কোপা দেল রে কাপ নিয়ে বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের উল্লাস
কোপা দেল রে’র রোমাঞ্চকর ফাইনালে রেয়াল মাদ্রিদকে ৩-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে বার্সেলোনা। প্রতিযোগিতার রেকর্ড চ্যাম্পিয়নদের এটি ৩২তম শিরোপা। ২৪টির বেশি নেই আর কারও।
সেভিয়ার মাঠে গতকাল শনিবার রাতের পেদ্রির চমৎকার গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধে ৮ মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে এগিয়ে যায় রেয়াল। সরাসরি ফ্রি কিকে নিজের প্রথম গোলে এমবাপ্পে সমতা ফেরানোর পর দলকে এগিয়ে নেন অহেলিয়া চুয়ামেনি।
সে সময়ে রেয়ালকেই শ্রেয়তর দল মনে হচ্ছিল। অনেকটা খেলার ধারার বিপরীতে ৮৪তম মিনিটে ম্যাচে সমতা ফেরান ফেররান বার্সার তরেস। ১১৬তম মিনিটের দুর্দান্ত গোলে ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন জুল কুন্দে।
ফাইনালের রেফারি রিকার্দো দে বুর্গোস বেনগোচেয়া ও ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি গনসালেস ফুয়ের্তেসের মন্তব্যের জের ধরে ম্যাচের আগের দিন পরিস্থিতি ছিল উত্তপ্ত। অনুশীলন ও সংবাদ সম্মেলনসহ ম্যাচের আগের সব আনুষ্ঠানিকতা বর্জন করে রেয়াল। রেফারি পরির্তনেরও দাবি জানায় তারা, যদিও তাতে সাড়া মেলেনি।
অমন তাতানো ম্যাচের শেষটাও যথেষ্ট আগুনে। ম্যাচের অন্তিম সময়ে ফ্রি কিকের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে রেয়ালের বেঞ্চ। রেফারির দিকে কিছু একটা ছুড়ে লাল কার্ড দেখেন আন্টোনিও রুডিগার। তাকে থামিয়ে রাখতে বেগ পেতে হচ্ছিল রেয়ালের কোচ, খেলোয়াড়দের।
এমন ম্যাচের শুরুটা ছিল বেশ সাদামাটা। বল দখলে রেখে গোলের সুযোগ খুঁজতে থাকে বার্সেলোনা, সে সময় রেয়ালকে মনে হচ্ছিল লক্ষ্যহীন।
একাদশ মিনিটে বড় এক ধাক্কা খায় রেয়াল। চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ফেরলঁদ মঁদি। ফরাসি লেফট-ব্যাকের জায়গায় নামেন ফ্রান গার্সিয়া।
২৮তম মিনিটে পেদ্রির দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। অরক্ষিত মিডফিল্ডার পেদ্রি গতিময় শটে বল পাঠান জালে। ঝাঁপিয়েও কিছু করতে পারেননি কোর্তোয়া। ৩৫তম মিনিটে জালে বল পাঠান জুড বেলিংহ্যাম; কিন্তু অফসাইডে গোল বাতিল হয়।
প্রথমার্ধে ৬৩ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ৯টি শট নেয় বার্সেলোনা, এর চারটি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে রেয়ালের একমাত্র শট ছিল লক্ষ্যভ্রষ্ট। আক্রমণে ধার বাড়াতে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে রদ্রিগোর জায়গায় এমবাপেকে নামান রেয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি। ৭০তম মিনিটে চমৎকার ফ্রি কিকে রেয়ালকে সমতায় ফেরান এমবাপ্পে। পোস্টে লেগে বল জালে জড়ায়।
একের পর এক আক্রমণে বার্সেলোনাকে চেপে ধরা রেয়াল এগিয়ে যায় ৭৭তম মিনিটে। টানা তিনটি কর্নার পায় স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা। তৃতীয় কর্নারে হেডে জাল খুঁজে নেন অরক্ষিত অহেলিয়া চুয়ামেনি।
৮৪তম মিনিটে বিপদ ডেকে আনেন রেয়াল গোলরক্ষক নিজেই। মাঝমাঠ থেকে আসা বল ধরে রুডিগারকে গতিতে পরাস্ত করে এগিয়ে যান ফেররান তরেস। ছুটে আসেন কোর্তোয়া; কিন্তু বলের নাগাল পাননি তিনি। ঠা-া মাথার শটে ফাঁকা জালে বল পাঠান স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা। প্রবল প্রতিবাদ জানায় রেয়ালের খেলোয়াড়রা। ভিএআর মনিটরে দেখে অবশ্য সিদ্ধান্ত পাল্টান রেফারি; ডাইভ দেয়ায় উল্টো হলুদ কার্ড দেখেন রাফিনিয়া।
অতিরিক্ত সময়ে অনেকটাই পড়ে যায় খেলার গতি।
১০৭ মিনিটে জালে বল পাঠান তরেস। তবে তিনিই অফসাইডে থাকায় মিলেনি গোল।
১১৬তম মিনিটে কুন্দের নৈপুণ্যে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। নিজেদের ডি বক্সের একটু বাইরে থেকে দিয়াসকে বল বাড়ান লুকা মদ্রিচ। দ্রুত গতিতে ছুটে এসে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গতিময় শটে জাল খুঁজে নেন কুন্দে!
