মোহামেডান স্পোর্টিং ৩ : ১ পুলিশ এফসি , বসুন্ধরা কিংস ২ : ০ আবাহনী লিমিটেড
মোহামেডানের জয় উদযাপন
পিছিয়ে পড়ে মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে লড়াই করার চেষ্টা করলো পুলিশ এফসি। একপর্যায়ে সমতাও ফেরালো। কিন্তু সাদা কালোরা ছিল দুর্বার। শুক্রবার ( ২ মে ২০২৫) প্রিমিয়ার লীগে ফিরতি পর্বে ৩-১ গোলে দারুণ জয়ে লীগ শিরোপার আরও কাছে পৌঁছে গেলো আলফাজ আহমেদের দল ।
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে এই জয়ে ১৩ ম্যাচে ১১ জয় ও এক ড্রয়ে ৩৪ পয়েন্ট মোহামেডানের। টানা চার ম্যাচ জয়ের পর হারের তেতো স্বাদ পাওয়া পুলিশ এফসি ১৯ পয়েন্ট নিয়ে আছে পঞ্চম স্থানে।
প্রথম পর্বের দেখায় একই ব্যবধানে জিতেছিল সাদাকালো জার্সিধারীরা।
শুক্রবার ম্যাচের শুরু থেকে দুই দল খেলতে থাকে সাবধানী ফুটবল। ২৫ মিনিটে জাহিদ হাসান শান্তর আড়াআড়ি ক্রস ঝাঁপিয়ে এক হাতের ফিস্টে ক্লিয়ার করেন পুলিশ এফসি গোলকিপার তুষার।
পাঁচ মিনিট পর বক্সের ঠিক উপরে দীপককে পেছন থেকে ফাউল করেন শান্ত, কুরবানবায়েভের। ফ্রি কিক পোস্ট ঘেঁষে বাইরের জাল কাঁপালে এগিয়ে যাওয়া হয়নি পুলিশ এফসির। ৩৪ মিনিটে মোজাফ্ফরের কর্নারে আরিফ হোসেনের হেড অল্পের জন্য ক্রসবারের উপর দিয়ে গেলে প্রথমার্ধ থাকে গোলশূন্য।
বিরতির পর বক্সে ভালো জায়গায় বল পেয়েও দুর্বল শটে ইমানুয়েল সানডে তুলে দেন তুষারের গ্লাভসে। অবশ্য ৫২ মিনিটেই গোলের অপেক্ষা ফুরায় মোহামেডানের। মেহেদীর ক্রসে দূরের পোস্টে থাকা সানডে অনেকটা লাফিয়ে হেডে বল জড়িয়ে দেন জালে।
৬৩ মিনিটে বক্সে দীপককে পেছন থেকে ফাউল করেন একটু আগেই মোহামেডানকে এগিয়ে দেয়া গোলের কারিগর মেহেদী। পেনাল্টি কিকে পুলিশকে সমতায় ফেরান ব্রাজিলিয়ান সেন্টারব্যাক দানিলো কুইপা।
৭৪ মিনিটে ইমানুয়েলের ক্রসে ঠিকঠাক হেড করতে পারেননি সুলেমানে দিয়াবাতে। একটু পরই পুলিশের শেখ বাবলু বলের নিয়ন্ত্রণ নিলেও উড়িয়ে মেরে নষ্ট করেন ভালো সুযোগটি।
শেষ দিকে দুই গোল তুলে নেয় মোহামেডান। ৮৫ মিনিটে মিনহাজুর রাকিবের ফ্রি কিকে বক্সে দিয়াবাতে গোলমুখ থেকে দিয়াবাতে টোকা দেয়ার আগ মুহূর্তে তাকে পেছন থেকে ফাউল করে বসেন দানিলো। রেফারি বাজান পেনাল্টির বাঁশি। মোজাফ্ফরের জোরালো স্পট কিক গোল করেন। যোগ করা সময়ে বাম দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা সানডে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জায়গা করে নিয়ে কাছের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন। এতেই ১১তম জয় নিশ্চিত হয়। দিনের আরেক ম্যাচে ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ১-০ গোলে ফর্টিজ এফসিকে হারায়। এই জয়ে ওয়ান্ডারার্স ১৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে রেলিগেশন জোনে অবস্থান করলেও ১০ পয়েন্ট নিয়ে ফকিরেরপুলের নাগালের কাছে গেল। ১৮ পয়েন্টে ফর্টিজ সপ্তম স্থানে।
আবাহনীকে আবার
হারালো কিংস
ফেডারেশন কাপের ফাইনালের পর প্রিমিয়ার লীগে ফিরতি পর্বেও বসুন্ধরা কিংসের কাছে হেরেছে আবাহনী লিমিটেড। শুক্রবার কিংস অ্যারেনাতে ফাহিমের জোড়া গোলে কিংস ২-০ ব্যবধানে পরাজিত করেআবাহনীকে। প্রথম পর্বের দেখায় সুমনের এক গোলে জিতেছিল আবাহনী। সে হারের মধুর প্রতিশোধও ফিরতি লেগের দেখায় নিয়ে নিলো কিংস।
