শনিবার গল টেস্টের ২য় ইনিংসে শতরান করার পর শান্তর উল্লাস
গল টেস্টের প্রথম ইনিংসে দু’দলের পাঁচশ’র কাছাকাছি রান হওয়ার পর ম্যাচ ড্র হওয়ার সম্ভাবনা অনুমিতই ছিল। শনিবার,(২১ জুন ২০২৫) শেষ পর্যন্ত প্রথম টেস্টের ফল সেটাই হয়। তবে দুই ইনিংসে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর জোড়া সেঞ্চুরিতে রেকর্ড করেন । টেস্টের দুই ইনিংসে ১৪৮ ও অপরাজিত ১২৫ রান করে ইতিহাস গড়েন শান্ত। তবে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের বিদায়ী টেস্টকে স্মরনীয় করে রাখতে পারল না শ্রীলঙ্কা। ড্র’র স্বাদ নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ করলেন ১১৯ ম্যাচে ৮২১৪ রান করা ম্যাথিউস।
ম্যাচের প্রথম দুই ইনিংসে বাংলাদেশ ৪৯৫ ও ৬ উইকেটে ২৮৫ এবং শ্রীলঙ্কা ৪৮৫ ও ৪ উইকেটে ৭২ রান করে। এই ম্যাচ ড্র হওয়ায়, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ চক্রের শুরুতেই পয়েন্ট পেল উভয় দল। সমান ৪ করে পয়েন্ট এবং শতকরা ৩৩.৩৩ পয়েন্ট নামের পাশে তুলল দু’দল। গল স্টেডিয়ামে ড্রয়ের দেখা মিলল প্রায় ১২ বছর পর। সবশেষ ২০১৩ সালে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ম্যাচই শেষ হয়েছিল সমতায়। মাঝে অনুষ্ঠিত ২৬ টেস্টের প্রতিটিতেই জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয়েছিল।
প্রথম ইনিংসে ১০ রানে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ শনিবার দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ২৮৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। ম্যাচ জিততে শ্রীলঙ্কার দরকার ২৯৬ রান। এজন্য সর্বোচ্চ ৩৭ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পায় তারা। দিনের প্রথম ঘণ্টার কিছু বেশি সময় খেলার পর গলে নামে বৃষ্টি। সেই বৃষ্টিতে স্থানীয় সময় দুইটা ১০ মিনিটে আবার শুরু হয় খেলা। লম্বা সময় ভেস্তে যাওয়ায় দিনের বাকি বলা হয় ৫০ ওভার। এই অবস্থায় নেমে দ্রুত লিটন দাস ও জাকের আলি অনিকের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আরেক প্রান্তে অবিচল থাকা শান্ত ১৯০ সেঞ্চুরিতে পৌঁছে উল্লাস করেন । বুনো উল্লাসে বুঝিয়ে দেন নিজের আত্মতৃপ্তি। এই শতকের পথে ৬৬ ও ৯০ রানে দুবার জীবন পান বাঁহাতি ব্যাটার। সেঞ্চুরি নিশ্চিত করতে ধীর পায়ে এগুতে থাকেন শান্ত। হাত খুলে মেরে কিছু রান বাড়িয়েছেন তিনি। মাইলফলক নিশ্চিতের পর তাকে মারতে দেখা গেছে তিন ছয়। শান্ত ব্যক্তিগত মাইলফলকের জন্য ঝুঁকি নিতে চাননি এটা স্পষ্ট। দেখা যাক ৩৭ ওভার পেয়ে বাংলাদেশের বোলাররা শ্রীলঙ্কাকে কতটা চেপে ধরতে পারেন।
গল স্টেডিয়ামে চতুর্থ দিন শেষে ৩ উইকেটে ১৭৭ রান করেছিল বাংলাদেশ। ৭ উইকেট হাতে নিয়ে ১৮৭ রানে এগিয়ে ছিল টাইগাররা।
বাংলাদেশ অধিনায়ক ৫৬ ও মুশফিকুর রহিম ২২ রান নিয়ে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করেন। দিনের শুরুতে ক্যাচ দিয়ে ৬৬ রানে থাকা অবস্থায় বেঁচে যান শান্ত।
জীবন পেয়ে মুশফিকের সঙ্গে ১০৯ রানের জুটি গড়েন শান্ত। প্রথম ইনিংসে চতুর্থ উইকেটেই ২৬৪ রান জড়ো করেছিলেন দু’জনে।
দলীয় ২৩৭ রানে রান আউটের ফাঁদে পড়ে হাফ-সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় থামেন মুশফিক। ৪টি চারে ৪৯ রান করেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ১৬৩ রান করেছিলেন মুশফিক। তার ফেরার পর বৃষ্টিতে বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকার পর ব্যাট হাতে নেমে দ্রুত ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। লিটন দাস ৩ ও জাকের আলি ২ রানে আউট হন। জাকের ফেরার সময় ৯৬ রানে দাঁড়িয়ে শান্ত।
