ম্যানচেস্টার সিটির শেষ আক্রমণটি নিশ্চিত হাতে ধরে ফেলেন ইয়াসিন বোনু। পর মুহূর্তেই বাজে শেষ বাঁশি। বাঁধভাঙা উল্লাসে ফেটে পড়েন বোনু ও তার সতীর্থরা। উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে ডাগআউটেও। কোচ সিমোনো ইনজাগির চোখেমুখে তৃপ্তির ছাপ। ধারাভাষ্যকারের কণ্ঠে তখন উচ্ছ্বাস, “এট সিলস দা ডিল… আল হিলালের জন্য দারুণ এক রাত, সৌদি আরবের ফুটবলের জন্য অসাধারণ রাত… ম্যানচেস্টার সিটি আর আউট, সৌদি ফুটবল হ্যাজ অ্যারাইভড…”
যা ছিল অকল্পনীয়, সেটিই বাস্তবে রচিত হলো ক্লাব বিশ্বকাপে। রূপকথার এক জয়ে ম্যানচেস্টার সিটিকে বিদায় করে কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছে গেল সৌদি ক্লাব আল হিলাল।
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টায় শেষ হওয়া এই রোমাঞ্চকর ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ে পেপ গুয়ার্দিওলার দলকে ৪-৩ গোলে হারায় আল হিলাল।
এই টুর্নামেন্টের আগে দায়িত্ব নেওয়া সিমোনো ইনজাগির কোচিংয়ে প্রথম ম্যাচেই রেয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়েছিল তারা। এবার শেষ ষোলোর লড়াইয়ে উপহার দিল আরও বড় চমক।
আল হিলালের জয়ের নায়ক মার্কোস লেওনার্দো। প্রথমার্ধে পিছিয়ে থাকা দলকে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সমতায় ফেরান ২২ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। পরে অতিরিক্ত সময়ের ১১৩তম মিনিটে করেন জয়সূচক গোলটি।
আরেক ব্রাজিলিয়ান মালকম একটি গোল করেন। আর সেনেগালের ডিফেন্ডার কালিদু কুলিবালি করেন বাকি গোলটি। গোলরক্ষক বোনুর অসাধারণ পারফরম্যান্সে বারবার রক্ষা পায় দল।
ম্যানচেস্টার সিটির পক্ষে গোল করেন বের্নার্দো সিলভা, আর্লিং হলান্ড ও ফিল ফোডেন।
অরল্যান্ডোর ক্যাম্পিং ওয়ার্ল্ড স্টেডিয়ামে বল দখল ও আক্রমণে আধিপত্য ছিল ম্যানচেস্টার সিটির। ৬৯ শতাংশ বল দখলে রাখা দলটি গোলের উদ্দেশ্যে ৩০টি শট নেয়, যার ১৪টি ছিল লক্ষ্যে। তবে সফল হয় মাত্র তিনটিতে।
আল হিলাল শট নেয় ১৭টি, যার ৬টি লক্ষ্যে ছিল এবং ৪টিতেই গোল করে বাজিমাত করে।
নবম মিনিটে জটলার মধ্যে সিটিকে এগিয়ে দেন বের্নার্দো সিলভা। যদিও রিপ্লেতে দেখা যায়, বল স্পর্শ করেছিল রাইয়ান আইত-নুরির হাতে। কিন্তু রেফারি সেটিকে আমলে নেননি।
২৪তম মিনিটে সাভিনিয়োর শট ফিরিয়ে দেন বোনু। এরপর ৩০, ৩৮ ও ৪৪তম মিনিটে আরও তিন দফা দলের গোল বাঁচান এই গোলকিপার।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই মালকমের আক্রমণে সিটির এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে বল চলে আসে লেওনার্দোর কাছে, যিনি হেডে গোল করেন।
