বার্সার গোল উদযাপন
লা লিগায় ওসাসুনার বিপক্ষে বৃহস্পতিবার খেলতে রাজি ছিল না বার্সেলোনা। পর পর ম্যাচ খেলতে হচ্ছে বলে অভিযোগ ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েই খেলতে নেমেছিল বার্সেলোনা। সেই ম্যাচে ৩-০ গোলে জেতে তারা।
সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১৯টি ম্যাচে অপরাজিত বার্সেলোনা। এ ম্যাচে খেলেননি রাফিনহা। দেশের হয়ে খেলতে গিয়েছেন তিনি। ম্যাচে চোট পেয়েছেন দানি।
ওসাসুনার বিপক্ষে ম্যাচটি ৮ মার্চ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে দিন বার্সেলোনা দলের চিকিৎসক মারা যান। সেই জন্য ম্যাচটি পিছিয়ে দেয়া হয়।
দুই দলের প্রথম দেখায় প্রতিপক্ষের মাঠে ৪-২ গোলে হেরেছিল বার্সেলোনা। ঘরের মাঠে এর মধুর প্রতিশোধ নিল তারা।
নিয়মিত খেলোয়াড়দের কয়েকজন নেই, তবে এর কোনো ছাপ পড়লো না বার্সেলোনার খেলায়। প্রথম মিনিট থেকে ওসাসুনার রক্ষণে প্রবল চাপ তৈরি করলো হান্সি ফ্লিকের দল।
তরেস দলকে এগিয়ে নেয়ার পর সফল স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দানি ওলমো। বদলি নেমে হেডে চমৎকার গোলে ফল নিয়ে সব অনিশ্চিয়তার ইতি টানেন লেভানদোস্কি। শুরু থেকে একের পর এক আক্রমণে ওসাসুনাকে ভীষণভাবে চেপে ধরে বার্সেলোনা। গোলও পেয়ে যায় দ্রুত। একাদশ মিনিটে ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের রক্ষণ চেরা পাস পেয়ে চলতি বলেই ক্রস করেন আলেহান্দ্রো বালেদ। দুই জনের কড়া পাহারার মধ্যেই ছুটে গিয়ে স্লাইডে জাল খুঁজে নেন তরেস।
২১তম মিনিটে সফল স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ওলমো। এর আগে নাটকীয়তা হয় বেশ।
স্প্যানিশ এই ফরোয়ার্ডকে ওসাসুনা গোলরক্ষক ফাউল করায় পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা। ওলমোর প্রথম শট ঠেকিয়ে দেন এররেরা। কিন্তু শট নেয়ার আগেই সফরকারীদের একজন ডি বক্সে ঢুকে পড়ায় ফের শট নেয়ার সুযোগ পান স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। একদম বার ঘেঁষে একই দিকে শট নেন। গোল করার পর বেশিক্ষণ মাঠে থাকতে পারেননি ওলমো। মৌসুমে তৃতীয়বারের মতো চোট পেয়ে ২৭তম মিনিটে মাঠ ছাড়েন তিনি। বদলি নামেন ফের্মিন লোপেস।
একই ছন্দে শুরু করা দ্বিতীয়ার্ধে একই ধারায় খেলে যায় বার্সেলোনা। ম্যাচে কিছুক্ষণ আক্রমণাত্মক ফুটবলে ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করে ওসাসুনা। গোমেসের সঙ্গে আসরে তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা আন্তে বুদেমির বদলি নামার পর বাড়ে দলটির আক্রমণের ধার। তবে চাপ বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তারা। ৭৭তম মিনিটে চমৎকার পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান বাড়ায় বার্সেলোনা। নিজেদের ডি বক্সের সামনে থেকে বাড়ানো বল ধরে লোপেস দারুণ ক্রসে খুঁজে নেন লেভানদোস্কিকে। অসাধারণ হেডে বাকিটা সারেন ছন্দে থাকা পোলিশ স্ট্রাইকার। চলতি আসরে এটি তার ২৩তম গোল।
২৮ ম্যাচে ২০ জয় ও তিন ড্রয়ে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বার্সেলোনা। ৬০ পয়েন্ট নিয়ে দুই রেয়াল মাদ্রিদ, ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আতলেতিকো মাদ্রিদ।
৩৩ পয়েন্ট নিয়ে ১৪ নম্বরেই আছে ওসাসুনা।
ওসাসুনার বিপক্ষে জিতে বার্সেলোনার কোচ হ্যান্সি ফ্লিক বলেন, ‘তিন পয়েন্ট পেলেও দানি চোট পেয়েছে। জানি না কত দিন খেলতে পারবে না ও। যদি আগামী দু’তিন সপ্তাহ খেলতে না পারে, তা হলে অনেকগুলো ম্যাচে পাওয়া যাবে না তাকে।’
বার্সার গোল উদযাপন
শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫
লা লিগায় ওসাসুনার বিপক্ষে বৃহস্পতিবার খেলতে রাজি ছিল না বার্সেলোনা। পর পর ম্যাচ খেলতে হচ্ছে বলে অভিযোগ ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েই খেলতে নেমেছিল বার্সেলোনা। সেই ম্যাচে ৩-০ গোলে জেতে তারা।
সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১৯টি ম্যাচে অপরাজিত বার্সেলোনা। এ ম্যাচে খেলেননি রাফিনহা। দেশের হয়ে খেলতে গিয়েছেন তিনি। ম্যাচে চোট পেয়েছেন দানি।
ওসাসুনার বিপক্ষে ম্যাচটি ৮ মার্চ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে দিন বার্সেলোনা দলের চিকিৎসক মারা যান। সেই জন্য ম্যাচটি পিছিয়ে দেয়া হয়।
দুই দলের প্রথম দেখায় প্রতিপক্ষের মাঠে ৪-২ গোলে হেরেছিল বার্সেলোনা। ঘরের মাঠে এর মধুর প্রতিশোধ নিল তারা।
নিয়মিত খেলোয়াড়দের কয়েকজন নেই, তবে এর কোনো ছাপ পড়লো না বার্সেলোনার খেলায়। প্রথম মিনিট থেকে ওসাসুনার রক্ষণে প্রবল চাপ তৈরি করলো হান্সি ফ্লিকের দল।
তরেস দলকে এগিয়ে নেয়ার পর সফল স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দানি ওলমো। বদলি নেমে হেডে চমৎকার গোলে ফল নিয়ে সব অনিশ্চিয়তার ইতি টানেন লেভানদোস্কি। শুরু থেকে একের পর এক আক্রমণে ওসাসুনাকে ভীষণভাবে চেপে ধরে বার্সেলোনা। গোলও পেয়ে যায় দ্রুত। একাদশ মিনিটে ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের রক্ষণ চেরা পাস পেয়ে চলতি বলেই ক্রস করেন আলেহান্দ্রো বালেদ। দুই জনের কড়া পাহারার মধ্যেই ছুটে গিয়ে স্লাইডে জাল খুঁজে নেন তরেস।
২১তম মিনিটে সফল স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ওলমো। এর আগে নাটকীয়তা হয় বেশ।
স্প্যানিশ এই ফরোয়ার্ডকে ওসাসুনা গোলরক্ষক ফাউল করায় পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা। ওলমোর প্রথম শট ঠেকিয়ে দেন এররেরা। কিন্তু শট নেয়ার আগেই সফরকারীদের একজন ডি বক্সে ঢুকে পড়ায় ফের শট নেয়ার সুযোগ পান স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। একদম বার ঘেঁষে একই দিকে শট নেন। গোল করার পর বেশিক্ষণ মাঠে থাকতে পারেননি ওলমো। মৌসুমে তৃতীয়বারের মতো চোট পেয়ে ২৭তম মিনিটে মাঠ ছাড়েন তিনি। বদলি নামেন ফের্মিন লোপেস।
একই ছন্দে শুরু করা দ্বিতীয়ার্ধে একই ধারায় খেলে যায় বার্সেলোনা। ম্যাচে কিছুক্ষণ আক্রমণাত্মক ফুটবলে ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করে ওসাসুনা। গোমেসের সঙ্গে আসরে তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা আন্তে বুদেমির বদলি নামার পর বাড়ে দলটির আক্রমণের ধার। তবে চাপ বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তারা। ৭৭তম মিনিটে চমৎকার পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান বাড়ায় বার্সেলোনা। নিজেদের ডি বক্সের সামনে থেকে বাড়ানো বল ধরে লোপেস দারুণ ক্রসে খুঁজে নেন লেভানদোস্কিকে। অসাধারণ হেডে বাকিটা সারেন ছন্দে থাকা পোলিশ স্ট্রাইকার। চলতি আসরে এটি তার ২৩তম গোল।
২৮ ম্যাচে ২০ জয় ও তিন ড্রয়ে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বার্সেলোনা। ৬০ পয়েন্ট নিয়ে দুই রেয়াল মাদ্রিদ, ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আতলেতিকো মাদ্রিদ।
৩৩ পয়েন্ট নিয়ে ১৪ নম্বরেই আছে ওসাসুনা।
ওসাসুনার বিপক্ষে জিতে বার্সেলোনার কোচ হ্যান্সি ফ্লিক বলেন, ‘তিন পয়েন্ট পেলেও দানি চোট পেয়েছে। জানি না কত দিন খেলতে পারবে না ও। যদি আগামী দু’তিন সপ্তাহ খেলতে না পারে, তা হলে অনেকগুলো ম্যাচে পাওয়া যাবে না তাকে।’