এরপর নাইম হাসানকে নিয়ে ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শান্ত। ৯ চারে ১৯০ বলে সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ১৪৮ রান করেছিলেন শান্ত। বাংলাদেশের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে এক ম্যাচের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন তিনি। এছাড়াও বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে দু’বার এক টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করলেন শান্ত।
এছাড়াও বিশ্বের ১২তম ব্যাটার হিসেবে দুই টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরির নজির গড়েন শান্ত। তবে অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করা ১৬তম ব্যাটার তিনি।
সেঞ্চুরির পর দ্রুত রান তুলেছেন শান্ত। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ২৮৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। এতে জয়ের জন্য ২৯৬ রানের টার্গেট পায় শ্রীলঙ্কা।
৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১৯৯ বলে ১২৫ রানে অপরাজিত থাকেন শান্ত। নাইম ৭ রানে অপরাজিত থাকেন। থারিন্দু রত্নায়েকে ৩ উইকেট নেন।
২৯৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৩২ রানের সূচনা করে শ্রীলঙ্কা। এরপর ১৬ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারায় লঙ্কানরা। ষষ্ঠ ওভারে শ্রীলঙ্কার ওপেনার লাহিরু উদারাকে ৯ রানে শিকার করে বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট উপহার দেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম।পরের ওভারে পাথুম নিশাঙ্কাকে সাজঘরে ফেরত পাঠান স্পিনার নাইম। ২৪ রান করেন প্রথম ইনিংসে ১৮৭ রান করা নিশাঙ্কা।
৩৪ রানের ২ উইকেট পতনের পর সাবধানে খেলতে শুরু করেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার দিনেশ চান্ডিমাল ও বিদায়ী টেস্ট খেলতে নামা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস।
৮১ বল খেলে ১৩ রান যোগ করেন তারা। এ অবস্থায় ১ রানের ব্যবধানে তাইজুলের শিকার হন চান্ডিমাল ও ম্যাথিউস। চান্ডিমাল ৬ ও ম্যাথিউস ৮ রান করেন।
৪৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চিন্তায় পড়ে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু পঞ্চম উইকেটে কামিন্দু মেন্ডিস ও অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ৫৩ বলে ২৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়লে ম্যাচটি ড্র হয়। কামিন্দু ও ডি সিলভা ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাইজুল ২৩ রানে ৩টি ও নাইম ২৯ রানে ১ উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন শান্ত।
২৫ জুন থেকে কলম্বোতে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস ৪৯৫/১০ (শান্ত ১৪৮, মুশফিক ১৬৩, লিটন ৯০; আসিথা ৪/৮৬, মিলান রত্নায়েকে ৩/৩৯, থারিন্ডু রত্নায়েকে ৩/১৯৬)। শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস ওভারে ৪৮৫/১০ (নিসাঙ্কা ১৮৭, কামিন্ডু ৮৭, চান্ডিমাল ৫৪, ম্যাথিউস ৩৯; নাঈম ৫/১২১, হাসান ৩/৭৪)। বাংলাদেশ ২য় ইনিংস ৮৭ ওভারে ২৮৫/৬ ডিক্লে. (আগের দিন ১৭৭/৩) (শান্ত ১২৫*, মুশফিক ৪৯, লিটন ৩, জাকের ২, নাঈম ৭*; জয়সুরিয়া ১/৯২, থারিন্ডু ১/১০২, মিলান ১/২৬)। শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস (লক্ষ্য ২৯৬) ৩২ ওভারে ৭২/৪ (নিসাঙ্কা ২৪, উদারা ৯, চান্ডিমাল ৬, ম্যাথিউস ৮, কামিন্দু ১২*, ধনঞ্জায়া ১২*; হাসান ৩-০-১৯-০, তাইজুল ১৬-৩-২৩-৩, নাঈম ১৩-৪-২৯-১)। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নাজমুল হোসেন শান্ত।
