হালান্ডকে নিয়ে ম্যানসিটির জয়োল্লাস
ক্লাব বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে নিশ্চিত ১৬ দল। আজ থেকে শুরু নক-আউট পর্ব। জায়গা পাকা করে রেয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাস এবং ম্যানচেস্টার সিটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার ম্যানচেস্টার সিটির ম্যাচ ছিল জুভেন্টাসের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে পাঁচ গোল দিয়েছে ম্যান সিটি। জুভেন্টাসের বিরুদ্ধে তারা জিতে ৫-২ গোলে। সিটির হয়ে গোল করেন জেরেমি ডোকু, পিয়েরে কালুলু (আত্মঘাতী), এর্লিং হালান্ড, ফিল ফোডেন এবং সাভিনহো। জুভেন্টাসের হয়ে দু’টি গোল শোধ করেন টিউন কুপমেইনার্স এবং দুসান লাহুভিচ। হারলেও গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় দল হিসাবে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে জুভেন্টাস।
ফিলাডেলফিয়ায় শুক্রবার,(২৭ জুন ২০২৫) সকালে (বাংলাদেশ সময়) ম্যাচটি ৩-০ গোলে জিতে, ‘এইচ’ গ্রুপের সেরা হয়ে নকআউট পর্বে উঠেছে রেয়াল মাদ্রিদ। জাল অক্ষত রেখে জয়, গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া, সবকিছুই বাড়তি আনন্দ দিচ্ছে মাদ্রিদের দলটিকে।
এর মাঝে আরেকটি বিষয় নজর করেছে, শিরোপাশূন্য মৌসুমের পর নতুন কোচের হাত ধরে একটু একটু করে যেন চেনা ছন্দে ফিরছে রেয়াল। গোল করে ও করিয়ে ভিনিয়ুসও বিধ্বংসী রূপে ফেরার বার্তা দিয়েছেন।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে নিজেদের অর্ধ থেকে জুড বেলিংহ্যামের অসাধারণ পাস পেয়ে এগিয়ে গিয়ে দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে বক্সের বাইরে থেকে গড়ানো শটে গোল করেন ভিনিসিয়ুস। এরপর বিরতির আগে যোগ করা সময়ে তার ওই দুর্দান্ত ব্যাকহিল পাস; গিলেরের চমৎকার ছোঁয়া থেকে বক্সের ভেতর বিপজ্জনকভাবে ঢুকে গোলে শট না নিয়ে হুট করে আলতো ব্যাক হিল করেন ভালভার্দেকে। বাকিকাজ সুন্দরভাবে শেষ করেন ভালভার্দে।
এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে গোল করলেন মিডফিল্ডার ভালভার্দে।
ম্যাচের শেষ দিকে দলের তৃতীয় গোলটি করেন গন্সালো গার্সিয়া। আসরে প্রথম ম্যাচে আল হিলালের সঙ্গে ১-১ ড্রয়ের পথে প্রথমে তার গোলেই এগিয়ে গিয়েছিল রেয়াল মাদ্রিদ।
হতাশারজনক ওই ড্রয়ের পর, টানা দুই ম্যাচে তিনটি করে গোল করে জিতল ইউরোপের সফলতম দলটি। ধীরে ধীরে দল নতুন কোচের কৌশলে মানিয়ে নিচ্ছে বলে মনে করেন ভিনিসিয়ুস।
‘খুব ভালো দুটি সপ্তাহ কাটছে। আমরা আত্মবিশ্বাস অর্জন করছি এবং কোচ কী চান, যতটা দ্রুত সম্ভব আমরা তা বোঝার চেষ্টা করছি। আমাকে একটু ভেতরে খেলতে হবে এবং এই কৌশল সবসময় আমি পছন্দ করি, এতে আমি আরও গোলের কাছে থাকি।’
মেসি-রোনালদো-এমবাপ্পেকে ছাড়িয়ে হালান্ড
গতকাল বৃহস্পতিবার জুভেন্টাসকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে ‘জি’ গ্রুপের সেরা হয় ম্যানচেস্টার সিটি। দলের তৃতীয় গোলটি আসে হালান্ডের পা থেকে।
