প্যালেস্টাইনের পতাকা নিয়ে মোহামেডানের জয় উদযাপন
রেফারি শেষ বাঁশি বাজাতেই উল্লাসে মেতে উঠেন মোহামেডানের ফুটবলাররা। প্রিমিয়ার ফুটবল লীগে কিংস অ্যারেনায় আরও একবার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন স্বাগতিকদের ভূপাতিত করেছে তারা। সঙ্গে শিরোপা দৌড়ের লড়াই থেকে কিংসকে বহুদূরে ছিটকে দিলো । অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতে ঝলকে দশজনের দলে পরিণত হওয়া স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়েছে মোহামেডান। সাদা কালোদের হয়ে দুটি গোলই করেন মালির এই ফরোয়ার্ড।
শনিবার কিংসের বিপক্ষে জয়ের পর সমর্থকদের দেয়া সাদা কালো পতাকার পাশাপাশি দুটি প্যালেস্টানের পতাকা নিয়েও সংহতি জানান মোহামেডানের ফুটবলাররা। গ্যালারিতেও সমর্থকরা পুরো সময় প্যালেস্টানের পতাকা নিয়ে হাজির ছিলেন।
কিংস অ্যারেনায় এক প্রকার অজেয়ই ছিল স্বাগতিকরা। ভারতের মোহনবাগান কিংবা মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস রিক্রিয়েশন ক্লাবও হারাতে পারেনি তাদেরকে। কিন্তু কিংসের সেই অজেয় থাকার রেকর্ড ভেঙ্গেছে এই মোহামেডানই। তাও একবার নয়, দুবার। লীগের দুই পর্বেই জিতেছে কোচ আলফাজ আহমেদের দল।
কিংসের বিপক্ষে মতিঝিল পাড়ার ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটিকে দু’বার জিতিয়েছেন অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতে। ফেডারেশন কাপে খুব একটা ভাল করতে না পারলেও লীগে যেন উড়ছেন মালির এই ফরোয়ার্ড। প্রথম দেখায় তার একমাত্র গোলে এবং দ্বিতীয় দেখায় তার দুই গোলেই হেরেছে কিংস। এই দুই গোলের সুবাদে ৯ গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় এককভাবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন দিয়াবাতে। ১১ গোল করে তালিকার শীর্ষে রয়েছেন রহমতগঞ্জের ঘানার ফরোয়ার্ড স্যামুয়েল বোয়েটেং।
মোহামেডানের কাছে দ্বিতীয়বার এই হারে লীগ শিরোপা থেকে অনেকটাই ছিটকে গেল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। সাদা কালোদের সঙ্গে তাদের পার্থক্য বেড়ে দাঁড়াল ১০ পয়েন্টে। ১১ ম্যাচ শেষে দিয়াবাতেরা যখন ৩০ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে, তখন কিংস মাত্র ২০ এ। তবে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে সাদা কালোদের ঠিক পেছনেই রয়েছে আরেক ঐতিহ্যবাহী দল ঢাকা আবাহনী।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে মোহামেডান। মাত্র ১৮ মিনিটে কিংসের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ড্যাসিয়েল ও গোলকিপার মেহেদী হাসান শ্রাবনকে বোকা বানিয়ে দলকে এগিয়ে দেন দিয়াবাতে (১-০)। মিনিট সাতেক পর অবশ্য সেই গোল শোধ করে দেন রাকিব হোসেন (১-১)। অন্য ম্যচের তুলনায় এ ম্যাচে নিরাপত্তা কর্মী বেশি ছিলেন।
ম্যাচের ৪০ মিনিটে সানডেকে বক্সে বাধা দেয়ায় সাদা কালো গ্যালারিতে উত্তেজনা, পরে গ্যালারিতে নিরাপত্তা কর্মী বাড়ানো হয়। ৪৮ মিনিটে ইমানুয়েল সানডেকে পেছন থেকে টেনে ধরার অপরাধে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় কিংসের রিমন হোসেনকে। দশজনের দলে পরিণত হয় কিংস। ৭০ মিনিটে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়।
রাকিব এসে নিবৃত করেন তাদেরকে। উত্তেজনার আঁচ ঝড়িয়ে পড়ে গ্যালারিতে। গ্যালারির দুই পাশে থাকা সাদা কালো ও কিংসের সমর্থকরা বোতল ছুঁড়ে মারতে থাকেন ব্যারিয়ারের পাশে এসে। মাঠ থেকে অনেককে বের করে দেয়া হয়।
খেলা বন্ধ থাকে। মোহামেডানের ডাগআউট থেকে কোচ আলফাজ আহমেদ সমর্থকদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানান। সাত মিনিট পর খেলা শুরু হয়। ৮৫ মিনিটে ফের দিয়াবাতে ঝলক। সেই ড্যাসিয়েল ও গোলকিপারকে বোকা বানিয়ে আরও একবার বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি (২-১)। শেষে এই ব্যবধানে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে মোহামেডান।
প্যালেস্টাইনের পতাকা নিয়ে মোহামেডানের জয় উদযাপন