শনিবার গল টেস্টের ২য় ইনিংসে শতরান করার পর শান্তর উল্লাস
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
গল টেস্টের প্রথম ইনিংসে দু’দলের পাঁচশ’র কাছাকাছি রান হওয়ার পর ম্যাচ ড্র হওয়ার সম্ভাবনা অনুমিতই ছিল। শনিবার,(২১ জুন ২০২৫) শেষ পর্যন্ত প্রথম টেস্টের ফল সেটাই হয়। তবে দুই ইনিংসে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর জোড়া সেঞ্চুরিতে রেকর্ড করেন । টেস্টের দুই ইনিংসে ১৪৮ ও অপরাজিত ১২৫ রান করে ইতিহাস গড়েন শান্ত। তবে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের বিদায়ী টেস্টকে স্মরনীয় করে রাখতে পারল না শ্রীলঙ্কা। ড্র’র স্বাদ নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ করলেন ১১৯ ম্যাচে ৮২১৪ রান করা ম্যাথিউস।
ম্যাচের প্রথম দুই ইনিংসে বাংলাদেশ ৪৯৫ ও ৬ উইকেটে ২৮৫ এবং শ্রীলঙ্কা ৪৮৫ ও ৪ উইকেটে ৭২ রান করে। এই ম্যাচ ড্র হওয়ায়, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ চক্রের শুরুতেই পয়েন্ট পেল উভয় দল। সমান ৪ করে পয়েন্ট এবং শতকরা ৩৩.৩৩ পয়েন্ট নামের পাশে তুলল দু’দল। গল স্টেডিয়ামে ড্রয়ের দেখা মিলল প্রায় ১২ বছর পর। সবশেষ ২০১৩ সালে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ম্যাচই শেষ হয়েছিল সমতায়। মাঝে অনুষ্ঠিত ২৬ টেস্টের প্রতিটিতেই জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয়েছিল।
প্রথম ইনিংসে ১০ রানে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ শনিবার দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ২৮৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। ম্যাচ জিততে শ্রীলঙ্কার দরকার ২৯৬ রান। এজন্য সর্বোচ্চ ৩৭ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পায় তারা। দিনের প্রথম ঘণ্টার কিছু বেশি সময় খেলার পর গলে নামে বৃষ্টি। সেই বৃষ্টিতে স্থানীয় সময় দুইটা ১০ মিনিটে আবার শুরু হয় খেলা। লম্বা সময় ভেস্তে যাওয়ায় দিনের বাকি বলা হয় ৫০ ওভার। এই অবস্থায় নেমে দ্রুত লিটন দাস ও জাকের আলি অনিকের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আরেক প্রান্তে অবিচল থাকা শান্ত ১৯০ সেঞ্চুরিতে পৌঁছে উল্লাস করেন । বুনো উল্লাসে বুঝিয়ে দেন নিজের আত্মতৃপ্তি। এই শতকের পথে ৬৬ ও ৯০ রানে দুবার জীবন পান বাঁহাতি ব্যাটার। সেঞ্চুরি নিশ্চিত করতে ধীর পায়ে এগুতে থাকেন শান্ত। হাত খুলে মেরে কিছু রান বাড়িয়েছেন তিনি। মাইলফলক নিশ্চিতের পর তাকে মারতে দেখা গেছে তিন ছয়। শান্ত ব্যক্তিগত মাইলফলকের জন্য ঝুঁকি নিতে চাননি এটা স্পষ্ট। দেখা যাক ৩৭ ওভার পেয়ে বাংলাদেশের বোলাররা শ্রীলঙ্কাকে কতটা চেপে ধরতে পারেন।
গল স্টেডিয়ামে চতুর্থ দিন শেষে ৩ উইকেটে ১৭৭ রান করেছিল বাংলাদেশ। ৭ উইকেট হাতে নিয়ে ১৮৭ রানে এগিয়ে ছিল টাইগাররা।
বাংলাদেশ অধিনায়ক ৫৬ ও মুশফিকুর রহিম ২২ রান নিয়ে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করেন। দিনের শুরুতে ক্যাচ দিয়ে ৬৬ রানে থাকা অবস্থায় বেঁচে যান শান্ত।
জীবন পেয়ে মুশফিকের সঙ্গে ১০৯ রানের জুটি গড়েন শান্ত। প্রথম ইনিংসে চতুর্থ উইকেটেই ২৬৪ রান জড়ো করেছিলেন দু’জনে।
দলীয় ২৩৭ রানে রান আউটের ফাঁদে পড়ে হাফ-সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় থামেন মুশফিক। ৪টি চারে ৪৯ রান করেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ১৬৩ রান করেছিলেন মুশফিক। তার ফেরার পর বৃষ্টিতে বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকার পর ব্যাট হাতে নেমে দ্রুত ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। লিটন দাস ৩ ও জাকের আলি ২ রানে আউট হন। জাকের ফেরার সময় ৯৬ রানে দাঁড়িয়ে শান্ত।
