১ ইনিংসে ৩ সেঞ্চুরি ৩ শূন্য
শতরানের পর রিশাভ পান্তের উদযাপন
শুভমান গিল ও রিশাভ পান্ত যখন ব্যাট করছিলেন, ভারতের পাঁচশ’ তো বটেই, সাড়ে পাঁচশ’ কিংবা ছয়শ’ রানও মনে হচ্ছিল খুব সম্ভব। কিন্তু অধিনায়ক গিলের বিদায়ের পর এমনই নাটকীয় ধস নামল যে, সেখানে বাঁধ দিতে পারল না কেউই। রান হলো পৌনে পাঁচশ’ কম। তিন ব্যাটারের সেঞ্চুরির পরও ৪১ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে হেডিংলি টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভারত অলআউট হয়েছে ৪৭১ রানে। তিন বা এর বেশি ব্যক্তিগত সেঞ্চুরির যত অলআউট হওয়া দলীয় ইনিংস আছে টেস্ট ইতিহাসে, তার মধ্যে সর্বনিম্ন এটিই। এক্ষেত্রে আগের সর্বনিম্ন ছিল ২০১৬ সালে সেঞ্চুরিয়নে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই দক্ষিণ আফ্রিকার ৪৭৫।
দক্ষিণ আফ্রিকার ওই ইনিংসের সঙ্গে আরেকটি মিল আছে ভারতের। প্রোটিয়াদের ইনিংসে তিন ব্যাটারের সেঞ্চুরির পাশাপাশি শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন তিন জন। ভারতের ইনিংসেও তাই।
১৪৮ বছরের টেস্ট ইতিহাসে একই ইনিংসে তিন সেঞ্চুরি ও তিন শূন্যর নজির দেখা গেল সব মিলিয়ে স্রেফ পাঁচবার, ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবার।
প্রথমবার এমন কিছুর সাক্ষী হয়েছিল ১৯৩২ সালে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের সিডনি টেস্ট। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন হার্বার্ট সাটক্লিফ, ওয়ালি হ্যামন্ড ও ইফতিখার আলি খান পাতৌদি। ইফতিখারের অভিষেক টেস্ট ছিল সেটি, যিনি পরে টেস্ট খেলেছিলেন ভারতের হয়েও।
ইংল্যান্ডের ওই ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন মরিস লেল্যান্ড, লেস অ্যামিস ও হ্যারল্ড লারউড।
৭০ বছর পর আবার এমন নজির দেখা যায় ২০০২ সালে ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কলকাতা টেস্টে। ইডেন গার্ডেন্সে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন ওয়াভেল হাইন্ডস, শিবনারায়ণ চন্দরপল ও মারলন স্যামুয়েলস। মারভিন ডিলন, ড্যারেন পাওয়েল ও ক্যামেরন কাফি আউট হন শূন্য রানে।
এরপরই সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের সেই টেস্ট। প্রথম ইনিংসে প্রোটিয়াদের হয়ে সেঞ্চুরি করেন স্টিফেন কুক, হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি কক। শূন্য রানে ফেরেন এবি ডি ভিলিয়ার্স, কাগিসো রাবাদা ও মর্নে মর্কেল।
২০২৪ সালে বুলাওয়ায়ো টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আফগানিস্তানের প্রথম ইনিংসে তিন অঙ্কের স্বাদ পান রেহমাত শাহ, হাশমাতউল্লাহ শাহিদি ও আফসার জাজাই। রেহমাত ও শাহিদির ব্যাট থেকে আসে ডাবল সেঞ্চুরি। তাদের ইনিংসে শূন্য রানে আউট হন আজমাতউল্লাহ ওমারজাই, নাভিদ জাদরান ও জাহির খান।
এরপর হেডিংলিতে ভারতের এই ইনিংস। এখানে সেঞ্চুরি করেন ওপেনার ইয়াশাসভি জয়সওয়াল (১০১), নতুন অধিনায়ক গিল (১৪৭) ও সহ-অধিনায়ক পান্ত (১৩৪)।
ম্যাচের প্রথম দিন অভিষেকে চার বলে শূন্য রানে ফেরেন ভারদ্বাজ সাই সুদার্শান। পরদিন শনিবার কারুন নায়ার আট বছর পর টেস্ট খেলতে নেমে চার বলে শূন্য রানে বিদায় নেন অলিভার পোপের দুর্দান্ত ক্যাচে।
পরে পাঁচ বলে রানের দেখা পাননি পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ। ৪১ রানে শেষ ৭ ও ২৪ রানে শেষ ৬ উইকেট হারায় ভারত।
১ ইনিংসে ৩ সেঞ্চুরি ৩ শূন্য
