নারী ফুটবলে বাংলাদেশ-ভুটান ম্যাচ
মেয়েদের জয়োল্লাস
মঙ্গলবার,(১৫ জুলাই ২০২৫) সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে প্রথমার্ধ হলো কিংস অ্যারেনাতে। তিন ঘন্টা অপেক্ষার পর মাঠ অনুপযুক্ত থাকায় পাশেই অনুশীলন মাঠে হওয়া বাকি অর্ধে বাংলাদেশ দাপট অব্যাহত রেখে ম্যাচ জিতে নিয়েছে। শেষ পর্যন্ত শান্তি মার্ডির হ্যাটট্রিকে বাংলাদেশ ৪-১ গোলে হারায় ভুটানকে। প্রবল বৃষ্টিতে বন্ধ হওয়ার আগে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ।
কিংস অ্যারেনাতে সকাল থেকেই বৃষ্টি ছিল। সেই বৃষ্টির মধ্যেই ফ্লাড লাইট জ্বালিয়ে শুরু হয় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা। ভারি বর্ষনে সারা মাঠ কাদাময়। বল পানির মধ্যে পড়লে আটকে যাচ্ছে। কোনও দলের মেয়েরাই তাদের স্বাভাবিক ছন্দে খেলতে পারেনি। মাঠেই লুটিয়ে পরছেন অনেকেই।
বাংলাদেশ দলের কোচ পিটার বাটলার মঙ্গলবার বেঞ্চের ফুটবলারদের পরখ করেন। নেপালের বিপক্ষে ম্যাচের ফুটবলারদের মধ্যে একাদশে ছিলেন মাত্র দুজন- বন্যা খাতুন ও শান্তি মারডি। গোলকিপার পজিশনে স্বর্ণা মন্ডলের পরিবর্তে দেখা মিললো মিলি আক্তারের। অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারের বদলে সুরমা জান্নাতের হাতে দেখা গেল আর্ম ব্যান্ড। লাল কার্ডের কারণে এমনিতেই দলে নেই সাগরিকা।
ম্যাচের ২ মিনিটে তৃষ্ণা রানীর শট আটকে যায় কাদায়। এরপর ৭ মিনিটে শান্তি মারডি তিন বারের চেষ্টায় গোল দিয়েছে। ভেজা মাঠে বল আটকে যাচ্ছিল বক্সের মধ্যে। প্রথমবার ভুটানের গোলকিপার পেমা ইয়াংজম শান্তির শট আটকে দেয়। পরের দু বার চেষ্টা করে অবশেষে গোল পানে শান্তি। ম্যাচের বাকি সময়ে আসলে কাদাময় মাঠে দুই দলের ফুটবলাররা শুধু বলের পেছনে দৌড়েছেন। কিন্তু স্বাভাবিক খেলাটা ঠিকমতো খেলতে পারেননি।
এরপরও বাংলাদেশই বেশি আক্রমণ করেছে। বিরতির খানিক আগে বাম প্রান্ত দিয়ে শান্তি মার্ডি কয়েকবার আক্রমণ শানান। সেই বলে ঠিকমতোকানেক্ট করতে পারেননি বন্যা আক্তার ও রূপা আক্তার। তিন ঘন্টা পর কিংসের অনুশীলন মাঠে বিরতির পর শুরু হওয়া ম্যাচে স্বাগতিকরা দাপট দেখিয়েছে।
তবে শুরুতে গোল শোধ দিয়ে ভুটান ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয়। ৫৩ মিনিটে ভুটান সমতায় ফিরে। তেলদেন আগুয়ান গোলকিপার কে কাটিয়ে শট নিলেও তা ঠিকঠাক হয়নি। ওয়াংমো বল পেয়ে দারুণ প্লেসিং শটে গোল করেন।
তবে এরপর বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়ে তিন গোল আদায় করে নেয়।
চার মিনিট পর কর্নার থেকে শান্তি মার্ডি দ্বিতীয় গোল করে বাংলাদেশ কে আবারও এগিয়ে নেন। ৭৬ মিনিটে বদলি মুনকি আক্তার স্বাগতিকদের তৃতীয় গোল উপহার দেন। একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে বা দিক দিয়ে ঢুকে মুনকি গোলকিপারের পাশ দিয়ে নিখুঁত ফিনিস করেন। ৭৯ মিনিটে শান্তি মার্ডি হ্যাটট্রিক করেন। উমেলহার ক্রসে শান্তি বক্সে ঢুকে জোরালো শটে জাল কাঁপান। বাংলাদেশ ৪-১ গোলে জয় সুনিশ্চিত করে। তিন ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই বাংলাদেশ।
নারী ফুটবলে বাংলাদেশ-ভুটান ম্যাচ