মোহামেডান ১৩ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপার পথে আরও এগিয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আবাহনী (২৭)। এই হারে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে পিছিয়ে পড়েছে ৭ পয়েন্টের ব্যবধানে। কিংস তৃতীয় স্থানে আছে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে।
ম্যাচের ১৬ মিনিটে রাকিবের কাছ থেকে ফিরতি পাস ধরে নিখুঁত শটে জাল খুঁজে নেন ফাহিম। নিজের সাবেক ক্লাব আবাহনীর বিপক্ষে গোলের উদযাপন তিনি সারেন আকাশি-নীল সমর্থকদের উদ্দেশে করজোড়ে ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গিতে। বিরতির আগে প্রথম ভালো সুযোগটি নষ্ট হয় আবাহনীর।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান হয় দ্বিগুণ। রাকিবের পাস ধরে দারুণ কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন ফাহিম।
গোলরক্ষক মিতুল মারমা ঝাঁপিয়ে বলের নাগাল পাননি। এরপর কিংসের খেলায় গতি কমে।
৮৭ মিনিটে ইভান্স ইত্তির প্লেসিং শট পোস্টে প্রতিহত হলে ব্যবধান আর বাড়িয়ে নিতে পারেনি কিংস।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে গোলমুখ থেকে আরমান ফয়সাল আকাশ গোলকিপারকে একা পেয়েও তাড়াহুড়ো করে উড়িয়ে মারলে ব্যবধান কমানো গোলের দেখাও পায়নি আবাহনী।
শেষ সময়ে সোহেল রানা ও আসাদুল মোল্লার মধ্যে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হওয়া সংঘর্ষের উত্তাপে হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কিতে জড়ায় দুই পক্ষ। রেফারি দ্রুত এসে শান্ত করেন পরিস্থিতি। ওই ঘটনায় কিংসের সোহেল, সাদউদ্দিন ও আবাহনীর শাহিন আহমেদকে দেখান লাল কার্ড। মিনিট পাঁচেক পর খেলা শুরুর পরপরই শেষের বাঁশি বাজান রেফারি। এরপর ডাগ আউটে দুই দলের সবাই ফের হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।
মোহামেডান স্পোর্টিং ৩ : ১ পুলিশ এফসি , বসুন্ধরা কিংস ২ : ০ আবাহনী লিমিটেড
মোহামেডানের জয় উদযাপন
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫
পিছিয়ে পড়ে মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে লড়াই করার চেষ্টা করলো পুলিশ এফসি। একপর্যায়ে সমতাও ফেরালো। কিন্তু সাদা কালোরা ছিল দুর্বার। শুক্রবার ( ২ মে ২০২৫) প্রিমিয়ার লীগে ফিরতি পর্বে ৩-১ গোলে দারুণ জয়ে লীগ শিরোপার আরও কাছে পৌঁছে গেলো আলফাজ আহমেদের দল ।
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে এই জয়ে ১৩ ম্যাচে ১১ জয় ও এক ড্রয়ে ৩৪ পয়েন্ট মোহামেডানের। টানা চার ম্যাচ জয়ের পর হারের তেতো স্বাদ পাওয়া পুলিশ এফসি ১৯ পয়েন্ট নিয়ে আছে পঞ্চম স্থানে।
প্রথম পর্বের দেখায় একই ব্যবধানে জিতেছিল সাদাকালো জার্সিধারীরা।
শুক্রবার ম্যাচের শুরু থেকে দুই দল খেলতে থাকে সাবধানী ফুটবল। ২৫ মিনিটে জাহিদ হাসান শান্তর আড়াআড়ি ক্রস ঝাঁপিয়ে এক হাতের ফিস্টে ক্লিয়ার করেন পুলিশ এফসি গোলকিপার তুষার।
পাঁচ মিনিট পর বক্সের ঠিক উপরে দীপককে পেছন থেকে ফাউল করেন শান্ত, কুরবানবায়েভের। ফ্রি কিক পোস্ট ঘেঁষে বাইরের জাল কাঁপালে এগিয়ে যাওয়া হয়নি পুলিশ এফসির। ৩৪ মিনিটে মোজাফ্ফরের কর্নারে আরিফ হোসেনের হেড অল্পের জন্য ক্রসবারের উপর দিয়ে গেলে প্রথমার্ধ থাকে গোলশূন্য।
বিরতির পর বক্সে ভালো জায়গায় বল পেয়েও দুর্বল শটে ইমানুয়েল সানডে তুলে দেন তুষারের গ্লাভসে। অবশ্য ৫২ মিনিটেই গোলের অপেক্ষা ফুরায় মোহামেডানের। মেহেদীর ক্রসে দূরের পোস্টে থাকা সানডে অনেকটা লাফিয়ে হেডে বল জড়িয়ে দেন জালে।
৬৩ মিনিটে বক্সে দীপককে পেছন থেকে ফাউল করেন একটু আগেই মোহামেডানকে এগিয়ে দেয়া গোলের কারিগর মেহেদী। পেনাল্টি কিকে পুলিশকে সমতায় ফেরান ব্রাজিলিয়ান সেন্টারব্যাক দানিলো কুইপা।
