সেঞ্চুরিয়ান নুরুল হাসান সোহান
টানা দুই বলে ছক্কায় সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন নুরুল হাসান সোহান। জয় থেকে তখনও ২৪ রান দূরে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব। দলকে জেতানোর প্রতিজ্ঞাই হয়তো ছিল অধিনায়কের। কিন্তু পারলেন না তিনি। টানা তৃতীয় ছক্কার চেষ্টায় ধরা পড়ে গেলেন সীমানায়। বীরোচিত ইনিংস খেলেও শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়তে হলো তাকে হতাশা নিয়ে। সোহানের বিদায়েই শেষ হয় ম্যাচ। দারুণ এক জয় পায় তামিম ইকবালের মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে লড়াইটা ছিল যেন সোহান বনাম মোহামেডান। ২১৭ রানের পুঁজি নিয়েও দারুণ বোলিংয়ে জয়ের পথ দ্রুতই তৈরি করে নেয় তারা। কিন্তু প্রবল প্রতিরোধে বাধা হয়ে দাঁড়ান সোহান। বলতে গেলে একার লড়াইয়ে জিইয়ে রাখেন ধানমন্ডির জয়ের আশা। ৯২ বলে সেঞ্চুরি করা ব্যাটারকে ফিরিয়েই শেষ পর্যন্ত ২৩ রানের জয় পায় মোহামেডান।
সাত ম্যাচে মোহামেডানের এটি পঞ্চম জয়। সমান ম্যাচে ধানমন্ডির জয় তিনটি।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রানের জন্য ভুগতে হয় তামিম ইকবাল ও রনি তালুকদার। প্রথম ১০ ওভারে কেবল ৩১ রান এলেও উইকেট পড়েনি। ধৈর্য হারিয়ে সানজামুলকে রিভার্স সুইপ খেলে ক্যাচ দেন তামিম, করেন ৫৩ বলে ২৬ রান। আরেক ওপেনার রনির ব্যাট থেকে আসে ৬৪ বলে ৩৯ রান। তিন নম্বরে মাহিদুল ৪৪ রান করেন ৭৭ বলে। দ্রুত রান তোলার তাগিদে চারে নেমে সাইফ উদ্দিন ফিরেন শূণ্য রানে। আরও একবার হতাশ করেন মুশফিকুর রহিম। স্লগ সুইপ খেলে অভিজ্ঞ এ ব্যাটার (৬) ফিরেন।
ছয় নম্বরে নেমে তাওহিদ হৃদয় ৫ চারে ৪৭ বলে ৫৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। এর সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজ ২৪ বলে ২৬ ও আবু হায়দারের ১৩ বলে ১৮ রানের সৌজন্যে দুইশ পেরোয় মোহামেডান।
ধানমন্ডির রান তাড়ায় শুরুতে ঝড় তুলে হাবিব ফিরেন পঞ্চম ওভারে, ৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৬ বলে ৩১ রান তুলে।
চার নম্বরে নেমে একপ্রান্ত ধরে রাখেন সোহান। ইয়াসির আলি, মইন খান, জিয়াউর রহমানও হতাশ করলে ৭৯ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারায় তারা।
সপ্তম উইকেটে মাসুম খানের সঙ্গে প্রতিরোধ গড়েন ধানমন্ডি অধিনায়ক। দুজন মিলে যোগ করেন ৩৮ রান। ১৮ রান করা মাসুমের বিদায়ের পর দলের পুরো দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে নেন সোহান।
তখনও জয় থেকে একশ রান দূরে ধানমন্ডি আর সোহান অপরাজিত ৪৩ রানে। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৫৫ বলে ফিফটি করেন তিনি। পরে লোয়ার অর্ডারদের নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন। তবে কাউকে লম্বা সময় সঙ্গী পাননি।
শেষ ব্যাটসম্যান ক্রিজে যাওয়ার পর নিজের করণীয় বুঝে নেন সোহান। ৮৮ থেকে সাইফের টানা দুই বলে কাভারের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরে পৌঁছে যান শতরানে।
বাকি পথটুকুর জন্যও বড় শটকেই বেছে নিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু টানা তৃতীয় ছক্কা আর হয়নি। সীমানায় তার ক্যাচ নেন হৃদয়, বাঁধনহারা উল্লাসে মেতে ওঠেন বোলার সাইফ ও সতীর্থরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : মোহামেডান স্পোর্টিং ২১৬/৬ (রনি ৩৯, তামিম ২৬, মাহিদুল ৪৪, হৃদয় ৫৩*, মিরাজ ২৬ ; কামরুল ৩/৫৪, মুরাদ ২/৩১)। ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব ৪৩.৩ ওভারে ১৯৩ (হাবিবুর ৩১, সোহান ১০০; তাসকিন ২/৫০, তাইজুল ২/৪০)।
ম্যাচসেরা : নুরুল হাসান সোহান।
সেঞ্চুরিয়ান নুরুল হাসান সোহান
শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
টানা দুই বলে ছক্কায় সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন নুরুল হাসান সোহান। জয় থেকে তখনও ২৪ রান দূরে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব। দলকে জেতানোর প্রতিজ্ঞাই হয়তো ছিল অধিনায়কের। কিন্তু পারলেন না তিনি। টানা তৃতীয় ছক্কার চেষ্টায় ধরা পড়ে গেলেন সীমানায়। বীরোচিত ইনিংস খেলেও শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়তে হলো তাকে হতাশা নিয়ে। সোহানের বিদায়েই শেষ হয় ম্যাচ। দারুণ এক জয় পায় তামিম ইকবালের মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে লড়াইটা ছিল যেন সোহান বনাম মোহামেডান। ২১৭ রানের পুঁজি নিয়েও দারুণ বোলিংয়ে জয়ের পথ দ্রুতই তৈরি করে নেয় তারা। কিন্তু প্রবল প্রতিরোধে বাধা হয়ে দাঁড়ান সোহান। বলতে গেলে একার লড়াইয়ে জিইয়ে রাখেন ধানমন্ডির জয়ের আশা। ৯২ বলে সেঞ্চুরি করা ব্যাটারকে ফিরিয়েই শেষ পর্যন্ত ২৩ রানের জয় পায় মোহামেডান।
সাত ম্যাচে মোহামেডানের এটি পঞ্চম জয়। সমান ম্যাচে ধানমন্ডির জয় তিনটি।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রানের জন্য ভুগতে হয় তামিম ইকবাল ও রনি তালুকদার। প্রথম ১০ ওভারে কেবল ৩১ রান এলেও উইকেট পড়েনি। ধৈর্য হারিয়ে সানজামুলকে রিভার্স সুইপ খেলে ক্যাচ দেন তামিম, করেন ৫৩ বলে ২৬ রান। আরেক ওপেনার রনির ব্যাট থেকে আসে ৬৪ বলে ৩৯ রান। তিন নম্বরে মাহিদুল ৪৪ রান করেন ৭৭ বলে। দ্রুত রান তোলার তাগিদে চারে নেমে সাইফ উদ্দিন ফিরেন শূণ্য রানে। আরও একবার হতাশ করেন মুশফিকুর রহিম। স্লগ সুইপ খেলে অভিজ্ঞ এ ব্যাটার (৬) ফিরেন।
ছয় নম্বরে নেমে তাওহিদ হৃদয় ৫ চারে ৪৭ বলে ৫৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। এর সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজ ২৪ বলে ২৬ ও আবু হায়দারের ১৩ বলে ১৮ রানের সৌজন্যে দুইশ পেরোয় মোহামেডান।
ধানমন্ডির রান তাড়ায় শুরুতে ঝড় তুলে হাবিব ফিরেন পঞ্চম ওভারে, ৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৬ বলে ৩১ রান তুলে।
চার নম্বরে নেমে একপ্রান্ত ধরে রাখেন সোহান। ইয়াসির আলি, মইন খান, জিয়াউর রহমানও হতাশ করলে ৭৯ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারায় তারা।
সপ্তম উইকেটে মাসুম খানের সঙ্গে প্রতিরোধ গড়েন ধানমন্ডি অধিনায়ক। দুজন মিলে যোগ করেন ৩৮ রান। ১৮ রান করা মাসুমের বিদায়ের পর দলের পুরো দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে নেন সোহান।
তখনও জয় থেকে একশ রান দূরে ধানমন্ডি আর সোহান অপরাজিত ৪৩ রানে। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৫৫ বলে ফিফটি করেন তিনি। পরে লোয়ার অর্ডারদের নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন। তবে কাউকে লম্বা সময় সঙ্গী পাননি।
শেষ ব্যাটসম্যান ক্রিজে যাওয়ার পর নিজের করণীয় বুঝে নেন সোহান। ৮৮ থেকে সাইফের টানা দুই বলে কাভারের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরে পৌঁছে যান শতরানে।
বাকি পথটুকুর জন্যও বড় শটকেই বেছে নিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু টানা তৃতীয় ছক্কা আর হয়নি। সীমানায় তার ক্যাচ নেন হৃদয়, বাঁধনহারা উল্লাসে মেতে ওঠেন বোলার সাইফ ও সতীর্থরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : মোহামেডান স্পোর্টিং ২১৬/৬ (রনি ৩৯, তামিম ২৬, মাহিদুল ৪৪, হৃদয় ৫৩*, মিরাজ ২৬ ; কামরুল ৩/৫৪, মুরাদ ২/৩১)। ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব ৪৩.৩ ওভারে ১৯৩ (হাবিবুর ৩১, সোহান ১০০; তাসকিন ২/৫০, তাইজুল ২/৪০)।
ম্যাচসেরা : নুরুল হাসান সোহান।