এর ছয় মিনিট পর জোয়াও কান্সেলোর পাস থেকে মালকম দুর্দান্তভাবে বল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে করেন দ্বিতীয় গোল।
তিন মিনিট পর কর্নার থেকে হলান্ডের গোলে সমতায় ফেরে সিটি। এরপর একের পর এক আক্রমণে ব্যর্থ হয় তারা। ৮৫তম মিনিটে বোনুর এক সেভের পর গোললাইন থেকে বল সেভ করেন আলি লাজামি। কিছুক্ষণ পর রুবেন দিয়াসের শটও ঠেকান বোনু।
৯০ মিনিট শেষে অতিরিক্ত সময়ের পঞ্চম মিনিটে রুবেন নেভেসের কর্নার থেকে হেডে কুলিবালি গোল করে এগিয়ে দেন আল হিলালকে।
১০৪তম মিনিটে হায়ান শেহকির ক্রস থেকে ফোডেন গোল করে সমতা ফেরান। তবে শেষ রক্ষা হয়নি সিটির।
১১৩তম মিনিটে মিলিনকোভিচের হেড সেভ করে বল ফিরিয়ে দেন সিটি গোলকিপার, কিন্তু তা পড়ে যায় লেওনার্দোর সামনে। বল পেটে লাগার পর পড়ে যেতে যেতে কোনোভাবে পা ছুঁইয়ে গোলটি করে দেন তিনি।
শেষ সময়টায় সিটি মরিয়া আক্রমণ চালালেও গোলের দেখা পায়নি। ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট ছিল দুই দলের খেলায়। আর কোনো গোল হয়নি।
এই দিনের আগে আরেক ম্যাচে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রানার্স আপ ইন্টার মিলানকে ২-০ গোলে হারিয়ে চমক দেখায় ফ্লুমিনেসি। কোয়ার্টার-ফাইনালে তাদের বিপক্ষে খেলবে আল হিলাল। ফলে নিশ্চিত, সেমি-ফাইনালে খেলবে ব্রাজিল বা সৌদি আরবের একটি ক্লাব।
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
ম্যানচেস্টার সিটির শেষ আক্রমণটি নিশ্চিত হাতে ধরে ফেলেন ইয়াসিন বোনু। পর মুহূর্তেই বাজে শেষ বাঁশি। বাঁধভাঙা উল্লাসে ফেটে পড়েন বোনু ও তার সতীর্থরা। উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে ডাগআউটেও। কোচ সিমোনো ইনজাগির চোখেমুখে তৃপ্তির ছাপ। ধারাভাষ্যকারের কণ্ঠে তখন উচ্ছ্বাস, “এট সিলস দা ডিল… আল হিলালের জন্য দারুণ এক রাত, সৌদি আরবের ফুটবলের জন্য অসাধারণ রাত… ম্যানচেস্টার সিটি আর আউট, সৌদি ফুটবল হ্যাজ অ্যারাইভড…”
যা ছিল অকল্পনীয়, সেটিই বাস্তবে রচিত হলো ক্লাব বিশ্বকাপে। রূপকথার এক জয়ে ম্যানচেস্টার সিটিকে বিদায় করে কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছে গেল সৌদি ক্লাব আল হিলাল।
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টায় শেষ হওয়া এই রোমাঞ্চকর ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ে পেপ গুয়ার্দিওলার দলকে ৪-৩ গোলে হারায় আল হিলাল।
এই টুর্নামেন্টের আগে দায়িত্ব নেওয়া সিমোনো ইনজাগির কোচিংয়ে প্রথম ম্যাচেই রেয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়েছিল তারা। এবার শেষ ষোলোর লড়াইয়ে উপহার দিল আরও বড় চমক।
