নাজমুল হোসেন শান্ত
গল টেস্টে দারুণ ব্যাটিংয়ের পর কলম্বোতে খেই হারিয়েছে বাংলাদেশ। লঙ্কানদের বিপক্ষে ইনিংস ও ৭৮ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে দারুণ পারফরম্যান্সের পর এমন পরাজয়ে বেশ হতাশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
শনিবার,(২৮ জুন ২০২৫) সকালে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, ‘প্রথম টেস্টে যেভাবে শেষ করেছিলাম, এরপর এই টেস্টের ফল খুব হতাশাজনক। প্রথম ইনিংসে আমাদের ব্যাটিং মানদণ্ডে পৌঁছায়নি। সুযোগ ছিল, কিন্তু কাজে লাগাতে পারিনি।’ তার মতে ব্যাটারদের আউটের ধরন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, ‘আমি এখনও মনে করি আমাদের ব্যাটিং করা উচিত ছিল আগে। উইকেট একটু ধীর গতির ছিল ঠিকই, কিন্তু যেভাবে আমরা আউট হয়েছি, তা গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা সবসময় সহজ অপশন বেছে নিয়েছি, আর ভুল করেছি।’
তবে ব্যাটিং ব্যর্থতার মাঝেও বোলারদের কাজ প্রশংসা পেয়েছে অধিনায়কের মুখে, ‘তৃতীয় দিনে আমরা যেভাবে বোলিং করেছি, তা এই ধরনের কন্ডিশনে দারুণ। সেটা দেখে ভালো লেগেছে।’
শান্ত দাবি করেন, ভুল থেকে শিক্ষা নেয়ার কারণে বিদেশের মাটিতে টেস্ট পারফরম্যান্স ভালো হচ্ছে। উন্নতি হলেও দলের ধারাবাহিকতা নিয়ে চিন্তিত সদ্য বিদায়ী এই অধিনায়ক, ‘আপনি যদি শেষ দুই-এক বছরের টেস্ট দল দেখেন, আমরা দেশের বাইরে এসে এখন জিতছি বা ড্র করছি। আগের থেকে রেজাল্ট এখন ভালো হয়েছে। তবে ধারাবাহিকতার জায়গায় ঘাটতি আছে। খেলায় হারজিত থাকবে। আমার মনে হয় যে, প্রথম টেস্টটি আমরা যেভাবে আধিপত্য দেখিয়ে খেললাম, এই টেস্টটা আরেকটু ভালো খেলতে পারতাম। তাহলে উন্নতির জায়গাটা আমরা দেখতে পেতাম।’
শান্ত আরও বলেন, ‘এই জায়গাগুলোতে শেখার বিষয় থাকেই। ভুল থেকে শিখছি বলেই আগে থেকে ভালো ফলাফল হচ্ছে। মাঝেমধ্যে আমরা জিতছি, মাঝেমধ্যে আমরা খেলাটা ড্র করতে পারছি। তবে এবার প্রথম টেস্টটা আমরা যেভাবে খেললাম, এই টেস্ট আরও ভালোভাবে খেলা দরকার ছিল।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ১-০ ব্যবধানে হারলেও শান্ত ইতিবাচক অনেক কিছুই খুঁজে পেয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় নাঈমের বোলিংটা আমরা এই সিরিজ থেকে নিতে পারি। সাতটা টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছে তার। এভাবে পারফর্ম করা ডিফিকাল্ট, স্পেশালি এই টেস্ট ম্যাচের শুরুর কয়েকটা ওভার ভালো না করার পরে যেভাবে তৃতীয় দিনে বোলিং করে কামব্যাক করেছে। তাইজুল ভাই, আমরা সবসময় জানি যে তিনি দলের জন্য ৪০-৪৫ ওভার করে বল করে। এটা কিন্তু অনেক কঠিন একটা ব্যাপার, ওই একই জায়গায়।’ ‘তাই তাইজুল ভাইয়ের পাঁচ উইকেট বা লম্বা স্পেল বোলিং করা। সুতরাং, এই জিনিসগুলো আমরা নিয়ে যেতে পারি। মুশফিক ভাই অনেকদিন পরে এরকম একটা লম্বা ইনিংস খেলেছে। তাই, সার্বিক ভাবে বেশ কিছু জায়গা আছে যেগুলা নিয়ে আমরা সামনে আগাতে পারি।
ওয়ানডে সিরিজে আমার মনে হয় না এই সিরিজ থেকে খুব বেশি কিছু আমাদের নিয়ে যাওয়াটা ঠিক হবে, কারণ আলাদা ফরম্যাট। তাই ওটা আলাদাভাবে চিন্তা করাটাই ভালো।’
নাজমুল হোসেন শান্ত
