প্রথম বার উইম্বলডন পুরুষ এককের শিরোপা জিতে ইয়ানিক সিনার বুঝিয়ে দিলেন, কেন তিনি বিশ্বের এক নম্বর এবং আলকারাজকে পাল্লা দেয়ার ক্ষমতা রাখেন। ইতালিয় খেলোয়াড় জিতেছেন ৪-৬, ৬-৪, ৬-৪, ৬-৪ গেমে। ছ’বার উঠে এই প্রথম কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে হারলেন আলকারাজ। ঘাসের কোর্টে এই প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতলেন সিনার। গতকাল রোববার রাতে তিন ঘণ্টা চার মিনিটের লড়াইয়ে ফরাসি ওপেনের বদলাও নিলেন বিশ্বের এক নম্বর এ প্লেয়ার।
২০০৬-২০০৮, টানা তিন বছর ফরাসি ওপেন এবং উইম্বলডন ফাইনাল খেলেছিলেন রজার ফেদেরার এবং রাফায়েল নাদাল। এর মধ্যে ২০০৮-এর উইম্বলডন ফাইনালকে শতাব্দীর সেরা টেনিস ম্যাচ হিসেবে ধরা হয়। সুরকির কোর্টের রাজা নাদাল হারিয়ে দিয়েছিলেন ঘাসের কোর্টের রাজা ফেদেরারকে। আলকারাজ নিজেও এখনকার সুরকির কোর্টের রাজা। তবে সিনার ঘাসের কোর্ট নন, বরং স্বচ্ছন্দ হার্ডকোর্টে খেলতে। তার তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের শিরোপাই হার্ডকোর্টে। ফরাসি ওপেনের ফাইনালে উঠে হেরেছেন। তবে উইম্বলডনে সেই ভুল করলেন না। ভবিষ্যতে ফেদেরার বা জোকোভিচের জায়গা নেবেন কিনা, তা সময় বলবে। তবে গতকাল রোববার সিনারের আগ্রাসন এবং কৌশলী টেনিস বুঝিয়ে দিলো, আলকারাজ হয়তো আর উইম্বলডনে একচ্ছত্র দাপট দেখাতে পারবেন না। উইম্বলডনে আলকারাজের টানা ২৪টি ম্যাচ জেতার দৌড়ও এদিন থেমে গেল।
ইতালির প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে উইম্বলডন জিতলেন সিনার। আগেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেন এবং ইউএস ওপেন জিতেছেন। এবার উইম্বলডনও জিতলেন সিনার। অর্থাৎ ‘কেরিয়ার গ্র্যান্ড স্ল্যাম’ (যিনি চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যামই জিতেছেন) পূরণ করতে বাকি শুধু ফরাসি ওপেন।
ফাইনালে ঠিক যে ধরনের খেলা দেখার প্রত্যাশা করেছিলেন সমর্থকেরা, প্রথম দুই সেটেই তা পূরণ হয়ে যায়। সিনার প্রথম সেট খুইয়েও ফিরে আসেন ম্যাচে। তিনি কাজে লাগাচ্ছিলেন নিজের সার্ভিস। সেমিফাইনালে এই অস্ত্রেই ঘায়েল করেছিলেন জোকোভিচকে। পাশাপাশি তার ঠাণ্ডা মাথা এবং চতুর মস্তিষ্ক বিপদে ফেলে আলকারাজকে।
ম্যাচের পর সিনারকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন আলকারাজ?। বলেন, ‘হারতে সব সময়ই খারাপ লাগে। ফাইনালে হার তো আরও বেদনাদায়ক।
তবে ইয়ানিককে শুভেচ্ছা জানাতে চাই। ও এই ট্রফির যোগ্য। লন্ডনে গত দু’সপ্তাহে অবিশ্বাস্য টেনিস খেলেছে। ওর দলেরও ধন্যবাদ প্রাপ্য। আমি জানি অনেকে তোমার দিকে তাকিয়েছিল। তাই তোমার জন্য খুব খুশি। কোর্টের বাইরেও তোমার সঙ্গে সম্পর্ক খুব ভালো। কোর্টেও একটা সুস্থ প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে।’
পাল্টা আলকারাজ প্রশংসা করেন সিনারও। বলেন, ‘তোমার বিরুদ্ধে খেলা সব সময়েই কঠিন। ঠিকই বলেছ, কোর্ট এবং তার বাইরে আমাদের মধ্যে ভালো একটা সম্পর্ক রয়েছে। আমরা নিজেদের একটা পরিচিতি তৈরি করার চেষ্টা করছি। আশা করি ভবিষ্যতে তুমি এই ট্রফিটা অনেক বার হাতে তুলবে।’