ক্লাব ও দেশ মিলিয়ে ২৪ বছর বয়সী তারকার ৩০০তম গোল এটি।
অবিশ্বাস্যভাবে ৩৭০ ম্যাচেই গোলের ট্রিপল সেঞ্চুরি হলো তার। ইএসপিএনের মতে, মাইলফলকের দ্রুততায় তিনি পেছনে ফেলেছেন তিন মহাতারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো (৫৫৪ ম্যাচ), লিওনেল মেসি (৪১৮ ম্যাচ) ও কিলিয়ান এমবাপ্পেকে (৪০৯ ম্যাচ)।
সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন তিনি অবশ্যই সিটির জার্সিতেই। ইংলিশ দলটির হয়ে ১৪৫ ম্যাচেই তার গোল হয়ে গেল ১২৪টি।
দারুণ মাইলফলকের দিনে এই তারকাকে শুভেচ্ছা জানান তার কোচ পেপ গার্দিওলা।
‘আমি কেবল বলতে পারি, ‘অভিনন্দন।’ ২৪ বছর বয়সেই ৩০০ গোল করে ফেলেছে, স্ট্রাইকার হিসেবে তার দারুণ প্রশংসা করি আমি। আর্লিংয়ের জন্য আমি এত খুশিৃ সে যত গোল করে এবং ছোট জায়গার ভেতর যত সম্পৃক্ত থাকে এসব এত এত ভালো।’
প্রি-কোয়ার্টারে চূড়ান্ত ১৬ দল
রাউন্ড অব সিক্সটিনের সূচি
২৮ জুন: পামেইরাস-বোতাফোগো (ফিলাডেলফিয়া)
২৯ জুন: বেনফিকা-চেলসি (শার্লট),
পিএসজি-ইন্টার মিয়ামি (আটলান্টা)
৩০ জুন: ফ্লামেঙ্গো-বায়ার্ন মিউনিখ (মিয়ামি গার্ডেন্স)
১ জুলাই: ইন্টার মিলান-ফ্লুমিনেন্স (শার্লট),
ম্যান সিটি-আল হিলাল (অরল্যান্ডো)
২ জুলাই: রেয়াল মাদ্রিদ-জুভেন্টাস (মিয়ামি),
ডর্টমুন্ড-মন্টেরে (আটলান্টা)
হালান্ডকে নিয়ে ম্যানসিটির জয়োল্লাস
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
ক্লাব বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে নিশ্চিত ১৬ দল। আজ থেকে শুরু নক-আউট পর্ব। জায়গা পাকা করে রেয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাস এবং ম্যানচেস্টার সিটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার ম্যানচেস্টার সিটির ম্যাচ ছিল জুভেন্টাসের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে পাঁচ গোল দিয়েছে ম্যান সিটি। জুভেন্টাসের বিরুদ্ধে তারা জিতে ৫-২ গোলে। সিটির হয়ে গোল করেন জেরেমি ডোকু, পিয়েরে কালুলু (আত্মঘাতী), এর্লিং হালান্ড, ফিল ফোডেন এবং সাভিনহো। জুভেন্টাসের হয়ে দু’টি গোল শোধ করেন টিউন কুপমেইনার্স এবং দুসান লাহুভিচ। হারলেও গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় দল হিসাবে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে জুভেন্টাস।
ফিলাডেলফিয়ায় শুক্রবার,(২৭ জুন ২০২৫) সকালে (বাংলাদেশ সময়) ম্যাচটি ৩-০ গোলে জিতে, ‘এইচ’ গ্রুপের সেরা হয়ে নকআউট পর্বে উঠেছে রেয়াল মাদ্রিদ। জাল অক্ষত রেখে জয়, গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া, সবকিছুই বাড়তি আনন্দ দিচ্ছে মাদ্রিদের দলটিকে।
