‘শেষ ম্যাচটি জিততে পারলে দুই সিরিজ হারের ক্ষত কিছুটা প্রশমিত হবে’
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে ৮৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে সমতা এনেছে বাংলাদেশ। বুধবার কলম্বোয় সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি । ম্যাচটি জিততে পারলে আগের দুই ফরম্যাটে সিরিজ হারের ক্ষত কিছুটা হলেও প্রশমিত করতে পারবে বাংলাদেশ। ১-১ সমতায় ফেরার পর শামীম সিরিজ জয়ের সুযোগ দেখছেন, ‘এখন আমরা সমতায় আছি। সিরিজটা জেতার সুযোগ আছে। আশা করি, ভালো করতে পারলে সিরিজ জিততে পারবো ইনশাল্লাহ।’
গতকাল রোববার দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সময় ৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পর হৃদয়ের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৫৫ বলে ৬৯ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক লিটন দাস। দ্রুত এরপর ২ উইকেট হারালে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। পঞ্চম উইকেটে শামীম হোসেন-লিটনের জুটিটা হয় ৩৯ বলে ৭৭ রানের। যেখানে শামীমের অবদান ক্যামিও একটি ইনিংস। তবু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি জয়ে লিটনকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন শামীম।
ম্যাচ শেষ সংবাদ সম্মেলনে এসে শামীম ম্যাচ জয়ের কৃতিত্ব দিলেন লিটনকেই, ‘তা তো অবশ্যই। অনেক ভালো ব্যাটিং করেছে লিটনদা। আমাদের ম্যাচ জয়ের টার্নিং একটা পয়েন্ট। ভালো শুরু করতে পেরেছি বলেই ভালো ফিনিশিং আমরা দিতে পেরেছি। দলের জন্য এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি।’
শামীম আরও বলেন, ‘আসলে তখন মাঝেমধ্যে গেম একটু স্লো করতে হয়। তাই একটা ভালো পার্টনারশিপ দরকার ছিল। যেহেতু শেষের দিকে আমাদের ভালো ব্যাটসম্যান আছে, তাই সেটা আমরা কভার করতে পারতাম সহজে। ফলে হৃদয় আর লিটন দাসের ইনিংসটা খুবই দরকার ছিল।’
আগের ম্যাচে ৫ বল খেলে ১৪ রান করে আফসোস বাড়িয়েছিলেন শামীম। গতরাতে খেলেছেন ২৭ বলে ৪৮ রানের ইনিংস। এই ইনিংস খেলার পর লঙ্কান ইনিংসের শুরুতে ডিরেক্ট থ্রোতে কুশল পেরেরাকে রান আউট করে স্বাগতিকদের শুরুর ধাক্কা দিয়েছিলেন। নিজের ব্যাটিং নিয়ে শামীম বলেছেন, ‘এবিডির (ডি ভিলিয়ার্স) ব্যাটিং পছন্দ করি আমি। সবসময়ই পজিটিভ থাকার ট্রাই করি। আর টি-টোয়েন্টি খেলাটাই হলো পজিটিভনেসের। যত (পজিটিভ) থাকবো, আমি মনে করি তত ভালো।’
টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ হারের পর প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও হার মানতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। তবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছে টাইগাররা। আর জয়ের ধরণে আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে তাদের। এখন সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে খেলতে প্রস্তুত বাংলাদেশ, এমনটাই জানালেন অলরাউন্ডার শামীম হোসেন পাটোয়ারি।
শামীম বলেন, ‘ ম্যাচ জেতাটা সবচেয়ে আনন্দের। সিরিজ এখন সমতায়, তাই এই জয় আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখন আমাদের সামনে সিরিজ জয়ের সুযোগ। যদি আমরা এমন পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারি, তাহলে আমি বিশ্বাস করি আমরা সিরিজ জিততে পারব।’