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
প্রথম বার উইম্বলডন পুরুষ এককের শিরোপা জিতে ইয়ানিক সিনার বুঝিয়ে দিলেন, কেন তিনি বিশ্বের এক নম্বর এবং আলকারাজকে পাল্লা দেয়ার ক্ষমতা রাখেন। ইতালিয় খেলোয়াড় জিতেছেন ৪-৬, ৬-৪, ৬-৪, ৬-৪ গেমে। ছ’বার উঠে এই প্রথম কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে হারলেন আলকারাজ। ঘাসের কোর্টে এই প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতলেন সিনার। গতকাল রোববার রাতে তিন ঘণ্টা চার মিনিটের লড়াইয়ে ফরাসি ওপেনের বদলাও নিলেন বিশ্বের এক নম্বর এ প্লেয়ার।
২০০৬-২০০৮, টানা তিন বছর ফরাসি ওপেন এবং উইম্বলডন ফাইনাল খেলেছিলেন রজার ফেদেরার এবং রাফায়েল নাদাল। এর মধ্যে ২০০৮-এর উইম্বলডন ফাইনালকে শতাব্দীর সেরা টেনিস ম্যাচ হিসেবে ধরা হয়। সুরকির কোর্টের রাজা নাদাল হারিয়ে দিয়েছিলেন ঘাসের কোর্টের রাজা ফেদেরারকে। আলকারাজ নিজেও এখনকার সুরকির কোর্টের রাজা। তবে সিনার ঘাসের কোর্ট নন, বরং স্বচ্ছন্দ হার্ডকোর্টে খেলতে। তার তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের শিরোপাই হার্ডকোর্টে। ফরাসি ওপেনের ফাইনালে উঠে হেরেছেন। তবে উইম্বলডনে সেই ভুল করলেন না। ভবিষ্যতে ফেদেরার বা জোকোভিচের জায়গা নেবেন কিনা, তা সময় বলবে। তবে গতকাল রোববার সিনারের আগ্রাসন এবং কৌশলী টেনিস বুঝিয়ে দিলো, আলকারাজ হয়তো আর উইম্বলডনে একচ্ছত্র দাপট দেখাতে পারবেন না। উইম্বলডনে আলকারাজের টানা ২৪টি ম্যাচ জেতার দৌড়ও এদিন থেমে গেল।
ইতালির প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে উইম্বলডন জিতলেন সিনার। আগেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেন এবং ইউএস ওপেন জিতেছেন। এবার উইম্বলডনও জিতলেন সিনার। অর্থাৎ ‘কেরিয়ার গ্র্যান্ড স্ল্যাম’ (যিনি চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যামই জিতেছেন) পূরণ করতে বাকি শুধু ফরাসি ওপেন।
ফাইনালে ঠিক যে ধরনের খেলা দেখার প্রত্যাশা করেছিলেন সমর্থকেরা, প্রথম দুই সেটেই তা পূরণ হয়ে যায়। সিনার প্রথম সেট খুইয়েও ফিরে আসেন ম্যাচে। তিনি কাজে লাগাচ্ছিলেন নিজের সার্ভিস। সেমিফাইনালে এই অস্ত্রেই ঘায়েল করেছিলেন জোকোভিচকে। পাশাপাশি তার ঠাণ্ডা মাথা এবং চতুর মস্তিষ্ক বিপদে ফেলে আলকারাজকে।
ম্যাচের পর সিনারকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন আলকারাজ?। বলেন, ‘হারতে সব সময়ই খারাপ লাগে। ফাইনালে হার তো আরও বেদনাদায়ক।
তবে ইয়ানিককে শুভেচ্ছা জানাতে চাই। ও এই ট্রফির যোগ্য। লন্ডনে গত দু’সপ্তাহে অবিশ্বাস্য টেনিস খেলেছে। ওর দলেরও ধন্যবাদ প্রাপ্য। আমি জানি অনেকে তোমার দিকে তাকিয়েছিল। তাই তোমার জন্য খুব খুশি। কোর্টের বাইরেও তোমার সঙ্গে সম্পর্ক খুব ভালো। কোর্টেও একটা সুস্থ প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে।’
পাল্টা আলকারাজ প্রশংসা করেন সিনারও। বলেন, ‘তোমার বিরুদ্ধে খেলা সব সময়েই কঠিন। ঠিকই বলেছ, কোর্ট এবং তার বাইরে আমাদের মধ্যে ভালো একটা সম্পর্ক রয়েছে। আমরা নিজেদের একটা পরিচিতি তৈরি করার চেষ্টা করছি। আশা করি ভবিষ্যতে তুমি এই ট্রফিটা অনেক বার হাতে তুলবে।’