লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাজে শুরু করল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ব্যাটে-বলে ব্যর্থতায় পাকিস্তানের কাছে ৩৭ রানে হেরে গেছে টাইগাররা। ব্যাট হাতে ঝলক দেখালেও দলের হার রুখতে পারেননি লিটন দাস।
প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ২০১ রান তোলে পাকিস্তান। সালমান আলি আগার হাফসেঞ্চুরি, হাসান নাওয়াজ ও শাদাব খানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে দল পৌঁছায় দুইশর ঘরে। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৬৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
লিটন দাস ৩০ বলে করেন ৪৮ রান। শেষদিকে জাকের আলির ২০ বলে ৩৬ রানের ইনিংসে কিছুটা লড়াইয়ের চেষ্টা হয়। তবে ব্যর্থ হন বাকি ব্যাটাররা।
বল হাতে ৪ ওভারে ২৭ রানে ২ উইকেট নেন শাদাব খান। ব্যাট হাতে ২৫ বলে করেন ৪৮ রান। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কার পান তিনি। অন্যদিকে হাসান আলি এক বছর পর দলে ফিরে দারুণ বোলিংয়ে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফাইফার (৫/৩০)।
পাকিস্তানের ইনিংসে শুরুটা ছিল নড়বড়ে। মাত্র ৫ রানেই সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার সাইম আইয়ুব (০) ও ফখর জামান (১)। এরপর হারিস (৩১), সালমান (৫৬), নাওয়াজ (৪৪) ও শাদাবের (৪৮) ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। শেষ তিন ওভারে আসে ৪২ রান।
বাংলাদেশের বোলিংয়ে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছিলেন রিশাদ হোসেন (৪-০-৫৫-১)। শামীম হোসেন ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৪ ওভার বল করে ১ উইকেট শিকার করেন ৩১ রানে।
রান তাড়ায় শুরুটা ভালো করলেও ইনিংস গড়তে ব্যর্থ হন তানজিদ (৩১) ও পারভেজ (৪)। লিটন ও হৃদয়ের ধীর গতির জুটি আরও চাপে ফেলে বাংলাদেশকে। লিটনের বিদায়ের পর ধস নামে ইনিংসে। শেষ ছয় ব্যাটার কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।
সিরিজের পরের ম্যাচ শুক্রবার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ২০১/৭ (ফাখার ১, সাইম ০, হারিস ৩১, সালমান ৫৬, নাওয়াজ ৪৪, শাদাব ৪৮, খুশদিল ৫, ফাহিম ১১*, হাসান ১*; শেখ মেহেদি ৪-০-৩৬-১, শরিফুল ৩-০-৩২-২, হাসান ৩-০-২৪-১, তানজিম ২-০-২২-১, রিশাদ ৪-০-৫৫-১, শামীম ৪-০-৩১-১)
বাংলাদেশ: ১৯.২ ওভারে ১৬৪ (তানজিদ ৩১, পারভেজ ৪, লিটন ৪৮, হৃদয় ১৭, জাকের ৩৬, শামীম ৪, রিশাদ ৪, তানজিম ১, শেখ মেহেদি ২, হাসান ৯*, শরিফুল ৫; ফাহিম ৩-০-১৮-১, হাসান ৩.২-০-৩০-৫, আবরার ৪-০-৩৫-০, রউফ ৩-০-৩৬-০, শাদাব ৪-০-২৭-২, খুশদিল ১-০-৬-১, সালমান ১-০-১২-১)।
ফল: পাকিস্তান ৩৭ রানে জয়ী।
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে পাকিস্তান ১-০তে এগিয়ে।
ম্যান অব দা ম্যাচ: শাদাব খান।
বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাজে শুরু করল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ব্যাটে-বলে ব্যর্থতায় পাকিস্তানের কাছে ৩৭ রানে হেরে গেছে টাইগাররা। ব্যাট হাতে ঝলক দেখালেও দলের হার রুখতে পারেননি লিটন দাস।
প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ২০১ রান তোলে পাকিস্তান। সালমান আলি আগার হাফসেঞ্চুরি, হাসান নাওয়াজ ও শাদাব খানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে দল পৌঁছায় দুইশর ঘরে। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৬৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
লিটন দাস ৩০ বলে করেন ৪৮ রান। শেষদিকে জাকের আলির ২০ বলে ৩৬ রানের ইনিংসে কিছুটা লড়াইয়ের চেষ্টা হয়। তবে ব্যর্থ হন বাকি ব্যাটাররা।
বল হাতে ৪ ওভারে ২৭ রানে ২ উইকেট নেন শাদাব খান। ব্যাট হাতে ২৫ বলে করেন ৪৮ রান। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কার পান তিনি। অন্যদিকে হাসান আলি এক বছর পর দলে ফিরে দারুণ বোলিংয়ে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফাইফার (৫/৩০)।
পাকিস্তানের ইনিংসে শুরুটা ছিল নড়বড়ে। মাত্র ৫ রানেই সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার সাইম আইয়ুব (০) ও ফখর জামান (১)। এরপর হারিস (৩১), সালমান (৫৬), নাওয়াজ (৪৪) ও শাদাবের (৪৮) ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। শেষ তিন ওভারে আসে ৪২ রান।
বাংলাদেশের বোলিংয়ে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছিলেন রিশাদ হোসেন (৪-০-৫৫-১)। শামীম হোসেন ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৪ ওভার বল করে ১ উইকেট শিকার করেন ৩১ রানে।
রান তাড়ায় শুরুটা ভালো করলেও ইনিংস গড়তে ব্যর্থ হন তানজিদ (৩১) ও পারভেজ (৪)। লিটন ও হৃদয়ের ধীর গতির জুটি আরও চাপে ফেলে বাংলাদেশকে। লিটনের বিদায়ের পর ধস নামে ইনিংসে। শেষ ছয় ব্যাটার কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।
সিরিজের পরের ম্যাচ শুক্রবার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ২০১/৭ (ফাখার ১, সাইম ০, হারিস ৩১, সালমান ৫৬, নাওয়াজ ৪৪, শাদাব ৪৮, খুশদিল ৫, ফাহিম ১১*, হাসান ১*; শেখ মেহেদি ৪-০-৩৬-১, শরিফুল ৩-০-৩২-২, হাসান ৩-০-২৪-১, তানজিম ২-০-২২-১, রিশাদ ৪-০-৫৫-১, শামীম ৪-০-৩১-১)
বাংলাদেশ: ১৯.২ ওভারে ১৬৪ (তানজিদ ৩১, পারভেজ ৪, লিটন ৪৮, হৃদয় ১৭, জাকের ৩৬, শামীম ৪, রিশাদ ৪, তানজিম ১, শেখ মেহেদি ২, হাসান ৯*, শরিফুল ৫; ফাহিম ৩-০-১৮-১, হাসান ৩.২-০-৩০-৫, আবরার ৪-০-৩৫-০, রউফ ৩-০-৩৬-০, শাদাব ৪-০-২৭-২, খুশদিল ১-০-৬-১, সালমান ১-০-১২-১)।
ফল: পাকিস্তান ৩৭ রানে জয়ী।
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে পাকিস্তান ১-০তে এগিয়ে।
ম্যান অব দা ম্যাচ: শাদাব খান।