গতকাল সোমবার বিসিবির ‘ম্যারাথন’ শেরেবাংলায় অনুষ্ঠিত হয়। অ্যাথলেট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, অ্যাওয়ার্ড নাইট, মাঠের উন্নয়ন, বিপিএলসহ নানা কিছু নিয়ে আলোচনা হয় । এরপর সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল জানান, বিসিবিকে বিশ্বমানের সংস্থা হিসেবে তৈরি করার লক্ষ্য পূরণে নতুন অর্গানোগ্রাম প্রস্তুত করা হয়েছে। আগের কাঠামোর সঙ্গে নতুন কিছু যুক্ত করা হয়েছে।
দেশের আম্পায়ারিংয়ের মান উন্নয়নে সাবেক বিশ্বসেরা আম্পায়ার সাইমন টফেলের সঙ্গে চুক্তি
অ্যাথলেট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম
ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে দ্বাদশ বিপিএল
বিসিবি অ্যাওয়ার্ড নাইট: ‘হাই পারফরম্যান্স ফর অল’ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে ক্রিকেটার ও ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুপ্রাণিত করতে বিসিবি অ্যাওয়ার্ড নাইট করা হবে। প্রাথমিকভাবে আপাতত টানা ৪ থেকে ৫ বছর এটি আয়োজনের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।
নির্বাচক প্যানেল: জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেল আগের মতো তিন সদস্যবিশিষ্ট করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নতুন একজনকে নির্বাচক প্যানেলে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। নারী দলের নির্বাচক প্যানেলে একজন নির্বাচক প্যানেল যুক্ত করা হবে। পর্যায়ক্রমে মেয়েদের ক্রিকেটেও পূর্ণাঙ্গ হাই পারফরম্যান্স কাঠামো দাঁড় করানো হবে।
অ্যাথলেট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম: ব্র্যাক আইটি নামক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পারস্পরিক চুক্তির মাধ্যমে অ্যাথলেট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম তৈরি করা হবে। আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে ৫ বছরের চুক্তি করা হয়েছে।
এর মাধ্যমে একজন ক্রিকেটারের ২৪ ঘণ্টার সকল কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা যাবে। বিসিবির তত্ত্বাবধানে থাকা সব পর্যায়ের সব দলের ক্রিকেটারের জন্য এই ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করা হবে।
এছাড়া এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স) ব্যবহার করে কীভাবে আরও অন্যান্য বড় বড় কাজ করা যায়, তা বের করার জন্যও ব্র্যাক আইটির সঙ্গে কাজ করা হবে বলেন বিসিবি সভাপতি।
মাঠ সংকটের সমাধান: পূর্বাচলের ন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ড ১ ও ২, ফতুল্লার শহীদ রিয়া গোপ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ভেতরের ও বাইরের মাঠ জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করে খেলার উপযোগী করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ডের ১ ও ২ নম্বর মাঠের মাঝে একটি হাই পারফরম্যান্স সেন্টার তৈরি করা হবে। যেখানে ইনডোর ও আউটডোর সুবিধাদি, আবাসিক সুবিধা, সব ধরনের থেরাপির ব্যবস্থা, পুল সাপোর্টসহ অত্যাধুনিক সব ব্যবস্থা রাখা হবে বলেছেন আমিনুল।
এছাড়া ঢাকার আশপাশের বেশ কিছু মাঠে অনুশীলন সুবিধা উন্নত করার ব্যবস্থা নেবে বিসিবি। যেন ম্যাচ না হলেও, বিভিন্ন দল তাদের অনুশীলন সেখানে সারতে পারে। গোপিবাগ ও ইন্দিরা রোডের দুটি মাঠ আপাতত বেছে নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা বিভাগ: সারা দেশে কোচ, আম্পায়ার, কিউরেটর, মাঠকর্মীসহ প্রয়োজনীয় সবাইকে আরও প্রশিক্ষিত করার লক্ষ্যে এডুকেশন ডিপার্টমেন্ট খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। কোচদের জন্য কোচিং এডুকেশন সিস্টেম, মাঠ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য টার্ফ ম্যানেজমেন্ট উইং ও আম্পায়ারদের জন্য আম্পায়ার্স এডুকেশন উইং খোলা হবে। বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করা হবে টার্ফ ম্যানেজমেন্ট উইং করা হবে। বোর্ডের হেড অব গ্রাউন্ডস বা প্রধান কিউরেটরের দায়িত্বেও থাকতে পারে এই বিভাগ।
