বিপিএল, প্রিমিয়ার লীগসহ জেলা শহরে খেলা বাড়ানোর আশ্বাস
বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাসের ২৫ বছর পূর্তিতে দেশব্যাপী অনূর্ধ্ব-১২ সিক্স এ সাইড ক্রিকেট প্রতিযোগিতার উদ্বোধন উপলক্ষে রাজশাহীতে আসেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। রবিবার(২২-৬-২০২৫) সকালে বিভাগীয় স্টেডিয়ামে উপস্থিত থেকে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এতদিন শুনেছি রাজশাহীতে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকার কারণে এখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করা যায় না। আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের যে সব সুযোগ-সুবিধা থাকার দরকার এখানে তার সবই আছে।
তাই রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব। রাজশাহীতে প্রথম বেসরকারি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে এখন পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা থাকার পরেও হবে না কেন। রাজশাহীর গ্রাউন্ডস, যোগাযোগ, আবাসন সবই আন্তর্জাতিক মানের। বিমানে ঢাকা থেকে রাজশাহী আসতে সময় লাগে ৪০ মিনিট। আসার পরে কিছুক্ষণের জন্য হোটেলে থেকেছি, আমার মনে হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের। বিশ^ দরবারে এমন সব দেশ আছে আবাসন ও উন্নত মানের মাঠ নেই যা রাজশাহীতে আছে। এছাড়াও তিনি বলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুইয়ার অনেক স্বপ্ন আছে রাজশাহীকে ঘিরে। স্বল্প সময়ে আমি বিসিবির সভাপতি হয়েছি। এর মধ্যেই উপদেষ্টা মহোদয়ের সঙ্গে আমি কয়েক দফা সভা করেছি। তার ইচ্ছা রাজশাহী ক্রিকেটকে কীভাবে আন্তর্জাতিক মানের করতে পারি। তার আদেশ আছে এখানে বিপিএল খেলা আয়েজনের। আমরা কীভাবে এটা করতে পারি তার জন্যই সবকিছু দেখতে এসেছি। তাই গ্রাউন্ড কমিটির চেয়ারম্যানও এসেছেন রাজশাহীতে। রাজশাহীকে ঘিরে পুরো উত্তরবঙ্গের ক্রিকেটকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য আছে বিসিবির। এখানে বিসিবির কার্যক্রমকে কীভাবে রাজশাহীকেন্দ্রিক করে পুরো উত্তরবঙ্গে পরিচালনা করতে পারি। বিশেষ করে রাজশাহী অঞ্চলে প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ, ইয়ুথ প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা আছে বিসিবির। আমরা যাকে বলি ট্রিপল সেঞ্চুরি। ট্রিপল সেঞ্চুরির অংশ হিসেবে ক্রিকেটকে কীভাবে বিকেন্দ্রীকরণ করা যায়। তবে রাজশাহীতে সবকিছুই সম্ভব এটা দেখলাম।
গত মে মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা ইমাজিং দলের রাজশাহী সফরে দর্শকদের উপস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, রাজশাহী টেস্ট হিসেবে আমরা সাউথ আফ্রিকা ইমাজিং দলকে পাঠিয়েছিলাম। বিশে^ বড় ধরনের খরা, মানুষ মাঠে গিয়ে খেলা দেখে না। টেলিভিশনে কিংবা স্ট্রিমিংয়ে খেলা দেখে কিন্তু খেলা দেখার জন্য দর্শকের ভিড়ে রাজশাহী স্টেডিয়ামের গ্যালারি ভরে যায়। তার মানে রাজশাহীর মানুষ খেলার পাগল, তারা সব সময় খেলা দেখতে আগ্রহী। এটাই হলো রাজশাহীর উদাহরণ। রাজশাহীর ক্রিকেট এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ-সুবিধা, ফ্লাড লাইট, আবাসনসহ আনুষঙ্গিক কাজগুলো করার পরিকল্পনা আছে বিসিবির। রাজশাহীতে বিপিএল হলে অবশ্যই সেভাবেই হবে। আমরা চাই ক্রিকেট শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক না থেকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়–ক। রাজশাহী থেকে আরও ক্রিকেটার উঠে আসে সেজন্য প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ চালু করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। স্টেডিয়ামের সম্মুখে রাখা ছিল কমেন্ট বোর্ড। সেখানে ক্রিকেটকে ঘিরেও স্বপ্নের কথা লিখেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। তিনি লিখলেন, টেস্ট ক্রিকেটে আমরা বিশ^সেরা হতে চাই। এটা কীভাবে সম্ভব জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আমার স্বপ্নের কথা লিখেছি। আজ এখানে ১২ বছরের নিচে যারা খেলছে তাদের নিয়ে এসেছি। এরাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। এদের সঠিকভাবে গাইড করলে আমাদের টেস্ট ক্রিকেট বিশ^সেরা হবে। নবীন ক্রিকেটারদের সহায়তা দিয়ে যাওয়ার আশ^াস দিলেন বুলবুল। যারা ক্রিকেটার হতে চায় ক্রিকেট বোর্ডেও সহায়তা ছাড়া হয়তো তারা অনেকদূর যেতে পারবে না। