টিকেট থাকা মানেই স্বাগতিক দেশে প্রবেশের নিশ্চয়তা নয়
২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের প্রথম ধাপের টিকেট লটারির আবেদন প্রক্রিয়া চলতি বছরের ১০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছে ফিফা। আগ্রহী দর্শকদের আজই ফিফার ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করার আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে তারা একটি ফিফা আইডি তৈরি করে আগাম প্রস্তুতি নিতে পারেন।
ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের অসাধারণ সফলতার পর বিশ্বকাপ নিয়ে উত্তেজনা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। আমরা মুখিয়ে আছি কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রকে আবারও স্বাগত জানাতে, যেখানে আয়োজন হবে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ও জাঁকজমকপূর্ণ ক্রীড়া উৎসবের। তাই বিশ্বের সব প্রান্তের ভক্তদের প্রস্তুত হতে বলছি, কারণ এটাই হতে যাচ্ছে খেলাধুলার ইতিহাসের সবচেয়ে কাক্সিক্ষত টিকেট।’
২০২৬ সালের এই বহুল প্রত্যাশিত বিশ্বকাপ শুরু হবে ১১ জুন, মেক্সিকো সিটিতে। আর ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৯ জুলাই, নিউইয়র্ক-নিউ জার্সিতে, যেখানে সদ্য শেষ হওয়া ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালও হয়েছিল।
নতুন ফরম্যাটের ক্লাব বিশ্বকাপে বিশ্বের সেরা ৩২টি ক্লাব অংশ নিয়েছিল এবং যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি শহরে প্রায় ২৫ লাখ দর্শক খেলা উপভোগ করেছেন, যা ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য এক অনন্য প্রস্তুতি হিসেবে কাজ করেছে।
২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপ হবে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আসর, যেখানে ৪৮টি দল অংশ নেবে এবং ৩টি আয়োজক দেশে মিলিয়ে মোট ১০৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজকদের ধারণা, এবারের বিশ্বকাপে প্রায় ৬৫ লাখ দর্শক মাঠে খেলা উপভোগ করবেন। তাই এখন থেকেই পরিকল্পনা শুরু করতে বলছে ফিফা।
বিশাল দর্শক চাহিদার কারণে, ফিফা বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি কয়েকটি ধাপে ভাগ করা হয়েছে। যারা এখনও রেজিস্ট্রেশন করেননি, তাদের ঋওঋঅ.পড়স/ঃরপশবঃং ওয়েবসাইটে গিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে একটি ফিফা আইডি তৈরি করতে হবে। এ রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে দর্শকরা টিকেট প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপ ও সময়সীমা সম্পর্কে জানতে পারবে।
২০২৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২০২৬ সালের ১৯ জুলাইয়ের ফাইনাল পর্যন্ত একাধিক ধাপে টিকেট বিক্রি হবে। প্রতিটি ধাপের প্রক্রিয়া, মূল্য পরিশোধের উপায় ও টিকেট পণ্যের ধরন আলাদা হতে পারে। প্রতিটি ধাপের বিস্তারিত তথ্য সময়মতো প্রকাশ করবে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। তবে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত ড্র অনুষ্ঠিত হবে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসে। এরপরই নির্দিষ্ট ম্যাচ সূচি, ভেন্যু ও কিক-অফ সময় ঘোষণা করা হবে।
ইতিমধ্যে যারা হসপিটালিটি প্যাকেজ কিনতে চান, তারা ঋওঋঅ.পড়স/যড়ংঢ়রঃধষরঃু ওয়েবসাইটে গিয়ে ম্যাচসহ বিশেষ প্যাকেজ কিনতে পারবেন। যাদের নির্দিষ্ট কোনো দলকে অনুসরণ করার আগ্রহ আছে, তাদের জন্য রয়েছে ঋড়ষষড়ি গু ঞবধস হসপিটালিটি প্যাকেজ, যার মাধ্যমে গ্রুপ পর্ব এবং নকআউট রাউন্ডের ম্যাচগুলোতে প্রিয় দলের খেলা সরাসরি দেখা যাবে (যদি দলটি কোয়ালিফাই করে)।
শুধুমাত্র ফিফার নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে টিকেট কিনতে পরামর্শ দিয়েছে ফিফা। বাইরের কোনো উৎস বা অননুমোদিত সাইট থেকে টিকেট বা হসপিটালিটি প্যাকেজ কিনলে তা বাতিল হতে পারে।
এখানে মনে রাখা জরুরি, টিকেট থাকা মানেই স্বাগতিক দেশে প্রবেশের নিশ্চয়তা নয়। তাই ভক্তদের এখনই সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারি ওয়েবসাইটে গিয়ে ভিসা ও প্রবেশসংক্রান্ত নিয়মাবলি জেনে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল পেমেন্ট প্রযুক্তির পথিকৃৎ ভিসা হচ্ছে ফিফার অফিসিয়াল পেমেন্ট টেকনোলজি পার্টনার এবং টিকেট ও হসপিটালিটি প্যাকেজ কেনার জন্য ফিফার পছন্দের অর্থ পরিশোধ মাধ্যম।
