ফুলহ্যামের আক্রমণ প্রতিহত করছেন লিভারপুলের গোলরক্ষক
প্রমিয়ার লীগ টেবিলের শীর্ষে থাকা লিভারপুলকে ৩-২ গোলে পরাজিত করে গুরুত্বপূর্ণ ৩ পয়েন্ট অর্জন করেছে ফুলহ্যাম। দিনের আরেক ম্যাচে টটেনহ্যামের কাছে ৩-১ ব্যবধানে পরাজিত হয়ে রেলিগেটেড হয়ে গেছে সাউদাম্পটন।
ক্র্যাভেন কটেজের নাটকীয়তা ও টটেনহ্যামের বড় জয় এসবই অবশ্য চাপা পড়ে গেছে দিনের অন্যতম বড় ম্যাচ ম্যানচেস্টার ডার্বির উত্তেজনায়। দিনের শুরুতে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি অবশ্য গোলশুন্য ড্র হয়েছে।
গত শনিবার এভারটনের সঙ্গে আর্সেনাল ১-১ গোলে ড্র করায় রেকর্ড স্পর্শকারী ২০তম ইংলিশ লীগ শিরোপা জয়ে লিভাপুলের সামনে আর মাত্র ১১ পয়েন্টের প্রয়োজন ছিল। এর আগে আর্নে স্লটের দল লীগে টানা ২৬ ম্যাচে অপরাজিত ছিল। ১৪ মিনিটে অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের দুর্দান্ত গোলে লিভারপুল এগিয়ে যায়। কিন্তু লিভারপুল ডিফেন্ডারদের ব্যর্থতায় রায়ান সেসেগনন, এ্যালেক্স ইয়োবি ও রডরিগো মুনিজের গোলে ফুলহ্যাম দুর্দান্ত দাপটে ম্যাচে ৩-১ গোলের লিড নেয়। ৭২ মিনিটে লুইস দিয়াজ ১ গোল পরিশোধ করলেও তা ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি।
এই পরাজয় সত্তেও ২০২০ সালের পর প্রথম লীগ শিরোপা জয়ে লিভারপুল সঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছে। মৌসুম শেষ হতে আর মাত্র ৭ ম্যাচ বাকি রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর্সেনালের পক্ষেই কেবল লিভারপুলকে ধরা সম্ভব।
চ্যাম্পিয়ন্স লীগে পিএসজির কাছে পরাজিত হয়ে বিদায়ের পর লীগ কাপ ফাইনালে নিউক্যাসলের কাছে পরাজিত হবার পর গত বুধবার লিভারপুল মার্সিসাইড ডার্বিতে এভারটনকে ১-০ গোলে পরাজিত করে আবারও জয়ের ধারায় ফিরেছিল। কিন্তু ফুলহ্যামের কাছে আর পেরে উঠেনি।
এদিকে উত্তর লন্ডনে ব্রেনান জনসনের প্রথমার্ধের জোড়া গোলে টটেনহ্যাম ২-০ গোলে লিড পায়। মাথিয়াস ফার্নান্দেদেসের ৯০ মিনিটের গোলে সাউদাম্পটন ১ গোল পরিশোধ করেছিল। কিন্তু বদলি খেলোয়াড় মাথিস টেলের ইনজুরি টাইমের শেষ মুহূর্তের গোলে স্পার্সদের জয় নিশ্চিত হয়। একইসঙ্গে টেবিলের তলানির দল হিসেবে চ্যাম্পিয়নশিপে ফিরে যাওয়ার পথ নিশ্চিত হয় সাউদাম্পটনের।
এবারের মৌসুমে ৩১ ম্যাচের মধ্যে ২৫টিতেই পরাজিত হয়েছে সাউদাম্পটন। প্রথম দল হিসেবে ৭ ম্যাচ হাতে রেখেই প্রিমিয়ার লীগে রেলিগেশন নিশ্চিত হলো সাউদাম্পটনের।
ম্যানচেস্টার ডার্বি, বিরক্তি বাড়ালো দুই দলের ঘুমপাড়ানি ফুটবল
ইপিএলের ফিরতি পর্বে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে জিততে পারলো না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। প্রতিবেশী ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করলো তারা। প্রথম পর্বে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে গিয়ে জিতে এসেছিল ইউনাইটেড। ঘরের মাঠে তারা জিততে পারলো না। আর্লিং হালান্ডের মতো ফুটবলার না থাকার অভাব বুঝতে পারলো সিটি। ইউনাইটেডেও গোল করার ভালো ফুটবলার নেই। ভুগতে হলো তাদেরও।
ম্যাচের শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন সিটির রুবেন দিয়াস। পিছন থেকে আলেসান্দ্রো গারনাচোকে ফাউল করেন তিনি। রেফারি ইউনাইটেডকে ফ্রিকিক দেন। ফুটবলারেরা পেনাল্টির আবেদন করলেও রেফারি কানে তোলেননি। তবে শুরু থেকেই বেশ ছন্দে লাগছিল ইউনাইটেডকেই। বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করে তারা। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি।
