জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়নে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছেন সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তবে বিসিবির সভাপতি হওয়া নিয়ে চলমান আলোচনা সম্পর্কে তিনি সরাসরি কিছু বলেননি। দেশের ক্রিকেটের জন্য বোর্ডে যে কোনো দায়িত্ব পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
আইসিসির ডেভেলপমেন্ট অফিসার হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করে আসছেন আমিনুল। বর্তমানে পরিবারসহ বসবাস করছেন মেলবোর্নে। পারিবারিক প্রয়োজনে তিনি সম্প্রতি দেশে এসেছেন, তবে তার এই সফর নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেটে।
আমিনুলের বিসিবি সভাপতি হওয়ার গুঞ্জন উঠে ফারুক আহমেদকে নিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ভাবনার প্রেক্ষিতে। ফারুক জানান, বুধবার রাতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তাকে জানিয়েছেন, বোর্ড সভাপতির পদে পরিবর্তন চান তিনি।
তবে ফারুক নিজে পদত্যাগ না করলে সরকারের পক্ষে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া কঠিন, কারণ এতে আইসিসির হস্তক্ষেপ ও নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি থেকে যায়। কেউ স্বেচ্ছায় দায়িত্ব ছাড়লে সমস্যা নেই। ফারুক জানিয়েছেন, তার পদ ছাড়ার কোনো ইচ্ছে নেই। তিনি বরং পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদে সভাপতি হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এই প্রেক্ষাপটে তার সামনে এখন চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে। তিনি সময় নিয়ে ভাবতে চান।
ফারুক পদত্যাগ করলে বিসিবিতে আমিনুলের জন্য পথ সুগম হতে পারে। দেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান জানান, বোর্ডে কাজ করতে তিনি প্রস্তুত।
“যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে কয়েক দিন আগে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল, আমি কাজ করতে রাজি কি না। আমি বলেছি, বোর্ডে অনেক জায়গায় কাজ করার সুযোগ আছে। তখন আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, আমি কবে দেশে আসছি। আমি জানিয়েছিলাম, ব্যক্তিগত কাজে এমনিতেই কদিন পর দেশে আসছি।”
“তখন আমাকে বলা হয়েছে, তারা আমাকে বিসিবির পরিচালক পদে চাইছেন। সভাপতি নিয়ে কোনো কথা হয়নি। সভাপতি তো ভোটে হতে হয়। তবে পরিচালক হিসেবে তারা চাইছেন। আমি বলেছি, দেশের ক্রিকেটের জন্য যে কোনো দায়িত্ব নিতে রাজি আছি।”
তবে বোর্ড সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার সম্ভাবনা যে তৈরি হয়েছে, তা এখন অনেকটাই স্পষ্ট। যদিও ৫৭ বছর বয়সী আমিনুল জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘমেয়াদে দায়িত্বে থাকতে চান না।
“আমি আইসিসিতে একটি দায়িত্বে আছি। ওটাই আমার পেশা ও জীবিকা। বিসিবিতে লম্বা সময় থাকতে চাই না। দেশের ক্রিকেট আমাকে চেয়েছে, আমি প্রস্তুত। নির্বাচন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে চাই। তবে নির্বাচন করা বা দীর্ঘ মেয়াদে থাকার ইচ্ছে নেই। জীবিকার দিকটাও তো ভাবতে হবে।”
তিনি বর্তমানে আইসিসির এশিয়া অঞ্চলের ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। হাই পারফরম্যান্স ফ্রেমওয়ার্ক ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি তাকে বিভিন্ন দেশে ঘুরে কাজ করতে হয়। পরিবার থাকছে মেলবোর্নে।
বিসিবির দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়ে আইসিসির অনুমতি রয়েছে বলেও জানান তিনি। দায়িত্ব শেষে আইসিসিতে ফিরে যাওয়ার পথও খোলা থাকবে।
“প্রস্তাব পাওয়ার পর আইসিসির সঙ্গে কথা বলেছি। ওদের কোনো আপত্তি নেই, বরং খুশি। ওরাও চায় সদস্য দেশগুলোকে সহায়তা করতে। বলেছে, দায়িত্ব শেষে আবার যোগ দিতে পারব। বরং আরও ভালো কোনো রোল দেওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।”
“আমার সেক্টরে ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজারই সর্বোচ্চ পদ, তবে অন্যান্য জায়গায় কাজের সুযোগ আছে। ২০২৬ বিশ্বকাপের ডেভেলপমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক আমি করেছি, হয়তো তা-সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব দিতে পারে।”
মাত্র কয়েক মাসের জন্য বিসিবিতে দায়িত্ব নিতে কেন প্রস্তুত, সেটিও ব্যাখ্যা করেছেন দেশের প্রথম বিশ্বকাপ অধিনায়ক।
“আমি ১৮ বছর ক্রিকেট খেলেছি। দেশের ক্রিকেটের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। এটা আবেগের ব্যাপার। তবে সত্যিকারের সুযোগ পেলে ‘না’ বলার সুযোগ থাকে না। এবার মনে হয়েছে, সত্যিকারের সুযোগ এসেছে।”
“সব কিছু হয়তো করা যাবে না। তবে কিছু করতে চাই, যা দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেবে এবং ভবিষ্যতের জন্য দিকনির্দেশনা দেবে।”
বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়নে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছেন সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তবে বিসিবির সভাপতি হওয়া নিয়ে চলমান আলোচনা সম্পর্কে তিনি সরাসরি কিছু বলেননি। দেশের ক্রিকেটের জন্য বোর্ডে যে কোনো দায়িত্ব পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
আইসিসির ডেভেলপমেন্ট অফিসার হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করে আসছেন আমিনুল। বর্তমানে পরিবারসহ বসবাস করছেন মেলবোর্নে। পারিবারিক প্রয়োজনে তিনি সম্প্রতি দেশে এসেছেন, তবে তার এই সফর নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেটে।
আমিনুলের বিসিবি সভাপতি হওয়ার গুঞ্জন উঠে ফারুক আহমেদকে নিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ভাবনার প্রেক্ষিতে। ফারুক জানান, বুধবার রাতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তাকে জানিয়েছেন, বোর্ড সভাপতির পদে পরিবর্তন চান তিনি।
তবে ফারুক নিজে পদত্যাগ না করলে সরকারের পক্ষে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া কঠিন, কারণ এতে আইসিসির হস্তক্ষেপ ও নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি থেকে যায়। কেউ স্বেচ্ছায় দায়িত্ব ছাড়লে সমস্যা নেই। ফারুক জানিয়েছেন, তার পদ ছাড়ার কোনো ইচ্ছে নেই। তিনি বরং পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদে সভাপতি হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এই প্রেক্ষাপটে তার সামনে এখন চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে। তিনি সময় নিয়ে ভাবতে চান।
ফারুক পদত্যাগ করলে বিসিবিতে আমিনুলের জন্য পথ সুগম হতে পারে। দেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান জানান, বোর্ডে কাজ করতে তিনি প্রস্তুত।
“যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে কয়েক দিন আগে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল, আমি কাজ করতে রাজি কি না। আমি বলেছি, বোর্ডে অনেক জায়গায় কাজ করার সুযোগ আছে। তখন আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, আমি কবে দেশে আসছি। আমি জানিয়েছিলাম, ব্যক্তিগত কাজে এমনিতেই কদিন পর দেশে আসছি।”
“তখন আমাকে বলা হয়েছে, তারা আমাকে বিসিবির পরিচালক পদে চাইছেন। সভাপতি নিয়ে কোনো কথা হয়নি। সভাপতি তো ভোটে হতে হয়। তবে পরিচালক হিসেবে তারা চাইছেন। আমি বলেছি, দেশের ক্রিকেটের জন্য যে কোনো দায়িত্ব নিতে রাজি আছি।”
তবে বোর্ড সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার সম্ভাবনা যে তৈরি হয়েছে, তা এখন অনেকটাই স্পষ্ট। যদিও ৫৭ বছর বয়সী আমিনুল জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘমেয়াদে দায়িত্বে থাকতে চান না।
“আমি আইসিসিতে একটি দায়িত্বে আছি। ওটাই আমার পেশা ও জীবিকা। বিসিবিতে লম্বা সময় থাকতে চাই না। দেশের ক্রিকেট আমাকে চেয়েছে, আমি প্রস্তুত। নির্বাচন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে চাই। তবে নির্বাচন করা বা দীর্ঘ মেয়াদে থাকার ইচ্ছে নেই। জীবিকার দিকটাও তো ভাবতে হবে।”
তিনি বর্তমানে আইসিসির এশিয়া অঞ্চলের ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। হাই পারফরম্যান্স ফ্রেমওয়ার্ক ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি তাকে বিভিন্ন দেশে ঘুরে কাজ করতে হয়। পরিবার থাকছে মেলবোর্নে।
বিসিবির দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়ে আইসিসির অনুমতি রয়েছে বলেও জানান তিনি। দায়িত্ব শেষে আইসিসিতে ফিরে যাওয়ার পথও খোলা থাকবে।
“প্রস্তাব পাওয়ার পর আইসিসির সঙ্গে কথা বলেছি। ওদের কোনো আপত্তি নেই, বরং খুশি। ওরাও চায় সদস্য দেশগুলোকে সহায়তা করতে। বলেছে, দায়িত্ব শেষে আবার যোগ দিতে পারব। বরং আরও ভালো কোনো রোল দেওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।”
“আমার সেক্টরে ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজারই সর্বোচ্চ পদ, তবে অন্যান্য জায়গায় কাজের সুযোগ আছে। ২০২৬ বিশ্বকাপের ডেভেলপমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক আমি করেছি, হয়তো তা-সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব দিতে পারে।”
মাত্র কয়েক মাসের জন্য বিসিবিতে দায়িত্ব নিতে কেন প্রস্তুত, সেটিও ব্যাখ্যা করেছেন দেশের প্রথম বিশ্বকাপ অধিনায়ক।
“আমি ১৮ বছর ক্রিকেট খেলেছি। দেশের ক্রিকেটের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। এটা আবেগের ব্যাপার। তবে সত্যিকারের সুযোগ পেলে ‘না’ বলার সুযোগ থাকে না। এবার মনে হয়েছে, সত্যিকারের সুযোগ এসেছে।”
“সব কিছু হয়তো করা যাবে না। তবে কিছু করতে চাই, যা দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেবে এবং ভবিষ্যতের জন্য দিকনির্দেশনা দেবে।”