৭৪ মিনিটে ইমানুয়েলের ক্রসে ঠিকঠাক হেড করতে পারেননি সুলেমানে দিয়াবাতে। একটু পরই পুলিশের শেখ বাবলু বলের নিয়ন্ত্রণ নিলেও উড়িয়ে মেরে নষ্ট করেন ভালো সুযোগটি।
শেষ দিকে দুই গোল তুলে নেয় মোহামেডান। ৮৫ মিনিটে মিনহাজুর রাকিবের ফ্রি কিকে বক্সে দিয়াবাতে গোলমুখ থেকে দিয়াবাতে টোকা দেয়ার আগ মুহূর্তে তাকে পেছন থেকে ফাউল করে বসেন দানিলো। রেফারি বাজান পেনাল্টির বাঁশি। মোজাফ্ফরের জোরালো স্পট কিক গোল করেন। যোগ করা সময়ে বাম দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা সানডে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জায়গা করে নিয়ে কাছের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন। এতেই ১১তম জয় নিশ্চিত হয়। দিনের আরেক ম্যাচে ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ১-০ গোলে ফর্টিজ এফসিকে হারায়। এই জয়ে ওয়ান্ডারার্স ১৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে রেলিগেশন জোনে অবস্থান করলেও ১০ পয়েন্ট নিয়ে ফকিরেরপুলের নাগালের কাছে গেল। ১৮ পয়েন্টে ফর্টিজ সপ্তম স্থানে।
আবাহনীকে আবার
হারালো কিংস
ফেডারেশন কাপের ফাইনালের পর প্রিমিয়ার লীগে ফিরতি পর্বেও বসুন্ধরা কিংসের কাছে হেরেছে আবাহনী লিমিটেড। শুক্রবার কিংস অ্যারেনাতে ফাহিমের জোড়া গোলে কিংস ২-০ ব্যবধানে পরাজিত করেআবাহনীকে। প্রথম পর্বের দেখায় সুমনের এক গোলে জিতেছিল আবাহনী। সে হারের মধুর প্রতিশোধও ফিরতি লেগের দেখায় নিয়ে নিলো কিংস।
মোহামেডান ১৩ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপার পথে আরও এগিয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আবাহনী (২৭)। এই হারে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে পিছিয়ে পড়েছে ৭ পয়েন্টের ব্যবধানে। কিংস তৃতীয় স্থানে আছে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে।
ম্যাচের ১৬ মিনিটে রাকিবের কাছ থেকে ফিরতি পাস ধরে নিখুঁত শটে জাল খুঁজে নেন ফাহিম। নিজের সাবেক ক্লাব আবাহনীর বিপক্ষে গোলের উদযাপন তিনি সারেন আকাশি-নীল সমর্থকদের উদ্দেশে করজোড়ে ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গিতে। বিরতির আগে প্রথম ভালো সুযোগটি নষ্ট হয় আবাহনীর।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান হয় দ্বিগুণ। রাকিবের পাস ধরে দারুণ কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন ফাহিম।
গোলরক্ষক মিতুল মারমা ঝাঁপিয়ে বলের নাগাল পাননি। এরপর কিংসের খেলায় গতি কমে।
৮৭ মিনিটে ইভান্স ইত্তির প্লেসিং শট পোস্টে প্রতিহত হলে ব্যবধান আর বাড়িয়ে নিতে পারেনি কিংস।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে গোলমুখ থেকে আরমান ফয়সাল আকাশ গোলকিপারকে একা পেয়েও তাড়াহুড়ো করে উড়িয়ে মারলে ব্যবধান কমানো গোলের দেখাও পায়নি আবাহনী।
শেষ সময়ে সোহেল রানা ও আসাদুল মোল্লার মধ্যে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হওয়া সংঘর্ষের উত্তাপে হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কিতে জড়ায় দুই পক্ষ। রেফারি দ্রুত এসে শান্ত করেন পরিস্থিতি। ওই ঘটনায় কিংসের সোহেল, সাদউদ্দিন ও আবাহনীর শাহিন আহমেদকে দেখান লাল কার্ড। মিনিট পাঁচেক পর খেলা শুরুর পরপরই শেষের বাঁশি বাজান রেফারি। এরপর ডাগ আউটে দুই দলের সবাই ফের হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।