ডকেট ও ক্রওলে উদ্বোধনী জুটিতে ১৮৮ রান তুলে ইংল্যান্ডের জয় সহজ করে
হেডিংলেতে ৩৭১ রান তাড়া করে ভারতকে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার তালিকায় যা ১০ নম্বরে। বেন স্টোকস মনে করেন, সঠিক মানসিকতা এবং দলের প্রতি দায়বদ্ধতার কারণেই তারা জিততে পেরেছেন।
ম্যাচের পর দলের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করতে বসে স্টোকস বলেন, ‘আমাদের মানসিকতা এবং দলের প্রতি দায়বদ্ধতা ঠিক রাখার কারণেই জিততে পেরেছি। দুই দলই ভালো ক্রিকেট খেলেছে। সিরিজটা দারুণ ভাবে শুরু হল। ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো উইকেট ছিল। ভারতের লোয়ার অর্ডারকে কম রানে আউট করে দেয়া আমাদের জয়ের অন্যতম কারণ।’
টসে জিতে বোলিং নেয়ার পর অনেকেই স্টোকসের সমালোচনা করেছিলেন। তা আরও তীব্র হয় ভারতের তিন ব্যাটার শতরান করায়। টেস্ট জিতে সেই সমালোচকদের একহাত নিতে ভোলেননি স্টোকস। বলেছেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট তো পাঁচ দিনে খেলা হয়, তাই না? টস হওয়ার আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি যে জিতলে কী করব। দুটি দলই ভাগ্যের সাহায্য পেয়েছে। ক্যাচ পড়েছে দু’দলেরই। না হলে ম্যাচটা পাঁচ দিনের হত না।’
ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন এই জয়কে বর্ণনা করেছেন ‘বাজবল উইথ ব্রেনস’ বা বুদ্ধিদীপ্ত বাজবল খেলার সঙ্গে। স্টোকসের মন্তব্য, ‘যেটা করার দরকার ছিল ঠিক সেটাই করেছি। যত বার চাপে পড়েছি তত বার ভালো খেলেছি। শুধু দক্ষতা নয়, সাজঘরের ইতিবাচক মানসিকতার দিকটাও তুলে ধরতে হবে।’ স্টোকস আরও বলেছেন, ‘আমি এবং বাজ (ব্রেন্ডন ম্যাকালামের ডাকনাম) সব কিছু সহজ রাখতে ভালবাসি। এত রান তাড়া করতে নামলে নিজেদের শান্ত রাখতে হয়। চাপের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। সেটাই আমরা করেছি।’
স্কোর: ভারত ৪৭১ ও ৩৬৪; ইংল্যান্ড ৪৬৫ ও ৩৭৩/৫।
ভারত ‘সাধারণ মানের’ দল : গাভাস্কার
লিডসে ৩৭১ রানও ধরে রাখতে পারেনি ভারত। খারাপ ফিল্ডিং এবং বোলারদের ব্যর্থতায় হারতে হয়েছে ভারতকে। শুভমান গিলের দলকে ‘সাধারণ মানের’ দল বলে বর্ণনা করলেন সুনীল গাভাস্কার। তার মতে, এবার অন্তত দলটার উচিত অনুশীলনের দিকে বেশি করে মনোযোগ দেয়া।
দীর্ঘ দিন ধরে ইংল্যান্ডে থাকলেও পরিস্থিতি কাজে লাগাতে পারেনি ভারত। কোন সময়ে কী বল করতে হবে, কখন কোন বোলারকে আনতে হবে তা নিয়ে পরিণত মানসিকতা দেখাতে পারেননি গিল। লাগাতার খারাপ ফিল্ডিং এবং বুমরাহ ছাড়া বোলারদের ব্যর্থতাও ভুগিয়েছে ভারতকে। ম্যাচের পর ‘সোনি স্পোর্টসে’ গাভাস্কার বলেছেন, ‘পরের দু’দিন ছুটি নাও। তার পর মন দিয়ে অনুশীলন শুরু করো। ঐচ্ছিক অনুশীলনের মতো ব্যাপারগুলোকে দূরে সরিয়ে রাখো। তোমরা এখানে ভারতের হয়ে খেলতে এসেছো এমন ভাবে প্রস্তুতি নাও যাতে নিজের সেরাটা দিতে পারো।’
শুধু ক্যাচ পড়া নয়, ভারতের সামগ্রিক ফিল্ডিংকেই দায়ী করেছেন গাভাস্কার। বলেছেন, ‘জয়ের পুরো কৃতিত্ব ইংল্যান্ডের। ভারত পাঁচটা শতরান করলেও আত্মবিশ্বাস ইংল্যান্ডের বেশি ছিল। তার জন্যই শেষ দিকে পর পর উইকেট ফেলতে পেরেছে। ভারতের ফিল্ডিংয়ের সময় শুধু ক্যাচ পড়া নয়, সামগ্রিক ফিল্ডিংই ছিল খুব সাধারণ মানের। টেস্টের মানেরই নয়।’
