সিকান্দার রাজাকে নিয়ে লাহোর কালান্দার্সের উল্লাস
পাকিস্তান সুপার লীগের ফাইনালে (পিএসএল) তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লাহোর কালান্দার্স । গতকাল রোববার রাতে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের ফাইনালে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লাহোর কালান্দার্স। ২০২ রানের লক্ষ্যে এক বল বাকি থাকতে পেরিয়ে গেছে শাহিন শাহ আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন দলটি।
জয়ের মূল নায়ক কুসাল পেরেরা! ৪ ছক্কা ও ৫ চারে ৩১ বলে ৬২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে দলের জয় নিয়ে ফেরেন শ্রীলঙ্কান ব্যাটার। এর আগে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ৩৫ বলে ৬১ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। তবে জিম্বাবুয়ের তারকা সিকান্দার রাজাকে বলা যায় ফাইনাল জয়ের পার্শ্বনায়ক। আগের দিন ট্রেন্ট ব্রিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলে গতকাল রোববার ফাইনালের টসের মাত্র ১০ মিনিট আগে লাহোরের বিমানবন্দরে নামেন তিনি। তড়িঘড়ি করে তাকে নিয়ে আসা হয় মাঠে, রাখা হয় একাদশে। শেষ দিকে কঠিন হয়ে আসা সমীকরণে, ২টি করে চার ও ছক্কায় ৭ বলে ২২ রানের ছোট্ট কিন্তু মহাগুরুত্বপূর্ণ ইনিংসে দলের জয়ে তিনিই রাখলেন বড় অবদান। শেষ তিন বলে দরকার যখন ৮ রান, পরপর ছক্কা ও চার মেরে ম্যাচের ইতি টেনে দেন তিনি।
লাহোরের হয়ে শিরোপার স্বাদ পেলেন বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ ও রিশাদ হোসেন। যদিও ফাইনালে খেলার সুযোগ পান শুধু রিশাদ।
টি-টোয়েন্টি ফাইনালে সর্বোচ্চ রান তাড়ায় জয়ের রেকর্ড এটি। আগের রেকর্ড ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের, ২০১৪ আইপিএলের ফাইনালে তখনকার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে ২০০ রানের লক্ষ্য তিন বল বাকি থাকতে ছুঁয়ে ফেলেছিল তারা। ছয় নাম্বারে রাজা যখন উইকেটে যান, ২০ বলে লাহোরের দরকার ৫৭ রান। অসম্ভব না হলেও, শিরোপা লড়াইয়ের ম্যাচে খুব কঠিন বটে।
প্রথম দুই বলেই মোহাম্মদ আমিরকে চার ও ছক্কা মেরে যাত্রা শুরু করেন রাজা। ওই ওভারে প্রথম চার বলে স্রেফ ২ রান দিয়ে একটি উইকেট নেয়া পাকিস্তানের অভিজ্ঞ পেসার শেষ দুই বলে দেন ১০। তিন ওভারে চাই ৪৭। অষ্টাদশ ওভারে খুররাম শাহজাদকে দু’টি ছক্কা মারেন পেরেরা। এই ওভারে আসে ১৬ রান।
দুই ওভারে দরকার যখন ৩১ রান, ১৯তম ওভারে আমিরের প্রথম বলে চার মারেন পেরেরা। ওই ওভারের শেষ দুই বলে চার ও ছক্কায় শেষ ওভারে সমীকরণটা ১৩ রানে নামিয়ে আনেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
শেষ ওভারে একটি ওয়াইডসহ ফাহিমের প্রথম তিন বলে আসে ৫ রান। এরপরই রাজার পরপর ছক্কা ও চারে লাহোরের শিরোপা উল্লাস।
এ দিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুইশ ছাড়ানো পুঁজি গড়েছিল কোয়েটা। চার নম্বরে নেমে ৪ ছক্কা ও ৮ চারে ৪৪ বলে ৭৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন হাসান নাওয়াজ। ৩ ছক্কা ও ২ চারে ৮ বলে ২৮ রানের ক্যামিও আসে ফাহিমের ব্যাট থেকে।
৪ ওভারে ২৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে লাহোরের সফলতম বোলার আফ্রিদি। ৪ ওভারে ৪২ রানে একটি উইকেট পান লেগ স্পিনার রিশাদ।
আসরে ৭ ম্যাচে ওভারপ্রতি ৯.৩৩ করে রান দিয়ে ১৩ উইকেট নিয়ে দলের শিরোপা জয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান আছে রিশাদের।
সর্বোচ্চ তিনবার পিএসএল জয়ী ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের পাশে বসল লাহোর কালান্দার্স। এর আগে ২০২২ ও ২০২৩ আসরেও তারা শিরোপা জিতেছিল আফ্রিদির নেতৃত্বে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স ২০১/৯ (রুশো ২২, নাওয়াজ ৭৬, আভিশকা ২৯, চান্দিমাল ২২, ফাহিম ২৮, আফ্রিদি ৩/২৪, সালমান ২/৫১, রউফ ২/৪১, রাজা ১/৪৩, রিশাদ ১/৪২)।
লাহোর কালান্দার্স ১৯.৫ ওভারে ২০৪/৪ (নাঈম ৪৬, শাফিক ৪১, পেরেরা ৬২*, রাজা ২২*; আমির ১/৪১, ফাহিম ১/৪৯, আবরার ১/২৭, উসমান ১/৩৮)।
সিকান্দার রাজাকে নিয়ে লাহোর কালান্দার্সের উল্লাস
সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
পাকিস্তান সুপার লীগের ফাইনালে (পিএসএল) তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লাহোর কালান্দার্স । গতকাল রোববার রাতে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের ফাইনালে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লাহোর কালান্দার্স। ২০২ রানের লক্ষ্যে এক বল বাকি থাকতে পেরিয়ে গেছে শাহিন শাহ আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন দলটি।
জয়ের মূল নায়ক কুসাল পেরেরা! ৪ ছক্কা ও ৫ চারে ৩১ বলে ৬২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে দলের জয় নিয়ে ফেরেন শ্রীলঙ্কান ব্যাটার। এর আগে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ৩৫ বলে ৬১ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। তবে জিম্বাবুয়ের তারকা সিকান্দার রাজাকে বলা যায় ফাইনাল জয়ের পার্শ্বনায়ক। আগের দিন ট্রেন্ট ব্রিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলে গতকাল রোববার ফাইনালের টসের মাত্র ১০ মিনিট আগে লাহোরের বিমানবন্দরে নামেন তিনি। তড়িঘড়ি করে তাকে নিয়ে আসা হয় মাঠে, রাখা হয় একাদশে। শেষ দিকে কঠিন হয়ে আসা সমীকরণে, ২টি করে চার ও ছক্কায় ৭ বলে ২২ রানের ছোট্ট কিন্তু মহাগুরুত্বপূর্ণ ইনিংসে দলের জয়ে তিনিই রাখলেন বড় অবদান। শেষ তিন বলে দরকার যখন ৮ রান, পরপর ছক্কা ও চার মেরে ম্যাচের ইতি টেনে দেন তিনি।
লাহোরের হয়ে শিরোপার স্বাদ পেলেন বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ ও রিশাদ হোসেন। যদিও ফাইনালে খেলার সুযোগ পান শুধু রিশাদ।
টি-টোয়েন্টি ফাইনালে সর্বোচ্চ রান তাড়ায় জয়ের রেকর্ড এটি। আগের রেকর্ড ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের, ২০১৪ আইপিএলের ফাইনালে তখনকার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে ২০০ রানের লক্ষ্য তিন বল বাকি থাকতে ছুঁয়ে ফেলেছিল তারা। ছয় নাম্বারে রাজা যখন উইকেটে যান, ২০ বলে লাহোরের দরকার ৫৭ রান। অসম্ভব না হলেও, শিরোপা লড়াইয়ের ম্যাচে খুব কঠিন বটে।
প্রথম দুই বলেই মোহাম্মদ আমিরকে চার ও ছক্কা মেরে যাত্রা শুরু করেন রাজা। ওই ওভারে প্রথম চার বলে স্রেফ ২ রান দিয়ে একটি উইকেট নেয়া পাকিস্তানের অভিজ্ঞ পেসার শেষ দুই বলে দেন ১০। তিন ওভারে চাই ৪৭। অষ্টাদশ ওভারে খুররাম শাহজাদকে দু’টি ছক্কা মারেন পেরেরা। এই ওভারে আসে ১৬ রান।
দুই ওভারে দরকার যখন ৩১ রান, ১৯তম ওভারে আমিরের প্রথম বলে চার মারেন পেরেরা। ওই ওভারের শেষ দুই বলে চার ও ছক্কায় শেষ ওভারে সমীকরণটা ১৩ রানে নামিয়ে আনেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
শেষ ওভারে একটি ওয়াইডসহ ফাহিমের প্রথম তিন বলে আসে ৫ রান। এরপরই রাজার পরপর ছক্কা ও চারে লাহোরের শিরোপা উল্লাস।
এ দিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুইশ ছাড়ানো পুঁজি গড়েছিল কোয়েটা। চার নম্বরে নেমে ৪ ছক্কা ও ৮ চারে ৪৪ বলে ৭৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন হাসান নাওয়াজ। ৩ ছক্কা ও ২ চারে ৮ বলে ২৮ রানের ক্যামিও আসে ফাহিমের ব্যাট থেকে।
৪ ওভারে ২৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে লাহোরের সফলতম বোলার আফ্রিদি। ৪ ওভারে ৪২ রানে একটি উইকেট পান লেগ স্পিনার রিশাদ।
আসরে ৭ ম্যাচে ওভারপ্রতি ৯.৩৩ করে রান দিয়ে ১৩ উইকেট নিয়ে দলের শিরোপা জয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান আছে রিশাদের।
সর্বোচ্চ তিনবার পিএসএল জয়ী ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের পাশে বসল লাহোর কালান্দার্স। এর আগে ২০২২ ও ২০২৩ আসরেও তারা শিরোপা জিতেছিল আফ্রিদির নেতৃত্বে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স ২০১/৯ (রুশো ২২, নাওয়াজ ৭৬, আভিশকা ২৯, চান্দিমাল ২২, ফাহিম ২৮, আফ্রিদি ৩/২৪, সালমান ২/৫১, রউফ ২/৪১, রাজা ১/৪৩, রিশাদ ১/৪২)।
লাহোর কালান্দার্স ১৯.৫ ওভারে ২০৪/৪ (নাঈম ৪৬, শাফিক ৪১, পেরেরা ৬২*, রাজা ২২*; আমির ১/৪১, ফাহিম ১/৪৯, আবরার ১/২৭, উসমান ১/৩৮)।