গতকাল কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে (বাঁ থেকে) রিঙ্কু সিংহ, শাহরুখ খান ও ভিরাট কোহলি
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল) এর অষ্টাদশ আসর শুরু হয়েছে শনিবার। ইডেন গার্ডেন্সে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স ও কখনও শিরোপা জিততে না পারা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ম্যাচ দিয়ে শুরু হয় এবারের আইপিএল।
ম্যাচের আগে আকর্ষণীয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিল নানা আয়োজন। গ্রুপ ‘এ’- চেন্নাই সুপার কিংস, কলকাতা নাইট রাইডার্স, রাজস্থান রয়্যালস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, পাঞ্জাব কিংস।
গ্রুপ ‘বি’- মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, গুজরাট টাইটান্স, দিল্লি ক্যাপিটালস ও লাক্ষ্নৌ সুপার জায়ান্টস। দুই মাসের বেশি সময় ধরে ৭৪টি ম্যাচ হবে এবারের আসরে। প্রথম কোয়ালিফায়ার ও এলিমিনেটর ম্যাচ হবে হায়দরাবাদে, আগামী ২০ ও ২১ মে। আগামী ২৩ মে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার কলকাতায়। ফাইনাল ম্যাচটিও এবার হবে শুরুর মঞ্চেই, কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে আগামী ২৫ মে।
টুর্নামেন্টের দল ১০টি, কিন্তু খেলা হবে ১৩টি ভেন্যুতে।
১০ দলকে ভাগ করা হয়েছে দুটি গ্রুপে। নিজের গ্রুপের চার দলের সঙ্গে ‘হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে’ ভিত্তিতে লড়াই হবে দু’বার করে। অন্য গ্রুপের একটি দলের সঙ্গেও হবে দুটি ম্যাচ, যেটি ঠিক করা হয়েছে সিডিংয়ের ভিত্তিতে। অন্য গ্রুপের বাকি চার দলের সঙ্গে ম্যাচ হবে একটি করে।
প্রাথমিক পর্বে প্রতি দল খেলবে ১৪টি করে ম্যাচ- ঘরের মাঠে ৭টি, প্রতিপক্ষের মাঠে ৭টি। শীর্ষ চার দল খেলবে প্লে-অফে।
১০ দলের পাঁচটিই এবার খেলবে নতুন অধিনায়কের নেতৃত্বে। গতবছর কলকাতাকে শিরোপা এনে দেয়া শ্রেয়াস আইয়ার এবার পাঞ্জাবের অধিনায়ক, দিল্লি থেকে
লখনউ পাড়ি জমিয়ে অধিনায়কত্ব পেয়েছেন রিশাভ পান্ত। আইপিএলের নিলামে এবার ঝড় তুলেছিলেন দুজনই।
এছাড়া এবার কলকাতার অধিনায়ক অভিজ্ঞ আজিঙ্কা রাহানে, দিল্লির অধিনায়ক অলরাউন্ডার আকসার প্যাটেল এবং বেঙ্গালুরু খেলবে রাজাত পাতিদারের নেতৃত্বে।
বাকি পাঁচ দলের অধিনায়ক আগের মতোই- মুম্বাইয়ের হার্দিক পান্ডিয়া, হায়দরাবাদের প্যাট কামিন্স, চেন্নাইয়ের রুতুরাজ গায়কোয়াড়, গুজরাটের শুবমান গিল ও রাজস্থানের সাঞ্জু স্যামসন।
পান্ডিয়ার নিষেধাজ্ঞার কারণে অবশ্য মুম্বাইয়ের প্রথম ম্যাচে অধিনায়ক থাকবেন সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ। আঙুলের চোটের কারণে প্রথম তিন ম্যাচে শুধু ব্যাটিংয়ের সময় নামবেন স্যামসন, কিপিং বা ফিল্ডিং করতে পারবেন না। এই তিন ম্যাচে রাজস্থানের অধিনায়ক রিয়ান পারাগ।
