কালবৈশাখী ঝড়ের পর আলো স্বল্পতা
ফেডারেশন কাপ
ময়মনসিংহে আবাহনী-বসুন্ধরার ফাইনালের একটি মুহূর্ত
ময়মনসিংহে ফেডারেশন কাপে আবাহনী-বসুন্ধরা কিংসের ফাইনাল ম্যাচটি কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাতের পর আলোর স্বল্পতার কারণে শেষ হতে পারেনি। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ১-১ গোলে ড্রয়ের পর অতিরিক্ত সময়ে প্রথমার্ধের পর আলোর অভাবে খেলা আর মাঠে গড়ায়নি। দুই দলের অধিনায়ক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে রেফারি সায়মন হাসান পরিত্যক্ত ঘোষণা করে দুই সহকারীকে নিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান। নাটকীয়ভাবে পরিত্যক্ত ম্যাচটি কবে হবে, তা শিগগিরই জানিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার, (২২ এপ্রিল) ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে শুরু থেকে দুইদল আক্রমণ করে খেলার চেষ্টা করেছে। তবে সুযোগ এসেছে কমই।
চতুর্থ মিনিটে সাদউদ্দিনের দূরপাল্লার প্রচেষ্টায় যায় পোস্টের বাইরে। পরের মিনিটেই গোলের আনন্দ মেতে উঠে কিংস। সাদের ফ্রি কিকে হুয়ান লেসকানোর হেড দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ায়, বলের নাগাল পাওয়ার কোনো সুযোগই ছিল না মিতুলের সামনে। কিংসের হয়ে প্রথম গোল পেলেন এই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার।
১৫ মিনিটে কিংসের ঢিলেঢালা রক্ষণের সুযোগ কাজে লাগিয়ে সমতায় ফিরে আবাহনী। বাম দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা এমেকা ওগবাহকে আটকাতে পারেনি কেউ। তার দারুণ কাটব্যাক গোলমুখ থেকে নিখুঁত প্লেসিংয়ে জাল খুঁজে নেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
৪০ মিনিটে উত্তেজনা ছড়ায় মাঠে। যে উত্তেজনা দেখে অনেকে ২০১৮ সালের ফাইনালের ভয়ঙ্কর মারামারির কথা স্মরণ করছিলেন। তবে তেমন কিছু হয়নি।
যদিও ঘটনার সূত্রপাত বসুন্ধরা কিংসের সোহেল রানা জুনিয়র ও আবাহনীর শাকিলের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে। বল দখলকে কেন্দ্র করে এই দুইজনের মধ্যে শুরু হওয়া উত্তেজনায় জড়িয়ে পড়ে দুই দলের ফুটবলাররা। পরে কোচ ও অন্য সতীর্থরা পরিস্থিতি শান্ত করেন। রেফারি এরপর রিমন ও শাকিলকে হলুদ কার্ড দেখান।
সব মিলিয়ে এই অর্ধে ৮বার কার্ড বের করতে হয়েছে সাইমন সানিকে।
বিরতির খানিক আগে সুমন রেজার নিচু ক্রস থেকে ইব্রাহিম চেষ্টা করেন বল জালে গড়ানোর। কিন্তু বলের কাছেই যেতে পারেননি। দুই মিনিটের মাথায় ঝড়ো বৃষ্টির কারণে খেলাবন্ধ হয়ে যায়। কালবৈশাখীর হানায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় খেলা বন্ধ থাকে। এ সময় বৃষ্টির থাবায় দুই দলের টেন্টও উড়ে যায়। মাঠে দর্শক ঢুকে জলকেলিতে মত্ত হওয়ার চেষ্টাও করে। বৃষ্টি থামতেই পানি নিষ্কাশন করে খেলা আবারও শুরু হয়।
বৃষ্টি ভেজা মাঠে স্বাভাবিক খেলা দারুণভাবে বিঘিœত হচ্ছিল। ৮২ মিনিটে কিংস এগিয়ে যেতে পারতো। ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের ক্রসে রাকিবের হেড থেকে ৬ গজ দূর থেকে সোহেল রানার ডান পায়ের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। গোল মিস করে মাথায় হাত দিয়ে আফসোস করতে দেখা যায় অভিজ্ঞ মিডফিল্ডারকে।
চার মিনিট পর রাফায়েলের ফ্রি-কিকে পোস্টের একদম সামনে থেকে সুমন রেজা কিংবা শাকিল হোসেন ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি। বল চলে যায় শ্রাবনের হাতে।
৮৯ মিনিটে রাফায়েলের কাটব্যাক থেকে সুমন রেজা ৬ গজ দূর থেকে শট নিলেও তা বৃষ্টির পানির কারণে লক্ষ্যে যায়নি। বল তার আগেই শ্রাবন তালুবন্দী করেন।
অতিরিক্ত সময়ে বৃষ্টিসিক্ত মাঠে খেলা বেশ জমে ওঠে। ১০২ মিনিটে রেফারি ফয়সাল আহমেদ ফাহিমকে সরাসরি লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দেন।
সুমন রেজাকে পিছন থেকে এসে সরাসরি পায়ে আঘাত দেয়ায় ফাহিম মার্চিং অর্ডার পান। বসুন্ধরা কিংস ১০ জন নিয়ে খেলতে থাকে। তবে রেফারির বাঁশি বেজে উঠলে আর খেলা হয়নি।
কালবৈশাখী ঝড়ের পর আলো স্বল্পতা
