বাংলাদেশের ক্রিকেটে চলছে চরম দুঃসময়। একের পর এক সিরিজ, টুর্নামেন্টে ব্যর্থতা। নিজেদের মাঠে জিম্বাবুয়ের মতো দলের বিপক্ষে হারে দেশের ক্রিকেটপ্রেমী মানুষের মাঝে তৈরি হয়েছে চরম হতাশা। তাদের আগ্রহও চলে গেছে তলানিতে। তবে জাতীয় দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স ক্রিকেটের ব্যাপারে বরাবরই আবেগপ্রবণ এই জাতিকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন।
সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ উইকেটে হেরে দুই ম্যাচ সিরিজে পিছিয়ে আছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। গত বছর বিদেশের মাঠে তিনটা টেস্ট জিতলেও নিজেদের মাঠে টানা ছয় টেস্ট হেরেছে বাংলাদেশ। এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হার যেন ভিত অনেকটা নাড়িয়ে দিয়েছে দলটির। বিশেষ করে নাজুক ব্যাটিং পারফরম্যান্স টেস্টে বাংলাদেশের আগামীকেও করছে প্রশ্নবিদ্ধ।
আজ চট্টগ্রামে শুরু হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। সিরিজ হার এড়াতে এই টেস্টে জেতার বিকল্প নেই বাংলাদেশের। এই পরিস্থিতিতে দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের প্রতি ধৈর্য ধরার অনুরোধ করেছেন সিমন্স, ‘আমি বাংলাদেশের মানুষের কাছে ধৈর্য আহ্বান করব। ক্রিকেটে তাদের ফ্যাশন অতুলনীয়। আমরা ঠিক প্রক্রিয়ায় গিয়ে দীর্ঘমেয়াদে উন্নতি নিশ্চিত করতে চেষ্টা করছি।’
চট্টগ্রামে এবার তাই ইতিবাচক অ্যাপ্রোচে খেলার চিন্তা করছেন সিমন্স, ‘আমরা দল হিসেবে উপযুক্ত ব্যাট করতে পারিনি। প্রথম ইনিংসেই নিজেদের চাপে ফেলেছি। আমাদের লক্ষ্য ইতিবাচক টেস্ট খেলা। এমন না যে ধীরে খেলে দিনে কেবল দুইশো রান করব।’
সিলেটে প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসেই বাংলাদেশের ব্যাটারদের আত্মাহুতি দিতে দেখা গেছে। প্রথম ইনিংসে মাত্রা ছিল একটু বেশি। খেলোয়াড়দের এসব দুর্বলতা দেখিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন সিমন্স, ‘খেলোয়াড়দের কাছে বার্তা হলো, আমরা কিছু সফট ডিসমিসালে আউট হয়েছি। আমাদের এসব জায়গায় উন্নতি করতে হবে। দুই-তিন ম্যাচ পর পর ভালো পারফরম্যান্স হলে সেটা আমরা ভালো বলতে পারব না। টেস্টে আমাদের ধারাবাহিক হতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে দলে এনামুলের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্নে জবাবে প্রধান কোচ বলেন, ‘না, এটি আদর্শ নয়। কিন্তু বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের টুর্নামেন্টগুলো এভাবে সাজানো। চার দিনের টুর্নামেন্ট বছরের শেষ দিকে খেলা হয়। এখন ডিপিএলের (ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ) সময়। এই বিষয়ে আমাদের কিছু করার ছিল না। আমাদের উদ্বোধনী জুটি তো বেশ কিছুদিন ধরেই সমস্যার কারণ।’
ডিপিএল বিতর্কের শঙ্কা উড়িয়ে দিলেন না সিমন্স
জিম্বাবুয়ের কাছে সিলেটে টেস্ট হার এমনিতেই বড় ধাক্কা। এরমধ্যে দেশের ক্রিকেট যে চরম বাজে অবস্থায় আছে তার রুগ্ণ দশা বেরিয়ে আসে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। যেখানে বিসিবির দেখা মিলে নড়বড়ে এক প্রতিষ্ঠান হিসেবে। যারা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিয়েই অপরিষ্কার, বারকয়েক সেটা বদল করেও ধোঁয়াশা কাটাতে পারেনি।
সিমন্স জানান, এই টেস্ট শুরুর আগের রাতের সভায় তাদের মূল ফোকাসই হবে ক্রিকেটারদের এসব থেকে দূরে রাখা, ‘কোচিং স্টাফ হিসেবে আমাদের বাইরের ব্যাপার যা মনোযোগে বিঘ্ন ঘটায় তা থেকে খেলোয়াড়দের সুরক্ষা করতে হবে। আমরা রাতে সভায় বসব, আমরা পরের পাঁচদিন যাতে বাইরের কোনো কিছু এখানে প্রভাব ফেলতে না পারে তার ওপর গুরুত্ব দেব।’
রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশের ক্রিকেটে চলছে চরম দুঃসময়। একের পর এক সিরিজ, টুর্নামেন্টে ব্যর্থতা। নিজেদের মাঠে জিম্বাবুয়ের মতো দলের বিপক্ষে হারে দেশের ক্রিকেটপ্রেমী মানুষের মাঝে তৈরি হয়েছে চরম হতাশা। তাদের আগ্রহও চলে গেছে তলানিতে। তবে জাতীয় দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স ক্রিকেটের ব্যাপারে বরাবরই আবেগপ্রবণ এই জাতিকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন।
সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ উইকেটে হেরে দুই ম্যাচ সিরিজে পিছিয়ে আছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। গত বছর বিদেশের মাঠে তিনটা টেস্ট জিতলেও নিজেদের মাঠে টানা ছয় টেস্ট হেরেছে বাংলাদেশ। এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হার যেন ভিত অনেকটা নাড়িয়ে দিয়েছে দলটির। বিশেষ করে নাজুক ব্যাটিং পারফরম্যান্স টেস্টে বাংলাদেশের আগামীকেও করছে প্রশ্নবিদ্ধ।
আজ চট্টগ্রামে শুরু হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। সিরিজ হার এড়াতে এই টেস্টে জেতার বিকল্প নেই বাংলাদেশের। এই পরিস্থিতিতে দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের প্রতি ধৈর্য ধরার অনুরোধ করেছেন সিমন্স, ‘আমি বাংলাদেশের মানুষের কাছে ধৈর্য আহ্বান করব। ক্রিকেটে তাদের ফ্যাশন অতুলনীয়। আমরা ঠিক প্রক্রিয়ায় গিয়ে দীর্ঘমেয়াদে উন্নতি নিশ্চিত করতে চেষ্টা করছি।’
চট্টগ্রামে এবার তাই ইতিবাচক অ্যাপ্রোচে খেলার চিন্তা করছেন সিমন্স, ‘আমরা দল হিসেবে উপযুক্ত ব্যাট করতে পারিনি। প্রথম ইনিংসেই নিজেদের চাপে ফেলেছি। আমাদের লক্ষ্য ইতিবাচক টেস্ট খেলা। এমন না যে ধীরে খেলে দিনে কেবল দুইশো রান করব।’
সিলেটে প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসেই বাংলাদেশের ব্যাটারদের আত্মাহুতি দিতে দেখা গেছে। প্রথম ইনিংসে মাত্রা ছিল একটু বেশি। খেলোয়াড়দের এসব দুর্বলতা দেখিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন সিমন্স, ‘খেলোয়াড়দের কাছে বার্তা হলো, আমরা কিছু সফট ডিসমিসালে আউট হয়েছি। আমাদের এসব জায়গায় উন্নতি করতে হবে। দুই-তিন ম্যাচ পর পর ভালো পারফরম্যান্স হলে সেটা আমরা ভালো বলতে পারব না। টেস্টে আমাদের ধারাবাহিক হতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে দলে এনামুলের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্নে জবাবে প্রধান কোচ বলেন, ‘না, এটি আদর্শ নয়। কিন্তু বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের টুর্নামেন্টগুলো এভাবে সাজানো। চার দিনের টুর্নামেন্ট বছরের শেষ দিকে খেলা হয়। এখন ডিপিএলের (ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ) সময়। এই বিষয়ে আমাদের কিছু করার ছিল না। আমাদের উদ্বোধনী জুটি তো বেশ কিছুদিন ধরেই সমস্যার কারণ।’
ডিপিএল বিতর্কের শঙ্কা উড়িয়ে দিলেন না সিমন্স
জিম্বাবুয়ের কাছে সিলেটে টেস্ট হার এমনিতেই বড় ধাক্কা। এরমধ্যে দেশের ক্রিকেট যে চরম বাজে অবস্থায় আছে তার রুগ্ণ দশা বেরিয়ে আসে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। যেখানে বিসিবির দেখা মিলে নড়বড়ে এক প্রতিষ্ঠান হিসেবে। যারা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিয়েই অপরিষ্কার, বারকয়েক সেটা বদল করেও ধোঁয়াশা কাটাতে পারেনি।
সিমন্স জানান, এই টেস্ট শুরুর আগের রাতের সভায় তাদের মূল ফোকাসই হবে ক্রিকেটারদের এসব থেকে দূরে রাখা, ‘কোচিং স্টাফ হিসেবে আমাদের বাইরের ব্যাপার যা মনোযোগে বিঘ্ন ঘটায় তা থেকে খেলোয়াড়দের সুরক্ষা করতে হবে। আমরা রাতে সভায় বসব, আমরা পরের পাঁচদিন যাতে বাইরের কোনো কিছু এখানে প্রভাব ফেলতে না পারে তার ওপর গুরুত্ব দেব।’