আম্পায়ার্স এডুকেশন: আম্পায়ারদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য সাইমন টফেলকে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। ২০০৪ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত টানা পাঁচবারের আইসিসি বর্ষসেরা আম্পায়ারের স্বীকৃতি পেয়েছিলেন তিনি। পরে কাজ করেছেন আইসিসির আম্পায়ার’স ম্যানেজার হিসেবে। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই আম্পায়ার তিন বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে কাজ করবেন।
আম্পায়ার্স এডুকেশন প্রোগ্রাম চালানোর জন্য টফেলের পুরো দল আসবে বাংলাদেশে। তার তত্ত্বাবধানে দেশেই ১৫ থেকে ২০ জন আম্পায়ার ট্রেইনার তৈরির লক্ষ্য বিসিবির। এছাড়া আম্পায়ারদের পদোন্নতি বা পদাবনতি ঠিক করার লক্ষ্যে তাদের কাজ মূল্যায়নের জন্য গ্রেডিং পদ্ধতি চালু করা হবে।
বিপিএল আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে হবে বিপিএলের দ্বাদশ আসর। সফলভাবে ফ্র্যাঞ্চাইজি এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য বিদেশি প্রখ্যাত স্পোর্টস এজেন্সিকে দায়িত্ব দেবে বিসিবি।
সামনের আসর দিয়ে শুরু হওয়া নতুন চক্রে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে পাঁচ বছরের জন্য দলের মালিকানা দেবে বিসিবি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই তৈরি করা হবে নতুন আর্থিক কাঠামো।
কতটি দল নিয়ে হবে বিপিএলের নতুন আসর তা এখনও ঠিক করা হয়নি। অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে এবার দল বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু ক্রাইটেরিয়া পূরণ করার দিকে জোর দেবে বিসিবি।
আর্থিক সহায়তা: সাবেক ক্রিকেটার, ক্রিকেট সংগঠক, সাবেক বিসিবি কর্মী ও বিসিবির সাবেক আম্পায়ারদের চিকিৎসা কাজে আর্থিক সহায়তার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
গতকাল সোমবার বিসিবির ‘ম্যারাথন’ শেরেবাংলায় অনুষ্ঠিত হয়। অ্যাথলেট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, অ্যাওয়ার্ড নাইট, মাঠের উন্নয়ন, বিপিএলসহ নানা কিছু নিয়ে আলোচনা হয় । এরপর সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল জানান, বিসিবিকে বিশ্বমানের সংস্থা হিসেবে তৈরি করার লক্ষ্য পূরণে নতুন অর্গানোগ্রাম প্রস্তুত করা হয়েছে। আগের কাঠামোর সঙ্গে নতুন কিছু যুক্ত করা হয়েছে।
দেশের আম্পায়ারিংয়ের মান উন্নয়নে সাবেক বিশ্বসেরা আম্পায়ার সাইমন টফেলের সঙ্গে চুক্তি
অ্যাথলেট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম
ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে দ্বাদশ বিপিএল
বিসিবি অ্যাওয়ার্ড নাইট: ‘হাই পারফরম্যান্স ফর অল’ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে ক্রিকেটার ও ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুপ্রাণিত করতে বিসিবি অ্যাওয়ার্ড নাইট করা হবে। প্রাথমিকভাবে আপাতত টানা ৪ থেকে ৫ বছর এটি আয়োজনের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।
নির্বাচক প্যানেল: জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেল আগের মতো তিন সদস্যবিশিষ্ট করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নতুন একজনকে নির্বাচক প্যানেলে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। নারী দলের নির্বাচক প্যানেলে একজন নির্বাচক প্যানেল যুক্ত করা হবে। পর্যায়ক্রমে মেয়েদের ক্রিকেটেও পূর্ণাঙ্গ হাই পারফরম্যান্স কাঠামো দাঁড় করানো হবে।
অ্যাথলেট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম: ব্র্যাক আইটি নামক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পারস্পরিক চুক্তির মাধ্যমে অ্যাথলেট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম তৈরি করা হবে। আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে ৫ বছরের চুক্তি করা হয়েছে।
