alt

খেলা

সুযোগ নষ্ট করে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ড্র

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক : মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের একটি আক্রমণ

এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে বাংলাদেশ-ভারত প্রথম পর্বের খেলাটি গোল শুন্য ড্র হয়েছে। মঙ্গলবার ভারতের শিলংয়ে অনুষ্ঠিত ম্যাচে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা পুরোপুরি দাপট দেখালেও শেষ পর্যন্ত স্কোরলাইন গোলশূন্য থাকে । প্রায় পুরো ম্যাচে আক্রমণের বন্যা বইয়ে দিলেও সুযোগ নষ্টের মহড়া দিয়েছে হাভিয়ের কাবরেরা শিষ্যরা।

কিক অফের পরেই সুযোগ কড়া নাড়ল দরজায়, কিন্তু কী অবিশ্বাস্যভাবেই তা নষ্ট করল বাংলাদেশ। শাহরিয়ার ইমন কিক অফের শট নিলেন হামজার চৌধুরীর উদ্দেশে। তিনি বল রিসিভ করেই লং পাস বাড়ালেন ডান দিকে। মজিবুর রহমান জনি প্রস্তুত ছিলেন না, ভারতীয় গোলকিপার বিশাল কাইথ বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে তুলে দিলেন তার পায়েই! কিন্তু ফাঁকা পোস্টে জনি দূরূহ কোণ থেকে বাইরের জাল কাঁপালেন তাড়াহুড়া করে শট নিয়ে!

এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে মঙ্গলবার ভারতের বিপক্ষে, বিশেষ করে প্রথমার্ধে একাধিক সুযোগ পেল বাংলাদেশ। কাজে লাগাতে পারল না একটিও। চেনা মাঠে, দর্শকের সামনে আলো ছড়াতে পারলেন না অবসর ভেঙে ফেরা সুনিল ছেত্রি; ভারতও পেল না জালের দেখা। তাতে গোলশূন্য সমতায় শেষ হলো দুই দলের লড়াই।

শুরু থেকে আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। দশম মিনিটে শাকিল আহাদ তপুর ক্রসে ইমনের হেড পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। একটু পর রাকিব ও জনির মধ্যে থেকে কর্নারের বিনিময়ে বিপদমুক্ত করেন এক ডিফেন্ডার। কর্নার নিতে আসেন হামজা। গ্যালারি থেকে এবার শুরু হয় দুয়ো! অথচ শেফিল্ড শিল্ডে খেলা এই বাংলাদেশি ফুটবলারকে কিক অফের আগে নাম ঘোষণার সময় উল্লাস করে স্বাগত জানিয়েছিল দর্শকরা!

হামজার কর্নার গ্লাভসে নেওয়ার পর ইন্ডিয়ান সুপার লিগে রেকর্ড ৫০ ম্যাচ ক্লিনশিট রাখা কাইথের কল্যাণে সুযোগ আসে আবারও। তার গোল কিক শাকিল আহাদ তপুর পিঠে লেগে বল চলে যায় বক্সের ভেতরে থাকা হৃদয়ের পায়ে। এই মিডফিল্ডারের শট কর্নারের বিনিময়ে ফেরান শুভাশিষ বোস।

অষ্টাদশ মিনিটে শেখ মোরসালিনের ক্রসে ইমন ঠিকঠাক মাথা ছোঁয়াতে পারেননি। পোস্টে বল থাকলে খুলতে পারত ম্যাচের ডেডলক। এর একটু পরই চোট নিয়ে মাঠ ছাড়ে অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার তপু। তার বদলি নামেন রহমত মিয়া।

ছেত্রিকে কড়া পাহারায় রাখার কাজটুকু শুরু থেকে দারুণভাবে করছিলেন কাজী তারিক রায়হান। তাতে পোস্টে মিতুলকে তেমন কোনো পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হচ্ছিল না। ২৮তম মিনিটে লিস্টন কোলাসোর কাছের পোস্টে নেওয়া শট অনায়াসে গ্লাভসে জমান তিনি।