শেষ ম্যানচেস্টার ডার্বি খেলতে নেমেছিলেন কেভিন দ্য ব্রুইন। তাকেই অধিনায়ক করা হয়েছিল এই ম্যাচে। নয় মিনিটের মাথায় অফসাইড দেয়া হয় তাকে। সিটির ম্যাথেউস নুনেসের একটি শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। প্রথমার্ধের খেলা যত এগোতে থাকে তত ম্যাচের দখল নিতে থাকে সিটি। বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল তাদেরই পায়ে। তবে এক সময় এত বেশি পাস খেলতে থাকে তারা যে বিরক্ত হয়ে যান দর্শকেরা।
২০ মিনিটের মাথায় একটি ভালো সুযোগ নষ্ট করে ইউনাইটেড। গারনাচো পাস দিয়েছিলেন দিয়েগো দালোতকে। দালোতের ক্রস বক্সে ভেসে আসলে তা মাথায় লাগাতে পারেননি ম্যানুয়েল উগার্তে। গারনাচো নিজেও চেষ্টা করেন হেড দেয়ার। তা কাজে লাগেনি। চার মিনিট পরে আরও একটি সুযোগ নষ্ট করে তারা। আবার গারনাচোকে দিয়ে শুরু হয়েছিল আক্রমণ। সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি প্যাট্রিক দোরগু। এর পর আরও একটি সুযোগ নষ্ট করেন উগার্তে। দুই দলই ফাইনাল থার্ডে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলছিল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে হলুদ কার্ড দেখেন বের্নার্দো সিলভা। দু’দলের হয়ে ব্রুনো ফের্নান্দেস এবং ফিল ফোডেন সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। একটি বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে দিয়াসের হাতে লাগে। এবারও ইউনাইটেডের আবেদন কর্ণপাত করেননি রেফারি। ৭০ মিনিটের মাথায় উগার্তের শট কয়েক ইঞ্চির জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়।
শেষের দিকে গোলের সন্ধানে দু’দলই একাধিক পরিবর্তন করে। ৮৬ মিনিটের মাথায় ম্যাসন মাউন্টের একটি পাস পেয়ে শট মেরেছিলেন জোশুয়া জির্কজি তা বাঁচিয়ে দেন দিয়াস। শেষ পর্যন্ত কোনো দলই গোল করতে পারেনি।
ফুলহ্যামের আক্রমণ প্রতিহত করছেন লিভারপুলের গোলরক্ষক
সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫
প্রমিয়ার লীগ টেবিলের শীর্ষে থাকা লিভারপুলকে ৩-২ গোলে পরাজিত করে গুরুত্বপূর্ণ ৩ পয়েন্ট অর্জন করেছে ফুলহ্যাম। দিনের আরেক ম্যাচে টটেনহ্যামের কাছে ৩-১ ব্যবধানে পরাজিত হয়ে রেলিগেটেড হয়ে গেছে সাউদাম্পটন।
ক্র্যাভেন কটেজের নাটকীয়তা ও টটেনহ্যামের বড় জয় এসবই অবশ্য চাপা পড়ে গেছে দিনের অন্যতম বড় ম্যাচ ম্যানচেস্টার ডার্বির উত্তেজনায়। দিনের শুরুতে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি অবশ্য গোলশুন্য ড্র হয়েছে।
গত শনিবার এভারটনের সঙ্গে আর্সেনাল ১-১ গোলে ড্র করায় রেকর্ড স্পর্শকারী ২০তম ইংলিশ লীগ শিরোপা জয়ে লিভাপুলের সামনে আর মাত্র ১১ পয়েন্টের প্রয়োজন ছিল। এর আগে আর্নে স্লটের দল লীগে টানা ২৬ ম্যাচে অপরাজিত ছিল। ১৪ মিনিটে অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের দুর্দান্ত গোলে লিভারপুল এগিয়ে যায়। কিন্তু লিভারপুল ডিফেন্ডারদের ব্যর্থতায় রায়ান সেসেগনন, এ্যালেক্স ইয়োবি ও রডরিগো মুনিজের গোলে ফুলহ্যাম দুর্দান্ত দাপটে ম্যাচে ৩-১ গোলের লিড নেয়। ৭২ মিনিটে লুইস দিয়াজ ১ গোল পরিশোধ করলেও তা ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি।
এই পরাজয় সত্তেও ২০২০ সালের পর প্রথম লীগ শিরোপা জয়ে লিভারপুল সঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছে। মৌসুম শেষ হতে আর মাত্র ৭ ম্যাচ বাকি রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর্সেনালের পক্ষেই কেবল লিভারপুলকে ধরা সম্ভব।
চ্যাম্পিয়ন্স লীগে পিএসজির কাছে পরাজিত হয়ে বিদায়ের পর লীগ কাপ ফাইনালে নিউক্যাসলের কাছে পরাজিত হবার পর গত বুধবার লিভারপুল মার্সিসাইড ডার্বিতে এভারটনকে ১-০ গোলে পরাজিত করে আবারও জয়ের ধারায় ফিরেছিল। কিন্তু ফুলহ্যামের কাছে আর পেরে উঠেনি।