শামীম বলেন, ‘সিরিজ এখন সমতায়, এখন আমাদের সামনে সিরিজ জয়ের সুযোগ। যদি আমরা এমন পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারি, তাহলে আমি বিশ্বাস করি আমরা সিরিজ জিততে পারব।’
দলের জয়ের ভিত্তি গড়ে দেন অধিনায়ক লিটন দাস। ৫০ বলে ৭৬ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর শামীম ২৭ বলে দ্রুত ৪৮ রান করে দলের স্কোর পৌঁছে দেন ১৭৭ রানে। বল হাতে এবং ফিল্ডিংয়েও শামীম রাখেন বড় অবদান। দ্বিতীয় ওভারেই তার সরাসরি থ্রোতে আউট হন ফর্মে থাকা কুশল মেন্ডিস। এরপর বাউন্ডারিতে দারুণ ক্যাচে ফিরিয়ে দেন আভিস্কা ফার্নান্দোকে। ফলে ৫ ওভারের মধ্যেই শ্রীলঙ্কার স্কোর দাঁড়ায় ২৫/৩।
এদিন বাংলাদেশের বোলাররাও দুর্দান্ত ছিলেন। একের পর এক উইকেট তুলে নিয়ে ১৫.২ ওভারে স্বাগতিকদের অলআউট করে দেয় মাত্র ৯৪ রানে। টি-টোয়েন্টিতে রানের দিক দিয়ে এটিই বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়।
ইনিংসের মাঝের ওভারে কিছুটা সতর্ক ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন উঠলে, সেটিরও যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা দেন শামীম, ‘সবসময় মারমুখী খেলা যায় না। তখন আমাদের দরকার ছিল একটা স্থির পার্টনারশিপ। আমাদের দলে পরে বেশ কিছু পাওয়ার হিটার ছিল, তাই উইকেট ধরে রাখাটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। লিটন ও হৃদয়ের সেই জুটি ম্যাচে বড় ভূমিকা রেখেছে।’
আগে ব্যাটিং করে ১৭৭/৭ করার পর বাংলাদেশের বোলাররাও দুর্দান্ত ছিলেন। একের পর এক উইকেট তুলে নিয়ে ১৫.২ ওভারে স্বাগতিকদের অলআউট করে দেয় মাত্র ৯৪ রানে। টি-টোয়েন্টিতে রানের দিক দিয়ে এটিই বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়।
‘শেষ ম্যাচটি জিততে পারলে দুই সিরিজ হারের ক্ষত কিছুটা প্রশমিত হবে’
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে ৮৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে সমতা এনেছে বাংলাদেশ। বুধবার কলম্বোয় সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি । ম্যাচটি জিততে পারলে আগের দুই ফরম্যাটে সিরিজ হারের ক্ষত কিছুটা হলেও প্রশমিত করতে পারবে বাংলাদেশ। ১-১ সমতায় ফেরার পর শামীম সিরিজ জয়ের সুযোগ দেখছেন, ‘এখন আমরা সমতায় আছি। সিরিজটা জেতার সুযোগ আছে। আশা করি, ভালো করতে পারলে সিরিজ জিততে পারবো ইনশাল্লাহ।’
গতকাল রোববার দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সময় ৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পর হৃদয়ের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৫৫ বলে ৬৯ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক লিটন দাস। দ্রুত এরপর ২ উইকেট হারালে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। পঞ্চম উইকেটে শামীম হোসেন-লিটনের জুটিটা হয় ৩৯ বলে ৭৭ রানের। যেখানে শামীমের অবদান ক্যামিও একটি ইনিংস। তবু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি জয়ে লিটনকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন শামীম।
ম্যাচ শেষ সংবাদ সম্মেলনে এসে শামীম ম্যাচ জয়ের কৃতিত্ব দিলেন লিটনকেই, ‘তা তো অবশ্যই। অনেক ভালো ব্যাটিং করেছে লিটনদা। আমাদের ম্যাচ জয়ের টার্নিং একটা পয়েন্ট। ভালো শুরু করতে পেরেছি বলেই ভালো ফিনিশিং আমরা দিতে পেরেছি। দলের জন্য এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি।’