নিলামের আগেই এবার অনুমিত ছিল, রিশাভ পান্ত ও শ্রেয়াস আইয়ারকে নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়বে। হয়েছেও তেমনটিই। রেকর্ড ২৭ কোটি রুপিতে পান্তকে দলে নেয় লাক্ষ্নৌ। খুব পিছিয়ে ছিলেন না শ্রেয়াসও। তাকে পেতে পাঞ্জাবের খরচ পড়ে ২৬ কোটি ৭৫ লাখ।
নিলামের আগে ভেঙ্কাটেশ আইয়ারকে ছেড়ে দিয়ে তাকে আবার ২৩ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে নিয়েছে কলকাতা। ২৩ কোটি রুপিতে হাইনরিখ ক্লসেনকে ধরে রেখেছে হায়দরাবাদ।
নিজেদের ‘আইকন’ মাহেন্দ্র সিং ধোনিকে এবার মাত্র ৪ কোটি রুপিতে ধরে রাখতে পেরেছে চেন্নাই সুপার কিংস।
থুথু ব্যবহার করে বল উজ্জ্বল করার সেই চিরায়ত দৃশ্য আবার দেখা যাবে এবারের আইপিএলে। কোভিড মহামারির সময় স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা ভেবে বলে থুথুর ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল আইসিসি। সেই দিনগুলি চলে গেলেও ক্রিকেটবিশ্বজুড়ে নিয়মটি রয়ে গেছে এখনও। সেখান থেকেই আবার থুথু লাগানোর দিনগুলোতে ফিরে যাচ্ছে আইপিএল।
এছাড়া অফ স্টাম্পের বাইরের ওয়াইড ও মাথার ওপরের ওয়াইডের জন্য হক-আই প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে এবার।
আগে শুধু কোমরের উচ্চতার নো-বলের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের নিয়ম ছিল।
অধিনায়কদের জন্য একটি স্বস্তির খবরও এসেছে এবার। মন্থর ওভার রেটের কারণে অধিনায়কদের আর নিষিদ্ধ হতে হবে না। তবে জরিমানা করা হবে, ডিমেরিট পয়েন্ট দেয়া হবে এবং মাঠেই ফিল্ডিং বাধ্যবাধকতার শাস্তি দেয়া হবে।
গতকাল কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে (বাঁ থেকে) রিঙ্কু সিংহ, শাহরুখ খান ও ভিরাট কোহলি
শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল) এর অষ্টাদশ আসর শুরু হয়েছে শনিবার। ইডেন গার্ডেন্সে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স ও কখনও শিরোপা জিততে না পারা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ম্যাচ দিয়ে শুরু হয় এবারের আইপিএল।
ম্যাচের আগে আকর্ষণীয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিল নানা আয়োজন। গ্রুপ ‘এ’- চেন্নাই সুপার কিংস, কলকাতা নাইট রাইডার্স, রাজস্থান রয়্যালস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, পাঞ্জাব কিংস।
গ্রুপ ‘বি’- মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, গুজরাট টাইটান্স, দিল্লি ক্যাপিটালস ও লাক্ষ্নৌ সুপার জায়ান্টস। দুই মাসের বেশি সময় ধরে ৭৪টি ম্যাচ হবে এবারের আসরে। প্রথম কোয়ালিফায়ার ও এলিমিনেটর ম্যাচ হবে হায়দরাবাদে, আগামী ২০ ও ২১ মে। আগামী ২৩ মে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার কলকাতায়। ফাইনাল ম্যাচটিও এবার হবে শুরুর মঞ্চেই, কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে আগামী ২৫ মে।
টুর্নামেন্টের দল ১০টি, কিন্তু খেলা হবে ১৩টি ভেন্যুতে।