শতরানের পর রিশাভ পান্তের উদযাপন
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
শুভমান গিল ও রিশাভ পান্ত যখন ব্যাট করছিলেন, ভারতের পাঁচশ’ তো বটেই, সাড়ে পাঁচশ’ কিংবা ছয়শ’ রানও মনে হচ্ছিল খুব সম্ভব। কিন্তু অধিনায়ক গিলের বিদায়ের পর এমনই নাটকীয় ধস নামল যে, সেখানে বাঁধ দিতে পারল না কেউই। রান হলো পৌনে পাঁচশ’ কম। তিন ব্যাটারের সেঞ্চুরির পরও ৪১ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে হেডিংলি টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভারত অলআউট হয়েছে ৪৭১ রানে। তিন বা এর বেশি ব্যক্তিগত সেঞ্চুরির যত অলআউট হওয়া দলীয় ইনিংস আছে টেস্ট ইতিহাসে, তার মধ্যে সর্বনিম্ন এটিই। এক্ষেত্রে আগের সর্বনিম্ন ছিল ২০১৬ সালে সেঞ্চুরিয়নে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই দক্ষিণ আফ্রিকার ৪৭৫।
দক্ষিণ আফ্রিকার ওই ইনিংসের সঙ্গে আরেকটি মিল আছে ভারতের। প্রোটিয়াদের ইনিংসে তিন ব্যাটারের সেঞ্চুরির পাশাপাশি শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন তিন জন। ভারতের ইনিংসেও তাই।
১৪৮ বছরের টেস্ট ইতিহাসে একই ইনিংসে তিন সেঞ্চুরি ও তিন শূন্যর নজির দেখা গেল সব মিলিয়ে স্রেফ পাঁচবার, ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবার।
প্রথমবার এমন কিছুর সাক্ষী হয়েছিল ১৯৩২ সালে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের সিডনি টেস্ট। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন হার্বার্ট সাটক্লিফ, ওয়ালি হ্যামন্ড ও ইফতিখার আলি খান পাতৌদি। ইফতিখারের অভিষেক টেস্ট ছিল সেটি, যিনি পরে টেস্ট খেলেছিলেন ভারতের হয়েও।
ইংল্যান্ডের ওই ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন মরিস লেল্যান্ড, লেস অ্যামিস ও হ্যারল্ড লারউড।
৭০ বছর পর আবার এমন নজির দেখা যায় ২০০২ সালে ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কলকাতা টেস্টে। ইডেন গার্ডেন্সে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন ওয়াভেল হাইন্ডস, শিবনারায়ণ চন্দরপল ও মারলন স্যামুয়েলস। মারভিন ডিলন, ড্যারেন পাওয়েল ও ক্যামেরন কাফি আউট হন শূন্য রানে।
এরপরই সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের সেই টেস্ট। প্রথম ইনিংসে প্রোটিয়াদের হয়ে সেঞ্চুরি করেন স্টিফেন কুক, হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি কক। শূন্য রানে ফেরেন এবি ডি ভিলিয়ার্স, কাগিসো রাবাদা ও মর্নে মর্কেল।
২০২৪ সালে বুলাওয়ায়ো টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আফগানিস্তানের প্রথম ইনিংসে তিন অঙ্কের স্বাদ পান রেহমাত শাহ, হাশমাতউল্লাহ শাহিদি ও আফসার জাজাই। রেহমাত ও শাহিদির ব্যাট থেকে আসে ডাবল সেঞ্চুরি। তাদের ইনিংসে শূন্য রানে আউট হন আজমাতউল্লাহ ওমারজাই, নাভিদ জাদরান ও জাহির খান।
এরপর হেডিংলিতে ভারতের এই ইনিংস। এখানে সেঞ্চুরি করেন ওপেনার ইয়াশাসভি জয়সওয়াল (১০১), নতুন অধিনায়ক গিল (১৪৭) ও সহ-অধিনায়ক পান্ত (১৩৪)।
ম্যাচের প্রথম দিন অভিষেকে চার বলে শূন্য রানে ফেরেন ভারদ্বাজ সাই সুদার্শান। পরদিন শনিবার কারুন নায়ার আট বছর পর টেস্ট খেলতে নেমে চার বলে শূন্য রানে বিদায় নেন অলিভার পোপের দুর্দান্ত ক্যাচে।
পরে পাঁচ বলে রানের দেখা পাননি পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ। ৪১ রানে শেষ ৭ ও ২৪ রানে শেষ ৬ উইকেট হারায় ভারত।