আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন তাওহীদ হৃদয়
আম্পায়ারদের সঙ্গে অসদাচরণে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। শনিবার ঢাকা ক্রিকেট লীগে আবাহনী ও মোহামেডানের ম্যাচে মোহাম্মদ মিঠুনের আউটকে কেন্দ্র করে কিছুক্ষণের জন্য উত্তেজনা ছড়ায়। পরে ফিল্ড আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হন তাওহীদ। মোহামেডানের অধিনায়কের শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশীদ রাহুল।
ঘটনাটা আবাহনীর ইনিংসের অষ্টম ওভারের। এবাদত হোসেনের বলটি ব্যাটে-বলে সংযোগ করতে পারেনি মিঠুন। মোহামেডানের ফিল্ডাররা আবেদন করেন। তাতে সাড়া দেননি ফিল্ড আম্পায়ার তানভীর আহমেদ। আম্পায়ারের এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি মিরাজ, মুশফিক, হৃদয়রা। সেই সময় বেশ কিছুক্ষণের জন্য উত্তেজনা ছড়ালে পরিস্থিতি সামাল দিতে আরেক ফিল্ড আম্পায়ার শরফুরদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত এগিয়ে আসেন। তখনই পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেন হৃদয়। তাদের মধ্যে কী কথা হয়েছিল সেসব জানা যায়নি, তবে উত্তেজনার বিষয়টি স্পষ্ট ছিল। শুধু এই সময়ই নয়, পুরো সময়টাতেই আম্পায়ারদের সঙ্গে উত্তেজনা দেখান মোহামেডানের ক্রিকেটাররা।
ম্যাচ শেষে মোহামেডানের অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয় সংবাদ সম্মেলনে আসেন। সেখানে মাঠের প্রসঙ্গ আসলে তিনি বলেছেন, ‘যেটা ঘটেছে সবকিছু এক্সপ্লেইন করতে পারবো না। কিন্তু হিট অব দ্য মোমেন্টে অনেক কিছু হয়। তারাও ভুল করে কিন্তু আমার কাছে যেটা মনে হয় তারা ভুল করতেই পারে, মানুষ মাত্রই ভুল করে, আমরাও করবো। আমার কাছে মনে হয় ভুলটা স্বীকার করা উচিত, আমি যদি ভুল করি আমিও স্বীকার করবো। কিন্তু আপনি যদি ভুল স্বীকার না করে বলেন এটা ভুল না তাহলে হবে না।’
এরপর তাওহীদ আরও বলেছেন, ‘সে আন্তর্জাতিক আম্পায়ার তাকে আমরা সম্মান করি, আমরাও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। এখানে যারা ছিল বেশিরভাগই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে তাই এমন ম্যাচে দুই-একটা ডিসিশন অনেক বড় ব্যবধান গড়ে দিতে পারে। যদি আবার হিতে অন্যদিকে যায়, আমি মুখ খুলবো ইনশাল্লাহ।’
এখানেই থেমে থাকলেন না তাওহীদ। এরপর আম্পায়ারদের এক হাত নিয়েছেন মোহামেডানের অধিনায়ক, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তো এমন অনেক দেখেছি। ডোমেস্টিকে তো এর চেয়ে আরও বাজে হতো, এখন তো সেটাও হয় না। ডে বাই ডে আমরা খেলোয়াড়রা তাদের অনেক রেসপেক্ট করি, শুধু আমাদের খেলোয়াড়দের দোষ দিলে হবে না। আম্পায়াররা ২-১ জন বাদে যে খুব ভালো করে এমন নয়। জাস্টিফাই করলে আমার কাছে মনে হয় দুই পাশ থেকেই দেখা উচিত।’
আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন তাওহীদ হৃদয়
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
আম্পায়ারদের সঙ্গে অসদাচরণে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। শনিবার ঢাকা ক্রিকেট লীগে আবাহনী ও মোহামেডানের ম্যাচে মোহাম্মদ মিঠুনের আউটকে কেন্দ্র করে কিছুক্ষণের জন্য উত্তেজনা ছড়ায়। পরে ফিল্ড আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হন তাওহীদ। মোহামেডানের অধিনায়কের শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশীদ রাহুল।
ঘটনাটা আবাহনীর ইনিংসের অষ্টম ওভারের। এবাদত হোসেনের বলটি ব্যাটে-বলে সংযোগ করতে পারেনি মিঠুন। মোহামেডানের ফিল্ডাররা আবেদন করেন। তাতে সাড়া দেননি ফিল্ড আম্পায়ার তানভীর আহমেদ। আম্পায়ারের এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি মিরাজ, মুশফিক, হৃদয়রা। সেই সময় বেশ কিছুক্ষণের জন্য উত্তেজনা ছড়ালে পরিস্থিতি সামাল দিতে আরেক ফিল্ড আম্পায়ার শরফুরদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত এগিয়ে আসেন। তখনই পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেন হৃদয়। তাদের মধ্যে কী কথা হয়েছিল সেসব জানা যায়নি, তবে উত্তেজনার বিষয়টি স্পষ্ট ছিল। শুধু এই সময়ই নয়, পুরো সময়টাতেই আম্পায়ারদের সঙ্গে উত্তেজনা দেখান মোহামেডানের ক্রিকেটাররা।
ম্যাচ শেষে মোহামেডানের অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয় সংবাদ সম্মেলনে আসেন। সেখানে মাঠের প্রসঙ্গ আসলে তিনি বলেছেন, ‘যেটা ঘটেছে সবকিছু এক্সপ্লেইন করতে পারবো না। কিন্তু হিট অব দ্য মোমেন্টে অনেক কিছু হয়। তারাও ভুল করে কিন্তু আমার কাছে যেটা মনে হয় তারা ভুল করতেই পারে, মানুষ মাত্রই ভুল করে, আমরাও করবো। আমার কাছে মনে হয় ভুলটা স্বীকার করা উচিত, আমি যদি ভুল করি আমিও স্বীকার করবো। কিন্তু আপনি যদি ভুল স্বীকার না করে বলেন এটা ভুল না তাহলে হবে না।’
এরপর তাওহীদ আরও বলেছেন, ‘সে আন্তর্জাতিক আম্পায়ার তাকে আমরা সম্মান করি, আমরাও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। এখানে যারা ছিল বেশিরভাগই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে তাই এমন ম্যাচে দুই-একটা ডিসিশন অনেক বড় ব্যবধান গড়ে দিতে পারে। যদি আবার হিতে অন্যদিকে যায়, আমি মুখ খুলবো ইনশাল্লাহ।’
এখানেই থেমে থাকলেন না তাওহীদ। এরপর আম্পায়ারদের এক হাত নিয়েছেন মোহামেডানের অধিনায়ক, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তো এমন অনেক দেখেছি। ডোমেস্টিকে তো এর চেয়ে আরও বাজে হতো, এখন তো সেটাও হয় না। ডে বাই ডে আমরা খেলোয়াড়রা তাদের অনেক রেসপেক্ট করি, শুধু আমাদের খেলোয়াড়দের দোষ দিলে হবে না। আম্পায়াররা ২-১ জন বাদে যে খুব ভালো করে এমন নয়। জাস্টিফাই করলে আমার কাছে মনে হয় দুই পাশ থেকেই দেখা উচিত।’