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি ভালো ক্রিকেটার হওয়ার জন্য ভালো ট্রেইনার, কোচ দরকার যেটা আমরা করতে পারবো সেটা আমরা করবো। নবীনদের বলবো তারা যেন সৎ মানুষ হিসেবে ক্রিকেট খেলা করে। আমরা অনেক টুর্নামেন্ট করেছি। যাদের খেলার সুযোগ আছে তারা যদি সততার সঙ্গে খেলা করে তাহলে অবশ্যই পারবে। তাদের সহায়তার জন্য বিসিবি একপায়ে দাঁড়িয়ে আছে। টেস্ট ক্রিকেটের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিভাগীয় শহরগুলোতে চলছে বিসিবির সপ্তাহব্যাপী উৎসব। তারই অংশ হিসেবে রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে চলছে নানা আয়োজন।
বাংলদেশের টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তির রজতজয়ন্তী পালন করছে বিসিবি। ২১ জুন খুলনা থেকে শুরু হয়েছে অনূর্ধ্ব-১২ পর্যায়ের সিক্স এ সাইড টুর্নামেন্ট। পরবর্তীতে রাজশাহীর পর সিলেট (২৩ জুন), চট্টগ্রাম (২৪ জুন), ঢাকার রিয়া গোপ মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স (২৫ জুন) এবং রংপুর ও বরিশাল (২৮ জুন) পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়বে এই উদযাপন।
আগামী ২৬ জুন ঢাকার শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হবে কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান, নাম দেওয়া হয়েছে- ‘বাংলাদেশের ২৫ বছর টেস্ট ক্রিকেট যাত্রার উদযাপন’। সংবর্ধনা ছাড়াও প্রথম টেস্ট ঘিরে স্মৃতিচারণ করতে পারবেন সেই সময়কার খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা। এ উপলক্ষে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে তাদের মতবিনিময় পর্বও থাকবে। উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট খেলা বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটাররাও। আয়োজনের অংশ হিসেবে হতে পারে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা সঙ্গীতানুষ্ঠান।
বিপিএল, প্রিমিয়ার লীগসহ জেলা শহরে খেলা বাড়ানোর আশ্বাস
রোববার, ২২ জুন ২০২৫
বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাসের ২৫ বছর পূর্তিতে দেশব্যাপী অনূর্ধ্ব-১২ সিক্স এ সাইড ক্রিকেট প্রতিযোগিতার উদ্বোধন উপলক্ষে রাজশাহীতে আসেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। রবিবার(২২-৬-২০২৫) সকালে বিভাগীয় স্টেডিয়ামে উপস্থিত থেকে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এতদিন শুনেছি রাজশাহীতে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকার কারণে এখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করা যায় না। আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের যে সব সুযোগ-সুবিধা থাকার দরকার এখানে তার সবই আছে।
তাই রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব। রাজশাহীতে প্রথম বেসরকারি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে এখন পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা থাকার পরেও হবে না কেন। রাজশাহীর গ্রাউন্ডস, যোগাযোগ, আবাসন সবই আন্তর্জাতিক মানের। বিমানে ঢাকা থেকে রাজশাহী আসতে সময় লাগে ৪০ মিনিট। আসার পরে কিছুক্ষণের জন্য হোটেলে থেকেছি, আমার মনে হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের। বিশ^ দরবারে এমন সব দেশ আছে আবাসন ও উন্নত মানের মাঠ নেই যা রাজশাহীতে আছে। এছাড়াও তিনি বলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুইয়ার অনেক স্বপ্ন আছে রাজশাহীকে ঘিরে। স্বল্প সময়ে আমি বিসিবির সভাপতি হয়েছি। এর মধ্যেই উপদেষ্টা মহোদয়ের সঙ্গে আমি কয়েক দফা সভা করেছি। তার ইচ্ছা রাজশাহী ক্রিকেটকে কীভাবে আন্তর্জাতিক মানের করতে পারি। তার আদেশ আছে এখানে বিপিএল খেলা আয়েজনের। আমরা কীভাবে এটা করতে পারি তার জন্যই সবকিছু দেখতে এসেছি। তাই গ্রাউন্ড কমিটির চেয়ারম্যানও এসেছেন রাজশাহীতে। রাজশাহীকে ঘিরে পুরো উত্তরবঙ্গের ক্রিকেটকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য আছে বিসিবির। এখানে বিসিবির কার্যক্রমকে কীভাবে রাজশাহীকেন্দ্রিক করে পুরো উত্তরবঙ্গে পরিচালনা করতে পারি। বিশেষ করে রাজশাহী অঞ্চলে প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ, ইয়ুথ প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা আছে বিসিবির। আমরা যাকে বলি ট্রিপল সেঞ্চুরি। ট্রিপল সেঞ্চুরির অংশ হিসেবে ক্রিকেটকে কীভাবে বিকেন্দ্রীকরণ করা যায়। তবে রাজশাহীতে সবকিছুই সম্ভব এটা দেখলাম।