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
গল টেস্টে দারুণ ব্যাটিংয়ের পর কলম্বোতে খেই হারিয়েছে বাংলাদেশ। লঙ্কানদের বিপক্ষে ইনিংস ও ৭৮ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে দারুণ পারফরম্যান্সের পর এমন পরাজয়ে বেশ হতাশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
শনিবার,(২৮ জুন ২০২৫) সকালে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, ‘প্রথম টেস্টে যেভাবে শেষ করেছিলাম, এরপর এই টেস্টের ফল খুব হতাশাজনক। প্রথম ইনিংসে আমাদের ব্যাটিং মানদণ্ডে পৌঁছায়নি। সুযোগ ছিল, কিন্তু কাজে লাগাতে পারিনি।’ তার মতে ব্যাটারদের আউটের ধরন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, ‘আমি এখনও মনে করি আমাদের ব্যাটিং করা উচিত ছিল আগে। উইকেট একটু ধীর গতির ছিল ঠিকই, কিন্তু যেভাবে আমরা আউট হয়েছি, তা গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা সবসময় সহজ অপশন বেছে নিয়েছি, আর ভুল করেছি।’
তবে ব্যাটিং ব্যর্থতার মাঝেও বোলারদের কাজ প্রশংসা পেয়েছে অধিনায়কের মুখে, ‘তৃতীয় দিনে আমরা যেভাবে বোলিং করেছি, তা এই ধরনের কন্ডিশনে দারুণ। সেটা দেখে ভালো লেগেছে।’
শান্ত দাবি করেন, ভুল থেকে শিক্ষা নেয়ার কারণে বিদেশের মাটিতে টেস্ট পারফরম্যান্স ভালো হচ্ছে। উন্নতি হলেও দলের ধারাবাহিকতা নিয়ে চিন্তিত সদ্য বিদায়ী এই অধিনায়ক, ‘আপনি যদি শেষ দুই-এক বছরের টেস্ট দল দেখেন, আমরা দেশের বাইরে এসে এখন জিতছি বা ড্র করছি। আগের থেকে রেজাল্ট এখন ভালো হয়েছে। তবে ধারাবাহিকতার জায়গায় ঘাটতি আছে। খেলায় হারজিত থাকবে। আমার মনে হয় যে, প্রথম টেস্টটি আমরা যেভাবে আধিপত্য দেখিয়ে খেললাম, এই টেস্টটা আরেকটু ভালো খেলতে পারতাম। তাহলে উন্নতির জায়গাটা আমরা দেখতে পেতাম।’
শান্ত আরও বলেন, ‘এই জায়গাগুলোতে শেখার বিষয় থাকেই। ভুল থেকে শিখছি বলেই আগে থেকে ভালো ফলাফল হচ্ছে। মাঝেমধ্যে আমরা জিতছি, মাঝেমধ্যে আমরা খেলাটা ড্র করতে পারছি। তবে এবার প্রথম টেস্টটা আমরা যেভাবে খেললাম, এই টেস্ট আরও ভালোভাবে খেলা দরকার ছিল।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ১-০ ব্যবধানে হারলেও শান্ত ইতিবাচক অনেক কিছুই খুঁজে পেয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় নাঈমের বোলিংটা আমরা এই সিরিজ থেকে নিতে পারি। সাতটা টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছে তার। এভাবে পারফর্ম করা ডিফিকাল্ট, স্পেশালি এই টেস্ট ম্যাচের শুরুর কয়েকটা ওভার ভালো না করার পরে যেভাবে তৃতীয় দিনে বোলিং করে কামব্যাক করেছে। তাইজুল ভাই, আমরা সবসময় জানি যে তিনি দলের জন্য ৪০-৪৫ ওভার করে বল করে। এটা কিন্তু অনেক কঠিন একটা ব্যাপার, ওই একই জায়গায়।’ ‘তাই তাইজুল ভাইয়ের পাঁচ উইকেট বা লম্বা স্পেল বোলিং করা। সুতরাং, এই জিনিসগুলো আমরা নিয়ে যেতে পারি। মুশফিক ভাই অনেকদিন পরে এরকম একটা লম্বা ইনিংস খেলেছে। তাই, সার্বিক ভাবে বেশ কিছু জায়গা আছে যেগুলা নিয়ে আমরা সামনে আগাতে পারি।
ওয়ানডে সিরিজে আমার মনে হয় না এই সিরিজ থেকে খুব বেশি কিছু আমাদের নিয়ে যাওয়াটা ঠিক হবে, কারণ আলাদা ফরম্যাট। তাই ওটা আলাদাভাবে চিন্তা করাটাই ভালো।’