৩১তম মিনিটে প্রথম কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হন মিতুল। বাম দিক থেকে কোলাসোর ক্রসে উদান্তা সিংয়ের হেড গোল লাইন থেকে ফেরান শাকিল আহাদ তপু, এরপর ছোট বক্সের ভেতর থেকে ফারুক চৌধুরীর ফিরতি শট ঝাঁপিয়ে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় আটকে সে পরীক্ষায় উতরে যান মিতুল।

দশ মিনিটে পর আবারও জনি নষ্ট করেন সুবর্ণ সুযোগ। মাঝমাঠ থেকে উড়ে আসা বলে ইমনের হেড পাস করলে বল যায় তার কাছে। এক ছুটে বল পায়ে বক্সে ঢুকেও পড়েন তিনি। তখন সামনে কেবল ভারত গোলকিপার। অথচ না করলেন চিপ, না নিলেন শট, কাইথ ক্লিয়ার করলেন অনায়াসে।

দ্বিতীয়ার্ধে ছন্দে ফিরে ভারত। সেন্টার ব্যাক তপু বর্মনের অনুপস্থিতিও কিছুটা যেন অনুভূত হতে থাকে। প্রথমার্ধের বন্দিদশা থেকে বেরিয়ে সুনিল হানা দিতে থাকেন বারবার। ৫৫তম মিনিটে কোলাসোর ক্রসে সুনিলে লাফিয়ে উঠেও বলের নাগাল পাননি আন্তর্জাতিক ফুটবলের চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলদাতা। একটু পর সুনিলের হেড হামজা লাফিয়ে আটকান। ভারতীয় কিংবদন্তি অবশ্য হ্যান্ডবলের দাবি তুলেন, সাড়া দেননি রেফারি।

৬২তম মিনিটে দুটি পরিবর্তন আনেন হাভিয়ের কাবরেরা। ইমন ও জনিকে তুলে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও চন্দন রায়কে নামান বাংলাদেশ কোচ। একটু পর কর্নার থেকে পাওয়া বলে ছেত্রির শট উড়ে যায় ক্রসবারের অনেক উপর দিয়ে।

দশ মিনিট পর বিপদে পড়তে পারত বাংলাদেশ। এই মাঠে পা পিছলে পড়ে যাওয়া নিয়ে খোদ ভারত কোচ উষ্মা জানিয়েছিলেন মালদ্বীপ ম্যাচের পর। একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হলো বাংলাদেশ। সাদউদ্দিনের ব্যাক পাস ধরতে গিয়ে পিছলে পড়ে যান সাদউদ্দিন, বল চলে যায় ছেত্রির কাছে। তার ছোট পাসে সুরেশ সিংজাঙ্গমের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।

একটু পরই এ অর্ধের জড়তা কাটিয়ে ওঠার ইঙ্গিত দেয় বাংলাদেশ। কিন্তু রাকিবের আড়াআড়ি ক্রসে ফাহিমের শট উড়ে যায় পোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে। মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে ৭৯তম মিনিটে দুটি বদলি করেন কাবরেরা। হৃদয় ও মোরসালিনকে তুলে সোহেল রানা ও সোহেল রানা জুনিয়রকে নামান তিনি।

৮৫তম মিনিটে দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছেত্রিকে তুলে নেন ভারত কোচ। বদলি নামেন ইরফান ওয়াদুদ। শেষ দিকে বক্সের বাইরে থেকে ফাহিমের শট আটকে ভারতের ত্রাতা কাইথ। যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে রাকিবের শট ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়। তাতে যে উচ্ছ্বাস, উন্মাদনা নিয়ে শুরু হয়েছিল দুই প্রতিবেশির ম্যাচটি, দুই দলের জন্যই শেষটা হয়েছে সমতার স্বস্তিতে।

