বারবাডোজে চলমান ওয়েস্ট ইন্ডিজ-অস্ট্রেলিয়ার লো-স্কোরিং ম্যাচটি দুই দিনেই বেশ জমে উঠেছে। প্রথম ইনিংসে ১৮০ রান গুটিয়ে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ানরা প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ১৯০ রানে। দ্বিতীয়বার ব্যাটিং নেমেও তারা স্বস্তিতে নেই। ৪ উইকেট ৯২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে সফরকারীরা।

প্রথম দিনই অলআউট হয় সফরকারী দল। এরপর ব্যাট করতে নেমে দিন শেষে ৪ উইকেটে ৫৭ রান করে স্বাগতিকরা। গতকাল বৃহস্পতিবার ৭২ রানে পঞ্চম উইকেট পতনের পর ষষ্ঠ উইকেটে ৬৭ রানের জুটি গড়েন চেজ ও শাই হোপ। হাফ-সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে দলীয় ১৬২ রানের মধ্যে বিদায় নেন দু’জনে। চেজ ৪৪ ও হোপ ৪৮ রানে আউট হন।

শেষ দিকে আলজারি জোসেফের ২০ বলে অপরাজিত ২৩ রানে লিড নিয়ে ১৯০ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মিচেল স্টার্ক ৩টি, জশ হ্যাজেলউড-প্যাট কামিন্স ও বাউ ওয়েবস্টার ২টি করে উইকেট নেন।

প্রথম ইনিংসে ১০ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৪ রানে দুই ওপেনারকে হারায় অস্ট্রেলিয়া। উসমান খাজা ১৫ ও স্যাম কনস্টাস ৫ রানে ফিরেন।

দিতে তৃতীয় উইকেটে ২৩ রানের জুটি গড়েন ক্যামেরন গ্রিন ও জশ ইংলিশ। ৮ রানের ব্যবধানে বিদায় নেন তারা। গ্রিন ১৫ ও ইংলিশ ১২ রানে ফিরেন।

পঞ্চম উইকেটে ২৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দিন শেষ করেছেন ট্রাভিস হেড ও ওয়েবস্টার। হেড ১৩ ও ওয়েবস্টার ১৯ রানে অপরাজিত আছেন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেইডেন সিলেস-শামার জোসেফ-জোসেফ ও জাস্টিন গ্রেভস ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: অস্ট্রেলিয়া ১৮০ ও ৯২/৪ (খাজা ১৫, গ্রিন ১৫, ইংলিস ১২, হেড ১৩*, ওয়েবস্টার ১৯*; সিলস ১/২৪, শামার ১/১৫, আলজারি ১/১৬, গ্রেভস ১/২৭)।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস ৬৩.২ ওভারে ১৯০ (কিং ২৬, চেইস ৪৪, হোপ ৪৮, আলজারি ২৩* ; স্টার্ক ৩/৬৫, হেইজেলউড ২/৪১, কামিন্স ২/৩৪, লায়ন ১/২৮, ওয়েবস্টার ২/২০)।

শাস্তি পেলেন সিলস

আইসিসির আচরণবিধি ভাঙার দায়ে শাস্তি পেয়েছেন জেডেন সিলস। ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে ক্যারিবিয়ান পেসারকে। সঙ্গে তার নামের পাশে যুক্ত হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট।

চলমান টেস্টের প্রথম দিন দুর্দান্ত বোলিং করেন সিলস। প্রতিপক্ষকে প্রথম ইনিংসে ১৮০ রানে গুটিয়ে দেয়ার পথে ৬০ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি।

সিলসের আচরণবিধি ভাঙার ঘটনাটি ঘটে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ৫৫তম ওভারে। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে ফেরানোর পর ব্যাটসম্যানকে ড্রেসিং রুমের দিকে যেতে ইশারা করেন তিনি। যা আইসিসির আচরণবিধির ২.৫ ধারাকে লঙ্ঘন করে।

২৪ মাসের মধ্যে এনিয়ে দ্বিতীয়বার ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেন সিলস। গত ৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিপক্ষে জ্যামাইকা টেস্টের সময় আচরণবিধি ভেঙে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছিলেন তিনি।