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
রেফারি শেষ বাঁশি বাজাতেই উল্লাসে মেতে উঠেন মোহামেডানের ফুটবলাররা। প্রিমিয়ার ফুটবল লীগে কিংস অ্যারেনায় আরও একবার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন স্বাগতিকদের ভূপাতিত করেছে তারা। সঙ্গে শিরোপা দৌড়ের লড়াই থেকে কিংসকে বহুদূরে ছিটকে দিলো । অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতে ঝলকে দশজনের দলে পরিণত হওয়া স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়েছে মোহামেডান। সাদা কালোদের হয়ে দুটি গোলই করেন মালির এই ফরোয়ার্ড।
শনিবার কিংসের বিপক্ষে জয়ের পর সমর্থকদের দেয়া সাদা কালো পতাকার পাশাপাশি দুটি প্যালেস্টানের পতাকা নিয়েও সংহতি জানান মোহামেডানের ফুটবলাররা। গ্যালারিতেও সমর্থকরা পুরো সময় প্যালেস্টানের পতাকা নিয়ে হাজির ছিলেন।
কিংস অ্যারেনায় এক প্রকার অজেয়ই ছিল স্বাগতিকরা। ভারতের মোহনবাগান কিংবা মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস রিক্রিয়েশন ক্লাবও হারাতে পারেনি তাদেরকে। কিন্তু কিংসের সেই অজেয় থাকার রেকর্ড ভেঙ্গেছে এই মোহামেডানই। তাও একবার নয়, দুবার। লীগের দুই পর্বেই জিতেছে কোচ আলফাজ আহমেদের দল।
কিংসের বিপক্ষে মতিঝিল পাড়ার ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটিকে দু’বার জিতিয়েছেন অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতে। ফেডারেশন কাপে খুব একটা ভাল করতে না পারলেও লীগে যেন উড়ছেন মালির এই ফরোয়ার্ড। প্রথম দেখায় তার একমাত্র গোলে এবং দ্বিতীয় দেখায় তার দুই গোলেই হেরেছে কিংস। এই দুই গোলের সুবাদে ৯ গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় এককভাবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন দিয়াবাতে। ১১ গোল করে তালিকার শীর্ষে রয়েছেন রহমতগঞ্জের ঘানার ফরোয়ার্ড স্যামুয়েল বোয়েটেং।
মোহামেডানের কাছে দ্বিতীয়বার এই হারে লীগ শিরোপা থেকে অনেকটাই ছিটকে গেল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। সাদা কালোদের সঙ্গে তাদের পার্থক্য বেড়ে দাঁড়াল ১০ পয়েন্টে। ১১ ম্যাচ শেষে দিয়াবাতেরা যখন ৩০ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে, তখন কিংস মাত্র ২০ এ। তবে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে সাদা কালোদের ঠিক পেছনেই রয়েছে আরেক ঐতিহ্যবাহী দল ঢাকা আবাহনী।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে মোহামেডান। মাত্র ১৮ মিনিটে কিংসের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ড্যাসিয়েল ও গোলকিপার মেহেদী হাসান শ্রাবনকে বোকা বানিয়ে দলকে এগিয়ে দেন দিয়াবাতে (১-০)। মিনিট সাতেক পর অবশ্য সেই গোল শোধ করে দেন রাকিব হোসেন (১-১)। অন্য ম্যচের তুলনায় এ ম্যাচে নিরাপত্তা কর্মী বেশি ছিলেন।
ম্যাচের ৪০ মিনিটে সানডেকে বক্সে বাধা দেয়ায় সাদা কালো গ্যালারিতে উত্তেজনা, পরে গ্যালারিতে নিরাপত্তা কর্মী বাড়ানো হয়। ৪৮ মিনিটে ইমানুয়েল সানডেকে পেছন থেকে টেনে ধরার অপরাধে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় কিংসের রিমন হোসেনকে। দশজনের দলে পরিণত হয় কিংস। ৭০ মিনিটে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়।
রাকিব এসে নিবৃত করেন তাদেরকে। উত্তেজনার আঁচ ঝড়িয়ে পড়ে গ্যালারিতে। গ্যালারির দুই পাশে থাকা সাদা কালো ও কিংসের সমর্থকরা বোতল ছুঁড়ে মারতে থাকেন ব্যারিয়ারের পাশে এসে। মাঠ থেকে অনেককে বের করে দেয়া হয়।
খেলা বন্ধ থাকে। মোহামেডানের ডাগআউট থেকে কোচ আলফাজ আহমেদ সমর্থকদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানান। সাত মিনিট পর খেলা শুরু হয়। ৮৫ মিনিটে ফের দিয়াবাতে ঝলক। সেই ড্যাসিয়েল ও গোলকিপারকে বোকা বানিয়ে আরও একবার বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি (২-১)। শেষে এই ব্যবধানে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে মোহামেডান।