শ্রীলঙ্কা বোলারের উল্লাস
যুব ওয়ানডে সিরিজের পঞ্চম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ২৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ । সোমবার,(৫ এপ্রিল ২০২৫) কলম্বোতে ১৯৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩০ বল বাকি থাকতে ১৬৯ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ম্যাচ হারলেও ছয় ম্যাচ সিরিজে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ।
আগের ম্যাচে জাওয়াদ আবরারের সেঞ্চুরির সঙ্গে রিজান হোসেনের চমৎকার ব্যাটিংয়ে সাড়ে তিনশ’র কাছাকাছি গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু কাল ওপরের সারির ব্যাটাররা অল্পতেই ফেরার পর দুইশ’র কম রানও তাড়া করতে পারলো না তারা।
সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে লক্ষ্যে ছুটে সাত ওভারের মধ্যে ড্রেসিং রুমে ফেরেন প্রথম তিন ব্যাটার। আগের তিন ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি করা জাওয়াদ ৭ রানে। কালাম, আজিজুলও ব্যর্থ । পরের পাঁচ ব্যাটারদের সবাই থেমে যান চল্লিশের আগেই। ১৭ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর চেষ্টা করেন রিজান ও আব্দুল্লাহ। ৫৪ বলে ৩৪ রানের জুটি গড়েন তারা। রিজান আউট হন ৫০ বলে ২৫ রান করে। ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ রান করেন দেবাশিষ। আব্দুল্লাহ খেলেন ৫৯ বলে ৩২ রানের ইনিংস। ১০৫ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর আট নম্বরে নেমে ঝড় তোলেন স্পিনিং অলরাউন্ডার সামিউন বশির।
ফরিদ হাসানের সঙ্গে সামিউনের সপ্তম উইকেট জুটিতে জয়ের আশা দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ। সামিউন ৪ চার ও ২ ছক্কায় ২৬ বলে ৩৭ রান করেন।
সেখান থেকে ১ রানে ৩ উইকেট হারালে সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায় দলের। ফরিদ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকেন ৩০ রান । শ্রীলঙ্কার পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন ভিরান চামুদিথা ও কুগাথাস মাথুলান।
ম্যাচের প্রথমভাগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের এলোমেলো বোলিংয়ে ভালো শুরু পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। প্রথম ছয় ওভারে সাতটি ওয়াইড করেন যুব ওয়ানডেতে অভিষিক্ত সাদ ইসলাম ও ইকবাল। সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে এসে চামুদিথাকে ফিরিয়ে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন রিজান। দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে নিজের প্রথম সাফল্য পান সাদ। অল্পেই ফেরেন চামিকা হিনাটিগালা।
ভালো শুরু করা সুহাস ফার্নান্দোকেও বেশি দূর যেতে দেননি রিজান। ৪ চারে ৪৪ বলে ২৮ রান করেন অভিষিক্ত ওপেনার।
পুরো ইনিংসে তেমন কোনো জুটি গড়তে পারেনি শ্রীলঙ্কা। পাঁচ নম্বরে নেমে একপ্রান্তে একাই রান করতে থাকেন অধিনায়ক ভিমাথ দিনসারা। সাত নম্বরে নেমে তাকে সঙ্গ দেন অভিষিক্ত আদাম হিলমি।
দু’জন মিলে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩৮ রানের জুটি গড়েন। দলকে দেড়শ পার করিয়ে আউট হন ৪৭ বলে ৪২ রান করা দিনসারা।
পরে পুরো দায়িত্ব নিয়ে নেন হিলমি। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ৫৯ বলে ৫১ রানের রানের ইনিংসে কোনোমতে দুইশ’র কাছে যায় স্বাগতিকরা। পরে সেই পুঁজিকেই যথেষ্ট প্রমাণ করেন লঙ্কান বোলাররা।
ব্যাটিংয়ে দলের সবচেয়ে বেশি রান করার বল হাতে সফরকারীদের পক্ষে ৩৫ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন সামিউন।
কলম্বোর কোল্টস ক্রিকেট ক্লাব মাঠে আগামী বৃহস্পতিবার সিরিজের শেষ ওয়ানডে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : শ্রীলঙ্কা অ-১৯ ৪২.৩ ওভারে ১৯৬ ( ফার্নান্দো ২৮, ভিদানাপাথিরানা ২৮, দিনসারা ৪২, হিলমি ৫১; সাদ ২/২৯, রিজান ২/৩০, সামিউন ৩/৩৫, দেবাশিষ ১/৩৪, ফারহান ২/৫)।
বাংলাদেশ অ-১৯ ৪৫ ওভারে ১৬৯ (জাওয়াদ ৭, কালাম ১, আজিজুল ৪, রিজান ২৫, আব্দুল্লাহ ৩২, দেবাশিষ ২৪, ফরিদ ৩০*, সামিউন ৩৭, ফারহান ১, ইকবাল ০, সাদ ০; নাভোদিয়া ২/৩০, চামুদিথা ৩/২৬, মাথুলান ৩/২৬, কাভিজা ১/৩)। ম্যাচসেরা : আদাম হিলমি