৪১তম মিনিটে সঙ্গে লেগে থাকা প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারকে গতিতে পেছনে ফেলেন জনি। বল পায়ে বক্সেও ঢুকে পড়েন তিনি। কিন্তু মূল কাজই করতে ব্যর্থ হন। ভারতের গোলরক্ষককে একা পেয়েও শটই নিতে পারেননি তিনি। আরেকবার হাঁপ ছেড়ে বাঁচে স্বাগতিকরা।

ছবি

সুযোগ পেলে আইপিএলে খেলতে চান আমির

ছবি

ডিপিএলে টিকে গেল ব্রাদার্স

ছবি

তীব্র লড়াইয়ের পরও ম্যাচ হেরে সিরিজ খোয়ালো বাংলাদেশ

ছবি

ঢাকায় হামজাদের ম্যাচের টিকেট অনলাইনে

ছবি

ফের নিষিদ্ধ তাওহীদ হৃদয়

এশিয়ান ইয়ুথ, সলিডারিটি ও এসএ গেমসের ৫০ ডিসিপ্লিনে লড়বে বাংলাদেশ

ছবি

সাফ অ্যাথলেটিক্স স্থগিত

ছবি

সাফ ফুটবল আকস্মিক স্থগিত

ছবি

চট্টগ্রাম টেস্টে তিন স্পিনার নিয়ে খেলার ভাবনায় স্বাগতিকরা

ছবি

স্থগিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ, ২০২৬ সালে পরবর্তী আসর

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

ইন্টারকে উড়িয়ে ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে এসি মিলান

ছবি

লা লিগায় গিলেরের দুর্দান্ত গোলে রেয়ালের জয়

ছবি

পরাজয়ের দায় নিজের কাঁধে নিলেন শান্ত

ছবি

১৫৩ রান করে সৌম্য জেতালেন রূপগঞ্জকে

ছবি

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে গ্রুপসেরা বাংলাদেশ

‘আমরা জিততে চেয়েছিলাম, যেকোনো কিছুর চেয়েও বেশি’

ছবি

বাংলাদেশকে হতাশায় ডুবিয়ে চার বছর পর জিম্বাবুয়ের জয়

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

বার্নলির কাছে হেরে ঝামেলায় জড়ালেন হামজা

ছবি

নেপালে নারী কাবাডি দলের জয়

ছবি

৩০০ হলে ভালো জায়গায় থাকবে বাংলাদেশ: মোমিনুল

ছবি

এএইচএফ কাপ হকির সেমিতে বাংলাদেশ

ছবি

আবাহনী-বসুন্ধরা ফাইনাল স্থগিত

ছবি

মেয়েদের ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে নাহিদা, শারমিন ও রিতুর উন্নতি

ছবি

শান্তর লড়াইয়ে ১১২ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

শ্রীলঙ্কা গেল যুব ক্রিকেট দল

ছবি

প্রথম তিন ম্যাচে ভালো করার ফল পেয়েছি: জ্যোতি

ছবি

নেপালে দ্বিতীয় টেস্টেও হার নারী কাবাডি দলের

ছবি

ম্যাচ বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণেই দেখছেন মিরাজ

ছবি

বাংলাদেশ আগের চেয়ে ইতিবাচক খেলার চেষ্টা করছে: সিমন্স

ছবি

মিরাজের দারুণ বোলিংয়ের পরও পিছিয়ে বাংলাদেশ

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

নেপালে নারী কাবাডি সিরিজ, বড় হারে শুরু বাংলাদেশের

ছবি

মেসির জন্য সরিয়ে নেয়া হলো ভেন্যু

tab

খেলা

সুযোগ নষ্ট করে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ড্র

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের একটি আক্রমণ

মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে বাংলাদেশ-ভারত প্রথম পর্বের খেলাটি গোল শুন্য ড্র হয়েছে। মঙ্গলবার ভারতের শিলংয়ে অনুষ্ঠিত ম্যাচে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা পুরোপুরি দাপট দেখালেও শেষ পর্যন্ত স্কোরলাইন গোলশূন্য থাকে । প্রায় পুরো ম্যাচে আক্রমণের বন্যা বইয়ে দিলেও সুযোগ নষ্টের মহড়া দিয়েছে হাভিয়ের কাবরেরা শিষ্যরা।

