অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭ রানে অল আউট হয়েছে রোস্টন চেজের ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। ২০৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কিংস্টনের ২২ গজে স্বাগতিকরা সাত জন ব্যাটার শূন্য রানে আউট হন। দু’অঙ্কের রান করেছেন মাত্র এক জন। দলের এমন বিপর্যয়ের পর নড়েচড়ে বসল ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ডাকা হল জরুরি বৈঠক। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ক্লাইভ লয়েড, ভিভ রিচার্ডস, ব্রায়ান লারাকে। ডাকা হয়েছে শিবনারায়ণ চন্দ্রপাল, ডেসমন্ড হেইনস এবং ইয়ান ব্র্যাডশকেও।
দলের বেহাল পারফরম্যান্সে দিশেহারা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট কর্তারা। বোর্ড সভাপতি কিশোর শ্যালো জানিয়েছেন, সাবেক ক্রিকেটারেরা ‘ক্রিকেট স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড অফিশিয়েটিং কমিটি’র বৈঠকে থাকবেন। দলের এই শোচনীয় ব্যর্থতার পর্যালোচনা করবেন তারা। দেবেন প্রয়োজনীয় পরামর্শও। তাদের পরামর্শ শুনে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। বোর্ড সভাপতি স্পষ্ট জানিয়েছেন, শুধু লোক দেখানোর জন্য সাবেক ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনা করতে চাইছেন না তারা। তিনি বলেছেন, ‘এই সাবেকরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের গর্ব। দুর্দান্ত দল তৈরি করেছিলেন তারা। তাদের অভিজ্ঞতা এবং দৃষ্টিভঙ্গি কাজে লাগাতে চাই আমরা। সাবেকদে সঙ্গে আলোচনা করে এবং তাদের পরামর্শ মতো পরিকল্পনা তৈরি করা হবে।’
স্যাবাইনা পার্কে ১৪.৩ ওভারে দলের টেস্ট ইনিংস শেষ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি কোনও যুক্তিতেই মানতে পারছেন না ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের সভাপতি। তিনি বলেছেন, ‘ দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মতো আমারও ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। এই হার শুধু কষ্টের নয়। যন্ত্রণার। আগামী বেশ কয়েকটা রাত আমরা হয়তো ঘুমোতে পারব না। ক্রিকেটারেরাও নিদ্রাহীন রাত কাটাবে। কারণ এই পরাজয় বা বিপর্যয়ের দায় সবচেয়ে বেশি ওদেরই।’
হতাশার মধ্যেও হাল ছাড়তে নারাজ কিশোর। দেশের ক্রিকেটকে নতুন করে গড়ে তুলতে চান। তিনি বলেছেন, ‘সব কিছু শেষ, এ রকম কিছু ভাবতে চাই না। এখন নতুন করে দল তৈরি করতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। বিনিয়োগ করতে হবে। ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের পুরনো উন্মাদনা, আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে।’ সঙ্কটের সময় কিশোর সকলকে এক যোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তার মতে শুধু দোষারোপ করলে এই বিপর্যয় থেকে উঠে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের সভাপতি বলেছেন, ‘এটা বিভেদের সময় নয়। ক্রিকেটার, সাবেক ক্রিকেটার, কোচ, কর্তা, ক্রিকেটপ্রেমী— সকলকে এক সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে। আমাদের অনেক কিছু করার আছে। নির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চেষ্টা করতে হবে।’
অস্ট্রেলিয়ার কাছে ০-৩ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রতিটি টেস্টই তিন দিনের মধ্যে জিতে নিয়েছেন প্যাট কামিন্সেরা। ২১ জুলাই থেকে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হবে দু’দল। আগস্টে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের সঙ্গে সাদা বলের সিরিজ রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭ রানে অল আউট হয়েছে রোস্টন চেজের ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। ২০৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কিংস্টনের ২২ গজে স্বাগতিকরা সাত জন ব্যাটার শূন্য রানে আউট হন। দু’অঙ্কের রান করেছেন মাত্র এক জন। দলের এমন বিপর্যয়ের পর নড়েচড়ে বসল ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ডাকা হল জরুরি বৈঠক। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ক্লাইভ লয়েড, ভিভ রিচার্ডস, ব্রায়ান লারাকে। ডাকা হয়েছে শিবনারায়ণ চন্দ্রপাল, ডেসমন্ড হেইনস এবং ইয়ান ব্র্যাডশকেও।
দলের বেহাল পারফরম্যান্সে দিশেহারা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট কর্তারা। বোর্ড সভাপতি কিশোর শ্যালো জানিয়েছেন, সাবেক ক্রিকেটারেরা ‘ক্রিকেট স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড অফিশিয়েটিং কমিটি’র বৈঠকে থাকবেন। দলের এই শোচনীয় ব্যর্থতার পর্যালোচনা করবেন তারা। দেবেন প্রয়োজনীয় পরামর্শও। তাদের পরামর্শ শুনে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। বোর্ড সভাপতি স্পষ্ট জানিয়েছেন, শুধু লোক দেখানোর জন্য সাবেক ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনা করতে চাইছেন না তারা। তিনি বলেছেন, ‘এই সাবেকরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের গর্ব। দুর্দান্ত দল তৈরি করেছিলেন তারা। তাদের অভিজ্ঞতা এবং দৃষ্টিভঙ্গি কাজে লাগাতে চাই আমরা। সাবেকদে সঙ্গে আলোচনা করে এবং তাদের পরামর্শ মতো পরিকল্পনা তৈরি করা হবে।’
স্যাবাইনা পার্কে ১৪.৩ ওভারে দলের টেস্ট ইনিংস শেষ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি কোনও যুক্তিতেই মানতে পারছেন না ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের সভাপতি। তিনি বলেছেন, ‘ দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মতো আমারও ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। এই হার শুধু কষ্টের নয়। যন্ত্রণার। আগামী বেশ কয়েকটা রাত আমরা হয়তো ঘুমোতে পারব না। ক্রিকেটারেরাও নিদ্রাহীন রাত কাটাবে। কারণ এই পরাজয় বা বিপর্যয়ের দায় সবচেয়ে বেশি ওদেরই।’
হতাশার মধ্যেও হাল ছাড়তে নারাজ কিশোর। দেশের ক্রিকেটকে নতুন করে গড়ে তুলতে চান। তিনি বলেছেন, ‘সব কিছু শেষ, এ রকম কিছু ভাবতে চাই না। এখন নতুন করে দল তৈরি করতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। বিনিয়োগ করতে হবে। ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের পুরনো উন্মাদনা, আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে।’ সঙ্কটের সময় কিশোর সকলকে এক যোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তার মতে শুধু দোষারোপ করলে এই বিপর্যয় থেকে উঠে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের সভাপতি বলেছেন, ‘এটা বিভেদের সময় নয়। ক্রিকেটার, সাবেক ক্রিকেটার, কোচ, কর্তা, ক্রিকেটপ্রেমী— সকলকে এক সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে। আমাদের অনেক কিছু করার আছে। নির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চেষ্টা করতে হবে।’
অস্ট্রেলিয়ার কাছে ০-৩ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রতিটি টেস্টই তিন দিনের মধ্যে জিতে নিয়েছেন প্যাট কামিন্সেরা। ২১ জুলাই থেকে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হবে দু’দল। আগস্টে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের সঙ্গে সাদা বলের সিরিজ রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের।