শেখ মেহেদি হাসানের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ও তানজিদ হাসানের দুর্দান্ত ইনিংসে শ্রীলঙ্কাকে ৮ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
বুধবার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ১৩৩ রানের লক্ষ্য মাত্র ১৬.৩ ওভারেই টপকে ফেলে টাইগাররা।
প্রথম ম্যাচ হারলেও পরের দুটি জিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটাই বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ জয়, বিদেশের মাটিতে যা পঞ্চম সিরিজ জয়।
ম্যাচে ৪ ওভারে এক মেডেনসহ মাত্র ১১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন শেখ মেহেদি। ব্যাট হাতে ৪৭ বলে ৭৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে দলের জয়ের ভিত গড়ে দেন তানজিদ। ১ চার ও ৬ ছক্কায় সাজানো ছিল তার ক্যারিয়ার সেরা এই ইনিংস।
ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ প্রথম বলেই হারায় পারভেজ হোসেন ইমনকে (০)। তবে লিটন দাস ও তানজিদের ৫০ বলে ৭৪ রানের জুটি ম্যাচে ফেরায় বাংলাদেশকে। ২৬ বলে ৩২ রান করে লিটন আউট হলেও, তানজিদ ও হৃদয়ের (২৫ বলে ২৭*) অবিচ্ছিন্ন জুটিতে জয় নিশ্চিত হয়।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। মাত্র ৫ ওভারের মধ্যে হারায় টপ অর্ডারের ৩ উইকেট। মেহেদি হাসান নিজের ৪ ওভারে ৪ উইকেট তুলে নেন নিখুঁত বোলিংয়ে। শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৬ রান আসে পাথুম নিসাঙ্কার ব্যাটে, আর ২৫ বলে অপরাজিত ৩৫ রান করেন দাসুন শানাকা।
ম্যাচে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন মুস্তাফিজ (৪ ওভারে ১৭ রানে ১ উইকেট) ও শামীম হোসেন (২ ওভারে ১০ রানে ১ উইকেট)। শরিফুল ইসলাম ৪ ওভারে ৫০ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ২০ ওভারে ১৩২/৭ (নিসাঙ্কা ৪৬, কুসাল মেন্ডিস ৬, কুসাল পেরেরা ০, চান্দিমাল ৪, আসালাঙ্কা ৩, কামিন্দু মেন্ডিস ২১, শানাকা ৩৫, ভ্যান্ডারসে ৭, থিকশানা ৬; শরিফুল ৪-০-৫০-১, মেহেদি ৪-১-১১-৪, মুস্তাফিজ ৪-০-১৭-১, তানজিম ২-০-২৩-০, শামীম ২-০-১০-১, রিশাদ ৪-০-২০-০)
বাংলাদেশ: ১৬.৩ ওভারে ১৩৩/২ (পারভেজ ০, তানজিদ ৭৩*, লিটন ৩২, হৃদয় ২৭*; থুসারা ৩-০-২৫-১, বিনুরা ২-০-১১-০, থিকশানা ৩.৩-০-৩০-০, আসালাঙ্কা ১-০-১৬-০, ভ্যান্ডারসে ৪-০-২৯-০, কামিন্দু ৩-০-২১-১)
ফল: বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: শেখ মেহেদি হাসান
ম্যান অব দা সিরিজ: লিটন কুমার দাস
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
শেখ মেহেদি হাসানের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ও তানজিদ হাসানের দুর্দান্ত ইনিংসে শ্রীলঙ্কাকে ৮ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
বুধবার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ১৩৩ রানের লক্ষ্য মাত্র ১৬.৩ ওভারেই টপকে ফেলে টাইগাররা।
প্রথম ম্যাচ হারলেও পরের দুটি জিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটাই বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ জয়, বিদেশের মাটিতে যা পঞ্চম সিরিজ জয়।
ম্যাচে ৪ ওভারে এক মেডেনসহ মাত্র ১১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন শেখ মেহেদি। ব্যাট হাতে ৪৭ বলে ৭৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে দলের জয়ের ভিত গড়ে দেন তানজিদ। ১ চার ও ৬ ছক্কায় সাজানো ছিল তার ক্যারিয়ার সেরা এই ইনিংস।
ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ প্রথম বলেই হারায় পারভেজ হোসেন ইমনকে (০)। তবে লিটন দাস ও তানজিদের ৫০ বলে ৭৪ রানের জুটি ম্যাচে ফেরায় বাংলাদেশকে। ২৬ বলে ৩২ রান করে লিটন আউট হলেও, তানজিদ ও হৃদয়ের (২৫ বলে ২৭*) অবিচ্ছিন্ন জুটিতে জয় নিশ্চিত হয়।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। মাত্র ৫ ওভারের মধ্যে হারায় টপ অর্ডারের ৩ উইকেট। মেহেদি হাসান নিজের ৪ ওভারে ৪ উইকেট তুলে নেন নিখুঁত বোলিংয়ে। শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৬ রান আসে পাথুম নিসাঙ্কার ব্যাটে, আর ২৫ বলে অপরাজিত ৩৫ রান করেন দাসুন শানাকা।
ম্যাচে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন মুস্তাফিজ (৪ ওভারে ১৭ রানে ১ উইকেট) ও শামীম হোসেন (২ ওভারে ১০ রানে ১ উইকেট)। শরিফুল ইসলাম ৪ ওভারে ৫০ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ২০ ওভারে ১৩২/৭ (নিসাঙ্কা ৪৬, কুসাল মেন্ডিস ৬, কুসাল পেরেরা ০, চান্দিমাল ৪, আসালাঙ্কা ৩, কামিন্দু মেন্ডিস ২১, শানাকা ৩৫, ভ্যান্ডারসে ৭, থিকশানা ৬; শরিফুল ৪-০-৫০-১, মেহেদি ৪-১-১১-৪, মুস্তাফিজ ৪-০-১৭-১, তানজিম ২-০-২৩-০, শামীম ২-০-১০-১, রিশাদ ৪-০-২০-০)
বাংলাদেশ: ১৬.৩ ওভারে ১৩৩/২ (পারভেজ ০, তানজিদ ৭৩*, লিটন ৩২, হৃদয় ২৭*; থুসারা ৩-০-২৫-১, বিনুরা ২-০-১১-০, থিকশানা ৩.৩-০-৩০-০, আসালাঙ্কা ১-০-১৬-০, ভ্যান্ডারসে ৪-০-২৯-০, কামিন্দু ৩-০-২১-১)
ফল: বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: শেখ মেহেদি হাসান
ম্যান অব দা সিরিজ: লিটন কুমার দাস