গত মে মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা ইমাজিং দলের রাজশাহী সফরে দর্শকদের উপস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, রাজশাহী টেস্ট হিসেবে আমরা সাউথ আফ্রিকা ইমাজিং দলকে পাঠিয়েছিলাম। বিশে^ বড় ধরনের খরা, মানুষ মাঠে গিয়ে খেলা দেখে না। টেলিভিশনে কিংবা স্ট্রিমিংয়ে খেলা দেখে কিন্তু খেলা দেখার জন্য দর্শকের ভিড়ে রাজশাহী স্টেডিয়ামের গ্যালারি ভরে যায়। তার মানে রাজশাহীর মানুষ খেলার পাগল, তারা সব সময় খেলা দেখতে আগ্রহী। এটাই হলো রাজশাহীর উদাহরণ। রাজশাহীর ক্রিকেট এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ-সুবিধা, ফ্লাড লাইট, আবাসনসহ আনুষঙ্গিক কাজগুলো করার পরিকল্পনা আছে বিসিবির। রাজশাহীতে বিপিএল হলে অবশ্যই সেভাবেই হবে। আমরা চাই ক্রিকেট শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক না থেকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়–ক। রাজশাহী থেকে আরও ক্রিকেটার উঠে আসে সেজন্য প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ চালু করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। স্টেডিয়ামের সম্মুখে রাখা ছিল কমেন্ট বোর্ড। সেখানে ক্রিকেটকে ঘিরেও স্বপ্নের কথা লিখেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। তিনি লিখলেন, টেস্ট ক্রিকেটে আমরা বিশ^সেরা হতে চাই। এটা কীভাবে সম্ভব জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আমার স্বপ্নের কথা লিখেছি। আজ এখানে ১২ বছরের নিচে যারা খেলছে তাদের নিয়ে এসেছি। এরাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। এদের সঠিকভাবে গাইড করলে আমাদের টেস্ট ক্রিকেট বিশ^সেরা হবে। নবীন ক্রিকেটারদের সহায়তা দিয়ে যাওয়ার আশ^াস দিলেন বুলবুল। যারা ক্রিকেটার হতে চায় ক্রিকেট বোর্ডেও সহায়তা ছাড়া হয়তো তারা অনেকদূর যেতে পারবে না। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি ভালো ক্রিকেটার হওয়ার জন্য ভালো ট্রেইনার, কোচ দরকার যেটা আমরা করতে পারবো সেটা আমরা করবো। নবীনদের বলবো তারা যেন সৎ মানুষ হিসেবে ক্রিকেট খেলা করে। আমরা অনেক টুর্নামেন্ট করেছি। যাদের খেলার সুযোগ আছে তারা যদি সততার সঙ্গে খেলা করে তাহলে অবশ্যই পারবে। তাদের সহায়তার জন্য বিসিবি একপায়ে দাঁড়িয়ে আছে। টেস্ট ক্রিকেটের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিভাগীয় শহরগুলোতে চলছে বিসিবির সপ্তাহব্যাপী উৎসব। তারই অংশ হিসেবে রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে চলছে নানা আয়োজন।
বাংলদেশের টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তির রজতজয়ন্তী পালন করছে বিসিবি। ২১ জুন খুলনা থেকে শুরু হয়েছে অনূর্ধ্ব-১২ পর্যায়ের সিক্স এ সাইড টুর্নামেন্ট। পরবর্তীতে রাজশাহীর পর সিলেট (২৩ জুন), চট্টগ্রাম (২৪ জুন), ঢাকার রিয়া গোপ মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স (২৫ জুন) এবং রংপুর ও বরিশাল (২৮ জুন) পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়বে এই উদযাপন।
আগামী ২৬ জুন ঢাকার শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হবে কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান, নাম দেওয়া হয়েছে- ‘বাংলাদেশের ২৫ বছর টেস্ট ক্রিকেট যাত্রার উদযাপন’। সংবর্ধনা ছাড়াও প্রথম টেস্ট ঘিরে স্মৃতিচারণ করতে পারবেন সেই সময়কার খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা। এ উপলক্ষে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে তাদের মতবিনিময় পর্বও থাকবে। উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট খেলা বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটাররাও। আয়োজনের অংশ হিসেবে হতে পারে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা সঙ্গীতানুষ্ঠান।