বাংলাদেশ-পাকিস্তান প্রথম টি-২০ বুধবার
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দলের শেষ অনুশীলন
আরব আমিরাতের কাছে সিরিজ হারের হতাশা ভুলে ঘুড়ে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করতে যাচ্ছে সফরকারী বাংলাদেশ। বুধবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচটি শুরু হবে রাত ৯টায়।
ফেবারিটের তকমা নিয়ে আমিরাতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে হেরে যায় টাইগাররা। অতীত রেকর্ড বিবেচনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে আন্ডারডগ হিসেবে খেলতে নামবে বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টিতে সর্বশেষ এশিয়ান গেমসে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। ঐ আসরে দ্বিতীয় সারির দল পাঠিয়েছিল দু’দল। তারপরও ঐ লড়াইকে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। তাই পরিসংখ্যান বলছে দু’দলের সর্বশেষ লড়াইয়ে জিতেছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ১৯বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। এরমধ্যে পাকিস্তান ১৬টিতে এবং বাংলাদেশ জয় পেয়েছে মাত্র ৩টিতে।
২০১৫ এবং ২০১৬ সালে ঢাকার শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এবং এশিয়ান গেমসের সর্বশেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় আছে বাংলাদেশের। ২০১৬ সাল থেকে পাকিস্তানকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশের মূল দল। ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এডিলেডে শেষবার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মূল দল। পাঁচ উইকেটে ম্যাচ জিতেছিল পাকিস্তান। বাংলাদেশ সিরিজে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে সম্প্রতি শেষ হওয়া পিএসএলে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করা পেসার আফ্রিদিকে। সুযোগ হয়নি দলের দুই সেরা ব্যাটার বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানের। সেখানে পারফরমেন্স করা খেলোয়াড়দের নিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে দল সাজিয়েছে পাকিস্তান।
টি-টোয়েন্টি সিরিজকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই পাকিস্তানের মাটিতে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল।
সংযুক্ত আরব আমিরাত সিরিজে করা ভুলগুলো সংশোধনের দিকেই বেশি মনোনিবেশ করছে টাইগাররা।
আরব আমিরাতের কাছে সিরিজ হারের জন্য শিশিরকে দায়ী করেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস।
পিএসএল খেলাগুলোতে শিরির কোন প্রভাব ফেলতে পারেনি। তারপরও শিশিরের বিষয়টি মাথায় রেখে ভেজা বল নিয়ে অনুশীলনও করেছে বাংলাদেশ। অনুশীলন সেশনের মধ্যে এটি ছিল বাংলাদেশের বিশেষ এক সেশন। শিশির পরিস্থিতি প্রতিকূল করে তুলতে পারে জেনেও সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসার আগে এ ধরনের অনুশীলন করেছিল টাইগাররা। আরব আমিরাত সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলে আইপিএলে দিল্লি শিবিরে যোগ দেন ফিজ। সেখানে তিনটি ম্যাচ খেলেন তিনি। অবশ্য আইপিএলে নিজেদের শেষ ম্যাচে ইনজুরিতে পড়েন মোস্তাফিজ। যা পাকিস্তান সিরিজের আগে বড় ধাক্কা বাংলাদেশ শিবিরে। ফিজের জায়গায় বাংলাদেশ দলে সুযোগ পেয়েছেন আরেক পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদ।
পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে থাকা বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম বলেছেন, ‘পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের আগে অনুশীলন সেশনে সব ভুল-ত্রুটি সংশোধন করতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। পাকিস্তানের বিপক্ষে ভালো করার জন্য যা যা করা দরকার সবই করবে কোচিং স্টাফরা।’
ইনজুরির কারণে পাকিস্তান সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ও ব্যাটার সৌম্য সরকার।
বাংলাদেশ দল
লিটন দাস (অধিনায়ক), মাহেদি হাসান, তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, শামীম পাটোয়ারী, জাকের আলি অনিক, রিশাদ হোসেন, তানভির ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, হাসান মাহমুদ, তানজিম হাসান ও শরিফুল ইসলাম।
পাকিস্তান দল
সালমান আগা (অধিনায়ক), শাদাব খান (সহ-অধিনায়ক), আবরার আহমেদ, ফাহিম আশরাফ, ফখর জামান, হারিস রউফ, হাসান আলি, হাসান নাওয়াজ, হুসাইন তালাত, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ হারিস, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, মোহাম্মাদ ইরফান খান, নাসিম শাহ, সাহিবজাদা ফারহান ও সাইম আইয়ুব।
বাংলাদেশ-পাকিস্তান প্রথম টি-২০ বুধবার