বাকি সময়টায় দারুণ চেষ্টা করেন এমবাপ্পে। কিন্তু কোনোমতে তীব্র স্নায়ুচাপের শেষ সময়টুকু কোনোমতে কাটিয়ে দিয়ে শিরোপার উচ্ছ্বাসে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।
চলতি মৌসুমে তিনটি বড় শিরোপা জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিল বার্সেলোনা। প্রথমটি জিতে নিলো তারা, এবার লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও লা লিগা।
চ্যাম্পিয়ন্স লীগ থেকে আগেই বিদায় নিয়েছে রেয়াল। কোপা দেল রেতেও শিরোপা জিততে না পারায় তাদের সম্ভাবনা বেঁচে আছে কেবল লা লিগায়। সেখানে বার্সেলোনার চেয়ে ৪ পয়েন্টে পিছিয়ে দুই নম্বরে আছে তারা।
কোপা দেল রে কাপ নিয়ে বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের উল্লাস
রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
কোপা দেল রে’র রোমাঞ্চকর ফাইনালে রেয়াল মাদ্রিদকে ৩-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে বার্সেলোনা। প্রতিযোগিতার রেকর্ড চ্যাম্পিয়নদের এটি ৩২তম শিরোপা। ২৪টির বেশি নেই আর কারও।
সেভিয়ার মাঠে গতকাল শনিবার রাতের পেদ্রির চমৎকার গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধে ৮ মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে এগিয়ে যায় রেয়াল। সরাসরি ফ্রি কিকে নিজের প্রথম গোলে এমবাপ্পে সমতা ফেরানোর পর দলকে এগিয়ে নেন অহেলিয়া চুয়ামেনি।
সে সময়ে রেয়ালকেই শ্রেয়তর দল মনে হচ্ছিল। অনেকটা খেলার ধারার বিপরীতে ৮৪তম মিনিটে ম্যাচে সমতা ফেরান ফেররান বার্সার তরেস। ১১৬তম মিনিটের দুর্দান্ত গোলে ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন জুল কুন্দে।
ফাইনালের রেফারি রিকার্দো দে বুর্গোস বেনগোচেয়া ও ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি গনসালেস ফুয়ের্তেসের মন্তব্যের জের ধরে ম্যাচের আগের দিন পরিস্থিতি ছিল উত্তপ্ত। অনুশীলন ও সংবাদ সম্মেলনসহ ম্যাচের আগের সব আনুষ্ঠানিকতা বর্জন করে রেয়াল। রেফারি পরির্তনেরও দাবি জানায় তারা, যদিও তাতে সাড়া মেলেনি।
অমন তাতানো ম্যাচের শেষটাও যথেষ্ট আগুনে। ম্যাচের অন্তিম সময়ে ফ্রি কিকের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে রেয়ালের বেঞ্চ। রেফারির দিকে কিছু একটা ছুড়ে লাল কার্ড দেখেন আন্টোনিও রুডিগার। তাকে থামিয়ে রাখতে বেগ পেতে হচ্ছিল রেয়ালের কোচ, খেলোয়াড়দের।
এমন ম্যাচের শুরুটা ছিল বেশ সাদামাটা। বল দখলে রেখে গোলের সুযোগ খুঁজতে থাকে বার্সেলোনা, সে সময় রেয়ালকে মনে হচ্ছিল লক্ষ্যহীন।
একাদশ মিনিটে বড় এক ধাক্কা খায় রেয়াল। চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ফেরলঁদ মঁদি। ফরাসি লেফট-ব্যাকের জায়গায় নামেন ফ্রান গার্সিয়া।