ডকেট ও ক্রওলে উদ্বোধনী জুটিতে ১৮৮ রান তুলে ইংল্যান্ডের জয় সহজ করে
বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
হেডিংলেতে ৩৭১ রান তাড়া করে ভারতকে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার তালিকায় যা ১০ নম্বরে। বেন স্টোকস মনে করেন, সঠিক মানসিকতা এবং দলের প্রতি দায়বদ্ধতার কারণেই তারা জিততে পেরেছেন।
ম্যাচের পর দলের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করতে বসে স্টোকস বলেন, ‘আমাদের মানসিকতা এবং দলের প্রতি দায়বদ্ধতা ঠিক রাখার কারণেই জিততে পেরেছি। দুই দলই ভালো ক্রিকেট খেলেছে। সিরিজটা দারুণ ভাবে শুরু হল। ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো উইকেট ছিল। ভারতের লোয়ার অর্ডারকে কম রানে আউট করে দেয়া আমাদের জয়ের অন্যতম কারণ।’
টসে জিতে বোলিং নেয়ার পর অনেকেই স্টোকসের সমালোচনা করেছিলেন। তা আরও তীব্র হয় ভারতের তিন ব্যাটার শতরান করায়। টেস্ট জিতে সেই সমালোচকদের একহাত নিতে ভোলেননি স্টোকস। বলেছেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট তো পাঁচ দিনে খেলা হয়, তাই না? টস হওয়ার আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি যে জিতলে কী করব। দুটি দলই ভাগ্যের সাহায্য পেয়েছে। ক্যাচ পড়েছে দু’দলেরই। না হলে ম্যাচটা পাঁচ দিনের হত না।’
ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন এই জয়কে বর্ণনা করেছেন ‘বাজবল উইথ ব্রেনস’ বা বুদ্ধিদীপ্ত বাজবল খেলার সঙ্গে। স্টোকসের মন্তব্য, ‘যেটা করার দরকার ছিল ঠিক সেটাই করেছি। যত বার চাপে পড়েছি তত বার ভালো খেলেছি। শুধু দক্ষতা নয়, সাজঘরের ইতিবাচক মানসিকতার দিকটাও তুলে ধরতে হবে।’ স্টোকস আরও বলেছেন, ‘আমি এবং বাজ (ব্রেন্ডন ম্যাকালামের ডাকনাম) সব কিছু সহজ রাখতে ভালবাসি। এত রান তাড়া করতে নামলে নিজেদের শান্ত রাখতে হয়। চাপের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। সেটাই আমরা করেছি।’
স্কোর: ভারত ৪৭১ ও ৩৬৪; ইংল্যান্ড ৪৬৫ ও ৩৭৩/৫।
ভারত ‘সাধারণ মানের’ দল : গাভাস্কার
লিডসে ৩৭১ রানও ধরে রাখতে পারেনি ভারত। খারাপ ফিল্ডিং এবং বোলারদের ব্যর্থতায় হারতে হয়েছে ভারতকে। শুভমান গিলের দলকে ‘সাধারণ মানের’ দল বলে বর্ণনা করলেন সুনীল গাভাস্কার। তার মতে, এবার অন্তত দলটার উচিত অনুশীলনের দিকে বেশি করে মনোযোগ দেয়া।
দীর্ঘ দিন ধরে ইংল্যান্ডে থাকলেও পরিস্থিতি কাজে লাগাতে পারেনি ভারত। কোন সময়ে কী বল করতে হবে, কখন কোন বোলারকে আনতে হবে তা নিয়ে পরিণত মানসিকতা দেখাতে পারেননি গিল। লাগাতার খারাপ ফিল্ডিং এবং বুমরাহ ছাড়া বোলারদের ব্যর্থতাও ভুগিয়েছে ভারতকে। ম্যাচের পর ‘সোনি স্পোর্টসে’ গাভাস্কার বলেছেন, ‘পরের দু’দিন ছুটি নাও। তার পর মন দিয়ে অনুশীলন শুরু করো। ঐচ্ছিক অনুশীলনের মতো ব্যাপারগুলোকে দূরে সরিয়ে রাখো। তোমরা এখানে ভারতের হয়ে খেলতে এসেছো এমন ভাবে প্রস্তুতি নাও যাতে নিজের সেরাটা দিতে পারো।’
শুধু ক্যাচ পড়া নয়, ভারতের সামগ্রিক ফিল্ডিংকেই দায়ী করেছেন গাভাস্কার। বলেছেন, ‘জয়ের পুরো কৃতিত্ব ইংল্যান্ডের। ভারত পাঁচটা শতরান করলেও আত্মবিশ্বাস ইংল্যান্ডের বেশি ছিল। তার জন্যই শেষ দিকে পর পর উইকেট ফেলতে পেরেছে। ভারতের ফিল্ডিংয়ের সময় শুধু ক্যাচ পড়া নয়, সামগ্রিক ফিল্ডিংই ছিল খুব সাধারণ মানের। টেস্টের মানেরই নয়।’