শামীম আরও বলেন, ‘আসলে তখন মাঝেমধ্যে গেম একটু স্লো করতে হয়। তাই একটা ভালো পার্টনারশিপ দরকার ছিল। যেহেতু শেষের দিকে আমাদের ভালো ব্যাটসম্যান আছে, তাই সেটা আমরা কভার করতে পারতাম সহজে। ফলে হৃদয় আর লিটন দাসের ইনিংসটা খুবই দরকার ছিল।’
আগের ম্যাচে ৫ বল খেলে ১৪ রান করে আফসোস বাড়িয়েছিলেন শামীম। গতরাতে খেলেছেন ২৭ বলে ৪৮ রানের ইনিংস। এই ইনিংস খেলার পর লঙ্কান ইনিংসের শুরুতে ডিরেক্ট থ্রোতে কুশল পেরেরাকে রান আউট করে স্বাগতিকদের শুরুর ধাক্কা দিয়েছিলেন। নিজের ব্যাটিং নিয়ে শামীম বলেছেন, ‘এবিডির (ডি ভিলিয়ার্স) ব্যাটিং পছন্দ করি আমি। সবসময়ই পজিটিভ থাকার ট্রাই করি। আর টি-টোয়েন্টি খেলাটাই হলো পজিটিভনেসের। যত (পজিটিভ) থাকবো, আমি মনে করি তত ভালো।’
টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ হারের পর প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও হার মানতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। তবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছে টাইগাররা। আর জয়ের ধরণে আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে তাদের। এখন সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে খেলতে প্রস্তুত বাংলাদেশ, এমনটাই জানালেন অলরাউন্ডার শামীম হোসেন পাটোয়ারি।
শামীম বলেন, ‘ ম্যাচ জেতাটা সবচেয়ে আনন্দের। সিরিজ এখন সমতায়, তাই এই জয় আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখন আমাদের সামনে সিরিজ জয়ের সুযোগ। যদি আমরা এমন পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারি, তাহলে আমি বিশ্বাস করি আমরা সিরিজ জিততে পারব।’
শামীম বলেন, ‘সিরিজ এখন সমতায়, এখন আমাদের সামনে সিরিজ জয়ের সুযোগ। যদি আমরা এমন পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারি, তাহলে আমি বিশ্বাস করি আমরা সিরিজ জিততে পারব।’
দলের জয়ের ভিত্তি গড়ে দেন অধিনায়ক লিটন দাস। ৫০ বলে ৭৬ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর শামীম ২৭ বলে দ্রুত ৪৮ রান করে দলের স্কোর পৌঁছে দেন ১৭৭ রানে। বল হাতে এবং ফিল্ডিংয়েও শামীম রাখেন বড় অবদান। দ্বিতীয় ওভারেই তার সরাসরি থ্রোতে আউট হন ফর্মে থাকা কুশল মেন্ডিস। এরপর বাউন্ডারিতে দারুণ ক্যাচে ফিরিয়ে দেন আভিস্কা ফার্নান্দোকে। ফলে ৫ ওভারের মধ্যেই শ্রীলঙ্কার স্কোর দাঁড়ায় ২৫/৩।
এদিন বাংলাদেশের বোলাররাও দুর্দান্ত ছিলেন। একের পর এক উইকেট তুলে নিয়ে ১৫.২ ওভারে স্বাগতিকদের অলআউট করে দেয় মাত্র ৯৪ রানে। টি-টোয়েন্টিতে রানের দিক দিয়ে এটিই বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়।
ইনিংসের মাঝের ওভারে কিছুটা সতর্ক ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন উঠলে, সেটিরও যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা দেন শামীম, ‘সবসময় মারমুখী খেলা যায় না। তখন আমাদের দরকার ছিল একটা স্থির পার্টনারশিপ। আমাদের দলে পরে বেশ কিছু পাওয়ার হিটার ছিল, তাই উইকেট ধরে রাখাটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। লিটন ও হৃদয়ের সেই জুটি ম্যাচে বড় ভূমিকা রেখেছে।’
আগে ব্যাটিং করে ১৭৭/৭ করার পর বাংলাদেশের বোলাররাও দুর্দান্ত ছিলেন। একের পর এক উইকেট তুলে নিয়ে ১৫.২ ওভারে স্বাগতিকদের অলআউট করে দেয় মাত্র ৯৪ রানে। টি-টোয়েন্টিতে রানের দিক দিয়ে এটিই বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়।