এরপর নাইম হাসানকে নিয়ে ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শান্ত। ৯ চারে ১৯০ বলে সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ১৪৮ রান করেছিলেন শান্ত। বাংলাদেশের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে এক ম্যাচের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন তিনি। এছাড়াও বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে দু’বার এক টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করলেন শান্ত।
এছাড়াও বিশ্বের ১২তম ব্যাটার হিসেবে দুই টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরির নজির গড়েন শান্ত। তবে অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করা ১৬তম ব্যাটার তিনি।
সেঞ্চুরির পর দ্রুত রান তুলেছেন শান্ত। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ২৮৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। এতে জয়ের জন্য ২৯৬ রানের টার্গেট পায় শ্রীলঙ্কা।
৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১৯৯ বলে ১২৫ রানে অপরাজিত থাকেন শান্ত। নাইম ৭ রানে অপরাজিত থাকেন। থারিন্দু রত্নায়েকে ৩ উইকেট নেন।
২৯৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৩২ রানের সূচনা করে শ্রীলঙ্কা। এরপর ১৬ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারায় লঙ্কানরা। ষষ্ঠ ওভারে শ্রীলঙ্কার ওপেনার লাহিরু উদারাকে ৯ রানে শিকার করে বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট উপহার দেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম।পরের ওভারে পাথুম নিশাঙ্কাকে সাজঘরে ফেরত পাঠান স্পিনার নাইম। ২৪ রান করেন প্রথম ইনিংসে ১৮৭ রান করা নিশাঙ্কা।
৩৪ রানের ২ উইকেট পতনের পর সাবধানে খেলতে শুরু করেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার দিনেশ চান্ডিমাল ও বিদায়ী টেস্ট খেলতে নামা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস।
৮১ বল খেলে ১৩ রান যোগ করেন তারা। এ অবস্থায় ১ রানের ব্যবধানে তাইজুলের শিকার হন চান্ডিমাল ও ম্যাথিউস। চান্ডিমাল ৬ ও ম্যাথিউস ৮ রান করেন।
৪৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চিন্তায় পড়ে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু পঞ্চম উইকেটে কামিন্দু মেন্ডিস ও অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ৫৩ বলে ২৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়লে ম্যাচটি ড্র হয়। কামিন্দু ও ডি সিলভা ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাইজুল ২৩ রানে ৩টি ও নাইম ২৯ রানে ১ উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন শান্ত।
২৫ জুন থেকে কলম্বোতে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস ৪৯৫/১০ (শান্ত ১৪৮, মুশফিক ১৬৩, লিটন ৯০; আসিথা ৪/৮৬, মিলান রত্নায়েকে ৩/৩৯, থারিন্ডু রত্নায়েকে ৩/১৯৬)। শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস ওভারে ৪৮৫/১০ (নিসাঙ্কা ১৮৭, কামিন্ডু ৮৭, চান্ডিমাল ৫৪, ম্যাথিউস ৩৯; নাঈম ৫/১২১, হাসান ৩/৭৪)। বাংলাদেশ ২য় ইনিংস ৮৭ ওভারে ২৮৫/৬ ডিক্লে. (আগের দিন ১৭৭/৩) (শান্ত ১২৫*, মুশফিক ৪৯, লিটন ৩, জাকের ২, নাঈম ৭*; জয়সুরিয়া ১/৯২, থারিন্ডু ১/১০২, মিলান ১/২৬)। শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস (লক্ষ্য ২৯৬) ৩২ ওভারে ৭২/৪ (নিসাঙ্কা ২৪, উদারা ৯, চান্ডিমাল ৬, ম্যাথিউস ৮, কামিন্দু ১২*, ধনঞ্জায়া ১২*; হাসান ৩-০-১৯-০, তাইজুল ১৬-৩-২৩-৩, নাঈম ১৩-৪-২৯-১)। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নাজমুল হোসেন শান্ত।