আউটের পর হতাশ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মুশফিক
কলম্বো টেস্টে ইনিংস পরাজয় এড়াতে এখনও ৯৬ রান প্রয়োজন বাংলাদেশের। উইকেট বাকি আছে মাত্র ৪টি।
শুক্রবার,(২৭ জুন ২০২৫) প্রথম ইনিংসে ৪৫৮ রান শেষ হয় শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস। পাথুম নিশাঙ্কার ১৫৮ রানের ইনিংসের পর ৮৪ রান করেন কুসল মেন্ডিস।
বাংলাদেশের তাইজুল ইসলাম শিকার করেন ৫ উইকেট। ২১১ রানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ শুক্রবার তৃতীয় দিন শেষ করে ৬ উইকেটে ১১৫ রান নিয়ে।
কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ২ উইকেটে ২৯০ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে লঙ্কানরা। ১৪৬ রানে অপরাজিত থাকা নিশাঙ্কাকে দ্রুতই ফেরান তাইজুল। ২৫৪ বলে ১৫৮ রানে আউট হন এই ওপেনার।
নিশাঙ্কা আগের টেস্টে করেছিলেন ১৮৭। লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও নাইটওয়াচম্যাচ প্রাবাথ জায়াসুরিয়া লম্বা সময় টেকেননি। ৩৩ রান করা কামিন্দু মেন্ডিস বোল্ড হন নাঈম হাসানের দারুণ ডেলিভারিতে।
দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৮৭ বলে ৮৪ রান করে শ্রীলঙ্কার রান সাড়ে চারশ পার করান কুসল মেন্ডিস। দ্বিতীয় রানের চেষ্টায় রান আউট হয়ে সম্ভাব্য শতরান হারান তিনি।
ক্যারিয়ারের ১৭তম বার ইনিংসে ৫ উইকেটের স্বাদ পান তাইজুল। দেশের বাইরে ৫ উইকেটে তিনি এখন সাকিব আল হাসানের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ (৫ বার)।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় দফায় ব্যাটিংয়ে নেমে উইকেট হারায় নিয়মিত বিরতিতে। ক্রিজে যাওয়া সব ব্যাটার দুই অঙ্ক ছুঁলেও কেউ ৩০ রান পর্যন্ত যেতে পারেননি। কেউ আউট হয়েছেন ভালো ডেলিভারিতে, কেউ আউট হয়েছেন ভুল শট খেলে । দল তাই বড় হারের মুখে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও এনামুল বিজয়। ৬ ওভারে ৩০ রান তুলে ফেলেন তারা। কিন্তু আসিথা ফার্নান্দোর করা সপ্তম ওভারের পঞ্চম বলে পুল করতে গিয়ে শর্ট লেগে ক্যাচ দেন ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৯ রান করা বিজয়।
বড় ইনিংস খেলতে পারেননি আরেক ওপেনার সাদমানও। ১২ রান করে প্রবাথ জয়সুরিয়ার বলে ক্যাচ আউট হন তিনি।
৩১ রানের মধ্যে দুই ওপেনার ফেরার পর জুটি বাঁধেন মোমিনুল হক ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু মোমিনুল ও শান্তকে বড় ইনিংস খেলতে দেননি লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। মোমিনুল ১৫ ও শান্ত ১৯ রানে ডি সিলভার বলে আউট হন।
৭০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলের রান ১শতে নেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। দলীয় তিন অংকের ঘরে পৌঁছেই সজঘরে ফিরেন মুশফিক। জয়সুরিয়ার বলে বোল্ড হন ২৬ রান করা মুশফিক।
দিনের শেষটা ভালোভাবে শেষ করার দায়িত্ব ছিল লিটন ও মেহেদি হাসান মিরাজের। কিন্তু থারিন্দু রত্নায়েক বলে লেগ বিফোর আউট হন ১১ রান করা মিরাজ। তার আউটের পর দিনের খেলা শেষ হয়। ১৩ রানে অপরাজিত আছেন লিটন।
জয়সুরিয়া ও ডি সিলভা ২টি করে উইকেট নেন।
