কিন্তু অধিনায়ক এবং শাদাব (খান) আমার ওপর ভরসা রেখেছিল। ওরা আমাকে বার বার বলেছিলেন, নিজের মতো খেলতে।
শুক্রবার আমার লক্ষ্য ছিল এক রান নেয়া। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম রানটা করার পর অনেকটা চাপমুক্ত হয়ে গিয়েছিলাম।’
সংক্ষিপ্ত স্কোর : নিউজিল্যান্ড ১৯.৫ ওভারে ২০৪ (সাইফার্ট ১৯, চ্যাপম্যান ৯৪, মিচেল ১৭, ব্রেসওয়েল ৩১ ; আফ্রিদি ২/৩৬, আবরার ২/৪৩, রউফ ৩/২৯, আব্বাস ২/২৪)। পাকিস্তান ১৬ ওভারে ২০৭/১ (হারিস ৪১, নাওয়াজ ১০৫*, সালমান ৫১*; ডাফি ১/৩৭)
ম্যাচসেরা : হাসান নাওয়াজ।