শনিবার লিটনের কটবিহাইন্ড আউটের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশের বিপর্যয়
কলম্বো টেস্টের চতুর্থ দিনে ১৩৩ রানে থেমেছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। ফলে ইনিংস ও ৭৮ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। প্রথম ইনিংসে টাইগারদের ২৪৭ রানের জবাবে স্বাগতিকরা করেছিল ৪৫৮ রান।
দ্বিতীয় টেস্টের শেষ দিন মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে সফরকারীদের গুড়িয়ে দেয় লঙ্কানরা। আগের দিনের ৬ উইকেটে ১১৫ রান নিয়ে খেলতে নেমেছিল তারা। বাকি ৪ উইকেট খুইয়ে দলটি যোগ করতে পারে আর কেবল ১৮ রান। ফলে টেস্ট ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নবম ও সব মিলিয়ে ৪৭তম ইনিংস ব্যবধানে হারের তেতো স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ।
এই হারে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-০ ব্যবধান হারলো শান্তর দল। সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র হয়েছিল।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ চক্রের অংশ এই সিরিজ হারের ফলে ২ ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের পয়েন্ট এখন ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। শ্রীলঙ্কার ৬৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব (এসএসসি) মাঠে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২১১ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে তৃতীয় দিন শেষে ৬ উইকেটে ১১৫ রান করেছিল বাংলাদেশ। ইনিংস হার এড়াতে ৪ উইকেট হাতে নিয়ে আরও ৯৬ রান দরকার ছিল টাইগারদের।
চতুর্থ দিন সকালে ২৯ মিনিট ও ৩৪ বলের বেশি টিকতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৩ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যক্তিগত ১৪ রানে স্পিনার প্রবাথ জয়সুরিয়ার বলে আউট হন লিটন দাস। এরপর নাঈমকে ৫ ও তাইজুলকে ৬ রানে শিকার করেন ইনিংসে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন জয়সুরিয়া। শেষ ব্যাটার ইবাদতকে ৬ রানে থামিয়ে শ্রীলঙ্কার জয় নিশ্চিত করেন স্পিনার থারিন্দু রত্নায়েকে।
এই ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন মুশফিক। এছাড়া অধিনায়ক নাজমুল শান্ত ও এনামুল ১৯ রান করে এবং মোমিনুল ১৫ ও সাদমান ১২ রান করেন। বল হাতে ৫৬ রানে ৫ উইকেট নেন জয়সুরিয়া। ২২ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে ১২তম ও বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ইনিংসে পাঁচ বা ততোধিক উইকেট নিলেন তিনি। পাশাপাশি অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও থারিন্দু ২টি করে উইকেট নেন।
প্রথম ইনিংসে ১৫৮ রান করায় ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় হন শ্রীলঙ্কার ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। দুই টেস্টে ৩৬৯ করে সেরা সিরিজ সেরাও নির্বাচিত হন তিনি।
বিসিবি কদিন ধরে উদ্যাপন করছে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার ২৫ বছর। এর মধ্যেই এলো টেস্ট ক্রিকেটের বাংলাদেশের ১৫৪ ম্যাচে ৪৭তম ইনিংস ব্যবধানের হার। এর মধ্যে বাংলাদেশের জয় ২৩ এবং মোট পরাজয় ১১২। আর ড্র হয়েছে ১৯ টেস্ট।
আগামী ২ জুলাই থেকে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। এরপর ১০ জুলাই থেকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দু’দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২৪৭ ও ৪৪.২ ওভারে ১৩৩ (আগের দিন ১১৫/৬) (সাদমান ১২, এনামুল ১৯, মোমিনুল ১৫, নাজমুল* ১৯, মুশফিক ২৬, লিটন ১৪, মিরাজ ৫, তাইজুল ৬, ইবাদত ৬, নাহিদ ০*; আসিথা ১/২২, জয়সুরিয়া ৫/৫৬, ধনঞ্জয়া ২/১৩, থারিন্ডু ২/১৯)।
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৪৫৮(নিশাঙ্কা ১৫৮,চান্ডিমাল ৯৩, কুশল মেন্ডিস ৮৪*;তাইজুল ৫/১৩১, সাঈম ৩/৮৭)।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ ও সিরিজ: পাথুম নিসাঙ্কা।
