বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজ
বক্তব্য রাখছেন নাঈম শেখ
পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থা সুবিধার নয়। ২০১৬ সালের পর নেই কোনো জয়- তবে এবার ঘরের মাঠে খেলা হওয়ায় নিজেদেরই এগিয়ে রাখলেন বাঁহাতি ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের রেশ থাকতেই এবার পাকিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। শেপরবাংলা স্টেডিয়ামে আগামীকাল শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফিরে শুক্রবার ঐচ্ছিক অনুশীলনের দিনটি বিশ্রামেই কাটান বেশিরভাগ ক্রিকেটার। শুক্রবার,(১৮ জুলাই ২০২৫) দুপুরে একা এসে প্রায় দেড় ঘণ্টা ব্যাটিং সেশন করেন নাঈম। পরে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সরাসরি বাংলাদেশকে ফেবারিট হিসেবে দেখার কথা বলেন ২৫ বছর বয়সী ব্যাটার। বলেন, ‘অবশ্যই ঘরের মাঠে আমরা নিজেদের দলকে এগিয়ে রাখি। এবারও এগিয়ে রাখব।’
তবে পরিসংখ্যান নেই বাংলাদেশের পক্ষে। গত মে-জুন মাসে পাকিস্তান সফরে গিয়ে তিন ম্যাচের একটিতেও লড়াই করতে পারেনি তারা। এর আগে ২০২১ সালে ঘরের মাঠেও তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় তারা। ২০১৬ সালের এশিয়া কাপের পর থেকে আর পাকিস্তানকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের এশিয়ান গেমসে অবশ্য জিতেছিল তারা। তবে ওই টুর্নামেন্টে কেউই মূল দল নিয়ে অংশগ্রহণ করেনি।
ওই জয়সহ পাকিস্তানের বিপক্ষে ২২ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় মাত্র ৩টি। তাই স্বাভাবিকভাবে কৌতূহল জাগে, নিজেদের এগিয়ে রাখার পেছনে নাঈমের ব্যাখ্যা কী? উত্তরে শ্রীলঙ্কা সফরের ইতিবাচক মোমেন্টামের কথা বলেন তিনি।
‘পাকিস্তানে আমরা যেভাবে খেলেছি, বেশিরভাগ ম্যাচ হাই স্কোরিং ছিল। আমরা ১৯০-২০০ করেছি। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে পাকিস্তানে বোলিংটা যেভাবে করেছি, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কিন্তু এর বিপরীত ছিল।’
‘এখন আমাদের বোলাররা ভালো মোমেন্টামে আছে। সতীর্থ হিসেবে দেখেছি, বোলাররা খুব ভালো অবস্থানে আছে। এটা ধরে রাখতে পারলে ঘরের মাঠের সুবিধা আমরা নিতে পারব।’
এছাড়া সব ম্যাচ দেশের হোম অব ক্রিকেটে হওয়ায় বাড়তি সুবিধা পাওয়ার আশাই করছেন নাঈম।
‘(শ্রীলঙ্কা থেকে) যেহেতু একটা উইনিং মোমেন্টাম নিয়ে এসেছি, এটা ধরে রাখার চেষ্টা করব। আর আমাদের ঘরের মাঠে খেলা। মিরপুরে সাধারণত কী হয় আমরা সবাই জানি। দলের অবস্থা ভালো আছে।’
‘আমি আজ ব্যক্তিগত অনুশীলন করলাম। দলের মোমেন্টাম খুব ভালো আছে। এটা ধরে রাখার চেষ্টা করব। অতীতে যা হয়েছে, তা নিয়ে পড়ে থাকা সুযোগ নেই। যেহেতু ভালো মোমেন্টামে আছি, ধরে রাখার চেষ্টা করব।’
শেরেবাংলার উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেয়াই এখন উদ্বেগের বিষয়
শ্রীলঙ্কার মাটিতে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ। তবে সামনের সিরিজে খেলতে নামার আগে নিজেদের কন্ডিশনে মানিয়ে নিতে তেমন সময় পাচ্ছে না লিটন দাসের দল।