স্কোর কার্ড
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস ২৪৭/১০ (সাদমান ৪৬, মুশফিক ৩৫, লিটন ৩৪, তাইজুল ৩৩, মিরাজ ৩১; দিনুশা ৩/২২, অসিথা ৩/৫১)।
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস(আগের দিন ২৯০/২)
নিশাঙ্কা ক বিজয় ব তাইজুল ১৫৮
জয়সুরিয়া ক মিরাজ ব রানা ১০
ধনঞ্জয়া* এলবিডব্লিউ তাইজুল ৭
কামিন্ডু বোল্ড নাঈম ৩৩
কুশল রান আউট ৮৪
দিনুশা বোল্ড নাঈম ১১
রত্নায়েক ক বিজয় ব তাইজুল ১০
বিশ্ব অপরাজিত ২
অসিথা ক সাদমান ব তাইজুল ০
অতিরিক্ত ১০
মোট (১১৬.৫ ওভারে) ৪৫৮/১০
উইকেট পতন: ২/২৮২ (চান্ডিমাল), ৩/৩০৫(নিশাঙ্কা), ৪/৩১৩ (ধনঞ্জয়া), ৫/৩৩৫ (জয়সুরিয়া), ৬/৩৮৪ (কামিন্ডু), ৭/৪০৬ (দিনুশা), ৮/৪২৯ (রত্নায়েক), ৯/৪৫৮ (কুশল), ১০/৪৫৮ (অসিথা)।
বোলিং: ইবাদত ১৪-০-৫৫-০ , তাইজুল ৪২.৫-৪-১৩১-৫ , নাহিদ রানা ২০-১-৯৪-১ , মেহদী মিরাজ ২০-১-৭৫-০ , নাঈম ১৮-৪-৮৭-৩ , মোমিনুল ২-০-৮-০।
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস
সাদমান ক লাগামাগে ব জয়সুরিয়া ১২
এনামুল বিজয় ক (সাব) ব ফার্নান্ডো ১৯
মোমিনুল ক মেন্ডিস ব সিলভা ১৫
নাজমুল*এলবিডব্লিউ সিলভা ১৯
মুশফিক বোল্ড জয়সুরিয়া ২৬
লিটন অপরাজিত ১৩
মিরাজ এলবিডব্লিউ রত্নায়েক ১১
অতিরিক্ত ০
মোট (৩৮.৪ ওভারে) ১১৫/৬
উইকেট পতন: ১/৩১ (বিজয়), ২/৩১ (সাদমান), ৩/৬৫ মোমিনুল), ৪/৭০ (নাজমুল), ৫/১০০ (মুশফিক), ৬/১১৫ (মিরাজ)।
বোলিং: অসিথা ৮-১-২২-১, বিশ্ব ৬-৩-১৬-০, জয়সুরিয়া ১৫-২-৪৭-২, ধনঞ্জয়া ৪-১-১৩-২, রত্নায়েক ২.৪-০-১০-১।
আউটের পর হতাশ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মুশফিক
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
কলম্বো টেস্টে ইনিংস পরাজয় এড়াতে এখনও ৯৬ রান প্রয়োজন বাংলাদেশের। উইকেট বাকি আছে মাত্র ৪টি।
শুক্রবার,(২৭ জুন ২০২৫) প্রথম ইনিংসে ৪৫৮ রান শেষ হয় শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস। পাথুম নিশাঙ্কার ১৫৮ রানের ইনিংসের পর ৮৪ রান করেন কুসল মেন্ডিস।
বাংলাদেশের তাইজুল ইসলাম শিকার করেন ৫ উইকেট। ২১১ রানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ শুক্রবার তৃতীয় দিন শেষ করে ৬ উইকেটে ১১৫ রান নিয়ে।
কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ২ উইকেটে ২৯০ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে লঙ্কানরা। ১৪৬ রানে অপরাজিত থাকা নিশাঙ্কাকে দ্রুতই ফেরান তাইজুল। ২৫৪ বলে ১৫৮ রানে আউট হন এই ওপেনার।
নিশাঙ্কা আগের টেস্টে করেছিলেন ১৮৭। লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও নাইটওয়াচম্যাচ প্রাবাথ জায়াসুরিয়া লম্বা সময় টেকেননি। ৩৩ রান করা কামিন্দু মেন্ডিস বোল্ড হন নাঈম হাসানের দারুণ ডেলিভারিতে।
দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৮৭ বলে ৮৪ রান করে শ্রীলঙ্কার রান সাড়ে চারশ পার করান কুসল মেন্ডিস। দ্বিতীয় রানের চেষ্টায় রান আউট হয়ে সম্ভাব্য শতরান হারান তিনি।