১০ দলকে ভাগ করা হয়েছে দুটি গ্রুপে। নিজের গ্রুপের চার দলের সঙ্গে ‘হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে’ ভিত্তিতে লড়াই হবে দু’বার করে। অন্য গ্রুপের একটি দলের সঙ্গেও হবে দুটি ম্যাচ, যেটি ঠিক করা হয়েছে সিডিংয়ের ভিত্তিতে। অন্য গ্রুপের বাকি চার দলের সঙ্গে ম্যাচ হবে একটি করে।
প্রাথমিক পর্বে প্রতি দল খেলবে ১৪টি করে ম্যাচ- ঘরের মাঠে ৭টি, প্রতিপক্ষের মাঠে ৭টি। শীর্ষ চার দল খেলবে প্লে-অফে।
১০ দলের পাঁচটিই এবার খেলবে নতুন অধিনায়কের নেতৃত্বে। গতবছর কলকাতাকে শিরোপা এনে দেয়া শ্রেয়াস আইয়ার এবার পাঞ্জাবের অধিনায়ক, দিল্লি থেকে
লখনউ পাড়ি জমিয়ে অধিনায়কত্ব পেয়েছেন রিশাভ পান্ত। আইপিএলের নিলামে এবার ঝড় তুলেছিলেন দুজনই।
এছাড়া এবার কলকাতার অধিনায়ক অভিজ্ঞ আজিঙ্কা রাহানে, দিল্লির অধিনায়ক অলরাউন্ডার আকসার প্যাটেল এবং বেঙ্গালুরু খেলবে রাজাত পাতিদারের নেতৃত্বে।
বাকি পাঁচ দলের অধিনায়ক আগের মতোই- মুম্বাইয়ের হার্দিক পান্ডিয়া, হায়দরাবাদের প্যাট কামিন্স, চেন্নাইয়ের রুতুরাজ গায়কোয়াড়, গুজরাটের শুবমান গিল ও রাজস্থানের সাঞ্জু স্যামসন।
পান্ডিয়ার নিষেধাজ্ঞার কারণে অবশ্য মুম্বাইয়ের প্রথম ম্যাচে অধিনায়ক থাকবেন সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ। আঙুলের চোটের কারণে প্রথম তিন ম্যাচে শুধু ব্যাটিংয়ের সময় নামবেন স্যামসন, কিপিং বা ফিল্ডিং করতে পারবেন না। এই তিন ম্যাচে রাজস্থানের অধিনায়ক রিয়ান পারাগ।
নিলামের আগেই এবার অনুমিত ছিল, রিশাভ পান্ত ও শ্রেয়াস আইয়ারকে নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়বে। হয়েছেও তেমনটিই। রেকর্ড ২৭ কোটি রুপিতে পান্তকে দলে নেয় লাক্ষ্নৌ। খুব পিছিয়ে ছিলেন না শ্রেয়াসও। তাকে পেতে পাঞ্জাবের খরচ পড়ে ২৬ কোটি ৭৫ লাখ।
নিলামের আগে ভেঙ্কাটেশ আইয়ারকে ছেড়ে দিয়ে তাকে আবার ২৩ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে নিয়েছে কলকাতা। ২৩ কোটি রুপিতে হাইনরিখ ক্লসেনকে ধরে রেখেছে হায়দরাবাদ।
নিজেদের ‘আইকন’ মাহেন্দ্র সিং ধোনিকে এবার মাত্র ৪ কোটি রুপিতে ধরে রাখতে পেরেছে চেন্নাই সুপার কিংস।
থুথু ব্যবহার করে বল উজ্জ্বল করার সেই চিরায়ত দৃশ্য আবার দেখা যাবে এবারের আইপিএলে। কোভিড মহামারির সময় স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা ভেবে বলে থুথুর ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল আইসিসি। সেই দিনগুলি চলে গেলেও ক্রিকেটবিশ্বজুড়ে নিয়মটি রয়ে গেছে এখনও। সেখান থেকেই আবার থুথু লাগানোর দিনগুলোতে ফিরে যাচ্ছে আইপিএল।
এছাড়া অফ স্টাম্পের বাইরের ওয়াইড ও মাথার ওপরের ওয়াইডের জন্য হক-আই প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে এবার।
আগে শুধু কোমরের উচ্চতার নো-বলের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের নিয়ম ছিল।
অধিনায়কদের জন্য একটি স্বস্তির খবরও এসেছে এবার। মন্থর ওভার রেটের কারণে অধিনায়কদের আর নিষিদ্ধ হতে হবে না। তবে জরিমানা করা হবে, ডিমেরিট পয়েন্ট দেয়া হবে এবং মাঠেই ফিল্ডিং বাধ্যবাধকতার শাস্তি দেয়া হবে।