কিক অফের পরেই সুযোগ কড়া নাড়ল দরজায়, কিন্তু কী অবিশ্বাস্যভাবেই তা নষ্ট করল বাংলাদেশ। শাহরিয়ার ইমন কিক অফের শট নিলেন হামজার চৌধুরীর উদ্দেশে। তিনি বল রিসিভ করেই লং পাস বাড়ালেন ডান দিকে। মজিবুর রহমান জনি প্রস্তুত ছিলেন না, ভারতীয় গোলকিপার বিশাল কাইথ বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে তুলে দিলেন তার পায়েই! কিন্তু ফাঁকা পোস্টে জনি দূরূহ কোণ থেকে বাইরের জাল কাঁপালেন তাড়াহুড়া করে শট নিয়ে!

এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে মঙ্গলবার ভারতের বিপক্ষে, বিশেষ করে প্রথমার্ধে একাধিক সুযোগ পেল বাংলাদেশ। কাজে লাগাতে পারল না একটিও। চেনা মাঠে, দর্শকের সামনে আলো ছড়াতে পারলেন না অবসর ভেঙে ফেরা সুনিল ছেত্রি; ভারতও পেল না জালের দেখা। তাতে গোলশূন্য সমতায় শেষ হলো দুই দলের লড়াই।

শুরু থেকে আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। দশম মিনিটে শাকিল আহাদ তপুর ক্রসে ইমনের হেড পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। একটু পর রাকিব ও জনির মধ্যে থেকে কর্নারের বিনিময়ে বিপদমুক্ত করেন এক ডিফেন্ডার। কর্নার নিতে আসেন হামজা। গ্যালারি থেকে এবার শুরু হয় দুয়ো! অথচ শেফিল্ড শিল্ডে খেলা এই বাংলাদেশি ফুটবলারকে কিক অফের আগে নাম ঘোষণার সময় উল্লাস করে স্বাগত জানিয়েছিল দর্শকরা!

হামজার কর্নার গ্লাভসে নেওয়ার পর ইন্ডিয়ান সুপার লিগে রেকর্ড ৫০ ম্যাচ ক্লিনশিট রাখা কাইথের কল্যাণে সুযোগ আসে আবারও। তার গোল কিক শাকিল আহাদ তপুর পিঠে লেগে বল চলে যায় বক্সের ভেতরে থাকা হৃদয়ের পায়ে। এই মিডফিল্ডারের শট কর্নারের বিনিময়ে ফেরান শুভাশিষ বোস।

অষ্টাদশ মিনিটে শেখ মোরসালিনের ক্রসে ইমন ঠিকঠাক মাথা ছোঁয়াতে পারেননি। পোস্টে বল থাকলে খুলতে পারত ম্যাচের ডেডলক। এর একটু পরই চোট নিয়ে মাঠ ছাড়ে অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার তপু। তার বদলি নামেন রহমত মিয়া।

ছেত্রিকে কড়া পাহারায় রাখার কাজটুকু শুরু থেকে দারুণভাবে করছিলেন কাজী তারিক রায়হান। তাতে পোস্টে মিতুলকে তেমন কোনো পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হচ্ছিল না। ২৮তম মিনিটে লিস্টন কোলাসোর কাছের পোস্টে নেওয়া শট অনায়াসে গ্লাভসে জমান তিনি।

৩১তম মিনিটে প্রথম কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হন মিতুল। বাম দিক থেকে কোলাসোর ক্রসে উদান্তা সিংয়ের হেড গোল লাইন থেকে ফেরান শাকিল আহাদ তপু, এরপর ছোট বক্সের ভেতর থেকে ফারুক চৌধুরীর ফিরতি শট ঝাঁপিয়ে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় আটকে সে পরীক্ষায় উতরে যান মিতুল।