ফেডারেশন কাপ
ময়মনসিংহে আবাহনী-বসুন্ধরার ফাইনালের একটি মুহূর্ত
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
ময়মনসিংহে ফেডারেশন কাপে আবাহনী-বসুন্ধরা কিংসের ফাইনাল ম্যাচটি কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাতের পর আলোর স্বল্পতার কারণে শেষ হতে পারেনি। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ১-১ গোলে ড্রয়ের পর অতিরিক্ত সময়ে প্রথমার্ধের পর আলোর অভাবে খেলা আর মাঠে গড়ায়নি। দুই দলের অধিনায়ক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে রেফারি সায়মন হাসান পরিত্যক্ত ঘোষণা করে দুই সহকারীকে নিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান। নাটকীয়ভাবে পরিত্যক্ত ম্যাচটি কবে হবে, তা শিগগিরই জানিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার, (২২ এপ্রিল) ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে শুরু থেকে দুইদল আক্রমণ করে খেলার চেষ্টা করেছে। তবে সুযোগ এসেছে কমই।
চতুর্থ মিনিটে সাদউদ্দিনের দূরপাল্লার প্রচেষ্টায় যায় পোস্টের বাইরে। পরের মিনিটেই গোলের আনন্দ মেতে উঠে কিংস। সাদের ফ্রি কিকে হুয়ান লেসকানোর হেড দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ায়, বলের নাগাল পাওয়ার কোনো সুযোগই ছিল না মিতুলের সামনে। কিংসের হয়ে প্রথম গোল পেলেন এই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার।
১৫ মিনিটে কিংসের ঢিলেঢালা রক্ষণের সুযোগ কাজে লাগিয়ে সমতায় ফিরে আবাহনী। বাম দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা এমেকা ওগবাহকে আটকাতে পারেনি কেউ। তার দারুণ কাটব্যাক গোলমুখ থেকে নিখুঁত প্লেসিংয়ে জাল খুঁজে নেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
৪০ মিনিটে উত্তেজনা ছড়ায় মাঠে। যে উত্তেজনা দেখে অনেকে ২০১৮ সালের ফাইনালের ভয়ঙ্কর মারামারির কথা স্মরণ করছিলেন। তবে তেমন কিছু হয়নি।
যদিও ঘটনার সূত্রপাত বসুন্ধরা কিংসের সোহেল রানা জুনিয়র ও আবাহনীর শাকিলের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে। বল দখলকে কেন্দ্র করে এই দুইজনের মধ্যে শুরু হওয়া উত্তেজনায় জড়িয়ে পড়ে দুই দলের ফুটবলাররা। পরে কোচ ও অন্য সতীর্থরা পরিস্থিতি শান্ত করেন। রেফারি এরপর রিমন ও শাকিলকে হলুদ কার্ড দেখান।
সব মিলিয়ে এই অর্ধে ৮বার কার্ড বের করতে হয়েছে সাইমন সানিকে।
বিরতির খানিক আগে সুমন রেজার নিচু ক্রস থেকে ইব্রাহিম চেষ্টা করেন বল জালে গড়ানোর। কিন্তু বলের কাছেই যেতে পারেননি। দুই মিনিটের মাথায় ঝড়ো বৃষ্টির কারণে খেলাবন্ধ হয়ে যায়। কালবৈশাখীর হানায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় খেলা বন্ধ থাকে। এ সময় বৃষ্টির থাবায় দুই দলের টেন্টও উড়ে যায়। মাঠে দর্শক ঢুকে জলকেলিতে মত্ত হওয়ার চেষ্টাও করে। বৃষ্টি থামতেই পানি নিষ্কাশন করে খেলা আবারও শুরু হয়।
বৃষ্টি ভেজা মাঠে স্বাভাবিক খেলা দারুণভাবে বিঘিœত হচ্ছিল। ৮২ মিনিটে কিংস এগিয়ে যেতে পারতো। ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের ক্রসে রাকিবের হেড থেকে ৬ গজ দূর থেকে সোহেল রানার ডান পায়ের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। গোল মিস করে মাথায় হাত দিয়ে আফসোস করতে দেখা যায় অভিজ্ঞ মিডফিল্ডারকে।
চার মিনিট পর রাফায়েলের ফ্রি-কিকে পোস্টের একদম সামনে থেকে সুমন রেজা কিংবা শাকিল হোসেন ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি। বল চলে যায় শ্রাবনের হাতে।
৮৯ মিনিটে রাফায়েলের কাটব্যাক থেকে সুমন রেজা ৬ গজ দূর থেকে শট নিলেও তা বৃষ্টির পানির কারণে লক্ষ্যে যায়নি। বল তার আগেই শ্রাবন তালুবন্দী করেন।
অতিরিক্ত সময়ে বৃষ্টিসিক্ত মাঠে খেলা বেশ জমে ওঠে। ১০২ মিনিটে রেফারি ফয়সাল আহমেদ ফাহিমকে সরাসরি লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দেন।
সুমন রেজাকে পিছন থেকে এসে সরাসরি পায়ে আঘাত দেয়ায় ফাহিম মার্চিং অর্ডার পান। বসুন্ধরা কিংস ১০ জন নিয়ে খেলতে থাকে। তবে রেফারির বাঁশি বেজে উঠলে আর খেলা হয়নি।