২৮তম মিনিটে পেদ্রির দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। অরক্ষিত মিডফিল্ডার পেদ্রি গতিময় শটে বল পাঠান জালে। ঝাঁপিয়েও কিছু করতে পারেননি কোর্তোয়া। ৩৫তম মিনিটে জালে বল পাঠান জুড বেলিংহ্যাম; কিন্তু অফসাইডে গোল বাতিল হয়।
প্রথমার্ধে ৬৩ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ৯টি শট নেয় বার্সেলোনা, এর চারটি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে রেয়ালের একমাত্র শট ছিল লক্ষ্যভ্রষ্ট। আক্রমণে ধার বাড়াতে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে রদ্রিগোর জায়গায় এমবাপেকে নামান রেয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি। ৭০তম মিনিটে চমৎকার ফ্রি কিকে রেয়ালকে সমতায় ফেরান এমবাপ্পে। পোস্টে লেগে বল জালে জড়ায়।
একের পর এক আক্রমণে বার্সেলোনাকে চেপে ধরা রেয়াল এগিয়ে যায় ৭৭তম মিনিটে। টানা তিনটি কর্নার পায় স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা। তৃতীয় কর্নারে হেডে জাল খুঁজে নেন অরক্ষিত অহেলিয়া চুয়ামেনি।
৮৪তম মিনিটে বিপদ ডেকে আনেন রেয়াল গোলরক্ষক নিজেই। মাঝমাঠ থেকে আসা বল ধরে রুডিগারকে গতিতে পরাস্ত করে এগিয়ে যান ফেররান তরেস। ছুটে আসেন কোর্তোয়া; কিন্তু বলের নাগাল পাননি তিনি। ঠা-া মাথার শটে ফাঁকা জালে বল পাঠান স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা। প্রবল প্রতিবাদ জানায় রেয়ালের খেলোয়াড়রা। ভিএআর মনিটরে দেখে অবশ্য সিদ্ধান্ত পাল্টান রেফারি; ডাইভ দেয়ায় উল্টো হলুদ কার্ড দেখেন রাফিনিয়া।
অতিরিক্ত সময়ে অনেকটাই পড়ে যায় খেলার গতি।
১০৭ মিনিটে জালে বল পাঠান তরেস। তবে তিনিই অফসাইডে থাকায় মিলেনি গোল।
১১৬তম মিনিটে কুন্দের নৈপুণ্যে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। নিজেদের ডি বক্সের একটু বাইরে থেকে দিয়াসকে বল বাড়ান লুকা মদ্রিচ। দ্রুত গতিতে ছুটে এসে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গতিময় শটে জাল খুঁজে নেন কুন্দে!
বাকি সময়টায় দারুণ চেষ্টা করেন এমবাপ্পে। কিন্তু কোনোমতে তীব্র স্নায়ুচাপের শেষ সময়টুকু কোনোমতে কাটিয়ে দিয়ে শিরোপার উচ্ছ্বাসে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।
চলতি মৌসুমে তিনটি বড় শিরোপা জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিল বার্সেলোনা। প্রথমটি জিতে নিলো তারা, এবার লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও লা লিগা।
চ্যাম্পিয়ন্স লীগ থেকে আগেই বিদায় নিয়েছে রেয়াল। কোপা দেল রেতেও শিরোপা জিততে না পারায় তাদের সম্ভাবনা বেঁচে আছে কেবল লা লিগায়। সেখানে বার্সেলোনার চেয়ে ৪ পয়েন্টে পিছিয়ে দুই নম্বরে আছে তারা।