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দলের শেষ অনুশীলন
মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
আরব আমিরাতের কাছে সিরিজ হারের হতাশা ভুলে ঘুড়ে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করতে যাচ্ছে সফরকারী বাংলাদেশ। বুধবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচটি শুরু হবে রাত ৯টায়।
ফেবারিটের তকমা নিয়ে আমিরাতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে হেরে যায় টাইগাররা। অতীত রেকর্ড বিবেচনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে আন্ডারডগ হিসেবে খেলতে নামবে বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টিতে সর্বশেষ এশিয়ান গেমসে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। ঐ আসরে দ্বিতীয় সারির দল পাঠিয়েছিল দু’দল। তারপরও ঐ লড়াইকে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। তাই পরিসংখ্যান বলছে দু’দলের সর্বশেষ লড়াইয়ে জিতেছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ১৯বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। এরমধ্যে পাকিস্তান ১৬টিতে এবং বাংলাদেশ জয় পেয়েছে মাত্র ৩টিতে।
২০১৫ এবং ২০১৬ সালে ঢাকার শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এবং এশিয়ান গেমসের সর্বশেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় আছে বাংলাদেশের। ২০১৬ সাল থেকে পাকিস্তানকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশের মূল দল। ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এডিলেডে শেষবার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মূল দল। পাঁচ উইকেটে ম্যাচ জিতেছিল পাকিস্তান। বাংলাদেশ সিরিজে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে সম্প্রতি শেষ হওয়া পিএসএলে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করা পেসার আফ্রিদিকে। সুযোগ হয়নি দলের দুই সেরা ব্যাটার বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানের। সেখানে পারফরমেন্স করা খেলোয়াড়দের নিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে দল সাজিয়েছে পাকিস্তান।
টি-টোয়েন্টি সিরিজকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই পাকিস্তানের মাটিতে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল।
সংযুক্ত আরব আমিরাত সিরিজে করা ভুলগুলো সংশোধনের দিকেই বেশি মনোনিবেশ করছে টাইগাররা।
আরব আমিরাতের কাছে সিরিজ হারের জন্য শিশিরকে দায়ী করেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস।
পিএসএল খেলাগুলোতে শিরির কোন প্রভাব ফেলতে পারেনি। তারপরও শিশিরের বিষয়টি মাথায় রেখে ভেজা বল নিয়ে অনুশীলনও করেছে বাংলাদেশ। অনুশীলন সেশনের মধ্যে এটি ছিল বাংলাদেশের বিশেষ এক সেশন। শিশির পরিস্থিতি প্রতিকূল করে তুলতে পারে জেনেও সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসার আগে এ ধরনের অনুশীলন করেছিল টাইগাররা। আরব আমিরাত সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলে আইপিএলে দিল্লি শিবিরে যোগ দেন ফিজ। সেখানে তিনটি ম্যাচ খেলেন তিনি। অবশ্য আইপিএলে নিজেদের শেষ ম্যাচে ইনজুরিতে পড়েন মোস্তাফিজ। যা পাকিস্তান সিরিজের আগে বড় ধাক্কা বাংলাদেশ শিবিরে। ফিজের জায়গায় বাংলাদেশ দলে সুযোগ পেয়েছেন আরেক পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদ।
পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে থাকা বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম বলেছেন, ‘পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের আগে অনুশীলন সেশনে সব ভুল-ত্রুটি সংশোধন করতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। পাকিস্তানের বিপক্ষে ভালো করার জন্য যা যা করা দরকার সবই করবে কোচিং স্টাফরা।’
ইনজুরির কারণে পাকিস্তান সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ও ব্যাটার সৌম্য সরকার।
বাংলাদেশ দল
লিটন দাস (অধিনায়ক), মাহেদি হাসান, তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, শামীম পাটোয়ারী, জাকের আলি অনিক, রিশাদ হোসেন, তানভির ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, হাসান মাহমুদ, তানজিম হাসান ও শরিফুল ইসলাম।
পাকিস্তান দল
সালমান আগা (অধিনায়ক), শাদাব খান (সহ-অধিনায়ক), আবরার আহমেদ, ফাহিম আশরাফ, ফখর জামান, হারিস রউফ, হাসান আলি, হাসান নাওয়াজ, হুসাইন তালাত, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ হারিস, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, মোহাম্মাদ ইরফান খান, নাসিম শাহ, সাহিবজাদা ফারহান ও সাইম আইয়ুব।