শ্রীলঙ্কা বোলারের উল্লাস
সোমবার, ০৫ মে ২০২৫
যুব ওয়ানডে সিরিজের পঞ্চম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ২৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ । সোমবার,(৫ এপ্রিল ২০২৫) কলম্বোতে ১৯৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩০ বল বাকি থাকতে ১৬৯ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ম্যাচ হারলেও ছয় ম্যাচ সিরিজে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ।
আগের ম্যাচে জাওয়াদ আবরারের সেঞ্চুরির সঙ্গে রিজান হোসেনের চমৎকার ব্যাটিংয়ে সাড়ে তিনশ’র কাছাকাছি গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু কাল ওপরের সারির ব্যাটাররা অল্পতেই ফেরার পর দুইশ’র কম রানও তাড়া করতে পারলো না তারা।
সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে লক্ষ্যে ছুটে সাত ওভারের মধ্যে ড্রেসিং রুমে ফেরেন প্রথম তিন ব্যাটার। আগের তিন ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি করা জাওয়াদ ৭ রানে। কালাম, আজিজুলও ব্যর্থ । পরের পাঁচ ব্যাটারদের সবাই থেমে যান চল্লিশের আগেই। ১৭ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর চেষ্টা করেন রিজান ও আব্দুল্লাহ। ৫৪ বলে ৩৪ রানের জুটি গড়েন তারা। রিজান আউট হন ৫০ বলে ২৫ রান করে। ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ রান করেন দেবাশিষ। আব্দুল্লাহ খেলেন ৫৯ বলে ৩২ রানের ইনিংস। ১০৫ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর আট নম্বরে নেমে ঝড় তোলেন স্পিনিং অলরাউন্ডার সামিউন বশির।
ফরিদ হাসানের সঙ্গে সামিউনের সপ্তম উইকেট জুটিতে জয়ের আশা দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ। সামিউন ৪ চার ও ২ ছক্কায় ২৬ বলে ৩৭ রান করেন।
সেখান থেকে ১ রানে ৩ উইকেট হারালে সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায় দলের। ফরিদ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকেন ৩০ রান । শ্রীলঙ্কার পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন ভিরান চামুদিথা ও কুগাথাস মাথুলান।
ম্যাচের প্রথমভাগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের এলোমেলো বোলিংয়ে ভালো শুরু পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। প্রথম ছয় ওভারে সাতটি ওয়াইড করেন যুব ওয়ানডেতে অভিষিক্ত সাদ ইসলাম ও ইকবাল। সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে এসে চামুদিথাকে ফিরিয়ে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন রিজান। দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে নিজের প্রথম সাফল্য পান সাদ। অল্পেই ফেরেন চামিকা হিনাটিগালা।
ভালো শুরু করা সুহাস ফার্নান্দোকেও বেশি দূর যেতে দেননি রিজান। ৪ চারে ৪৪ বলে ২৮ রান করেন অভিষিক্ত ওপেনার।
পুরো ইনিংসে তেমন কোনো জুটি গড়তে পারেনি শ্রীলঙ্কা। পাঁচ নম্বরে নেমে একপ্রান্তে একাই রান করতে থাকেন অধিনায়ক ভিমাথ দিনসারা। সাত নম্বরে নেমে তাকে সঙ্গ দেন অভিষিক্ত আদাম হিলমি।
দু’জন মিলে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩৮ রানের জুটি গড়েন। দলকে দেড়শ পার করিয়ে আউট হন ৪৭ বলে ৪২ রান করা দিনসারা।
পরে পুরো দায়িত্ব নিয়ে নেন হিলমি। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ৫৯ বলে ৫১ রানের রানের ইনিংসে কোনোমতে দুইশ’র কাছে যায় স্বাগতিকরা। পরে সেই পুঁজিকেই যথেষ্ট প্রমাণ করেন লঙ্কান বোলাররা।
ব্যাটিংয়ে দলের সবচেয়ে বেশি রান করার বল হাতে সফরকারীদের পক্ষে ৩৫ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন সামিউন।
কলম্বোর কোল্টস ক্রিকেট ক্লাব মাঠে আগামী বৃহস্পতিবার সিরিজের শেষ ওয়ানডে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : শ্রীলঙ্কা অ-১৯ ৪২.৩ ওভারে ১৯৬ ( ফার্নান্দো ২৮, ভিদানাপাথিরানা ২৮, দিনসারা ৪২, হিলমি ৫১; সাদ ২/২৯, রিজান ২/৩০, সামিউন ৩/৩৫, দেবাশিষ ১/৩৪, ফারহান ২/৫)।
বাংলাদেশ অ-১৯ ৪৫ ওভারে ১৬৯ (জাওয়াদ ৭, কালাম ১, আজিজুল ৪, রিজান ২৫, আব্দুল্লাহ ৩২, দেবাশিষ ২৪, ফরিদ ৩০*, সামিউন ৩৭, ফারহান ১, ইকবাল ০, সাদ ০; নাভোদিয়া ২/৩০, চামুদিথা ৩/২৬, মাথুলান ৩/২৬, কাভিজা ১/৩)। ম্যাচসেরা : আদাম হিলমি