দশ মিনিটে পর আবারও জনি নষ্ট করেন সুবর্ণ সুযোগ। মাঝমাঠ থেকে উড়ে আসা বলে ইমনের হেড পাস করলে বল যায় তার কাছে। এক ছুটে বল পায়ে বক্সে ঢুকেও পড়েন তিনি। তখন সামনে কেবল ভারত গোলকিপার। অথচ না করলেন চিপ, না নিলেন শট, কাইথ ক্লিয়ার করলেন অনায়াসে।

দ্বিতীয়ার্ধে ছন্দে ফিরে ভারত। সেন্টার ব্যাক তপু বর্মনের অনুপস্থিতিও কিছুটা যেন অনুভূত হতে থাকে। প্রথমার্ধের বন্দিদশা থেকে বেরিয়ে সুনিল হানা দিতে থাকেন বারবার। ৫৫তম মিনিটে কোলাসোর ক্রসে সুনিলে লাফিয়ে উঠেও বলের নাগাল পাননি আন্তর্জাতিক ফুটবলের চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলদাতা। একটু পর সুনিলের হেড হামজা লাফিয়ে আটকান। ভারতীয় কিংবদন্তি অবশ্য হ্যান্ডবলের দাবি তুলেন, সাড়া দেননি রেফারি।

৬২তম মিনিটে দুটি পরিবর্তন আনেন হাভিয়ের কাবরেরা। ইমন ও জনিকে তুলে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও চন্দন রায়কে নামান বাংলাদেশ কোচ। একটু পর কর্নার থেকে পাওয়া বলে ছেত্রির শট উড়ে যায় ক্রসবারের অনেক উপর দিয়ে।

দশ মিনিট পর বিপদে পড়তে পারত বাংলাদেশ। এই মাঠে পা পিছলে পড়ে যাওয়া নিয়ে খোদ ভারত কোচ উষ্মা জানিয়েছিলেন মালদ্বীপ ম্যাচের পর। একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হলো বাংলাদেশ। সাদউদ্দিনের ব্যাক পাস ধরতে গিয়ে পিছলে পড়ে যান সাদউদ্দিন, বল চলে যায় ছেত্রির কাছে। তার ছোট পাসে সুরেশ সিংজাঙ্গমের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।

একটু পরই এ অর্ধের জড়তা কাটিয়ে ওঠার ইঙ্গিত দেয় বাংলাদেশ। কিন্তু রাকিবের আড়াআড়ি ক্রসে ফাহিমের শট উড়ে যায় পোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে। মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে ৭৯তম মিনিটে দুটি বদলি করেন কাবরেরা। হৃদয় ও মোরসালিনকে তুলে সোহেল রানা ও সোহেল রানা জুনিয়রকে নামান তিনি।

৮৫তম মিনিটে দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছেত্রিকে তুলে নেন ভারত কোচ। বদলি নামেন ইরফান ওয়াদুদ। শেষ দিকে বক্সের বাইরে থেকে ফাহিমের শট আটকে ভারতের ত্রাতা কাইথ। যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে রাকিবের শট ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়। তাতে যে উচ্ছ্বাস, উন্মাদনা নিয়ে শুরু হয়েছিল দুই প্রতিবেশির ম্যাচটি, দুই দলের জন্যই শেষটা হয়েছে সমতার স্বস্তিতে।

৪১তম মিনিটে সঙ্গে লেগে থাকা প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারকে গতিতে পেছনে ফেলেন জনি। বল পায়ে বক্সেও ঢুকে পড়েন তিনি। কিন্তু মূল কাজই করতে ব্যর্থ হন। ভারতের গোলরক্ষককে একা পেয়েও শটই নিতে পারেননি তিনি। আরেকবার হাঁপ ছেড়ে বাঁচে স্বাগতিকরা।

back to top