সেঞ্চুরিয়ান আকবর আলী
বাংলাদেশ ইমার্জিং ক্রিকেট দলকে ১০ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে সমতায় আসে দক্ষিন আফ্রিকা ইমাজিং ক্রিকেট দল। রাজশাহীতে প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ পেয়েছিল ৩ উইকেটে রুদ্ধশ্বাস জয়। একই মাঠে বুধবার, (১৪ মে ২০২৫) দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে শেষ পর্যন্ত আফ্রিকা ১০ রানে জয়লাভ করে তিন ম্যাচের সিরিজ এখন ১-১ সমতা আনে।
বিভাগীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতলে বাংলাদেশ এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলত। সেই পথে আকবর আলী যখন উইকেটে তখন সমীকরণ দাঁড়ায় শেষ ২৫ বলে ৪২ রান দরকার হলেও হাতে ৬ উইকেট থাকায় ম্যাচের পাল্লা বাংলাদেশের দিকেই ভারী থাকে। ম্যাচ ঘুরতে থাকে এখান থেকেই। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ম্যাচ হেরে যায় ১০ রানে।
৩৩৩ রানের টার্গেটে তাল মিলিয়ে খেলতে গিয়ে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। ১৩.২ ওভারে ৩ উইকেটে ৮৪ রানে পরিণত হয় । টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারের মধ্যে জিসান আলম বেধড়ক পেটাতে থাকেন আফ্রিকার বোলারদের। ৩৪ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫০ রান করেন বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের এই ওপেনার। আরেক ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম রবিন করেন ১২ বলে ১০ রান। আর রাফসান ৯ রান করলেও খেলেন ২০ বল।
তিন ব্যাটারের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নামেন অধিনায়ক আকবর। চতুর্থ উইকেটে আরিফুল ইসলামের সঙ্গে ১১১ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন আকবর। ৩১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আরিফুলকে (৩৫) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন সিমিলানে। আরিফুল ফেরার পর আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন আকবর। ৮৩ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন আকবর। ৩৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে জর্জ মার্থিনাসকে ডিপ পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে তিন অঙ্ক পৌঁছান বাংলাদেশ অধিনায়ক ।
আকবর যেভাবে বিস্ফোরক ব্যাটিং করতে থাকেন, মনে হচ্ছিল ৩৩৩ রানের পাহাড় টপকে বাংলাদেশ বাকি পথ সহজেই পাড়ি দেবে। তবে বেশি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে নিজের উইকেট খুইয়েছেন তিনি। ৪৫তম ওভারের শেষ বলে মোকোয়েনাকে তুলে মারতে গিয়ে স্কয়ার লেগে মুহাম্মদ মানাকের তালুবন্দী হন আকবর। মানাক নেমেছেন বদলি ফিল্ডার হিসেবে। ১১০ বলে ১৪ চার ও ২ ছক্কায় ১৩১ রান করেন আকবর। ১৩১ রান করা আকবর ফিরলে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৪৫ ওভারে ৫ উইকেটে ২৯১ রান। এখান থেকেই খেই হারায় স্বাগতিকেরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা বাংলাদেশ ৪৯.৪ ওভারে ৩২২ রানে সকলে আউট হয়ে যায়। দক্ষিণ আফ্রিকার সিমলানে ৮.৪ ওভারে ৫৬ রানে নেন ৫ উইকেট। তিনিই ম্যাচ সেরার পুরস্কারটি নেন। মোকোয়েনা ও সেপো ইনোসেন্ট এনটুলি নিয়েছেন ৩ ও ২ উইকেট।
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর। টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ব্যাটার সেঞ্চুরি পেতে পেতেও পাননি। ৬৮ বলে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৯১ রান করেন কনর বয়েড এস্টারহুইজেন। তিনি মারুফ মৃধার বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন। আর ডিয়ান ফরেস্টে সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও বলের অভাবে তা করতে পারেননি। ৫৯ বলে ৭টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৯৬ রান করে অপরাজিত থাকেন ডিয়ান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৩২ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের রিপন মন্ডল, মৃধা, রাব্বি ২টি করে উইকেট নেন।
ইমার্জিং ওয়ানডে সিরিজ
স্কোর : দক্ষিণ আফ্রিকা ৫০ ওভারে ৩৩২/৭:
বাংলাদেশ ৪৯.৪ ওভারে: ৩২২/১০;
ফল : দক্ষিণ আফ্রিকা ১০ রানে জয়ী
সেঞ্চুরিয়ান আকবর আলী
