শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বো টেস্টের প্রথম দিনে ৮ উইকেটে ২২০ রান করেছে বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারণে প্রথম দিন খেলা হয়েছে মাত্র ৭১ ওভার।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের ছয় ব্যাটসম্যানই ২০ ছুঁলেও কেউ ফিফটি ছুঁতে পারেননি।
সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে শুরুতেই বাংলাদেশের ওপেনারদের চাপে ফেলেন আসিথা ফার্নান্দো ও ভিশ্ব ফার্নান্দো। প্রথম চার ওভারে আসে মাত্র পাঁচ রান। এর মধ্যে একবার কিপার কুসাল মেন্ডিসের হাতে জীবন পান এনামুল হক, পরের বলেই স্লিপে ধরা পড়ার হাত থেকে বেঁচে যান।
তবে রান না করেই আসিথার বলে স্টাম্পে বল টেনে আনেন এনামুল। আগের টেস্টের মতো এবারও প্রথম ইনিংসে ১০ বলে শূন্য রানে ফিরেন তিনি।
সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হক কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও তা বেশি দূর এগোয়নি। ধানাঞ্জয়া ডি সিলভার প্রথম বলেই বাজে শটে উইকেট হারান মুমিনুল (২১)।
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (৮) ভিশ্ব ফার্নান্দোর অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট ছুঁইয়ে ফিরেন। আগের টেস্টের মতো স্লিপে ক্যাচ দিয়ে উইকেট বিলিয়ে দেন সাদমান ইসলাম (৪৬)।
৭৬ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের জুটি কিছুটা ভরসা জোগায়। তবে দুজনই জীবন পেয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি।
লিটন ২ ও ৩৩ রানে জীবন পান, দুবারই ক্যাচ ছাড়েন প্রাবাথ জায়াসুরিয়া। ৩৫ রানে ফিরিয়ে তাকে প্রথম টেস্ট উইকেট উপহার দেন অভিষিক্ত সোনাল দিনুশা। এই জুটিতে আসে ৬৭ রান।
মুশফিকও ৮ রানে জীবন পেলেও শেষ পর্যন্ত সুইপ খেলে ৩৫ রানে আউট হন। দিনুশার এটি ছিল দ্বিতীয় উইকেট।
সপ্তম উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাঈম হাসান ৩৭ রান যোগ করেন। মিরাজ আউট হন স্লিপে, রান ৩১। নাঈম (২৫) শেষ বিকেলে আসিথার দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন।
বাকি সময়টুকু পার করেন তাইজুল ইসলাম (৯*) ও দুই বছর পর টেস্ট দলে ফেরা ইবাদত হোসেন (৫*)।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৭১ ওভারে ২২০/৮
(সাদমান ৪৬, এনামুল ০, মুমিনুল ২১, শান্ত ৮, মুশফিক ৩৫, লিটন ৩৪, মিরাজ ৩১, নাঈম ২৫, তাইজুল ৯*, ইবাদত ৫*;
আসিথা ১৪-২-৪৩-২, ভিশ্ব ১৬-৩-৩৫-২, রাত্নায়াকে ১৬-১-৬৩-১, জায়াসুরিয়া ১১-০-৩৬-০, ধানাঞ্জয়া ৫-০-১৫-১, দিনুশা ৯-৩-২২-২)।
বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বো টেস্টের প্রথম দিনে ৮ উইকেটে ২২০ রান করেছে বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারণে প্রথম দিন খেলা হয়েছে মাত্র ৭১ ওভার।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের ছয় ব্যাটসম্যানই ২০ ছুঁলেও কেউ ফিফটি ছুঁতে পারেননি।
সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে শুরুতেই বাংলাদেশের ওপেনারদের চাপে ফেলেন আসিথা ফার্নান্দো ও ভিশ্ব ফার্নান্দো। প্রথম চার ওভারে আসে মাত্র পাঁচ রান। এর মধ্যে একবার কিপার কুসাল মেন্ডিসের হাতে জীবন পান এনামুল হক, পরের বলেই স্লিপে ধরা পড়ার হাত থেকে বেঁচে যান।
তবে রান না করেই আসিথার বলে স্টাম্পে বল টেনে আনেন এনামুল। আগের টেস্টের মতো এবারও প্রথম ইনিংসে ১০ বলে শূন্য রানে ফিরেন তিনি।
সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হক কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও তা বেশি দূর এগোয়নি। ধানাঞ্জয়া ডি সিলভার প্রথম বলেই বাজে শটে উইকেট হারান মুমিনুল (২১)।
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (৮) ভিশ্ব ফার্নান্দোর অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট ছুঁইয়ে ফিরেন। আগের টেস্টের মতো স্লিপে ক্যাচ দিয়ে উইকেট বিলিয়ে দেন সাদমান ইসলাম (৪৬)।
৭৬ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের জুটি কিছুটা ভরসা জোগায়। তবে দুজনই জীবন পেয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি।
লিটন ২ ও ৩৩ রানে জীবন পান, দুবারই ক্যাচ ছাড়েন প্রাবাথ জায়াসুরিয়া। ৩৫ রানে ফিরিয়ে তাকে প্রথম টেস্ট উইকেট উপহার দেন অভিষিক্ত সোনাল দিনুশা। এই জুটিতে আসে ৬৭ রান।
মুশফিকও ৮ রানে জীবন পেলেও শেষ পর্যন্ত সুইপ খেলে ৩৫ রানে আউট হন। দিনুশার এটি ছিল দ্বিতীয় উইকেট।
সপ্তম উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাঈম হাসান ৩৭ রান যোগ করেন। মিরাজ আউট হন স্লিপে, রান ৩১। নাঈম (২৫) শেষ বিকেলে আসিথার দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন।
বাকি সময়টুকু পার করেন তাইজুল ইসলাম (৯*) ও দুই বছর পর টেস্ট দলে ফেরা ইবাদত হোসেন (৫*)।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৭১ ওভারে ২২০/৮
(সাদমান ৪৬, এনামুল ০, মুমিনুল ২১, শান্ত ৮, মুশফিক ৩৫, লিটন ৩৪, মিরাজ ৩১, নাঈম ২৫, তাইজুল ৯*, ইবাদত ৫*;
আসিথা ১৪-২-৪৩-২, ভিশ্ব ১৬-৩-৩৫-২, রাত্নায়াকে ১৬-১-৬৩-১, জায়াসুরিয়া ১১-০-৩৬-০, ধানাঞ্জয়া ৫-০-১৫-১, দিনুশা ৯-৩-২২-২)।