এর মাঝে আরেকটি বিষয় নজর করেছে, শিরোপাশূন্য মৌসুমের পর নতুন কোচের হাত ধরে একটু একটু করে যেন চেনা ছন্দে ফিরছে রেয়াল। গোল করে ও করিয়ে ভিনিয়ুসও বিধ্বংসী রূপে ফেরার বার্তা দিয়েছেন।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে নিজেদের অর্ধ থেকে জুড বেলিংহ্যামের অসাধারণ পাস পেয়ে এগিয়ে গিয়ে দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে বক্সের বাইরে থেকে গড়ানো শটে গোল করেন ভিনিসিয়ুস। এরপর বিরতির আগে যোগ করা সময়ে তার ওই দুর্দান্ত ব্যাকহিল পাস; গিলেরের চমৎকার ছোঁয়া থেকে বক্সের ভেতর বিপজ্জনকভাবে ঢুকে গোলে শট না নিয়ে হুট করে আলতো ব্যাক হিল করেন ভালভার্দেকে। বাকিকাজ সুন্দরভাবে শেষ করেন ভালভার্দে।
এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে গোল করলেন মিডফিল্ডার ভালভার্দে।
ম্যাচের শেষ দিকে দলের তৃতীয় গোলটি করেন গন্সালো গার্সিয়া। আসরে প্রথম ম্যাচে আল হিলালের সঙ্গে ১-১ ড্রয়ের পথে প্রথমে তার গোলেই এগিয়ে গিয়েছিল রেয়াল মাদ্রিদ।
হতাশারজনক ওই ড্রয়ের পর, টানা দুই ম্যাচে তিনটি করে গোল করে জিতল ইউরোপের সফলতম দলটি। ধীরে ধীরে দল নতুন কোচের কৌশলে মানিয়ে নিচ্ছে বলে মনে করেন ভিনিসিয়ুস।
‘খুব ভালো দুটি সপ্তাহ কাটছে। আমরা আত্মবিশ্বাস অর্জন করছি এবং কোচ কী চান, যতটা দ্রুত সম্ভব আমরা তা বোঝার চেষ্টা করছি। আমাকে একটু ভেতরে খেলতে হবে এবং এই কৌশল সবসময় আমি পছন্দ করি, এতে আমি আরও গোলের কাছে থাকি।’
মেসি-রোনালদো-এমবাপ্পেকে ছাড়িয়ে হালান্ড
গতকাল বৃহস্পতিবার জুভেন্টাসকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে ‘জি’ গ্রুপের সেরা হয় ম্যানচেস্টার সিটি। দলের তৃতীয় গোলটি আসে হালান্ডের পা থেকে।
ক্লাব ও দেশ মিলিয়ে ২৪ বছর বয়সী তারকার ৩০০তম গোল এটি।
অবিশ্বাস্যভাবে ৩৭০ ম্যাচেই গোলের ট্রিপল সেঞ্চুরি হলো তার। ইএসপিএনের মতে, মাইলফলকের দ্রুততায় তিনি পেছনে ফেলেছেন তিন মহাতারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো (৫৫৪ ম্যাচ), লিওনেল মেসি (৪১৮ ম্যাচ) ও কিলিয়ান এমবাপ্পেকে (৪০৯ ম্যাচ)।
সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন তিনি অবশ্যই সিটির জার্সিতেই। ইংলিশ দলটির হয়ে ১৪৫ ম্যাচেই তার গোল হয়ে গেল ১২৪টি।
দারুণ মাইলফলকের দিনে এই তারকাকে শুভেচ্ছা জানান তার কোচ পেপ গার্দিওলা।
‘আমি কেবল বলতে পারি, ‘অভিনন্দন।’ ২৪ বছর বয়সেই ৩০০ গোল করে ফেলেছে, স্ট্রাইকার হিসেবে তার দারুণ প্রশংসা করি আমি। আর্লিংয়ের জন্য আমি এত খুশিৃ সে যত গোল করে এবং ছোট জায়গার ভেতর যত সম্পৃক্ত থাকে এসব এত এত ভালো।’
প্রি-কোয়ার্টারে চূড়ান্ত ১৬ দল
রাউন্ড অব সিক্সটিনের সূচি
২৮ জুন: পামেইরাস-বোতাফোগো (ফিলাডেলফিয়া)
২৯ জুন: বেনফিকা-চেলসি (শার্লট),
পিএসজি-ইন্টার মিয়ামি (আটলান্টা)
৩০ জুন: ফ্লামেঙ্গো-বায়ার্ন মিউনিখ (মিয়ামি গার্ডেন্স)
১ জুলাই: ইন্টার মিলান-ফ্লুমিনেন্স (শার্লট),
ম্যান সিটি-আল হিলাল (অরল্যান্ডো)
২ জুলাই: রেয়াল মাদ্রিদ-জুভেন্টাস (মিয়ামি),
ডর্টমুন্ড-মন্টেরে (আটলান্টা)