টিকেট থাকা মানেই স্বাগতিক দেশে প্রবেশের নিশ্চয়তা নয়
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের প্রথম ধাপের টিকেট লটারির আবেদন প্রক্রিয়া চলতি বছরের ১০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছে ফিফা। আগ্রহী দর্শকদের আজই ফিফার ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করার আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে তারা একটি ফিফা আইডি তৈরি করে আগাম প্রস্তুতি নিতে পারেন।
ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের অসাধারণ সফলতার পর বিশ্বকাপ নিয়ে উত্তেজনা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। আমরা মুখিয়ে আছি কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রকে আবারও স্বাগত জানাতে, যেখানে আয়োজন হবে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ও জাঁকজমকপূর্ণ ক্রীড়া উৎসবের। তাই বিশ্বের সব প্রান্তের ভক্তদের প্রস্তুত হতে বলছি, কারণ এটাই হতে যাচ্ছে খেলাধুলার ইতিহাসের সবচেয়ে কাক্সিক্ষত টিকেট।’
২০২৬ সালের এই বহুল প্রত্যাশিত বিশ্বকাপ শুরু হবে ১১ জুন, মেক্সিকো সিটিতে। আর ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৯ জুলাই, নিউইয়র্ক-নিউ জার্সিতে, যেখানে সদ্য শেষ হওয়া ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালও হয়েছিল।
নতুন ফরম্যাটের ক্লাব বিশ্বকাপে বিশ্বের সেরা ৩২টি ক্লাব অংশ নিয়েছিল এবং যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি শহরে প্রায় ২৫ লাখ দর্শক খেলা উপভোগ করেছেন, যা ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য এক অনন্য প্রস্তুতি হিসেবে কাজ করেছে।
২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপ হবে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আসর, যেখানে ৪৮টি দল অংশ নেবে এবং ৩টি আয়োজক দেশে মিলিয়ে মোট ১০৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজকদের ধারণা, এবারের বিশ্বকাপে প্রায় ৬৫ লাখ দর্শক মাঠে খেলা উপভোগ করবেন। তাই এখন থেকেই পরিকল্পনা শুরু করতে বলছে ফিফা।
বিশাল দর্শক চাহিদার কারণে, ফিফা বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি কয়েকটি ধাপে ভাগ করা হয়েছে। যারা এখনও রেজিস্ট্রেশন করেননি, তাদের ঋওঋঅ.পড়স/ঃরপশবঃং ওয়েবসাইটে গিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে একটি ফিফা আইডি তৈরি করতে হবে। এ রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে দর্শকরা টিকেট প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপ ও সময়সীমা সম্পর্কে জানতে পারবে।
২০২৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২০২৬ সালের ১৯ জুলাইয়ের ফাইনাল পর্যন্ত একাধিক ধাপে টিকেট বিক্রি হবে। প্রতিটি ধাপের প্রক্রিয়া, মূল্য পরিশোধের উপায় ও টিকেট পণ্যের ধরন আলাদা হতে পারে। প্রতিটি ধাপের বিস্তারিত তথ্য সময়মতো প্রকাশ করবে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। তবে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত ড্র অনুষ্ঠিত হবে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসে। এরপরই নির্দিষ্ট ম্যাচ সূচি, ভেন্যু ও কিক-অফ সময় ঘোষণা করা হবে।
ইতিমধ্যে যারা হসপিটালিটি প্যাকেজ কিনতে চান, তারা ঋওঋঅ.পড়স/যড়ংঢ়রঃধষরঃু ওয়েবসাইটে গিয়ে ম্যাচসহ বিশেষ প্যাকেজ কিনতে পারবেন। যাদের নির্দিষ্ট কোনো দলকে অনুসরণ করার আগ্রহ আছে, তাদের জন্য রয়েছে ঋড়ষষড়ি গু ঞবধস হসপিটালিটি প্যাকেজ, যার মাধ্যমে গ্রুপ পর্ব এবং নকআউট রাউন্ডের ম্যাচগুলোতে প্রিয় দলের খেলা সরাসরি দেখা যাবে (যদি দলটি কোয়ালিফাই করে)।
শুধুমাত্র ফিফার নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে টিকেট কিনতে পরামর্শ দিয়েছে ফিফা। বাইরের কোনো উৎস বা অননুমোদিত সাইট থেকে টিকেট বা হসপিটালিটি প্যাকেজ কিনলে তা বাতিল হতে পারে।
এখানে মনে রাখা জরুরি, টিকেট থাকা মানেই স্বাগতিক দেশে প্রবেশের নিশ্চয়তা নয়। তাই ভক্তদের এখনই সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারি ওয়েবসাইটে গিয়ে ভিসা ও প্রবেশসংক্রান্ত নিয়মাবলি জেনে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল পেমেন্ট প্রযুক্তির পথিকৃৎ ভিসা হচ্ছে ফিফার অফিসিয়াল পেমেন্ট টেকনোলজি পার্টনার এবং টিকেট ও হসপিটালিটি প্যাকেজ কেনার জন্য ফিফার পছন্দের অর্থ পরিশোধ মাধ্যম।