দীর্ঘদিন ফর্মহীনতায় ভুগছিলেন লিটন দাস। মাঠের ব্যর্থতা তাকে মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ার তীব্র সমালোচনার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছিল। পারফরম্যান্স নিয়ে উপহাস, ট্রল তো ছিলই। সেই লিটনই ঘুরে দাঁড়িয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতালেন দলকে। নিজে জিতলেন সিরিজসেরার পুরস্কার। এই পথটা লিটনের জন্য মোটেও সহজ ছিল না। প্রথমবারের মতো লঙ্কানদের মাটিতে সিরিজ জয়ের আনন্দ নিয়ে বৃহস্পতিবার,(১৭ জুলাই ২০২৫) দুপুরে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ। বিমানবন্দরে লিটনের লড়াই নিয়ে দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘তার জন্য ফেরাটা এটা সহজ ছিল না। যেভাবে সিরিজে আসছিল, ব্যাড প্যাচ যাচ্ছিল। আমরা জানি, আমাদের ব্যাড প্যাচ গেলে, যেহেতু বাংলাদেশের সবাই খুব ইমোশনাল, সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি ট্রল করা হয়। এভাবে ফিরে আসার সঙ্গে নেতৃত্বেও সে অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছে। ও নিজের ক্যারেক্টার শো করেছে, আশা করি এবং দোয়া করবো, যেন এটা ধরে রাখে।’
টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ হারের পর কুড়ি ওভারের সিরিজে দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ। এভাবে সিরিজ জিততে দেখে উচ্ছ্বসিত দলের ম্যানেজার নাফিস, ‘যেভাবে তারা খেলেছে, তারা নিজেদের ক্যারেক্টার প্রমাণ করেছে। এই সফর সহজ ছিল না। শুরু করেছিলাম আমরা খুব ভালো টেস্ট খেলে, যেই টেস্টের ড্র-টা আপনি উইনিং ড্র বলতে পারবেন। পরের টেস্ট ম্যাচটা আমাদের ভালো যায়নি। ওয়ানডে সিরিজে প্রথম ম্যাচ হারার পর দ্বিতীয় ম্যাচে যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ওটাও ইতিবাচক ছিল। এরপর যদিও সিরিজ জিততে পারেনি।’
কালেভদ্রে এমন দারুণ কিছু জয় ঠিকই পায় বাংলাদেশ। কিন্তু ধারাবাহিক হতে পারে না। নাফিস আশা করেন, ‘অবশ্যই কিন্তু এটাই শেষ না। এখান থেকে শুরু করতে হবে। আমাদের ধারাবাহিক হতে হবে। দল হিসেবে আমাদের ধারাবাহিক হওয়াটা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ওভাবেই আমরা এগোচ্ছি যেভাবে কথাবার্তা আমাদের মধ্যে হয়। ধারাবাহিকভাবে কীভাবে উন্নতি করতে পারবো, প্রতিদিন কীভাবে উন্নতি করতে পারবো, প্রত্যেকটা অনুশীলন সেশন থেকে শুরু করে ম্যাচে- এসব জিনিস নিয়েই আমরা কাজ করছি। আপনারাও দোয়া করবেন, আপনাদের সমর্থনও গুরুত্বপূর্ণ যেন ধারাবাহিকভাবে ভালো পর্যায়ে যেতে পারি এবং ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারি।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পেছনে ক্রিকেটারদের পাশাপাশি কোচিং স্টাফকেও কৃতিত্ব দিয়েছেন নাফিস, ‘আমাদের কাজই তো এটা। ওদের বিশ্বাসটা ধরে রাখা। কোচিং স্টাফরা আছে-যেকোনও সময়ে, ভালো হোক বা খারাপ, আমাদের কিন্তু ওই ছন্দ রেখেই চলতে হয়। আমি খুবই গর্বিত আমাদের ম্যানেজমেন্টন্ট যারা ছিল, বিশেষ করে দেশি অনেকে ছিল। কৃতিত্বটা তাদের সবারও।’
দেশে ফিরলেও বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ নেই ক্রিকেটারদের। আগামী ২০ জুলাই শুরু হবে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। বৃহস্পতিবার বিশ্রাম নিয়ে কাল থেকেই ফিরতে হবে অনুশীলনে। লঙ্কানদের বিপক্ষে সাফল্য মিরপুরেও টেনে আনার পরিকল্পনা বাংলাদেশের। নাফিস বলেছেন, ‘আমরা এক দিনের মধ্যেই আবার নতুন সিরিজ খেলবো। ওইভাবেই কথা হয়েছে যে আমাদের খেলা কিন্তু শেষ হয়নি। এরকম না যে বাসায় ফিরে যাচ্ছি। কেবল আজকের দিনটা বিশ্রাম নিয়ে আজ থেকে যে যার কাজে আবার নেমে যাবে।’