গত বুধবার ঢাকায় পৌঁছে গেছে পাকিস্তান। তাদের বিপক্ষে মিরপুরের শেরেবাংলায় তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে অংশ নেবে টাইগাররা। লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে লড়াইবিহীন হারের পরের দুটিতে দারুণ পারফরম্যান্সে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার, খেলোয়াড়দের জন্য রাখা হয়েছে একটি ঐচ্ছিক অনুশীলন সেশন। আজ থেকে শুরু হবে স্বাগতিক দলের পুরোদমে অনুশীলন। অন্যদিকে, রোববার অনুষ্ঠেয় প্রথম টি-টোয়েন্টিকে সামনে রেখে পাকিস্তান দল শুক্রবার, থেকেই নিয়মিত অনুশীলনে শুরু করেছে।
টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে হারের পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে বেশ কিছু ইতিবাচক বিষয় গ্রহণ করতে পারে বাংলাদেশ। তবে বিদেশের কন্ডিশনে টানা প্রায় এক মাস খেলার কারণ ব্যাটারদের কয়েকজনকে হয়তো একটি নির্দিষ্ট ছন্দে দেখা গেছে। কিন্তু দেশে অনুশীলনের সময় পুরোপুরি সহায়ক উইকেট মেলে না তাদের। বিশেষ করে, বছরের এই সময়ে যখন নিয়মিত বৃষ্টি পড়তে থাকে।
আরেকটি চ্যালেঞ্জ হলো, পাকিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজটি হবে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে । সেখানে বাংলাদেশ সবশেষ খেলেছিল প্রায় নয় মাস আগে। মিরপুরে তাদের শেষ ম্যাচটি ছিল ২০২৪ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ওই টেস্টে তারা ৭ উইকেটের ব্যবধানে হেরেছিল।
কম বাউন্সের উইকেট উপমহাদেশের দলগুলোর জন্য ততটা সমস্যা সৃষ্টি করে না, যতটা করে এই অঞ্চলের বাইরের দলগুলোর জন্য। তবে সামনে যেসব গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট আসছে, তা মাথায় রেখে বাংলাদেশের ব্যাটারদের আত্মবিশ্বাস এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে, যেন তারা চাপের মুখেও একটি ইউনিট হিসেবে কার্যকর থাকতে পারে। কিন্তু ঘরের মাঠে যে ধরনের উইকেটে খেলা হয়, সেগুলো হয়তো সেসব দক্ষতায় শাণ দেয়ার জন্য আদর্শ নাও হতে পারে।
পাকিস্তানকে মোকাবিলার জন্য শ্রীলঙ্কা সফরের স্কোয়াড অপরিবর্তিত রেখেছে বাংলাদেশ। দল গঠনে এখন ধারাবাহিকতা কাম্যও বটে। তবে এশিয়া কাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট সামনে রেখে সবশেষ সিরিজটির পারফরম্যান্স ভবিষ্যতের জন্য কতটা মূল্যায়নযোগ্য হবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
গত বুধবার বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম পাকিস্তান সিরিজের উইকেট কেমন হবে তা নিয়ে একটি নির্দিষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সেদিনই শ্রীলঙ্কার মাটিতে সিরিজ জয়ের পর লিটন দাস একই শঙ্কা জানান।
কলম্বোয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর বাংলাদেশের অধিনায়ক ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘মিরপুরের উইকেট পাকিস্তান সিরিজে কেমন আচরণ করবে তা আমি জানি না। শুনেছি, ঢাকায় প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে, তাই উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন হতে পারে। ব্যাটাররা ব্যর্থ হতে পারে, তবে আমরা হতাশ হব না। আমরা আমাদের শতভাগ দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব।’
প্রতিপক্ষ পাকিস্তানকে নিয়ে লিটন বলেন, ‘শেরেবাংলায় পাকিস্তানকে হারানো সহজ হবে না। ওদের বোলিং আক্রমণে বৈচিত্র্য আছে। বিপিএলে তাদের অনেকে খেলে। তাই তারা এখানকার কন্ডিশন সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখে। তবে আমরা যদি বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে খেলি, তাহলে ম্যাচ জেতা সম্ভব।’
বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজ
বক্তব্য রাখছেন নাঈম শেখ
শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থা সুবিধার নয়। ২০১৬ সালের পর নেই কোনো জয়- তবে এবার ঘরের মাঠে খেলা হওয়ায় নিজেদেরই এগিয়ে রাখলেন বাঁহাতি ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের রেশ থাকতেই এবার পাকিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। শেপরবাংলা স্টেডিয়ামে আগামীকাল শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফিরে শুক্রবার ঐচ্ছিক অনুশীলনের দিনটি বিশ্রামেই কাটান বেশিরভাগ ক্রিকেটার। শুক্রবার,(১৮ জুলাই ২০২৫) দুপুরে একা এসে প্রায় দেড় ঘণ্টা ব্যাটিং সেশন করেন নাঈম। পরে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সরাসরি বাংলাদেশকে ফেবারিট হিসেবে দেখার কথা বলেন ২৫ বছর বয়সী ব্যাটার। বলেন, ‘অবশ্যই ঘরের মাঠে আমরা নিজেদের দলকে এগিয়ে রাখি। এবারও এগিয়ে রাখব।’
তবে পরিসংখ্যান নেই বাংলাদেশের পক্ষে। গত মে-জুন মাসে পাকিস্তান সফরে গিয়ে তিন ম্যাচের একটিতেও লড়াই করতে পারেনি তারা। এর আগে ২০২১ সালে ঘরের মাঠেও তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় তারা। ২০১৬ সালের এশিয়া কাপের পর থেকে আর পাকিস্তানকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের এশিয়ান গেমসে অবশ্য জিতেছিল তারা। তবে ওই টুর্নামেন্টে কেউই মূল দল নিয়ে অংশগ্রহণ করেনি।
ওই জয়সহ পাকিস্তানের বিপক্ষে ২২ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় মাত্র ৩টি। তাই স্বাভাবিকভাবে কৌতূহল জাগে, নিজেদের এগিয়ে রাখার পেছনে নাঈমের ব্যাখ্যা কী? উত্তরে শ্রীলঙ্কা সফরের ইতিবাচক মোমেন্টামের কথা বলেন তিনি।
‘পাকিস্তানে আমরা যেভাবে খেলেছি, বেশিরভাগ ম্যাচ হাই স্কোরিং ছিল। আমরা ১৯০-২০০ করেছি। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে পাকিস্তানে বোলিংটা যেভাবে করেছি, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কিন্তু এর বিপরীত ছিল।’
‘এখন আমাদের বোলাররা ভালো মোমেন্টামে আছে। সতীর্থ হিসেবে দেখেছি, বোলাররা খুব ভালো অবস্থানে আছে। এটা ধরে রাখতে পারলে ঘরের মাঠের সুবিধা আমরা নিতে পারব।’
এছাড়া সব ম্যাচ দেশের হোম অব ক্রিকেটে হওয়ায় বাড়তি সুবিধা পাওয়ার আশাই করছেন নাঈম।
‘(শ্রীলঙ্কা থেকে) যেহেতু একটা উইনিং মোমেন্টাম নিয়ে এসেছি, এটা ধরে রাখার চেষ্টা করব। আর আমাদের ঘরের মাঠে খেলা। মিরপুরে সাধারণত কী হয় আমরা সবাই জানি। দলের অবস্থা ভালো আছে।’
‘আমি আজ ব্যক্তিগত অনুশীলন করলাম। দলের মোমেন্টাম খুব ভালো আছে। এটা ধরে রাখার চেষ্টা করব। অতীতে যা হয়েছে, তা নিয়ে পড়ে থাকা সুযোগ নেই। যেহেতু ভালো মোমেন্টামে আছি, ধরে রাখার চেষ্টা করব।’
শেরেবাংলার উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেয়াই এখন উদ্বেগের বিষয়
শ্রীলঙ্কার মাটিতে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ। তবে সামনের সিরিজে খেলতে নামার আগে নিজেদের কন্ডিশনে মানিয়ে নিতে তেমন সময় পাচ্ছে না লিটন দাসের দল।
