দীর্ঘ ৯ বছর ও ১১ ম্যাচ পর ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে আবাহনীর বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পেল মোহামেডান।
জয়ী দলের হয়ে এবারের আসরে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে সেঞ্চুরি করেন আনিসুল ইসলাম। এছাড়া বল হাতে ৪ উইকেট নিয়ে দারুণ অবদান রাখেন ইবাদত হোসেন চৌধুরি।
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে আবাহনীকে ৩৯ রানে হারায় মোহামেডান। আনিসুলের সেঞ্চুরিতে ২৬৪ রানের পুঁজি নিয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের ২২৫ রানে গুটিয়ে দেয় তারা।
অগ্রণী ব্যাংক ক্লাবের কাছে হেরে আসরে যাত্রা শুরুর পর টানা ৯ ম্যাচ জিতেছিল আবাহনী। লীগের প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচে আবার হার দেখলো বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
১১ ম্যাচে আবাহনী ও মোহামেডানের এখন সমান ৯টি করে জয়। তবে মুখোমুখি লড়াইয়ে জেতায় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকেই সুপার লীগে শুরু করবে মোহামেডান।
সেঞ্চু্রিয়ান আনিসুল ইসলাম
এর আগে প্রিমিয়ার লীগে আবাহনীর বিপক্ষে মোহামেডানের সর্বশেষ জয় ছিল ২০১৬ সালের মে মাসে। এরপর টানা ১১ ম্যাচে ছিল আবাহনীর দাপট। এবার তারকাচিত দল গড়ে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটাল মোহামেডান।
শনিবার (১২ এপ্রিল) টস জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ে পাঠান শান্ত। রনি তালুকদার অল্পে ফিরলেও আনিসুলের ব্যাটে ঝড়ো শুরু পায় মোহামেডান। পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৮০ রান করে ফেলে তারা।
৪৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন আনিসুল। দ্বিতীয় উইকেটে মাহিদুল ইসলামের সঙ্গে তার জুটিতে আসে ১২৩ রান। ফিফটির সম্ভাবনা জাগিয়েও পারেননি মাহিদুল। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৫৫ বলে ৪৮ রান করে ফেরেন কিপার-ব্যাটার।
অন্য প্রান্তে ধীরে ধীরে সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যান আনিসুল। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করতে ১০৩ বল খেলেন ২৭ বছর বয়সী ব্যাটার।
এবাদতের উইকেট উদযাপন
পরে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১১৮ বলে ১৮ চার ও ২ ছক্কায় ১১৪ রান করে ফেরেন তিনি।
এরপর মুশফিক , মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী মিরাজরা হতাশ করলে বেশি বড় হয়নি মোহামেডানের সংগ্রহ।
রান তাড়ায় শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারায় আবাহনী। অষ্টম ওভারে ইবাদতের বলে মোহাম্মদ মিঠুনের এলবিডব্লিউর জোরাল আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান ইবাদত। পরে তাওহিদ হৃদয়ও আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়ান। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মিঠুন।
শুরুর ধাক্কা সামলে চতুর্থ উইকেটে ৬৭ রানের জুটি গড়েন শান্ত ও মোমিনুল হক (২৫ রান)। তার বিদায়ের পর আবার চাপে পড়ে যায় চ্যাম্পিয়নরা। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা।
একপ্রান্ত আগলে রেখে তবু চেষ্টা করে যান শান্ত। কিন্তু সফল হননি। ৭ চারে ১১৩ বলে ৮০ রান করে আউট হন আবাহনী অধিনায়ক।
মোহামেডানের হয়ে ৩৬ রানে ৪ উইকেট নেন ইবাদত। এছাড়া ৩১ রান খরচায় মিরাজের শিকার ২ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : মোহামেডান স্পোর্টিং ৪৮.২ ওভারে ২৬৪ (রনি ১৬, আনিসুল ১১৪, মাহিদুল ৪৮, হৃদয় ৩, মুশফিক ২০, মাহমুদউল্লাহ ১৭, মিরাজ ১৮, সাইফ ১, আবু হায়দার ১, তাইজুল ৫, ইবাদত ০*; নাহিদ ৩/৪৯, মৃত্যুঞ্জয় ২/৫৫, রকিবুল ২/২৩, মোসাদ্দেক ১/৩৫, রাব্বি ২/৬০)। আবাহনী ৪৭.২ ওভারে ২২৫ (পারভেজ ১৬, জিসান ৩, শান্ত ৮০, মিঠুন ১৯, মোমিনুল ২৫, রাব্বি ১, মোসাদ্দেক ২৪, মৃত্যুঞ্জয় ২৪, রকিবুল ০, রিপন ১৩, নাহিদ ৫*; আবু হায়দার ১/২৮, ইবাদত ৪/৩৬, মিরাজ ২/৩১, তাইজুল ১/৫৬, সাইফ ২/৪৪)।
ম্যাচসেরা : আনিসুল ইসলাম।
