ফাইল ছবি
প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৮৩ রানের জয়ে সিরিজে সমতা ফেরায় টাইগাররা। লঙ্কানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে রান বিবেচনায় এটিই সবচেয়ে বড় জয়। চলমান সফরের সাদা বলের পর্বে বাংলাদেশ দু’বার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পিছিয়ে পরে সমতা এনেছে। দ্বিতীয় ম্যাচ জয়ের পর তারা ওয়ানডে সিরিজে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়ে তৃতীয় ম্যাচে প্রায় ১০০ রানে হেরে গেছে। দ্বিতীয় খেলায় জয়লাভ করে বাংলাদেশ এখন টি-টোয়েন্টি সিরিজেও একইভাবে এগিয়ে গেছে, ১-১ ব্যবধানে। এবার শোধ নেওয়ার সুযোগ।
শেষ টি২০তে বাংলাদেশের জয় ছিল (৮৩ রানে), গত আট ম্যাচে তাদের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি জয়। তবে তারা এই ফর্ম্যাটে তাদের সেরা সামর্থ সম্পর্কে ভালো ধারণা পেয়েছে: ব্যক্তিগত প্রতিভার উপর নির্ভর করার চেয়ে দলব্যাপী পারফর্মেন্স। যে দলে যেকোনো ফর্ম্যাটে সুপারস্টারের অভাব রয়েছে, সেখানে তাদের বেশ কয়েকজন পারফর্মার নিয়ে একটি ইউনিট তৈরি করতে হবে।
বুধবার জিতলেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয় করবে বাংলাদেশ। জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নামছে টাইগাররা।
কিন্তু ব্যাটিং নিয়ে চিন্তার ভাঁজ রয়েছে টাইগার শিবিরে। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপকে নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক লিটন দাস। ৫০ বলে ৭৬ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন তিনি। ৭৮ রানে চতুর্থ উইকেট পতনের পর শামীম হোসেনকে নিয়ে ৩৯ বলে ৭৭ রানের জুটি গড়েন লিটন। ২৬ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন শামীম।
জয়ী একাদশ নিয়েই সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে খেলতে নামার সম্ভাবনা বেশি বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কখনও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এর আগে পাঁচটি দ্বিপাক্ষীক সিরিজ খেলেছে দু’দল। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কায় দুই ম্যাচের সিরিজ ড্র, এখন অবধি টাইগারদের সেরা ফলাফল। সব মিলিয়ে ১৯ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দু’দল। যেখানে টাইগারদের জয় ৭টিতে এবং হার ১২টিতে।
আগের পরিকল্পনাতে সিরিজ
নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ
দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের আত্মবিশ্বাস কাজে লাগবে বলে মনে করেন ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তিনি বলেছেন, ‘সবশেষ ম্যাচ আমরা যেভাবে খেলেছি, তাতে মনে হয়েছে ছেলেরা ভালো মোমেন্টাম পেয়েছে এবং আত্মবিশ্বাস আমাদের আছে। আশা আছে শেষটা যেন ভালোভাবে করতে পারি। আমরা ভালো খেলার চেষ্টা করবো। এই মুহূর্তে নতুনভাবে ভাবার কিছু নেই। যে পরিকল্পনা নিয়ে খেলছি, সেভাবেই খেলার চেষ্টা করবো। মিডল অর্ডারে ভালো করলে আমরা সফলতা পাবো। আমাদের মিডল অর্ডারের ওরকম খেলোয়াড় বেঞ্চে নেই। প্রথম ম্যাচে ওভাবে খেলানোর মতো অপশন আমাদের ছিল না। জাকের চোটে ছিল। পরিকল্পনা যা ছিল, সেই অনুযায়ী গিয়েছিলাম। কিন্তু হয়নি। আমরা সবসময় চাই জাকের এবং শামীম শেষ করবে ম্যাচ, তাদের ওপরে এমন দায়িত্ব দেয়া যাবে না, যেখানে দাঁড়িয়ে তাদের ইনিংস মেরামত করতে হয়। তারা যেন নিশ্চিন্তে খেলতে পারে। আমাদের পরিকল্পনা ওরকমই ছিল।’