আল হিলালের জয়ের নায়ক মার্কোস লেওনার্দো। প্রথমার্ধে পিছিয়ে থাকা দলকে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সমতায় ফেরান ২২ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। পরে অতিরিক্ত সময়ের ১১৩তম মিনিটে করেন জয়সূচক গোলটি।
আরেক ব্রাজিলিয়ান মালকম একটি গোল করেন। আর সেনেগালের ডিফেন্ডার কালিদু কুলিবালি করেন বাকি গোলটি। গোলরক্ষক বোনুর অসাধারণ পারফরম্যান্সে বারবার রক্ষা পায় দল।
ম্যানচেস্টার সিটির পক্ষে গোল করেন বের্নার্দো সিলভা, আর্লিং হলান্ড ও ফিল ফোডেন।
অরল্যান্ডোর ক্যাম্পিং ওয়ার্ল্ড স্টেডিয়ামে বল দখল ও আক্রমণে আধিপত্য ছিল ম্যানচেস্টার সিটির। ৬৯ শতাংশ বল দখলে রাখা দলটি গোলের উদ্দেশ্যে ৩০টি শট নেয়, যার ১৪টি ছিল লক্ষ্যে। তবে সফল হয় মাত্র তিনটিতে।
আল হিলাল শট নেয় ১৭টি, যার ৬টি লক্ষ্যে ছিল এবং ৪টিতেই গোল করে বাজিমাত করে।
নবম মিনিটে জটলার মধ্যে সিটিকে এগিয়ে দেন বের্নার্দো সিলভা। যদিও রিপ্লেতে দেখা যায়, বল স্পর্শ করেছিল রাইয়ান আইত-নুরির হাতে। কিন্তু রেফারি সেটিকে আমলে নেননি।
২৪তম মিনিটে সাভিনিয়োর শট ফিরিয়ে দেন বোনু। এরপর ৩০, ৩৮ ও ৪৪তম মিনিটে আরও তিন দফা দলের গোল বাঁচান এই গোলকিপার।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই মালকমের আক্রমণে সিটির এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে বল চলে আসে লেওনার্দোর কাছে, যিনি হেডে গোল করেন।
এর ছয় মিনিট পর জোয়াও কান্সেলোর পাস থেকে মালকম দুর্দান্তভাবে বল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে করেন দ্বিতীয় গোল।
তিন মিনিট পর কর্নার থেকে হলান্ডের গোলে সমতায় ফেরে সিটি। এরপর একের পর এক আক্রমণে ব্যর্থ হয় তারা। ৮৫তম মিনিটে বোনুর এক সেভের পর গোললাইন থেকে বল সেভ করেন আলি লাজামি। কিছুক্ষণ পর রুবেন দিয়াসের শটও ঠেকান বোনু।
৯০ মিনিট শেষে অতিরিক্ত সময়ের পঞ্চম মিনিটে রুবেন নেভেসের কর্নার থেকে হেডে কুলিবালি গোল করে এগিয়ে দেন আল হিলালকে।
১০৪তম মিনিটে হায়ান শেহকির ক্রস থেকে ফোডেন গোল করে সমতা ফেরান। তবে শেষ রক্ষা হয়নি সিটির।
১১৩তম মিনিটে মিলিনকোভিচের হেড সেভ করে বল ফিরিয়ে দেন সিটি গোলকিপার, কিন্তু তা পড়ে যায় লেওনার্দোর সামনে। বল পেটে লাগার পর পড়ে যেতে যেতে কোনোভাবে পা ছুঁইয়ে গোলটি করে দেন তিনি।
শেষ সময়টায় সিটি মরিয়া আক্রমণ চালালেও গোলের দেখা পায়নি। ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট ছিল দুই দলের খেলায়। আর কোনো গোল হয়নি।
এই দিনের আগে আরেক ম্যাচে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রানার্স আপ ইন্টার মিলানকে ২-০ গোলে হারিয়ে চমক দেখায় ফ্লুমিনেসি। কোয়ার্টার-ফাইনালে তাদের বিপক্ষে খেলবে আল হিলাল। ফলে নিশ্চিত, সেমি-ফাইনালে খেলবে ব্রাজিল বা সৌদি আরবের একটি ক্লাব।