এদিকে উত্তর লন্ডনে ব্রেনান জনসনের প্রথমার্ধের জোড়া গোলে টটেনহ্যাম ২-০ গোলে লিড পায়। মাথিয়াস ফার্নান্দেদেসের ৯০ মিনিটের গোলে সাউদাম্পটন ১ গোল পরিশোধ করেছিল। কিন্তু বদলি খেলোয়াড় মাথিস টেলের ইনজুরি টাইমের শেষ মুহূর্তের গোলে স্পার্সদের জয় নিশ্চিত হয়। একইসঙ্গে টেবিলের তলানির দল হিসেবে চ্যাম্পিয়নশিপে ফিরে যাওয়ার পথ নিশ্চিত হয় সাউদাম্পটনের।
এবারের মৌসুমে ৩১ ম্যাচের মধ্যে ২৫টিতেই পরাজিত হয়েছে সাউদাম্পটন। প্রথম দল হিসেবে ৭ ম্যাচ হাতে রেখেই প্রিমিয়ার লীগে রেলিগেশন নিশ্চিত হলো সাউদাম্পটনের।
ম্যানচেস্টার ডার্বি, বিরক্তি বাড়ালো দুই দলের ঘুমপাড়ানি ফুটবল
ইপিএলের ফিরতি পর্বে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে জিততে পারলো না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। প্রতিবেশী ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করলো তারা। প্রথম পর্বে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে গিয়ে জিতে এসেছিল ইউনাইটেড। ঘরের মাঠে তারা জিততে পারলো না। আর্লিং হালান্ডের মতো ফুটবলার না থাকার অভাব বুঝতে পারলো সিটি। ইউনাইটেডেও গোল করার ভালো ফুটবলার নেই। ভুগতে হলো তাদেরও।
ম্যাচের শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন সিটির রুবেন দিয়াস। পিছন থেকে আলেসান্দ্রো গারনাচোকে ফাউল করেন তিনি। রেফারি ইউনাইটেডকে ফ্রিকিক দেন। ফুটবলারেরা পেনাল্টির আবেদন করলেও রেফারি কানে তোলেননি। তবে শুরু থেকেই বেশ ছন্দে লাগছিল ইউনাইটেডকেই। বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করে তারা। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি।
শেষ ম্যানচেস্টার ডার্বি খেলতে নেমেছিলেন কেভিন দ্য ব্রুইন। তাকেই অধিনায়ক করা হয়েছিল এই ম্যাচে। নয় মিনিটের মাথায় অফসাইড দেয়া হয় তাকে। সিটির ম্যাথেউস নুনেসের একটি শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। প্রথমার্ধের খেলা যত এগোতে থাকে তত ম্যাচের দখল নিতে থাকে সিটি। বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল তাদেরই পায়ে। তবে এক সময় এত বেশি পাস খেলতে থাকে তারা যে বিরক্ত হয়ে যান দর্শকেরা।
২০ মিনিটের মাথায় একটি ভালো সুযোগ নষ্ট করে ইউনাইটেড। গারনাচো পাস দিয়েছিলেন দিয়েগো দালোতকে। দালোতের ক্রস বক্সে ভেসে আসলে তা মাথায় লাগাতে পারেননি ম্যানুয়েল উগার্তে। গারনাচো নিজেও চেষ্টা করেন হেড দেয়ার। তা কাজে লাগেনি। চার মিনিট পরে আরও একটি সুযোগ নষ্ট করে তারা। আবার গারনাচোকে দিয়ে শুরু হয়েছিল আক্রমণ। সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি প্যাট্রিক দোরগু। এর পর আরও একটি সুযোগ নষ্ট করেন উগার্তে। দুই দলই ফাইনাল থার্ডে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলছিল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে হলুদ কার্ড দেখেন বের্নার্দো সিলভা। দু’দলের হয়ে ব্রুনো ফের্নান্দেস এবং ফিল ফোডেন সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। একটি বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে দিয়াসের হাতে লাগে। এবারও ইউনাইটেডের আবেদন কর্ণপাত করেননি রেফারি। ৭০ মিনিটের মাথায় উগার্তের শট কয়েক ইঞ্চির জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়।
শেষের দিকে গোলের সন্ধানে দু’দলই একাধিক পরিবর্তন করে। ৮৬ মিনিটের মাথায় ম্যাসন মাউন্টের একটি পাস পেয়ে শট মেরেছিলেন জোশুয়া জির্কজি তা বাঁচিয়ে দেন দিয়াস। শেষ পর্যন্ত কোনো দলই গোল করতে পারেনি।