প্রথম টেস্টে সহায়ক উইকেটে জ্বলে উঠেছিলেন ব্যাটাররা, বড় রান পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় টেস্টেই পুরনো রোগ ঝেঁকে বসলো নাজমুল হোসেন শান্তদের। প্রথম দিনে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় শেষের দিকে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।

বুধবার,(২৫ জুন ২০২৫) প্রথম দিনে বৃষ্টি ও আলোক স্বল্পতা মিলিয়ে খেলা হয়েছে ৭১ ওভার। তাতে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান করেছে বাংলাদেশ। ক্রিজে আছেন তাইজুল (৯ রান ) ও ইবাদত (৫) । সর্বোচ্চ ৪৬ রান এসেছে ওপেনার সাদমান ইসলামের ব্যাটে।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের ছয় ব্যাটার ২০ ছুঁয়েছেন, কিন্তু ফিফটি করতে পারেননি একজনও।

কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে বাংলাদেশের ওপেনারদের নতুন বলে চেপে ধরেন আসিথা ফার্নান্দো ও বিশ্ব ফার্নান্দো। প্রথম চার ওভারে রান আসে পাঁচ। এর মধ্যে একবার কিপার কুসাল মেন্ডিসের হাতে জীবন পান এনামুল হক বিজয়, পরের বলে একটুর জন্য ধরা পড়েননি তিনি স্লিপে।

তবে রান করার আগেই তিনি আসিথা ফার্নান্দোর বল টেনে আনেন স্টাম্পে। আগের টেস্টের প্রথম ইনিংসের মতো এবারও আউট হন ১০ বলে শূন্য করে।

সাদমান ও মোমিনুল জুটি লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েও পারেননি । লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার প্রথম বলে বাজে শটে উইকেট হারান মোমিনুল (২১)।

বিশ্বর স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট পেতে দিয়ে আউট হন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত (৮)। আগের টেস্টের মতো আলগা শটে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে উইকেট বিলিয়ে দেন সাদমান (৪৬)। ৭৬ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন মুশফিক ও লিটন । তবে দুজনে জীবন পেলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি ।

লিটন জীবন পান ২ ও ৩৩ রানে। দুবারই তার ক্যাচ ছাড়েন প্রাবাথ । তাকে ৩৫ রানে ফিরিয়ে প্রথম টেস্ট উইকেটের স্বাদ পান অভিষিক্ত স্পিনিং অলরাউন্ডার সোনাল দিনুশা। জুটি থামে ৬৭ রানে। চা-বিরতির আগেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলো বাংলাদেশ। চা-বিরতির পর নেমে স্লগ সুইপে আত্মাহুতি দেন অভিজ্ঞ মুশফিক। ৭৫ বলে ৩৫ রান করে অভিষিক্ত দিনুশার শিকার হন তিনি।

সুস্থ হয়ে একাদশে ফেরা মিরাজ থিতু হয়েছিলেন। কিন্তু ইনিংস টানতে পারেননি তিনি। বিশ্ব ফার্নেন্দোর বলে গালিতে ধরা দেন ৩১ রান করে। আরেক অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার নাঈম হাসান আসিতা ফার্নান্দোর দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন।

এদিন শ্রীলঙ্কান ফিল্ডাররা ফেলেছেন পাঁচটি ক্যাচ, রান আউটের সুযোগ হারায় দুটি। তারা সবগুলো সুযোগ কাজে লাগালে আরও অল্প রানে আটকে যেতে পারত সফরকারী দল।