ক্যারিয়ারের ১৭তম বার ইনিংসে ৫ উইকেটের স্বাদ পান তাইজুল। দেশের বাইরে ৫ উইকেটে তিনি এখন সাকিব আল হাসানের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ (৫ বার)।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় দফায় ব্যাটিংয়ে নেমে উইকেট হারায় নিয়মিত বিরতিতে। ক্রিজে যাওয়া সব ব্যাটার দুই অঙ্ক ছুঁলেও কেউ ৩০ রান পর্যন্ত যেতে পারেননি। কেউ আউট হয়েছেন ভালো ডেলিভারিতে, কেউ আউট হয়েছেন ভুল শট খেলে । দল তাই বড় হারের মুখে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও এনামুল বিজয়। ৬ ওভারে ৩০ রান তুলে ফেলেন তারা। কিন্তু আসিথা ফার্নান্দোর করা সপ্তম ওভারের পঞ্চম বলে পুল করতে গিয়ে শর্ট লেগে ক্যাচ দেন ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৯ রান করা বিজয়।
বড় ইনিংস খেলতে পারেননি আরেক ওপেনার সাদমানও। ১২ রান করে প্রবাথ জয়সুরিয়ার বলে ক্যাচ আউট হন তিনি।
৩১ রানের মধ্যে দুই ওপেনার ফেরার পর জুটি বাঁধেন মোমিনুল হক ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু মোমিনুল ও শান্তকে বড় ইনিংস খেলতে দেননি লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। মোমিনুল ১৫ ও শান্ত ১৯ রানে ডি সিলভার বলে আউট হন।
৭০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলের রান ১শতে নেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। দলীয় তিন অংকের ঘরে পৌঁছেই সজঘরে ফিরেন মুশফিক। জয়সুরিয়ার বলে বোল্ড হন ২৬ রান করা মুশফিক।
দিনের শেষটা ভালোভাবে শেষ করার দায়িত্ব ছিল লিটন ও মেহেদি হাসান মিরাজের। কিন্তু থারিন্দু রত্নায়েক বলে লেগ বিফোর আউট হন ১১ রান করা মিরাজ। তার আউটের পর দিনের খেলা শেষ হয়। ১৩ রানে অপরাজিত আছেন লিটন।
জয়সুরিয়া ও ডি সিলভা ২টি করে উইকেট নেন।
স্কোর কার্ড
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস ২৪৭/১০ (সাদমান ৪৬, মুশফিক ৩৫, লিটন ৩৪, তাইজুল ৩৩, মিরাজ ৩১; দিনুশা ৩/২২, অসিথা ৩/৫১)।
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস(আগের দিন ২৯০/২)
নিশাঙ্কা ক বিজয় ব তাইজুল ১৫৮
জয়সুরিয়া ক মিরাজ ব রানা ১০
ধনঞ্জয়া* এলবিডব্লিউ তাইজুল ৭
কামিন্ডু বোল্ড নাঈম ৩৩
কুশল রান আউট ৮৪
দিনুশা বোল্ড নাঈম ১১
রত্নায়েক ক বিজয় ব তাইজুল ১০
বিশ্ব অপরাজিত ২
অসিথা ক সাদমান ব তাইজুল ০
অতিরিক্ত ১০
মোট (১১৬.৫ ওভারে) ৪৫৮/১০
উইকেট পতন: ২/২৮২ (চান্ডিমাল), ৩/৩০৫(নিশাঙ্কা), ৪/৩১৩ (ধনঞ্জয়া), ৫/৩৩৫ (জয়সুরিয়া), ৬/৩৮৪ (কামিন্ডু), ৭/৪০৬ (দিনুশা), ৮/৪২৯ (রত্নায়েক), ৯/৪৫৮ (কুশল), ১০/৪৫৮ (অসিথা)।
বোলিং: ইবাদত ১৪-০-৫৫-০ , তাইজুল ৪২.৫-৪-১৩১-৫ , নাহিদ রানা ২০-১-৯৪-১ , মেহদী মিরাজ ২০-১-৭৫-০ , নাঈম ১৮-৪-৮৭-৩ , মোমিনুল ২-০-৮-০।
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস
সাদমান ক লাগামাগে ব জয়সুরিয়া ১২
এনামুল বিজয় ক (সাব) ব ফার্নান্ডো ১৯
মোমিনুল ক মেন্ডিস ব সিলভা ১৫
নাজমুল*এলবিডব্লিউ সিলভা ১৯
মুশফিক বোল্ড জয়সুরিয়া ২৬
লিটন অপরাজিত ১৩
মিরাজ এলবিডব্লিউ রত্নায়েক ১১
অতিরিক্ত ০
মোট (৩৮.৪ ওভারে) ১১৫/৬
উইকেট পতন: ১/৩১ (বিজয়), ২/৩১ (সাদমান), ৩/৬৫ মোমিনুল), ৪/৭০ (নাজমুল), ৫/১০০ (মুশফিক), ৬/১১৫ (মিরাজ)।
বোলিং: অসিথা ৮-১-২২-১, বিশ্ব ৬-৩-১৬-০, জয়সুরিয়া ১৫-২-৪৭-২, ধনঞ্জয়া ৪-১-১৩-২, রত্নায়েক ২.৪-০-১০-১।