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
দীর্ঘদিন ফর্মহীনতায় ভুগছিলেন লিটন দাস। মাঠের ব্যর্থতা তাকে মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ার তীব্র সমালোচনার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছিল। পারফরম্যান্স নিয়ে উপহাস, ট্রল তো ছিলই। সেই লিটনই ঘুরে দাঁড়িয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতালেন দলকে। নিজে জিতলেন সিরিজসেরার পুরস্কার। এই পথটা লিটনের জন্য মোটেও সহজ ছিল না। প্রথমবারের মতো লঙ্কানদের মাটিতে সিরিজ জয়ের আনন্দ নিয়ে বৃহস্পতিবার,(১৭ জুলাই ২০২৫) দুপুরে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ। বিমানবন্দরে লিটনের লড়াই নিয়ে দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘তার জন্য ফেরাটা এটা সহজ ছিল না। যেভাবে সিরিজে আসছিল, ব্যাড প্যাচ যাচ্ছিল। আমরা জানি, আমাদের ব্যাড প্যাচ গেলে, যেহেতু বাংলাদেশের সবাই খুব ইমোশনাল, সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি ট্রল করা হয়। এভাবে ফিরে আসার সঙ্গে নেতৃত্বেও সে অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছে। ও নিজের ক্যারেক্টার শো করেছে, আশা করি এবং দোয়া করবো, যেন এটা ধরে রাখে।’
টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ হারের পর কুড়ি ওভারের সিরিজে দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ। এভাবে সিরিজ জিততে দেখে উচ্ছ্বসিত দলের ম্যানেজার নাফিস, ‘যেভাবে তারা খেলেছে, তারা নিজেদের ক্যারেক্টার প্রমাণ করেছে। এই সফর সহজ ছিল না। শুরু করেছিলাম আমরা খুব ভালো টেস্ট খেলে, যেই টেস্টের ড্র-টা আপনি উইনিং ড্র বলতে পারবেন। পরের টেস্ট ম্যাচটা আমাদের ভালো যায়নি। ওয়ানডে সিরিজে প্রথম ম্যাচ হারার পর দ্বিতীয় ম্যাচে যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ওটাও ইতিবাচক ছিল। এরপর যদিও সিরিজ জিততে পারেনি।’
কালেভদ্রে এমন দারুণ কিছু জয় ঠিকই পায় বাংলাদেশ। কিন্তু ধারাবাহিক হতে পারে না। নাফিস আশা করেন, ‘অবশ্যই কিন্তু এটাই শেষ না। এখান থেকে শুরু করতে হবে। আমাদের ধারাবাহিক হতে হবে। দল হিসেবে আমাদের ধারাবাহিক হওয়াটা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ওভাবেই আমরা এগোচ্ছি যেভাবে কথাবার্তা আমাদের মধ্যে হয়। ধারাবাহিকভাবে কীভাবে উন্নতি করতে পারবো, প্রতিদিন কীভাবে উন্নতি করতে পারবো, প্রত্যেকটা অনুশীলন সেশন থেকে শুরু করে ম্যাচে- এসব জিনিস নিয়েই আমরা কাজ করছি। আপনারাও দোয়া করবেন, আপনাদের সমর্থনও গুরুত্বপূর্ণ যেন ধারাবাহিকভাবে ভালো পর্যায়ে যেতে পারি এবং ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারি।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পেছনে ক্রিকেটারদের পাশাপাশি কোচিং স্টাফকেও কৃতিত্ব দিয়েছেন নাফিস, ‘আমাদের কাজই তো এটা। ওদের বিশ্বাসটা ধরে রাখা। কোচিং স্টাফরা আছে-যেকোনও সময়ে, ভালো হোক বা খারাপ, আমাদের কিন্তু ওই ছন্দ রেখেই চলতে হয়। আমি খুবই গর্বিত আমাদের ম্যানেজমেন্টন্ট যারা ছিল, বিশেষ করে দেশি অনেকে ছিল। কৃতিত্বটা তাদের সবারও।’
দেশে ফিরলেও বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ নেই ক্রিকেটারদের। আগামী ২০ জুলাই শুরু হবে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। বৃহস্পতিবার বিশ্রাম নিয়ে কাল থেকেই ফিরতে হবে অনুশীলনে। লঙ্কানদের বিপক্ষে সাফল্য মিরপুরেও টেনে আনার পরিকল্পনা বাংলাদেশের। নাফিস বলেছেন, ‘আমরা এক দিনের মধ্যেই আবার নতুন সিরিজ খেলবো। ওইভাবেই কথা হয়েছে যে আমাদের খেলা কিন্তু শেষ হয়নি। এরকম না যে বাসায় ফিরে যাচ্ছি। কেবল আজকের দিনটা বিশ্রাম নিয়ে আজ থেকে যে যার কাজে আবার নেমে যাবে।’