এর মাধ্যমে একজন ক্রিকেটারের ২৪ ঘণ্টার সকল কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা যাবে। বিসিবির তত্ত্বাবধানে থাকা সব পর্যায়ের সব দলের ক্রিকেটারের জন্য এই ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করা হবে।
এছাড়া এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স) ব্যবহার করে কীভাবে আরও অন্যান্য বড় বড় কাজ করা যায়, তা বের করার জন্যও ব্র্যাক আইটির সঙ্গে কাজ করা হবে বলেন বিসিবি সভাপতি।
মাঠ সংকটের সমাধান: পূর্বাচলের ন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ড ১ ও ২, ফতুল্লার শহীদ রিয়া গোপ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ভেতরের ও বাইরের মাঠ জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করে খেলার উপযোগী করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ডের ১ ও ২ নম্বর মাঠের মাঝে একটি হাই পারফরম্যান্স সেন্টার তৈরি করা হবে। যেখানে ইনডোর ও আউটডোর সুবিধাদি, আবাসিক সুবিধা, সব ধরনের থেরাপির ব্যবস্থা, পুল সাপোর্টসহ অত্যাধুনিক সব ব্যবস্থা রাখা হবে বলেছেন আমিনুল।
এছাড়া ঢাকার আশপাশের বেশ কিছু মাঠে অনুশীলন সুবিধা উন্নত করার ব্যবস্থা নেবে বিসিবি। যেন ম্যাচ না হলেও, বিভিন্ন দল তাদের অনুশীলন সেখানে সারতে পারে। গোপিবাগ ও ইন্দিরা রোডের দুটি মাঠ আপাতত বেছে নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা বিভাগ: সারা দেশে কোচ, আম্পায়ার, কিউরেটর, মাঠকর্মীসহ প্রয়োজনীয় সবাইকে আরও প্রশিক্ষিত করার লক্ষ্যে এডুকেশন ডিপার্টমেন্ট খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। কোচদের জন্য কোচিং এডুকেশন সিস্টেম, মাঠ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য টার্ফ ম্যানেজমেন্ট উইং ও আম্পায়ারদের জন্য আম্পায়ার্স এডুকেশন উইং খোলা হবে। বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করা হবে টার্ফ ম্যানেজমেন্ট উইং করা হবে। বোর্ডের হেড অব গ্রাউন্ডস বা প্রধান কিউরেটরের দায়িত্বেও থাকতে পারে এই বিভাগ।
আম্পায়ার্স এডুকেশন: আম্পায়ারদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য সাইমন টফেলকে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। ২০০৪ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত টানা পাঁচবারের আইসিসি বর্ষসেরা আম্পায়ারের স্বীকৃতি পেয়েছিলেন তিনি। পরে কাজ করেছেন আইসিসির আম্পায়ার’স ম্যানেজার হিসেবে। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই আম্পায়ার তিন বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে কাজ করবেন।
আম্পায়ার্স এডুকেশন প্রোগ্রাম চালানোর জন্য টফেলের পুরো দল আসবে বাংলাদেশে। তার তত্ত্বাবধানে দেশেই ১৫ থেকে ২০ জন আম্পায়ার ট্রেইনার তৈরির লক্ষ্য বিসিবির। এছাড়া আম্পায়ারদের পদোন্নতি বা পদাবনতি ঠিক করার লক্ষ্যে তাদের কাজ মূল্যায়নের জন্য গ্রেডিং পদ্ধতি চালু করা হবে।
বিপিএল আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে হবে বিপিএলের দ্বাদশ আসর। সফলভাবে ফ্র্যাঞ্চাইজি এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য বিদেশি প্রখ্যাত স্পোর্টস এজেন্সিকে দায়িত্ব দেবে বিসিবি।
সামনের আসর দিয়ে শুরু হওয়া নতুন চক্রে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে পাঁচ বছরের জন্য দলের মালিকানা দেবে বিসিবি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই তৈরি করা হবে নতুন আর্থিক কাঠামো।
কতটি দল নিয়ে হবে বিপিএলের নতুন আসর তা এখনও ঠিক করা হয়নি। অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে এবার দল বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু ক্রাইটেরিয়া পূরণ করার দিকে জোর দেবে বিসিবি।
আর্থিক সহায়তা: সাবেক ক্রিকেটার, ক্রিকেট সংগঠক, সাবেক বিসিবি কর্মী ও বিসিবির সাবেক আম্পায়ারদের চিকিৎসা কাজে আর্থিক সহায়তার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।