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
দীর্ঘ ৯ বছর ও ১১ ম্যাচ পর ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে আবাহনীর বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পেল মোহামেডান।
জয়ী দলের হয়ে এবারের আসরে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে সেঞ্চুরি করেন আনিসুল ইসলাম। এছাড়া বল হাতে ৪ উইকেট নিয়ে দারুণ অবদান রাখেন ইবাদত হোসেন চৌধুরি।
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে আবাহনীকে ৩৯ রানে হারায় মোহামেডান। আনিসুলের সেঞ্চুরিতে ২৬৪ রানের পুঁজি নিয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের ২২৫ রানে গুটিয়ে দেয় তারা।
অগ্রণী ব্যাংক ক্লাবের কাছে হেরে আসরে যাত্রা শুরুর পর টানা ৯ ম্যাচ জিতেছিল আবাহনী। লীগের প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচে আবার হার দেখলো বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
১১ ম্যাচে আবাহনী ও মোহামেডানের এখন সমান ৯টি করে জয়। তবে মুখোমুখি লড়াইয়ে জেতায় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকেই সুপার লীগে শুরু করবে মোহামেডান।
সেঞ্চু্রিয়ান আনিসুল ইসলাম
এর আগে প্রিমিয়ার লীগে আবাহনীর বিপক্ষে মোহামেডানের সর্বশেষ জয় ছিল ২০১৬ সালের মে মাসে। এরপর টানা ১১ ম্যাচে ছিল আবাহনীর দাপট। এবার তারকাচিত দল গড়ে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটাল মোহামেডান।
শনিবার (১২ এপ্রিল) টস জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ে পাঠান শান্ত। রনি তালুকদার অল্পে ফিরলেও আনিসুলের ব্যাটে ঝড়ো শুরু পায় মোহামেডান। পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৮০ রান করে ফেলে তারা।
৪৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন আনিসুল। দ্বিতীয় উইকেটে মাহিদুল ইসলামের সঙ্গে তার জুটিতে আসে ১২৩ রান। ফিফটির সম্ভাবনা জাগিয়েও পারেননি মাহিদুল। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৫৫ বলে ৪৮ রান করে ফেরেন কিপার-ব্যাটার।
অন্য প্রান্তে ধীরে ধীরে সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যান আনিসুল। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করতে ১০৩ বল খেলেন ২৭ বছর বয়সী ব্যাটার।
এবাদতের উইকেট উদযাপন
পরে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১১৮ বলে ১৮ চার ও ২ ছক্কায় ১১৪ রান করে ফেরেন তিনি।
এরপর মুশফিক , মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী মিরাজরা হতাশ করলে বেশি বড় হয়নি মোহামেডানের সংগ্রহ।
রান তাড়ায় শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারায় আবাহনী। অষ্টম ওভারে ইবাদতের বলে মোহাম্মদ মিঠুনের এলবিডব্লিউর জোরাল আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান ইবাদত। পরে তাওহিদ হৃদয়ও আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়ান। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মিঠুন।
শুরুর ধাক্কা সামলে চতুর্থ উইকেটে ৬৭ রানের জুটি গড়েন শান্ত ও মোমিনুল হক (২৫ রান)। তার বিদায়ের পর আবার চাপে পড়ে যায় চ্যাম্পিয়নরা। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা।
একপ্রান্ত আগলে রেখে তবু চেষ্টা করে যান শান্ত। কিন্তু সফল হননি। ৭ চারে ১১৩ বলে ৮০ রান করে আউট হন আবাহনী অধিনায়ক।
মোহামেডানের হয়ে ৩৬ রানে ৪ উইকেট নেন ইবাদত। এছাড়া ৩১ রান খরচায় মিরাজের শিকার ২ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : মোহামেডান স্পোর্টিং ৪৮.২ ওভারে ২৬৪ (রনি ১৬, আনিসুল ১১৪, মাহিদুল ৪৮, হৃদয় ৩, মুশফিক ২০, মাহমুদউল্লাহ ১৭, মিরাজ ১৮, সাইফ ১, আবু হায়দার ১, তাইজুল ৫, ইবাদত ০*; নাহিদ ৩/৪৯, মৃত্যুঞ্জয় ২/৫৫, রকিবুল ২/২৩, মোসাদ্দেক ১/৩৫, রাব্বি ২/৬০)। আবাহনী ৪৭.২ ওভারে ২২৫ (পারভেজ ১৬, জিসান ৩, শান্ত ৮০, মিঠুন ১৯, মোমিনুল ২৫, রাব্বি ১, মোসাদ্দেক ২৪, মৃত্যুঞ্জয় ২৪, রকিবুল ০, রিপন ১৩, নাহিদ ৫*; আবু হায়দার ১/২৮, ইবাদত ৪/৩৬, মিরাজ ২/৩১, তাইজুল ১/৫৬, সাইফ ২/৪৪)।
ম্যাচসেরা : আনিসুল ইসলাম।