শনিবার লিটনের কটবিহাইন্ড আউটের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশের বিপর্যয়
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
কলম্বো টেস্টের চতুর্থ দিনে ১৩৩ রানে থেমেছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। ফলে ইনিংস ও ৭৮ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। প্রথম ইনিংসে টাইগারদের ২৪৭ রানের জবাবে স্বাগতিকরা করেছিল ৪৫৮ রান।
দ্বিতীয় টেস্টের শেষ দিন মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে সফরকারীদের গুড়িয়ে দেয় লঙ্কানরা। আগের দিনের ৬ উইকেটে ১১৫ রান নিয়ে খেলতে নেমেছিল তারা। বাকি ৪ উইকেট খুইয়ে দলটি যোগ করতে পারে আর কেবল ১৮ রান। ফলে টেস্ট ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নবম ও সব মিলিয়ে ৪৭তম ইনিংস ব্যবধানে হারের তেতো স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ।
এই হারে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-০ ব্যবধান হারলো শান্তর দল। সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র হয়েছিল।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ চক্রের অংশ এই সিরিজ হারের ফলে ২ ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের পয়েন্ট এখন ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। শ্রীলঙ্কার ৬৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব (এসএসসি) মাঠে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২১১ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে তৃতীয় দিন শেষে ৬ উইকেটে ১১৫ রান করেছিল বাংলাদেশ। ইনিংস হার এড়াতে ৪ উইকেট হাতে নিয়ে আরও ৯৬ রান দরকার ছিল টাইগারদের।
চতুর্থ দিন সকালে ২৯ মিনিট ও ৩৪ বলের বেশি টিকতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৩ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যক্তিগত ১৪ রানে স্পিনার প্রবাথ জয়সুরিয়ার বলে আউট হন লিটন দাস। এরপর নাঈমকে ৫ ও তাইজুলকে ৬ রানে শিকার করেন ইনিংসে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন জয়সুরিয়া। শেষ ব্যাটার ইবাদতকে ৬ রানে থামিয়ে শ্রীলঙ্কার জয় নিশ্চিত করেন স্পিনার থারিন্দু রত্নায়েকে।
এই ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন মুশফিক। এছাড়া অধিনায়ক নাজমুল শান্ত ও এনামুল ১৯ রান করে এবং মোমিনুল ১৫ ও সাদমান ১২ রান করেন। বল হাতে ৫৬ রানে ৫ উইকেট নেন জয়সুরিয়া। ২২ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে ১২তম ও বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ইনিংসে পাঁচ বা ততোধিক উইকেট নিলেন তিনি। পাশাপাশি অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও থারিন্দু ২টি করে উইকেট নেন।
প্রথম ইনিংসে ১৫৮ রান করায় ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় হন শ্রীলঙ্কার ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। দুই টেস্টে ৩৬৯ করে সেরা সিরিজ সেরাও নির্বাচিত হন তিনি।
বিসিবি কদিন ধরে উদ্যাপন করছে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার ২৫ বছর। এর মধ্যেই এলো টেস্ট ক্রিকেটের বাংলাদেশের ১৫৪ ম্যাচে ৪৭তম ইনিংস ব্যবধানের হার। এর মধ্যে বাংলাদেশের জয় ২৩ এবং মোট পরাজয় ১১২। আর ড্র হয়েছে ১৯ টেস্ট।
আগামী ২ জুলাই থেকে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। এরপর ১০ জুলাই থেকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দু’দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২৪৭ ও ৪৪.২ ওভারে ১৩৩ (আগের দিন ১১৫/৬) (সাদমান ১২, এনামুল ১৯, মোমিনুল ১৫, নাজমুল* ১৯, মুশফিক ২৬, লিটন ১৪, মিরাজ ৫, তাইজুল ৬, ইবাদত ৬, নাহিদ ০*; আসিথা ১/২২, জয়সুরিয়া ৫/৫৬, ধনঞ্জয়া ২/১৩, থারিন্ডু ২/১৯)।
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৪৫৮(নিশাঙ্কা ১৫৮,চান্ডিমাল ৯৩, কুশল মেন্ডিস ৮৪*;তাইজুল ৫/১৩১, সাঈম ৩/৮৭)।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ ও সিরিজ: পাথুম নিসাঙ্কা।