গত বুধবার ঢাকায় পৌঁছে গেছে পাকিস্তান। তাদের বিপক্ষে মিরপুরের শেরেবাংলায় তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে অংশ নেবে টাইগাররা। লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে লড়াইবিহীন হারের পরের দুটিতে দারুণ পারফরম্যান্সে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার, খেলোয়াড়দের জন্য রাখা হয়েছে একটি ঐচ্ছিক অনুশীলন সেশন। আজ থেকে শুরু হবে স্বাগতিক দলের পুরোদমে অনুশীলন। অন্যদিকে, রোববার অনুষ্ঠেয় প্রথম টি-টোয়েন্টিকে সামনে রেখে পাকিস্তান দল শুক্রবার, থেকেই নিয়মিত অনুশীলনে শুরু করেছে।
টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে হারের পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে বেশ কিছু ইতিবাচক বিষয় গ্রহণ করতে পারে বাংলাদেশ। তবে বিদেশের কন্ডিশনে টানা প্রায় এক মাস খেলার কারণ ব্যাটারদের কয়েকজনকে হয়তো একটি নির্দিষ্ট ছন্দে দেখা গেছে। কিন্তু দেশে অনুশীলনের সময় পুরোপুরি সহায়ক উইকেট মেলে না তাদের। বিশেষ করে, বছরের এই সময়ে যখন নিয়মিত বৃষ্টি পড়তে থাকে।
আরেকটি চ্যালেঞ্জ হলো, পাকিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজটি হবে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে । সেখানে বাংলাদেশ সবশেষ খেলেছিল প্রায় নয় মাস আগে। মিরপুরে তাদের শেষ ম্যাচটি ছিল ২০২৪ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ওই টেস্টে তারা ৭ উইকেটের ব্যবধানে হেরেছিল।
কম বাউন্সের উইকেট উপমহাদেশের দলগুলোর জন্য ততটা সমস্যা সৃষ্টি করে না, যতটা করে এই অঞ্চলের বাইরের দলগুলোর জন্য। তবে সামনে যেসব গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট আসছে, তা মাথায় রেখে বাংলাদেশের ব্যাটারদের আত্মবিশ্বাস এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে, যেন তারা চাপের মুখেও একটি ইউনিট হিসেবে কার্যকর থাকতে পারে। কিন্তু ঘরের মাঠে যে ধরনের উইকেটে খেলা হয়, সেগুলো হয়তো সেসব দক্ষতায় শাণ দেয়ার জন্য আদর্শ নাও হতে পারে।
পাকিস্তানকে মোকাবিলার জন্য শ্রীলঙ্কা সফরের স্কোয়াড অপরিবর্তিত রেখেছে বাংলাদেশ। দল গঠনে এখন ধারাবাহিকতা কাম্যও বটে। তবে এশিয়া কাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট সামনে রেখে সবশেষ সিরিজটির পারফরম্যান্স ভবিষ্যতের জন্য কতটা মূল্যায়নযোগ্য হবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
গত বুধবার বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম পাকিস্তান সিরিজের উইকেট কেমন হবে তা নিয়ে একটি নির্দিষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সেদিনই শ্রীলঙ্কার মাটিতে সিরিজ জয়ের পর লিটন দাস একই শঙ্কা জানান।
কলম্বোয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর বাংলাদেশের অধিনায়ক ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘মিরপুরের উইকেট পাকিস্তান সিরিজে কেমন আচরণ করবে তা আমি জানি না। শুনেছি, ঢাকায় প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে, তাই উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন হতে পারে। ব্যাটাররা ব্যর্থ হতে পারে, তবে আমরা হতাশ হব না। আমরা আমাদের শতভাগ দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব।’
প্রতিপক্ষ পাকিস্তানকে নিয়ে লিটন বলেন, ‘শেরেবাংলায় পাকিস্তানকে হারানো সহজ হবে না। ওদের বোলিং আক্রমণে বৈচিত্র্য আছে। বিপিএলে তাদের অনেকে খেলে। তাই তারা এখানকার কন্ডিশন সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখে। তবে আমরা যদি বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে খেলি, তাহলে ম্যাচ জেতা সম্ভব।’