মেয়েদের জয়োল্লাস
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
মঙ্গলবার,(১৫ জুলাই ২০২৫) সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে প্রথমার্ধ হলো কিংস অ্যারেনাতে। তিন ঘন্টা অপেক্ষার পর মাঠ অনুপযুক্ত থাকায় পাশেই অনুশীলন মাঠে হওয়া বাকি অর্ধে বাংলাদেশ দাপট অব্যাহত রেখে ম্যাচ জিতে নিয়েছে। শেষ পর্যন্ত শান্তি মার্ডির হ্যাটট্রিকে বাংলাদেশ ৪-১ গোলে হারায় ভুটানকে। প্রবল বৃষ্টিতে বন্ধ হওয়ার আগে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ।
কিংস অ্যারেনাতে সকাল থেকেই বৃষ্টি ছিল। সেই বৃষ্টির মধ্যেই ফ্লাড লাইট জ্বালিয়ে শুরু হয় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা। ভারি বর্ষনে সারা মাঠ কাদাময়। বল পানির মধ্যে পড়লে আটকে যাচ্ছে। কোনও দলের মেয়েরাই তাদের স্বাভাবিক ছন্দে খেলতে পারেনি। মাঠেই লুটিয়ে পরছেন অনেকেই।
বাংলাদেশ দলের কোচ পিটার বাটলার মঙ্গলবার বেঞ্চের ফুটবলারদের পরখ করেন। নেপালের বিপক্ষে ম্যাচের ফুটবলারদের মধ্যে একাদশে ছিলেন মাত্র দুজন- বন্যা খাতুন ও শান্তি মারডি। গোলকিপার পজিশনে স্বর্ণা মন্ডলের পরিবর্তে দেখা মিললো মিলি আক্তারের। অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারের বদলে সুরমা জান্নাতের হাতে দেখা গেল আর্ম ব্যান্ড। লাল কার্ডের কারণে এমনিতেই দলে নেই সাগরিকা।
ম্যাচের ২ মিনিটে তৃষ্ণা রানীর শট আটকে যায় কাদায়। এরপর ৭ মিনিটে শান্তি মারডি তিন বারের চেষ্টায় গোল দিয়েছে। ভেজা মাঠে বল আটকে যাচ্ছিল বক্সের মধ্যে। প্রথমবার ভুটানের গোলকিপার পেমা ইয়াংজম শান্তির শট আটকে দেয়। পরের দু বার চেষ্টা করে অবশেষে গোল পানে শান্তি। ম্যাচের বাকি সময়ে আসলে কাদাময় মাঠে দুই দলের ফুটবলাররা শুধু বলের পেছনে দৌড়েছেন। কিন্তু স্বাভাবিক খেলাটা ঠিকমতো খেলতে পারেননি।
এরপরও বাংলাদেশই বেশি আক্রমণ করেছে। বিরতির খানিক আগে বাম প্রান্ত দিয়ে শান্তি মার্ডি কয়েকবার আক্রমণ শানান। সেই বলে ঠিকমতোকানেক্ট করতে পারেননি বন্যা আক্তার ও রূপা আক্তার। তিন ঘন্টা পর কিংসের অনুশীলন মাঠে বিরতির পর শুরু হওয়া ম্যাচে স্বাগতিকরা দাপট দেখিয়েছে।
তবে শুরুতে গোল শোধ দিয়ে ভুটান ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয়। ৫৩ মিনিটে ভুটান সমতায় ফিরে। তেলদেন আগুয়ান গোলকিপার কে কাটিয়ে শট নিলেও তা ঠিকঠাক হয়নি। ওয়াংমো বল পেয়ে দারুণ প্লেসিং শটে গোল করেন।
তবে এরপর বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়ে তিন গোল আদায় করে নেয়।
চার মিনিট পর কর্নার থেকে শান্তি মার্ডি দ্বিতীয় গোল করে বাংলাদেশ কে আবারও এগিয়ে নেন। ৭৬ মিনিটে বদলি মুনকি আক্তার স্বাগতিকদের তৃতীয় গোল উপহার দেন। একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে বা দিক দিয়ে ঢুকে মুনকি গোলকিপারের পাশ দিয়ে নিখুঁত ফিনিস করেন। ৭৯ মিনিটে শান্তি মার্ডি হ্যাটট্রিক করেন। উমেলহার ক্রসে শান্তি বক্সে ঢুকে জোরালো শটে জাল কাঁপান। বাংলাদেশ ৪-১ গোলে জয় সুনিশ্চিত করে। তিন ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই বাংলাদেশ।