শেষ ম্যাচে কেমন একাদশে হবে এমন প্রশ্নে সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘কোনও দলই চায় না উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতে। কিন্তু আমাদের খেলোয়াড়দের দিকে তাকাতে হবে। অনেকে ইনজুরি থেকে আসছে। তাদের কাজের চাপটার দিকে আমাদের খেয়াল করতে হবে। তাদের ফিট রাখাটা জরুরি। যেভাবে টানা সূচি ছিল, সেখানে প্রতিদিন ম্যাচ খেলানো কঠিন। সবকিছু ভারসাম্য করে চলতে হয়, এটা হয়তো বাইরে থেকে ওভাবে বোঝা যায় না। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা দিতে হবে। তাসকিনকে যদি টানা খেলানো হয়, সে একটা বড় ইনজুরি থেকে এসেছে। একটা ম্যাচ খেলানোর জন্য দেখা গেলো আবার তাকে এক বছর বসে থাকতে হচ্ছে।’
প্রায় এক বছর ধরে সাকিব আল হাসান জাতীয় দলে নেই। এখনও তার অভাব অনুভব করেন সালাউদ্দিন, ‘আমাদের অনেক কিছুতে বিলাসিতা করার মতো সুযোগ থাকে না, এটা আমাদের বুঝতে হবে। অনেক সময় ব্যাটারে ঘাটতি তৈরি হয়, অনেক সময়ে বোলারে তৈরি হয়। সাকিব যখন ছিলেন, তখন আমরা চালকের আসনে ছিলাম। একজন অতিরিক্ত বোলার খেলাতে পারতাম, অতিরিক্ত ব্যাটার খেলাতে পারতাম। সুতরাং দলের অবস্থা অনুযায়ী আমাদের চলতে হয়। সেভাবেই দল সাজাই। আমরা জানি নাসুমকে খেলালে আমাদের হয়তো লাভ হতে পারে, কিন্তু তখন হয়তো রিশাদকে বসাতে হবে অথবা অন্য কাউকে বসাতে হবে। আবার ব্যাটিংয়ের ওপরেও তাকাতে হয়। কেউ ফর্মে আছে কিনা, অফফর্মে আছে কিনা। এসবের ওপরে নির্ভর করেই আমাদের দলটা করতে হয়।’
দলের সাম্প্রতিক ব্যর্থতায় আলাদাভাবে কাউকে দোষ দেওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন কোচ, ‘দলের একজন সদস্য হিসেবে আমি চাইবো দলটা যেন ভালো করুক। সুতরাং মূল বিষয় এটাই। এজন্য সকলের বোঝা উচিত, কাকে কীভাবে দেখা উচিত। কাউকে দোষ দিয়েও লাভ নেই, আমাদের হাতে অপশন কম, নির্বাচকদের হাতেও অপশন কম। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করেই দল তৈরি করি। কিন্তু অপশন কম থাকায় বেশি কিছু করা সম্ভব হয় না। প্রতিটি সিরিজ অনুযায়ী সেভাবে চিন্তা করা হয়, সেভাবেই নির্বাচকরা দল দেন। আমাদের যে ব্যবস্থানাপত্র দিবে, তার বাইরে তো আমরা কিছু করতে পারবো না। যে ১৬ জন দিবে তার বাইরে কিছু করার নেই।’
ফাইল ছবি
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৮৩ রানের জয়ে সিরিজে সমতা ফেরায় টাইগাররা। লঙ্কানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে রান বিবেচনায় এটিই সবচেয়ে বড় জয়। চলমান সফরের সাদা বলের পর্বে বাংলাদেশ দু’বার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পিছিয়ে পরে সমতা এনেছে। দ্বিতীয় ম্যাচ জয়ের পর তারা ওয়ানডে সিরিজে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়ে তৃতীয় ম্যাচে প্রায় ১০০ রানে হেরে গেছে। দ্বিতীয় খেলায় জয়লাভ করে বাংলাদেশ এখন টি-টোয়েন্টি সিরিজেও একইভাবে এগিয়ে গেছে, ১-১ ব্যবধানে। এবার শোধ নেওয়ার সুযোগ।
শেষ টি২০তে বাংলাদেশের জয় ছিল (৮৩ রানে), গত আট ম্যাচে তাদের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি জয়। তবে তারা এই ফর্ম্যাটে তাদের সেরা সামর্থ সম্পর্কে ভালো ধারণা পেয়েছে: ব্যক্তিগত প্রতিভার উপর নির্ভর করার চেয়ে দলব্যাপী পারফর্মেন্স। যে দলে যেকোনো ফর্ম্যাটে সুপারস্টারের অভাব রয়েছে, সেখানে তাদের বেশ কয়েকজন পারফর্মার নিয়ে একটি ইউনিট তৈরি করতে হবে।
বুধবার জিতলেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয় করবে বাংলাদেশ। জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নামছে টাইগাররা।
কিন্তু ব্যাটিং নিয়ে চিন্তার ভাঁজ রয়েছে টাইগার শিবিরে। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপকে নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক লিটন দাস। ৫০ বলে ৭৬ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন তিনি। ৭৮ রানে চতুর্থ উইকেট পতনের পর শামীম হোসেনকে নিয়ে ৩৯ বলে ৭৭ রানের জুটি গড়েন লিটন। ২৬ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন শামীম।