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
বাংলাদেশ ইমার্জিং ক্রিকেট দলকে ১০ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে সমতায় আসে দক্ষিন আফ্রিকা ইমাজিং ক্রিকেট দল। রাজশাহীতে প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ পেয়েছিল ৩ উইকেটে রুদ্ধশ্বাস জয়। একই মাঠে বুধবার, (১৪ মে ২০২৫) দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে শেষ পর্যন্ত আফ্রিকা ১০ রানে জয়লাভ করে তিন ম্যাচের সিরিজ এখন ১-১ সমতা আনে।
বিভাগীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতলে বাংলাদেশ এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলত। সেই পথে আকবর আলী যখন উইকেটে তখন সমীকরণ দাঁড়ায় শেষ ২৫ বলে ৪২ রান দরকার হলেও হাতে ৬ উইকেট থাকায় ম্যাচের পাল্লা বাংলাদেশের দিকেই ভারী থাকে। ম্যাচ ঘুরতে থাকে এখান থেকেই। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ম্যাচ হেরে যায় ১০ রানে।
৩৩৩ রানের টার্গেটে তাল মিলিয়ে খেলতে গিয়ে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। ১৩.২ ওভারে ৩ উইকেটে ৮৪ রানে পরিণত হয় । টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারের মধ্যে জিসান আলম বেধড়ক পেটাতে থাকেন আফ্রিকার বোলারদের। ৩৪ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫০ রান করেন বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের এই ওপেনার। আরেক ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম রবিন করেন ১২ বলে ১০ রান। আর রাফসান ৯ রান করলেও খেলেন ২০ বল।
তিন ব্যাটারের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নামেন অধিনায়ক আকবর। চতুর্থ উইকেটে আরিফুল ইসলামের সঙ্গে ১১১ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন আকবর। ৩১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আরিফুলকে (৩৫) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন সিমিলানে। আরিফুল ফেরার পর আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন আকবর। ৮৩ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন আকবর। ৩৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে জর্জ মার্থিনাসকে ডিপ পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে তিন অঙ্ক পৌঁছান বাংলাদেশ অধিনায়ক ।
আকবর যেভাবে বিস্ফোরক ব্যাটিং করতে থাকেন, মনে হচ্ছিল ৩৩৩ রানের পাহাড় টপকে বাংলাদেশ বাকি পথ সহজেই পাড়ি দেবে। তবে বেশি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে নিজের উইকেট খুইয়েছেন তিনি। ৪৫তম ওভারের শেষ বলে মোকোয়েনাকে তুলে মারতে গিয়ে স্কয়ার লেগে মুহাম্মদ মানাকের তালুবন্দী হন আকবর। মানাক নেমেছেন বদলি ফিল্ডার হিসেবে। ১১০ বলে ১৪ চার ও ২ ছক্কায় ১৩১ রান করেন আকবর। ১৩১ রান করা আকবর ফিরলে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৪৫ ওভারে ৫ উইকেটে ২৯১ রান। এখান থেকেই খেই হারায় স্বাগতিকেরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা বাংলাদেশ ৪৯.৪ ওভারে ৩২২ রানে সকলে আউট হয়ে যায়। দক্ষিণ আফ্রিকার সিমলানে ৮.৪ ওভারে ৫৬ রানে নেন ৫ উইকেট। তিনিই ম্যাচ সেরার পুরস্কারটি নেন। মোকোয়েনা ও সেপো ইনোসেন্ট এনটুলি নিয়েছেন ৩ ও ২ উইকেট।
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর। টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ব্যাটার সেঞ্চুরি পেতে পেতেও পাননি। ৬৮ বলে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৯১ রান করেন কনর বয়েড এস্টারহুইজেন। তিনি মারুফ মৃধার বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন। আর ডিয়ান ফরেস্টে সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও বলের অভাবে তা করতে পারেননি। ৫৯ বলে ৭টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৯৬ রান করে অপরাজিত থাকেন ডিয়ান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৩২ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের রিপন মন্ডল, মৃধা, রাব্বি ২টি করে উইকেট নেন।
ইমার্জিং ওয়ানডে সিরিজ
স্কোর : দক্ষিণ আফ্রিকা ৫০ ওভারে ৩৩২/৭:
বাংলাদেশ ৪৯.৪ ওভারে: ৩২২/১০;
ফল : দক্ষিণ আফ্রিকা ১০ রানে জয়ী