জয়ী একাদশ নিয়েই সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে খেলতে নামার সম্ভাবনা বেশি বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কখনও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এর আগে পাঁচটি দ্বিপাক্ষীক সিরিজ খেলেছে দু’দল। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কায় দুই ম্যাচের সিরিজ ড্র, এখন অবধি টাইগারদের সেরা ফলাফল। সব মিলিয়ে ১৯ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দু’দল। যেখানে টাইগারদের জয় ৭টিতে এবং হার ১২টিতে।
আগের পরিকল্পনাতে সিরিজ
নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ
দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের আত্মবিশ্বাস কাজে লাগবে বলে মনে করেন ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তিনি বলেছেন, ‘সবশেষ ম্যাচ আমরা যেভাবে খেলেছি, তাতে মনে হয়েছে ছেলেরা ভালো মোমেন্টাম পেয়েছে এবং আত্মবিশ্বাস আমাদের আছে। আশা আছে শেষটা যেন ভালোভাবে করতে পারি। আমরা ভালো খেলার চেষ্টা করবো। এই মুহূর্তে নতুনভাবে ভাবার কিছু নেই। যে পরিকল্পনা নিয়ে খেলছি, সেভাবেই খেলার চেষ্টা করবো। মিডল অর্ডারে ভালো করলে আমরা সফলতা পাবো। আমাদের মিডল অর্ডারের ওরকম খেলোয়াড় বেঞ্চে নেই। প্রথম ম্যাচে ওভাবে খেলানোর মতো অপশন আমাদের ছিল না। জাকের চোটে ছিল। পরিকল্পনা যা ছিল, সেই অনুযায়ী গিয়েছিলাম। কিন্তু হয়নি। আমরা সবসময় চাই জাকের এবং শামীম শেষ করবে ম্যাচ, তাদের ওপরে এমন দায়িত্ব দেয়া যাবে না, যেখানে দাঁড়িয়ে তাদের ইনিংস মেরামত করতে হয়। তারা যেন নিশ্চিন্তে খেলতে পারে। আমাদের পরিকল্পনা ওরকমই ছিল।’
শেষ ম্যাচে কেমন একাদশে হবে এমন প্রশ্নে সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘কোনও দলই চায় না উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতে। কিন্তু আমাদের খেলোয়াড়দের দিকে তাকাতে হবে। অনেকে ইনজুরি থেকে আসছে। তাদের কাজের চাপটার দিকে আমাদের খেয়াল করতে হবে। তাদের ফিট রাখাটা জরুরি। যেভাবে টানা সূচি ছিল, সেখানে প্রতিদিন ম্যাচ খেলানো কঠিন। সবকিছু ভারসাম্য করে চলতে হয়, এটা হয়তো বাইরে থেকে ওভাবে বোঝা যায় না। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা দিতে হবে। তাসকিনকে যদি টানা খেলানো হয়, সে একটা বড় ইনজুরি থেকে এসেছে। একটা ম্যাচ খেলানোর জন্য দেখা গেলো আবার তাকে এক বছর বসে থাকতে হচ্ছে।’
প্রায় এক বছর ধরে সাকিব আল হাসান জাতীয় দলে নেই। এখনও তার অভাব অনুভব করেন সালাউদ্দিন, ‘আমাদের অনেক কিছুতে বিলাসিতা করার মতো সুযোগ থাকে না, এটা আমাদের বুঝতে হবে। অনেক সময় ব্যাটারে ঘাটতি তৈরি হয়, অনেক সময়ে বোলারে তৈরি হয়। সাকিব যখন ছিলেন, তখন আমরা চালকের আসনে ছিলাম। একজন অতিরিক্ত বোলার খেলাতে পারতাম, অতিরিক্ত ব্যাটার খেলাতে পারতাম। সুতরাং দলের অবস্থা অনুযায়ী আমাদের চলতে হয়। সেভাবেই দল সাজাই। আমরা জানি নাসুমকে খেলালে আমাদের হয়তো লাভ হতে পারে, কিন্তু তখন হয়তো রিশাদকে বসাতে হবে অথবা অন্য কাউকে বসাতে হবে। আবার ব্যাটিংয়ের ওপরেও তাকাতে হয়। কেউ ফর্মে আছে কিনা, অফফর্মে আছে কিনা। এসবের ওপরে নির্ভর করেই আমাদের দলটা করতে হয়।’
দলের সাম্প্রতিক ব্যর্থতায় আলাদাভাবে কাউকে দোষ দেওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন কোচ, ‘দলের একজন সদস্য হিসেবে আমি চাইবো দলটা যেন ভালো করুক। সুতরাং মূল বিষয় এটাই। এজন্য সকলের বোঝা উচিত, কাকে কীভাবে দেখা উচিত। কাউকে দোষ দিয়েও লাভ নেই, আমাদের হাতে অপশন কম, নির্বাচকদের হাতেও অপশন কম। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করেই দল তৈরি করি। কিন্তু অপশন কম থাকায় বেশি কিছু করা সম্ভব হয় না। প্রতিটি সিরিজ অনুযায়ী সেভাবে চিন্তা করা হয়, সেভাবেই নির্বাচকরা দল দেন। আমাদের যে ব্যবস্থানাপত্র দিবে, তার বাইরে তো আমরা কিছু করতে পারবো না। যে ১৬ জন দিবে তার বাইরে কিছু করার নেই।’